শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সীমাহীন দুর্ভোগ কমাতে শীর্ষ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া সিংহভাগ বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় কাতার দাঁড়িয়েছে। মূলত মাননীয় রাষ্ট্রপতির বারবার তাগিদের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সমন্বিত এই ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করেছে। যদিও প্রথমবার জিএসটি (জেনারেল, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি) গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি করাতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। নানার সমস্যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা ছিল, ভর্তিপ্রক্রিয়ার দীর্ঘায়ন। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম বারবার দেওয়ার পরও আসন পূর্ণ করা যাচ্ছিল না।
এর অন্যতম কারণ ছিল, গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার আগেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিল। যার ফলে গুচ্ছতে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলোয় ভর্তি হওয়ায় সেটি বাতিল করে সমন্বিত ভর্তিপরীক্ষায় মেধায় প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে ভোগান্তি বাড়ে। শুধু মানসিক নয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন খামখেয়ালিপনায় আর্থিকভাবেও শিক্ষার্থীরা ক্ষতির শিকার হয়েছিল। ফলে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের কাছে জনপ্রিয়তা হারিয়েছিল। এসব ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রথম আলোয় ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কৃত্রিম জটিলতা কাটবে কীভাবে’ শীর্ষক লেখায় বিস্তারিত উল্লেখ করেছিলাম।
গেল বছরের ভুলভ্রান্তি শুধরে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা যখন চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আয়োজন করতে যাচ্ছে, ঠিক তখনই সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় এবারও বাগড়া দিচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এবারও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আগে তড়িঘড়ি করে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করছে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা যখন তাঁদের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক তখনই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময়সীমা তাঁদের ভর্তি হতে বাধ্য করছে।
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করালেও কেবল এসএসসি ও এইচএসসি জিপিএর ভিত্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গত ২২ মে থেকে অনলাইনে তাদের আবেদন শুরু করেছে, যা শেষ হয় চলতি মাসের ৯ তারিখে। এর মধ্যে তাঁরা প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে, যা অনুসরণ করে ২৮ জুনের মধ্যে ভর্তি হতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ জুন প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হবে ৩ জুলাই।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যখন দ্রুতগামী ট্রেনের গতিতে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া সেরে ক্লাসে যাওয়ার ম্যান্ডেট ঠিক করে ফেলেছে, তখন শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ থাকা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি পরীক্ষায় গ্রহণ করতে পারেনি। এমনকি অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আবেদনই শুরু হয়নি কিংবা শেষ হয়নি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হঠকারী সিদ্ধান্তের আলোচনার আগে দেখে আসা যাক, দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা কোন পর্যায়ে রয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে দেখতে পাচ্ছি, এবার সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির অনলাইন আবেদন শেষ হবে ২৫ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট। আর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জুলাই বিজ্ঞানে, ১৩ আগস্ট (মানবিক) এবং ২০ আগস্ট (বাণিজ্য)।
যদিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। তবে ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরু হয়নি। দেশের তিনটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৬ আগস্ট।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে, যা চলবে ৩ জুলাই পর্যন্ত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে ১৬ আগস্ট। আর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে ২৫ জুলাই। দেশের এই শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় শুধু নয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার শুরু সম্ভাব্য শিডিউল দিয়েছে ৩১ জুলাই।
এই যখন দেশের প্রধান প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার অবস্থা, তখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিক কী এমন তাড়া লেগেছে, যে তারা দ্রুততার সঙ্গে ভর্তিপ্রক্রিয়া সাড়তে চাচ্ছে? ঠিক কোন স্বার্থে এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মানসিক ও আর্থিক ভোগান্তিতে নেমেছে?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, একজন শিক্ষার্থীকে ২৫০ টাকা জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে। যে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিপ্রক্রিয়া সারছে কেবল জিপিএ–তে, যেখানে লিখিত কোনো পরীক্ষার আয়োজন নেই, সেখানে এই মূল্যের আবেদন ফরম বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর স্রেফ ব্যবসার সমতুল্য। যে শিক্ষার্থী এখনো অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে হতে পারেননি, সেসব শিক্ষার্থী অনেকটা নিশ্চিতয়তার জন্য বাধ্য হয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছেন। এসব শিক্ষার্থীকে ভর্তি হতে গুনতে হবে টাকা। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কেবল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৮৫ টাকার নিবন্ধন ফি দিতে হলেও স্থানীয় কলেজগুলোর বিবিধ ফি যুক্ত হবে। ফলে দেশের প্রধান প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার আগে লাখো শিক্ষার্থীকে এই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি করাতে বাধ্য করাচ্ছে।
এখন যাঁরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বাধ্য হয়ে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের একটি বড় অংশ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সুযোগ পেয়ে যাবেন। ফলে এসব শিক্ষার্থীকে ভর্তি বাতিল করতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে দিতে হবে ৭০০ টাকা। অর্থাৎ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার দরুন, একজন শিক্ষার্থী-অভিভাবককে ১ হাজার ৪৩৫ টাকা গুনতে হচ্ছে। জনগণের করের টাকায় চলা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি শুধু তিরস্কারযোগ্যই নয়, বরং এ রকম সিদ্ধান্তে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিপত্তিতে পড়তে হবে। গেল বছরের মতো এবারও ভর্তিপ্রক্রিয়া সাড়তে সময় লাগবে। নির্ধারিত সময়ে ক্লাস শুরু করতে যেমন সমস্যায় পড়বে, তেমনি সেশনজটের চোখরাঙানি থাকবে।
সরকারের উচিত হবে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অবৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্তের লাগাম টেনে ধরা। যতক্ষণ না অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ও প্রক্রিয়া শেষ না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তিপ্রক্রিয়া স্থগিত রাখা। কিছু মানুষের কারণে লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে বিরত থাকতে হবে।
বাস্তবতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে না চলে কেউ যদি নিজের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী মনে করেন, তাহলে দোষটা কেবল তাঁর নিজের। প্রকৃত অবস্থান আপনি যদি টের না পান, কোথায় গিয়ে থামতে হয়, সেটিও যদি না বুঝতে পারেন, তাহলে আপনি মাঝপথে হোঁচট খাবেন নিশ্চিত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যদি মনে করে, তাদের বিশ্ববিদ্যালয় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে গুণ ও মানের দিক থেকে অনন্য, তাহলে তাদের বুঝে আসতে হবে তারা আদৌও সেই পরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছে কি না কিংবা তাদের সক্ষমতা অন্যান্যদের সমকক্ষতায় পৌঁছেছে কী না।
আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ছোট করছি না, বাস্তবতার নিরিখে তুলনা করেছি মাত্র। নিঃসন্দেহে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর সংখ্যায় দেশের বড় বিশ্ববিদ্যালয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাদ ও গন্ধে শিক্ষার্থীদের কাছে এখনো বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে ওঠেনি। আমি মানতাম, যদি আপনারা যেসব শিক্ষার্থীকে ভর্তি করাচ্ছেন, তাঁরা সবাই যদি এখানে পড়তেন, তাহলে ভালো লাগত, কিন্তু তা হবে না। এসব ভর্তি করা শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করতে হবে, ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে তাঁদের উচ্চশিক্ষার সিঁড়ি শুরু হবে, যা বেমানান।
প্রতিবছর মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার মধ্যে স্নাতকে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। এরপর শুরু হয় বুয়েট কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এর কারণ কী? কারণ, শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষ থাকা বিষয়গুলোতে ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, একদিকে শিক্ষার্থীদের কাঙ্ক্ষিত বিষয় বা বিভাগগুলোতে পড়ার সুযোগ মেলে, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির চাপ কমে। এক দিক থেকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক দুজনের ভোগান্তি কমে। যার কারণে, প্রতিবছর আন্তবিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলোচনার সাপেক্ষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সময় নির্ধারণ করে। যাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি প্রক্রিয়ার সময় ওভারল্যাপিং না হয়। সুশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্য দিয়ে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পান।
মনে রাখতে হবে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজ আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার শেষ আশ্রয়স্থল। বিশাল এই জনগোষ্ঠীকে উচ্চশিক্ষা দিতে সরকারকে মোটা অঙ্কের টাকা গুনতে হচ্ছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আসনস্বল্পতায় যখন শিক্ষার্থীদের তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটা করতে হচ্ছে না। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিক নির্বাচনে যেখানে জিপিএর ভিত্তিতে শটলিস্ট করা হয়, তখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শুধু জিপিএ’র ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থী ভর্তির করাচ্ছে। ফলে তাঁদের দাবি করার কোনো সুযোগ নেই যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সর্বসেরা। নিজেদের তফাতটা অনুধাবন করতে না পারলে অন্যদের কাঁধে আপনি বোঝা কিংবা কাঁটা হয়ে দাঁড়াবেন।
তবে গত বছর ও চলতি বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপ্রক্রিয়ার তাড়া আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। অভ্যন্তরীণ কোনো ঝক্কি-ঝামেলা থাকলে সেটির সমাধান করার দায়িত্ব কেবল তাঁদেরই। আমাদের মনে রাখতে হবে, সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে কেবল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্দশা লাঘবের জন্য, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়ার জন্য। সেখানে শিক্ষার্থীদের সময় ও শ্রমকে বলি দিয়ে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন গলদঘর্ম সিদ্ধান্ত কখনোই শিক্ষার্থীবান্ধব নয়, এটি নিছক ব্যবসাবান্ধব সিদ্ধান্ত, যা আমরা কখনোই প্রত্যাশা করতে পারি না।
সরকারের উচিত হবে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অবৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্তের লাগাম টেনে ধরা। যতক্ষণ না অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ও প্রক্রিয়া শেষ না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তিপ্রক্রিয়া স্থগিত রাখা। কিছু মানুষের কারণে লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে বিরত থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়। আশা করি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের এমন অপরিপক্ব সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে, উচ্চশিক্ষায় তাদের অবস্থান আরও বেশি গ্রহণযোগ্য করে তুলবে।
ড. নাদিম মাহমুদ গবেষক, ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান। ই–মেইল: [email protected]