বৈধ রাষ্ট্রপতিদের আমরা কতটা সম্মান দিয়েছি?

বঙ্গবন্ধু শেখ মু​িজবুর রহমান, আবু সাঈদ চৌধুরী, সাহাবুদ্দীন আহমদ
বঙ্গবন্ধু শেখ মু​িজবুর রহমান, আবু সাঈদ চৌধুরী, সাহাবুদ্দীন আহমদ

অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা দখলকারীদের অবসর ভাতা, আনুতোষিক ও অন্যান্য সুবিধা পাওয়ার পথ বন্ধ করার বিধান রেখে রাষ্ট্রপতির অবসর ভাতা, আনুতোষিক ও অন্যান্য সুবিধাসংক্রান্ত যে বিল গত মঙ্গলবার সংসদে পাস হয়েছে, তার সঙ্গে দ্বিমত করার কিছু নেই। সাবেক রাষ্ট্রপতিদের মধ্যে খোন্দকার মোশতাক আহমদ, জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জবরদস্তিমূলকভাবে ক্ষমতা দখল করেছেন, সে কারণে তাঁরা বা তাঁদের পরিবার বিলে বর্ণিত সুযোগ-সুবিধা পাবে না। এই তিন সাবেকের মধ্যে প্রথমোক্ত দুজন প্রয়াত। একমাত্র এরশাদই বেঁচে আছেন এবং বর্তমান সংসদের একজন সদস্যও। নিজের উপস্থিতিতে এ রকম একটি বিল পাসের যে অপমান, সেটি তাঁকে মুখ বুজেই সহ্য করতে হয়েছে। অনেকে বলেন, এরশাদ ভাগ্যবান। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরও তাঁর সংসদে ও রাজনীতিতে বহাল থাকা নজিরবিহীন ঘটনা। কিন্তু সেই নজিরবিহীন ঘটনা না ঘটলে তিনি তো নিজের বিরুদ্ধে আনা বিলের প্রত্যক্ষদর্শী হতে পারতেন না।
আলোচ্য বিলে বলা হয়, একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ হারে অবসর ভাতা পাবেন। অবসরপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতিরা একজন ব্যক্তিগত সহকারী ও একজন অ্যাটেনডেন্ট এবং দাপ্তরিক ব্যয় পরিচালনার খরচ পাবেন।
বিলটির বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টির সদস্যরা বলেছেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে বঞ্চিত করতে এই বিল আনা হয়েছে। শুধু এক ব্যক্তির জন্য আইন করা ঠিক নয়। আমরা তিনবার ক্ষমতায় এসেছি, মহাজোটেও আছি।’ জবাবে বিল উত্থাপনকারী কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘নিজেরাই কেন নিজেদের দুর্বলতার দিক টেনে আনলেন। বিলে তো কারও নাম লেখা নেই। নিজেরাই প্রকারান্তরে স্বীকার করলেন যে জেনারেল এরশাদ মার্শাল ল দিয়ে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। চুপ করে থাকলেই তো হতো। যার মনে যা, লাফ দিয়ে ওঠে তা।’
২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্ট অতীতের সব সামরিক শাসনকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী বাতিল এবং সামরিক শাসনামলের জারি করা অধ্যাদেশগুলো অবৈধ ঘোষণা করে প্রয়োজনীয় অধ্যাদেশগুলো আইনে পরিণত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক সামরিক আইনকে অবৈধ ঘোষণার পর সামরিক আইনবলে ক্ষমতাসীন শাসকদের রাষ্ট্রীয় তথা জনগণের তহবিল থেকে অবসর ভাতা দেওয়া ন্যায়সংগত হতে পারে না।
উল্লেখ্য, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর খোন্দকার মোশতাক আহমদ গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করেন এবং তিনি নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। এরপর তিনি ২৪ আগস্ট সামরিক শাসন জারি করেন, যা পঞ্চম সংসদের মাধ্যমে সংবিধান পুনরুজ্জীবিত না হওয়া পর্যন্ত বহাল ছিল। এই আইনের অধীনে বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমও রাষ্ট্রপতি এবং বিচারপতি আবদুস সাত্তার উপরাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে নিয়োগকৃত উপরাষ্ট্রপতি সাত্তারকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থিতা নিশ্চিত করার জন্য সংবিধান আরেক দফা সংশোধন করা হয়।
জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অবৈধ সামরিক শাসনবলে ক্ষমতায় এসে পরবর্তীকালে নির্বাচন করে নিজেরা রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন (জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর প্রধানের পদ না ছেড়েই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেন)। প্রশ্ন হলো, সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী যদি অবৈধ হয়ে যায়, তাহলে অষ্টম সংশোধনী অবৈধ হবে না কেন? সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীতে হাইকোর্টের বিকেন্দ্রীকরণ এবং রাষ্ট্রধর্ম আইন অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। সংবিধানের পরিপন্থী বলে হাইকোর্টের বিকেন্দ্রীকরণ বাতিল হয়ে গিয়েছে। অথচ চার মূলনীতির প্রবক্তা আওয়ামী লীগ সরকার এখনো রাষ্ট্রধর্ম বহাল রেখেছে।
সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের মধ্য দিয়ে অতীতে কোন কোন শাসকের ক্ষমতা অবৈধ, তা নির্ধারিত হয়ে গেছে। অবৈধ রাষ্ট্রপতিদের পর্ব বাদ দিয়ে আমরা বৈধ রাষ্ট্রপতিদের দিকে চোখ ফেরালে কী দেখতে পাই। আমরা তাঁদের সম্মান জানাতেও অতীতে কার্পণ্য দেখিয়েছি। এখনো দেখাচ্ছি। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট একদল পথভ্রষ্ট সেনাসদস্যের হাতে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবার নিহত হওয়ার পর তাঁকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। তাঁর বন্দনায় এখন যাঁরা ব্যাকুল, তাঁদের অনেককে সেদিন উল্লাস প্রকাশ করতে দেখেছি। অর্থাৎ আমরা স্বাধীনতার প্রধান নেতা এবং দেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতিকে যথাযথ সম্মান দিইনি।
১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী এবং ১৯৭৩ সালের শেষ নাগাদ তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাঁর বিদায়ও সুখকর হয়নি। সরকারের সঙ্গে নানা বিষয়ে তাঁর মতভেদ চলছিল। রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরে যাওয়ার পর তাঁর বাড়িটি জবরদখলের চেষ্টা চালান টাঙ্গাইল আওয়ামী লীগের এক স্বনামধন্য নেতা।
বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর পর রাষ্ট্রপতি হন মোহাম্মদ উল্লাহ। তিনি সামরিক-বেসামরিক, বৈধ-অবৈধ সব ধরনের সরকারের আমলে রাষ্ট্রীয় পদ নিয়ে নিজেই নিজের সম্মান বিসর্জন দিয়েছেন। জিয়াউর রহমানের পর রাষ্ট্রপতি হন বিচারপতি আবদুস সাত্তার। একাশির নির্বাচনে সেনাবাহিনীর প্রধান এরশাদ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে তাঁকে সমর্থন দিলেও কয়েক মাসের মাথায় ক্ষমতাচ্যুত করেন। পঁচাত্তরের ৩ নভেম্বরের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের নায়ক খালেদ মোশাররফের অনুরোধে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করেন। কিন্তু দুই বছরের মাথায় তিনিও ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। ইতিমধ্যে উপপ্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জিয়াউর রহমান মনস্থির করে ফেলেন যে তিনিই দেশের সর্বোচ্চ পদটি দখল করবেন। সায়েম নিজের ক্ষমতারোহণ ও পদত্যাগের পটভূমি বিবৃত করেছেন তাঁর লাস্ট ডেজ অব বঙ্গভবন বইয়ে।
নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের পর আন্দোলনকারী তিন জোটের অনুরোধে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। তাঁর সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সবাইকে চমকে দিয়ে ক্ষমতায় আসে বিএনপি। কিন্তু কয়েক মাস অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকালে তাঁকে নানাভাবে নাজেহাল করে ক্ষমতাসীন দলটি। এমনকি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন যখন বেতার-টিভিতে ভাষণ দিয়ে তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচিত করার অনুরোধ জানান সরকারের প্রতি, তখন সরকারের তথ্যমন্ত্রী নাজমুল হুদা বলেছিলেন, উত্তরসূরি নির্বাচন করার প্রয়োজন নেই; তার আগে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারেন। অবশ্য সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে বিরল সমঝোতায় দ্বাদশ সংশোধনী পাস হওয়ার পর উত্তরসূরি নির্বাচন করেই তিনি অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির পদ ছেড়ে সুপ্রিম কোর্টে ফিরে গিয়েছিলেন। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন যখন বিদায় নেন, তখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতারা সাক্ষাৎ করলেও এম সাইফুর রহমান ও অলি আহমদ ছাড়া বিএনপির অন্য কেউ সাক্ষাৎ করেননি।
তা সত্ত্বেও ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুরোধে দ্বিতীয়বার সাহাবুদ্দীন রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করেন। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন পাঁচ বছর প্রায় নির্বিঘ্নে দায়িত্ব পালন করলেও বিদায় পর্বটি ছিল বেদনাদায়ক। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হলে দলটি প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি লতিফুর রহমান ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এ সাঈদের পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনে। এখন তিনি গুরুতর অসুস্থ। কিন্তু যে দুই দলীয় সরকারের আমলে তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে রাষ্ট্রপতি বা অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের কেউ তাঁর খোঁজ নেওয়ারও প্রয়োজন মনে করে না।
খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকার তিনজন রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করে—যথাক্রমে আবদুর রহমান বিশ্বাস, বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ। এর মধ্যে আবদুর রহমান বিশ্বাসের দলীয় নেত্রীর প্রতি এতই ভক্তিপ্রবণ ছিলেন যে একবার বঙ্গভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে রওনা হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। শেষ পর্যন্ত তাঁর সহকারীরা মাঝপথ থেকে ফিরিয়ে আনেন। চিকিৎসক কাম রাজনীতিক বদরুদ্দোজা চৌধুরী ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব। ২০০২ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি হয়ে কিছুটা স্বতন্ত্র ও স্বাধীন অবস্থান নেওয়ার কারণে এক বছরের মাথায় তাঁকে অপমানজনকভাবে বিদায় নিতে হয়। রাষ্ট্রপতি পদে থেকে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ বিএনপির স্বার্থরক্ষায় এতটাই নিবেদিত ছিলেন যে শেষ পর্যন্ত ২০০৭ সালের নির্বাচনটিই পণ্ড করে দিলেন। আসে ১/১১-এর পরিবর্তন।
তাই রাষ্ট্রপতি পদের যে সম্মান, সেটি কোনো কোনো রাষ্ট্রপতি নিজেই খুইয়েছেন। আবার কোনো কোনো রাষ্ট্রপতি দলের বাইরে নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে গিয়ে ক্ষমতাসীনদের কাছে অসম্মানিত হয়েছেন। আইন অবৈধ রাষ্ট্রপতিদের বিচার করলেও সংকীর্ণ দলীয় রাজনীতি বৈধ রাষ্ট্রপতিদেরও সম্মান দিতে পারেনি। উপযুক্ত অবসর ভাতা ও সুযোগ–সুবিধা দিলেই রাষ্ট্রপতির পদকে সম্মানিত করা হয় না। রাষ্ট্রপতি প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ পদাধিকারী। সংসদীয় শাসনব্যবস্থায়ও রাষ্ট্রের সবকিছু তাঁর নামে পরিচালিত হয়। যেকোনো বিলে রাষ্ট্রপতির সই বাধ্যতামূলক। কিন্তু সেই রাষ্ট্রপতি পদকে আমরা যথাযথ সম্মান দিতে ব্যর্থ হয়েছি। সংবিধানে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা এতটাই খর্ব করা হয়েছে যে, বিচারপতি সাহাবুদ্দীন একবার বলেছিলেন, ‘মিলাদ ও কবর জিয়ারত ছাড়া তাঁর কোনো কাজ নেই।’
প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানেও বর্তমানে সংসদীয় ব্যবস্থা চালু আছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী হওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্রপতির কাছে বেশ কিছু ক্ষমতা ন্যস্ত রয়েছে। তাঁকে দলের ‘শিখণ্ডী’ হিসেবে না দেখে রাষ্ট্রের প্রতীক হিসেবেই দেখা হয়।
ব্যক্তির হাতে অগাধ ক্ষমতা থাকার কারণে আমরা রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি বাতিল করেছি। কিন্তু সেই একই ক্ষমতা যদি প্রধানমন্ত্রীর হাতে ন্যস্ত থাকে, সেটাও ব্যক্তিতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে। এর প্রতিকারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কিছুটা হলেও ক্ষমতার ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন। এবং সে ক্ষেত্রে যেকোনো জাতীয় সংকটে জনগণ তাঁদের কাছে যে নিরপেক্ষ ভূমিকা আশা করেন, সেটি কিছু হলেও পূরণ করতে পারেন। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন সাংবিধানিক ক্ষমতা নেই জেনেও দু–একবার চেষ্টা করেছিলেন। দ্বিতীয় কোনো উদাহরণ নেই।
প্রধানমন্ত্রী বরাবর দলেরই থাকেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হলেও দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি আর দলের থাকেন না (যেমন ভারতে এ পি জে আবদুল কালাম কংগ্রেস আমলে এবং প্রণব মুখার্জি বিজেপি আমলে স্বাচ্ছন্দ্যেই দায়িত্ব পালন করেছেন এবং করছেন।)
ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্ব রাষ্ট্রপতি পদটিকে দলীয় বৃত্তের বাইরে রেখে যথাযথ সম্মান দিয়েছে। আমরা পারলাম না কেন?
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
[email protected]