মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে কেন?

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের প্রণীত নীতিমালার আলোকে এই ভর্তি পরীক্ষার পর কলেজগুলোতে ভর্তিপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ
ছবি : প্রথম আলো

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার সবচেয়ে বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৮৬১টি কলেজে প্রতিবছর প্রায় সাড়ে চার লাখ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার সুযোগ পান। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পর যাঁরা উচ্চশিক্ষা অধিভুক্ত ‘কলেজে’ পড়ছেন, তাঁরা হলেন মেডিকেলের শিক্ষার্থী। প্রতি শিক্ষাবর্ষে প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থী প্রায় ৪৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এসব কলেজ একসময় রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অনুষদের আওতাধীন ছিল। সরকারি ছাড়াও বেসরকারি কলেজগুলোও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তবে এসব বিশ্ববিদ্যালয় অনেকটা ছায়া হিসেবে উচ্চশিক্ষায় থাকলেও মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক সুখকর নয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চিকিৎসায় স্নাতকধারীদের অনেকটায় সনদ দেওয়ার কাজটি সারছে।

তবে সম্প্রতি পাঁচটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে মেডিকেল কলেজের আওতায় আনা হয়েছে। ফলে এসব সরকারি কলেজে পড়াশোনার দায়িত্ব নিচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবছর তাঁদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নিজস্ব কাঠামোর মধ্যে থেকে ভর্তি পরীক্ষা নিলেও দীর্ঘদিন ধরে মেডিকেল কলেজগুলোর ভর্তি পরীক্ষা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয়ভাবে গ্রহণ করে আসছে।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের প্রণীত নীতিমালার আলোকে এই ভর্তি পরীক্ষার পর কলেজগুলোতে ভর্তিপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নীতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়, তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রচলিত নিয়মনীতির বাইরে দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উচ্চশিক্ষার একটি পর্যায়কে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ঠিক কোন কাঠামোর আওতায় নিয়ন্ত্রণ করছে, তা বোধগম্য নয়।

বিশ্বের সিংহভাগ দেশের উচ্চশিক্ষার দায়িত্ব থাকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওপর নয়। ফলে ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থী বাছাই থেকে শুরু করে সিলেবাস প্রণয়ন ও শিক্ষার ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নীতিমালার আওতায় রয়েছে। চিকিৎসা অনুষদের অধীনে ব্যাচেলর অব মেডিসিনের অধ্যয়ন সারা বিশ্বে স্বীকৃত। আপনি যদি কখনো স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক জারি করা মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিগুলো দেখেন, তাহলে দেখবেন সেখানে ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ শব্দটিও নেই। এই বিজ্ঞপ্তি দেখে যে কারও মনে হবে, এমবিবিএস কোর্সটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত এই কলেজের অধীনে হচ্ছে।

একসময় মেডিসিন অনুষদের অধীনে থাকা রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস সার্টিফিকেট পাওয়া গেলেও সরকার সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পর রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। যদিও তারা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত, তবে তাদের ব্যবস্থাপনার অধ্যাদেশগুলোর কোনোটিতেই স্নাতক স্তরে মেডিকেল সায়েন্সে ছাত্রদের ভর্তি করার ক্ষমতা নেই। বরং অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া চালু রাখতে হবে।

ভর্তি পরীক্ষার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোনো পরিচিতি না পেলেও এখান থেকে যাঁরা পাস করেন, তাঁরা দিন শেষে যে সনদটি পাচ্ছেন, তা দিচ্ছে কোনো না কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। এমন শিক্ষার্থী আছেন যাঁকে আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন যে আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা এমবিবিএস করেছেন, তাহলে দেখা যাবে সিংহভাগই উত্তর দেবে অমুক-তমুক মেডিকেল কলেজ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী অধিভুক্ত কলেজে ভর্তির যোগ্যতা থাকলেও আমাদের দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা যেসব মেডিকেল কলেজের অধীনে অধ্যয়ন করছেন সেসব কলেজে এমবিবিএস ভর্তির কোনো কর্তৃত্ব কোনো বিশ্ববিদ্যালয় রাখতে পারছে না।

একসময় মেডিসিন অনুষদের অধীনে থাকা রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস সার্টিফিকেট পাওয়া গেলেও সরকার সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পর রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। যদিও তারা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত, তবে তাদের ব্যবস্থাপনার অধ্যাদেশগুলোর কোনোটিতেই স্নাতক স্তরে মেডিকেল সায়েন্সে ছাত্রদের ভর্তি করার ক্ষমতা নেই। বরং অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া চালু রাখতে হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ সালের ৪৫-এর ১-উপধারায় বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিংয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরসহ চিকিৎসাশাস্ত্রের যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও অন্যান্য পাঠক্রমে ছাত্রছাত্রী ভর্তি একাডেমিক কাউন্সিলের ভর্তি কমিটি কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা দ্বারা পরিচালিত হবে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেও একাডেমিক কার্যক্রমে, স্নাতক পর্যায়ে শুধু নার্সিং কোর্সে ভর্তির কথা বলা হয়েছে। চিকিৎসাশাস্ত্রে স্নাতকোত্তর কোর্সের কথাও উল্লেখ আছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাতটি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও একটি ডেন্টাল কলেজ রয়েছে। সদ্য প্রতিষ্ঠিত চট্টগ্রামের এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একই ভাষায় কথা বলেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৬ সালের ১২ মে পাসকৃত সরকারি প্রজ্ঞাপনের ৪০ ধারার ১ উপধারায় নার্সিং স্নাতকে ভর্তি করানোর কথা হয়েছে। অধিভুক্ত কলেজ বা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের চিকিৎসাবিজ্ঞানে স্নাতক ভর্তি করাতে না পারলেও সনদ দেওয়ার কথা সেই সরকারি প্রজ্ঞাপনের ৬ ধারার ৫ উপধারায় বলা হয়েছে।

যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির কর্তৃত্ব প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ নেই, সেখানে সনদ দেওয়ার যৌক্তিকতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা মোটেই অযৌক্তিক হবে না। বলা হয়, ১৯১৬ সাল থেকে বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোর ডিগ্রি ও মান নিয়ন্ত্রণ ‘দ্য মেডিকেল ডিগ্রিস অ্যাক্ট, ১৯১৬’-এর অধীনে ছিল। সেই দায়িত্ব পরে ২০১০ সালে সরকার বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) আইনের অধীনে নীতিমালায় অর্পণ করে।

আরও পড়ুন

মেডিকেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর একটি নির্দিষ্ট সময় পর শিক্ষানবিশদের চিকিৎসা পেশাকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এমন একটি প্রতিষ্ঠান আমাদের বিএমডিসি। তাদের কাছ থেকে নিবন্ধন পাওয়ার পর দেশে চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত হতে পারবেন, সেটিই প্রণিধানযোগ্য। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়কে উপেক্ষা করে বিএমডিসি এমবিবিএস স্তরে ভর্তি প্রক্রিয়ায় যেভাবে অংশগ্রহণ করছে, তা শুধু বিস্ময়কর নয়, চোখে পড়ার মতো।

বিএমডিসির কাজ চিকিৎসকদের পেশাগত সনদ দেওয়া। এটি যতটা না একাডেমিক, তার চেয়ে বেশি একটি পেশা নিয়ন্ত্রণের সংস্থা। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ ভর্তি, পাঠক্রম সাজানো, গবেষণা করানো। দেশ সব কটি উচ্চশিক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে, মেডিকেল চিকিৎসাবিদ্যা ঠিক কোন কারণে পিছিয়ে গেল, তা সত্যি বোধগম্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চাইলে বিএমডিসির সহায়তা নিতে পারে, কিন্তু ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্তকরণের তালিকা প্রকাশ না করা কিছুটা হলেও অস্বচ্ছতার মধ্যে পড়ে।

আপনি যদি বিশ্বের সঙ্গে আমাদের চিকিৎসকদের তুলনা করতে চান, তাহলে তাদের ঠিক একই ফরম্যাটে মাঠে নামানো উচিত। কিন্তু আমাদের রাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাবিদ্যা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কেবল ছায়ার আদলে রেখেছে, যা কখনোই আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ফেলা যাবে না। আপনি যদি আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ নেপালের কথাও বলতে চান, তাহলে সেখানে এই চিকিৎসাবিদ্যায় মেডিকেল কাউন্সিল যে নীতিমালা করেছে, সেখানে ৮.২ ধারায় সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়/একাডেমি/ইনস্টিটিউটের অধীনে বিশেষ মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা পাস করতে হবে। কেবলমাত্র চিকিৎসাবিদ্যার গুণগত মান পর্যবেক্ষণে নেপাল মেডিকেল কাউন্সিল কাজ করবে।’ ভারতেও ঠিক একই কাঠামোতে মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি করায়।

হ্যাঁ মানছি, চিকিৎসাবিদ্যায় যাঁরা পাস করেন, তাঁদের সিংহভাগই এই পেশায় ঢুকে পড়েন। কিন্তু পরে উচ্চশিক্ষায় গ্রহণে বিজ্ঞান, সামাজিক কিংবা ব্যবসায়িক অনুষদ থেকে পাসকৃত স্নাতকধারীদের আর চিকিৎসা অনুষদ থেকে পাসকৃত এই এমবিবিএস ডিগ্রিধারীদের কোনো পার্থক্য নেই। আপনি চিকিৎসায় পাস করেছেন, বলে আপনার ভর্তির যোগ্যতা ভিন্ন নয়, তাহলে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের আমরা কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে আস্বাদ গ্রহণ থেকে বিরত রাখছি? কেন বিএমডিসি বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের উচ্চশিক্ষার পঠন-পাঠন নিয়ন্ত্রণ করবে? কেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রত্যক্ষভাবে শিক্ষার্থীদের দেখভালের সুযোগ দেওয়া হয় না?

আমাদের সক্ষমতা বাড়ানো উচিত। বিশ্ববিদ্যালয়কে পরোক্ষ ভূমিকায় রেখে, শিক্ষা মন্ত্রণালকেও দূরে রেখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি উচ্চশিক্ষাকে ঠেলে দেওয়া প্রত্যাশিত হতে পারে না। সারা বিশ্বে চিকিৎসাবিদ্যা মেডিকেল অনুষদের স্বীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন হচ্ছে, তখন আমাদের উপমহাদেশের দেশগুলো বাস্তবতার নিরিখে মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছে। সেটিও দোষের কিছু নয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয়কে ফেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একচ্ছত্র আধিপত্যে মেডিকেল কলেজগুলোয় ভর্তি হতে যে প্রক্রিয়ার চলে তা সুখকর নয়।

একটা সময় দেশে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অপ্রতুল ছিল, কিন্তু সরকার তো আন্তরিকতার সঙ্গে পাঁচটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের দিয়েছে, তাহলে এই পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়ভাবে কেন মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার গ্রহণের কাজটি করতে পারবে না ? সব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিজেরা ভূমিকা রাখতে সক্ষম যখন, তখন চিকিৎসাবিদ্যায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের এই একই কাঠামোর ভেতর থেকে গ্রহণ করতে পারবে, তাতে আমার কোনো সন্দেহ নেই। অধিভুক্ত কলেজগুলো থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সনদ দিচ্ছে, তাদের সমন্বয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন অবশ্যই সম্ভব। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেমন মান বাড়ে, তেমনি বিশ্বপরিমণ্ডলে আমাদের চিকিৎসাবিদ্যার সমান্তরালকরণ হয়ে যায়।
আশা করি, সামনের দিনগুলোয় সরকার বিষয়টির ওপর নজর দেবে।

ড. নাদিম মাহমুদ, ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক, [email protected]