বেগম ও নূরজাহান বেগম প্রায় সমার্থক নাম। দেশভাগের প্রাক্কালে সওগাত খ্যাত মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীনের পরিচালনায় এবং কবি সুফিয়া কামালের সম্পাদনায় প্রথম বেগম প্রকাশিত হলেও কয়েক সংখ্যা পরই এর সম্পাদক হন নূরজাহান বেগম। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সেই দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
যে যুগে বাঙালি মুসলমান সমাজে নারীর ঘরের বাইরে যাওয়া বারণ ছিল, সেই যুগে নূরজাহান বেগম কেবল নিজে ঘরের বাইরে আসেননি, মাসিক পত্রিকা বেগম–এর মাধ্যমে তিনি নারীর সাহিত্য সাধনা, সাংবাদিকতা ও সৃজনশীলতা বিকাশে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর সব কাজের প্রেরণা ছিলেন বেগম রোকেয়া। সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুল ও লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের কৃতী ছাত্রী নূরজাহান বেগমের জীবন সাধনার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল বেগম। ক্ষণস্থায়ী সাহিত্য পত্রিকার দেশে প্রায় সাত দশক ধরে একটি পত্রিকার প্রকাশনা চালু রাখা ব্যতিক্রমী ঘটনাই বটে।
এ দেশে নারীর জাগরণ ও সাংবাদিকতায় বেগম ও এর সম্পাদক নূরজাহান বেগমের অবদান অবিস্মরণীয়। যে সময়ে পত্রিকায় নারী লেখকদের নাম ছাপাও ছিল প্রায় নিষিদ্ধ, সেই সময় তাঁদের ছবি ছেপে বেগম পত্রিকাটি বিরল সাহসের পরিচয় দিয়েছে। বর্তমানের অনেক প্রতিষ্ঠিত নারী লেখকের লেখালেখির শুরু বেগম থেকে।
পত্রিকাটি শুরু থেকেই সমাজপ্রগতি, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে এবং ধর্মান্ধতা ও সামাজিক কূপমণ্ডূকতার বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। ধর্মান্ধ ও প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর আক্রমণ উপেক্ষা করে বেগম বরাবর তার নীতিতে অবিচল থেকেছে। বাংলাদেশের নারীসমাজের কাছ বেগম শুধু একটি পত্রিকা মাত্র নয়; সৃজনশীলতার ক্ষেত্রও।
৯১ বছর বয়সী নূরজাহান বেগমের প্রয়াণ আমাদের দেশ-জাতি ও সাহিত্যের অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর অবর্তমানে যদি তাঁর উত্তরসূরি ও সহযাত্রীরা পত্রিকাটির প্রকাশনা অব্যাহত রাখেন, সেটাই হবে তাঁর প্রতি যথাযথ সম্মান জানানো।
নূরজাহান বেগমের অনুসৃত চিন্তা ও কর্ম সমাজ-প্রগতির নিত্য প্রেরণা হয়ে থাকবে।
প্রগতিরনিত্যপ্রেরণানূরজাহানবেগম
বেগমপত্রিকারপ্রকাশনাঅব্যাহতথাকুক
বেগমওনূরজাহানবেগমপ্রায়সমার্থকনাম।দেশভাগেরপ্রাক্কালেসওগাতখ্যাতমোহাম্মদনাসিরউদ্দীনেরপরিচালনায়এবংকবিসুফিয়াকামালেরসম্পাদনায়প্রথমবেগমপ্রকাশিতহলেওকয়েকসংখ্যাপরইএরসম্পাদকহননূরজাহানবেগম।মৃত্যুরআগপর্যন্ততিনিসেইদায়িত্বপালনকরেগেছেন।
যেযুগেবাঙালিমুসলমানসমাজেনারীরঘরেরবাইরেযাওয়াবারণছিল, সেইযুগেনূরজাহানবেগমকেবলনিজেঘরেরবাইরেআসেননি, মাসিকপত্রিকাবেগম–এরমাধ্যমেতিনিনারীরসাহিত্যসাধনা, সাংবাদিকতাওসৃজনশীলতাবিকাশেঅসামান্যভূমিকারেখেছেন।তাঁরসবকাজেরপ্রেরণাছিলেনবেগমরোকেয়া।সাখাওয়াতমেমোরিয়ালস্কুলওলেডিব্রেবোর্নকলেজেরকৃতীছাত্রীনূরজাহানবেগমেরজীবনসাধনারঅবিচ্ছেদ্যঅংশছিলবেগম। ক্ষণস্থায়ীসাহিত্যপত্রিকারদেশেপ্রায়সাতদশকধরেএকটিপত্রিকারপ্রকাশনাচালুরাখাব্যতিক্রমীঘটনাইবটে।
এদেশেনারীরজাগরণওসাংবাদিকতায়বেগমওএরসম্পাদকনূরজাহানবেগমেরঅবদানঅবিস্মরণীয়।যেসময়েপত্রিকায়নারীলেখকদেরনামছাপাওছিলপ্রায়নিষিদ্ধ, সেইসময়তাঁদেরছবিছেপেবেগমপত্রিকাটিবিরলসাহসেরপরিচয়দিয়েছে।বর্তমানেরঅনেকপ্রতিষ্ঠিতনারীলেখকেরলেখালেখিরশুরুবেগমথেকে।
পত্রিকাটিশুরুথেকেইসমাজপ্রগতি, নারীরঅধিকারপ্রতিষ্ঠারপক্ষেএবংধর্মান্ধতাওসামাজিককূপমণ্ডূকতারবিরুদ্ধেলড়াইকরেআসছে।ধর্মান্ধওপ্রতিক্রিয়াশীলগোষ্ঠীরআক্রমণউপেক্ষাকরেবেগমবরাবরতারনীতিতেঅবিচলথেকেছে।বাংলাদেশেরনারীসমাজেরকাছবেগমশুধুএকটিপত্রিকামাত্রনয়; সৃজনশীলতারক্ষেত্রও।
৯১বছরবয়সীনূরজাহানবেগমেরপ্রয়াণআমাদেরদেশ-জাতিওসাহিত্যেরঅপূরণীয়ক্ষতি।তাঁরঅবর্তমানেযদিতাঁরউত্তরসূরিওসহযাত্রীরাপত্রিকাটিরপ্রকাশনাঅব্যাহতরাখেন, সেটাইহবেতাঁরপ্রতিযথাযথসম্মানজানানো।
নূরজাহানবেগমেরঅনুসৃতচিন্তাওকর্মসমাজ-প্রগতিরনিত্যপ্রেরণাহয়েথাকবে।