বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের এপিঠ–ওপিঠ

প্রতীকী ছবি।

বাংলাদেশ ও ভারত এই দুটি নিকট প্রতিবেশী দেশ বহুমাত্রিক পারস্পরিক স্বার্থের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে আবদ্ধ। এর শুরুটা হয়েছিল ঘোর দুর্দিনে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়। সে সময় ভারতের সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। ইতিহাস, ভূগোল, অর্থনীতি, রাজনীতি ও নিরাপত্তার বিবেচনায় দুটি দেশ পরস্পরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে, এটাই বাস্তবতা। এ সম্পর্ক বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ভারতের জন্যও। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে ইতিবাচক অগ্রগতি আছে অনেক, পাশাপাশি ব্যর্থতা বা ভুল–বোঝাবুঝি যে নেই তা নয়। দুই দেশের মানুষের মধ্যেই বন্ধুত্বের বাতাবরণের পাশাপাশি পরস্পরের প্রতি অভিযোগও আছে বেশ কিছু। সেই সঙ্গে আছে কিছু অবিশ্বাস ও সন্দেহ।

আওয়ামী লীগের ১৯৯৬-২০০১ শাসনকালে বাংলাদেশ–ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য সূচিত হয় দীর্ঘকাল অমীমাংসিত গঙ্গা পানি চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে। ভারতের পক্ষে মূল উদ্বেগের বিষয় ছিল নিরাপত্তা। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে ভারতের প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের সহায়তা। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসার স্বল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের সহায়তায় এ সমস্যা সম্পূর্ণ দূরীভূত হয়। বিদ্রোহীদের আশ্রয়স্থলগুলো ভেঙে দেওয়া হয় এবং পালিয়ে থাকা বিদ্রোহী নেতাদের ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ভারতের অপর চাওয়া ছিল বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে ট্রানজিট, এসব রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যা ছিল অপরিহার্য। জল, স্থল ও সমুদ্রপথে এ সুবিধা ভারতকে দিয়েছে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণও ক্রমবর্ধমান। বাণিজ্যের ভারসাম্য বিপুলভাবে ভারতের অনুকূলে, তবে তা যে বাংলাদেশের বাজারের প্রয়োজন মেটায়, সেটাও বাস্তব সত্য। বিদ্যুৎ আমদানি ও উৎপাদনে পারস্পরিক স্বার্থে দুই দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সহযোগিতা চলমান আছে। সুন্দরবনের কাছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে অবশ্য পরিবেশবাদীদের মধ্যে প্রবল অসন্তোষ বিদ্যমান। ভারতীয় পণ্য আমদানির জন্য বেশ কিছু ক্রেডিট লাইন বাংলাদেশকে দিয়েছে ভারত। ঋণের শর্ত খুব একটা সহজ তা অবশ্য বলা যাবে না। কঠিন শর্তের কারণে কোনো কোনো প্রকল্পে অর্থ ছাড়ে মাত্রাতিরিক্ত সময় লেগেছে। তবে ভারত থেকে কিছু অনুদানও পেয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি প্রাপ্ত ১০টি রেল ইঞ্জিন এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অপ্রাপ্তি, অসন্তোষের তালিকা বেশ দীর্ঘ। গঙ্গার পানি চুক্তি যে প্রত্যাশার পরিবেশ তৈরি করেছিল, বিগত ২৪ বছরে তা দিগন্তরেখায় প্রায় অদৃশ্য। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পানির গুরুত্বপূর্ণ উৎস তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি পেছাতে পেছাতে এখন তালিকা থেকেই বাদ পড়ে গেছে। শুকনো মৌসুমে তিস্তার পুরো পানিই ব্যবহার করছে ভারত। ভারতীয় পণ্যের বিশাল বাজার বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের পণ্যের জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েও আবার অশুল্ক বাধার বেড়াজালে বেঁধে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে উত্তর-পূর্বের রাষ্ট্রসমূহে ট্রানজিট সুবিধা হাসিল করেছে ভারত, কিন্তু বাংলাদেশ থেকে নেপালে পণ্য পরিবহনে শিলিগুড়ি করিডরের ১৪ মাইল দূরত্ব আর কমছে না কিছুতেই।

স্বাধীনতার পর সবচেয়ে গুরুতর যে সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশ, সেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে অপরাধী মিয়ানমারের প্রতি ভারতের পরোক্ষ সমর্থন মানুষকে বেদনাহত করেছে। ভারতের নাগরিকত্ব আইনে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতোই সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা বাংলাদেশের জনগণ বা সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। আসামের নাগরিকপঞ্জিতে বিপুলসংখ্যক বাংলাভাষী ভারতীয়র গায়ে বিদেশি তকমা লাগানো হয়েছে। ভারত এটাকে তার অভ্যন্তরীণ বিষয় বলছে। সরকারিভাবে বাংলাদেশ তা মেনেও নিয়েছে। কিন্তু এই ‘বিদেশি’রা কোন দেশ থেকে ভারতে এসেছে, সে প্রশ্ন ডেমোক্লিসের তরবারির মতো বাংলাদেশের মাথার ওপর ঝুলে থাকবে। সবচেয়ে যা আহত করেছে বাংলাদেশের মানুষকে, তা হচ্ছে ভারতীয় উচ্চ নেতৃত্বের অবস্থানে থেকে কথিত ‘বাংলাদেশি বেআইনি অনুপ্রবেশকারী’দের বিষয়ে অপমানকর বাক্য প্রয়োগ। এ ছাড়া ক্রিকেট বোর্ডের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফরকালে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সৌজন্যের অনুপস্থিতি বাংলাদেশের মানুষ ভালো চোখে দেখেনি। সীমান্তে নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করে যাচ্ছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এবং এর পক্ষে নানা খোঁড়া যুক্তি দেখিয়েই যাচ্ছেন ভারতের রাজনীতিক ও কূটনীতিকেরা।

ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। তবে সম্পর্ক যত গভীর, যত বন্ধুত্বপূর্ণই হোক না কেন, প্রতিবেশীদের মধ্যে কিছু টানাপোড়েন, কিছু স্বার্থের সংঘাত থাকবেই। এসব বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলাপ–আলোচনা, দর-কষাকষি চলবে, প্রকাশ্যে তার নেতিবাচক ছাপ থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক। সরকারি বক্তব্যে সম্পর্কের উজ্জ্বল দিকগুলো প্রাধান্য পাবে, সমস্যা সমাধানে আশাবাদ ব্যক্ত হবে, সেটাও প্রত্যাশিত। সাধারণ মানুষ কিন্তু সম্পর্কের সব দিক নিয়েই তাদের নিজস্ব মতামত গড়ে নেয়। তাই সরকারের বাইরে সম্পর্ক নিয়ে বিশ্লেষণ করেন যাঁরা, তাঁদের হতে হবে আরেকটু খোলামেলা ও নৈর্ব্যক্তিক। অবশ্যই সাফল্যের দিকগুলোও তাঁরা তুলে ধরবেন, তবে তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রকৃত সমস্যাগুলো তুলে আনা। দুঃখজনকভাবে, সীমান্তের দুই দিকেই এ ক্ষেত্রে প্রকট অনীহা পরিলক্ষিত হয়। এমনকি ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশেও, স্বল্পসংখ্যক বিশ্লেষককে বাদ দিলে অতি দেশপ্রেমের প্রহেলিকায় আচ্ছন্ন অনেক বিশেষজ্ঞ সরকারি বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করেই নিজ দায়িত্ব সম্পন্ন করেন। এই বিশ্লেষকদের কথায় বা লেখায় প্রতীয়মান হয় যে দুই দেশের মধ্যে যা কিছু সমস্যা ছিল তার প্রায় সবই মিটে গেছে, এখন শুধু সোনালি সম্পর্কের সুফল ভোগের সময়। সাংবাদিকদের একটা অংশও এ রোগে আক্রান্ত। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সুস্থ বিকাশের স্বার্থে সম্পর্কের সমস্যাগুলো প্রকাশ করা বেশি জরুরি। প্রশংসাবাক্য আর আত্মতুষ্টিতে সমস্যার সমাধান হয় না।

ভারতীয় বিশ্লেষক ও সাংবাদিকদের একাংশের মধ্যে আরেকটি অদ্ভুত প্রবণতা লক্ষণীয়। দুই দেশের মধ্যে যখনই ইতিবাচক কিছু ঘটে, তখনই তাঁরা সেটিকে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রতি বিশাল শুভেচ্ছার, এমনকি বদান্যতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে চিত্রিত করার প্রয়াস পান। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ বোধ হয় সীমান্ত চুক্তি। ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি সইয়ের পর অবিলম্বে তা সংসদে অনুসমর্থন করে নেয় বাংলাদেশ। ভারত তা করতে সময় নিয়েছে ৪২ বছর। দহগ্রাম-আঙ্গরপোতায় যেতে ১৮৫ মিটার লম্বা তিনবিঘা করিডর দিনে ছয় ঘণ্টা চালু করতে সময় লেগেছে ১৮ বছর। আমি তখন দিল্লিতে। সাউথ ব্লকের কর্তারা এটা বাংলাদেশের প্রতি একটা বিরাট আনুকূল্য হিসেবে দেখছিলেন। ৪২ বছর পর যখন ভারত তার গলা থেকে ঝুলন্ত অ্যালবাট্রসটিকে সরানোর পদক্ষেপ নিল, প্রচণ্ড হই–হুল্লোড়ের মাধ্যমে এটাকে সম্পর্কোন্নয়নে একটা যুগান্তকারী ভারতীয় পদক্ষেপ হিসেবে উপস্থাপন করা হলো। স্থলসীমান্ত চুক্তির প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছে ২০১৫ সালে, কিন্তু তার পরের পাঁচ বছরেও মুহুরি সীমান্ত চূড়ান্ত করার বিষয়টি অমীমাংসিত রয়ে গেছে।

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ত্রিপুরায় ভারতীয় পণ্য পরিবহন যে ভারতের জন্য একটি বড় সুবিধা, তার তেমন উল্লেখ থাকে না। বরং এই পরিবহনে যে বাংলাদেশি ট্রাক ব্যবহার করা হচ্ছে এবং বাংলাদেশ ভাড়া পাচ্ছে এটাকেই বড় করে দেখাতে তাঁরা পছন্দ করেন। আসামের তেল শোধনাগারে উৎপাদিত ডিজেল ভারতের মূল ভূখণ্ডে পরিবহন লাভজনক নয়। আবার চট্টগ্রাম থেকে উত্তরবঙ্গে তেল নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য ব্যয়বহুল। উত্তরবঙ্গে এ ডিজেল রপ্তানি তাই উভয় দেশের জন্যই সুবিধাজনক। কিন্তু এ নিতান্ত বাণিজ্যিক বিষয়টিকে উপস্থাপন করা হয় ভারতের শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে।

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ১৬ লাখ পর্যটক ভারত সফরে যান। তাঁদের ভিসা দেয় ভারতের মিশনগুলো। ভারতীয় ভাষ্যে এ বিপুলসংখ্যক ভিসা প্রদানকে বিশাল এক বদান্যতারূপে উপস্থাপন করা হয়। এই পর্যটকেরা যে কত বিলিয়ন ডলার প্রতিবছর ভারতীয় অর্থনীতিতে যুক্ত করেন, তার উল্লেখ কোথাও পাওয়া যায় না। বাংলাদেশ থেকে কথিত ‘বেআইনি অনুপ্রবেশ’ ভারতীয় রাজনীতিবিদ থেকে সাংবাদিক পর্যন্ত সবারই প্রিয় বিষয়। বাংলাদেশ যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভারতীয় নাগরিকের জীবিকা অর্জনের ক্ষেত্র এবং বিশ্বে ভারতের রেমিট্যান্সের চতুর্থ বা পঞ্চম বৃহত্তম উৎস, এর উল্লেখ হয় কদাচিৎ।

সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় এ বিষয়ে বেশ কানাঘুষা হয়েছে কিছুদিন। দুই দেশেরই কিছু বিশ্লেষক আবার এ সন্দেহ প্রকাশ নিয়ে বেশ উষ্মা ব্যক্ত করেছেন। সাধারণ বুদ্ধিসম্পন্ন কেউ বিশ্বাস করে না যে শুধু করোনাভাইরাসের টিকা আর ভারতীয় সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে কথা বলতে শ্রিংলা হঠাৎ ছুটে এসেছিলেন, আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। বাস্তব বুদ্ধিসম্পন্ন যে কেউ ধরে নেবে যে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদির কোনো বার্তা নিয়ে এসেছিলেন। বার্তার বিশদ বিবরণ কেউ প্রত্যাশা করবে না, কিন্তু এটুকু স্বীকার করলে জল্পনা কম হতো। সেই সঙ্গে একজন ভারতীয় আমলার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকেরও একটি শোভন ব্যাখ্যা দাঁড়াত।

প্রতিবেশী দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস। এ আস্থা হঠাৎ এক দিনে বা আপনা–আপনি গড়ে ওঠে না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মতো একটি যুগান্তকারী ঘটনার মধ্য দিয়ে এ আস্থা ও বিশ্বাসের ভিত্তি রচিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে তা ধাক্কা খেয়েছিল। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা লাভ এবং তার পরপরই গঙ্গার পানি চুক্তি, এ ধাক্কা কাটিয়ে উঠে নতুনভাবে আস্থা ও প্রত্যাশার আবহ তৈরি করেছিল। দুঃখজনকভাবে বিগত ১২ বছরে ভারতের যাবতীয় উদ্বেগ নিরসনে বাংলাদেশের সার্বিক সহযোগিতার বিনিময়ে ভারতীয় বড় প্রতিদান দৃশ্যমান হয়নি। দুই দেশের সরকারি ভাষ্যে যতই প্রীতিকর শব্দাবলি ব্যবহার করা হোক না কেন, এ প্রতিদানের অভাব বাংলাদেশের মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। আস্থা ও বিশ্বাসের এ বাস্তব ঘাটতি টেকসই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য সহায়ক নয়। এ ঘাটতি পূরণে দুই দেশকেই মনোনিবেশ করতে হবে, তবে আজকের প্রেক্ষাপটে দায়িত্বটা বেশি ভারতের। বিশ্লেষকেরা প্রায়ই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে ‘সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ’ বলে বিশেষায়িত করে থাকেন। সার্বিক বিবেচনায় এ কথার সারবত্তা আছে। তবে সময় যেমন নদীর মতো বহমান, সময়ের পরীক্ষাও তেমনি একটি সতত চলমান প্রক্রিয়া—এ কথা ভুলে গেলে চলবে না।

মো. তৌহিদ হোসেন : বাংলাদেশ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব