সেনাবাহিনীর কেউ জড়িত থাকলেও বিচার হতে হবে

এম সাখাওয়াত হোসেন
এম সাখাওয়াত হোসেন

তনুর মায়ের আর্তনাদ দুর্ভাগ্যজনক ও দুঃখজনক। একদিকে বিচার পাওয়ার দাবি, অন্যদিকে পরিবারের নিরাপত্তাহীনতা—সব মিলিয়ে ওই অসহায় নারীর মধ্যে হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর প্রতিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখা উচিত। এই নিষ্ঠুর নির্যাতনের বিচার না হলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি আরও জেঁকে বসবে।
এমনিতেই আমরা অস্থির সময় পার করছি, যেখানে প্রতিনিয়ত গুপ্তহত্যা, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যা হচ্ছে। তার মধ্যে তনু হত্যা মামলা নতুন একধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। মানুষ ক্ষুব্ধ ও হতাশ হচ্ছে। সেনানিবাসের কাছে হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে বলে নানা জল্পনা-কল্পনা ডালাপালা ছড়াচ্ছে।
কেন এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হচ্ছে না, তা বলা কঠিন। তবে সেনাবাহিনীর কেউ জড়িত থাকলেও বিচার হবে, বিচার করতে হবে। সেনাবাহিনী এ ধরনের অন্যায় সহ্য করে না।
অবশ্য পুলিশও বলছে, সেনাবাহিনী তাদের তদন্তে সহায়তা করছে। পুলিশ দাবি করছে, তারা হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের কাছাকাছি জায়গায় পৌঁছে গেছে। জাতি তাদের কাছ থেকে সত্যটা জানতে চায়, দোষী ব্যক্তিদের চেহারা চিনতে চায়। কিন্তু কোথাও যেন শক্তির একটা ব্যাপার আছে বলে এখনো মনে হচ্ছে।
যে মারা গেছে, তাকে তো আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। কিন্তু যারা এমন জঘন্য কাজ করেছে, তাদের বিচার করতেই হবে। নইলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
আরও পড়ুন: