১৭ মে ১৯৮১ - ২২ অক্টোবর ২০১৬

গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে প্রধান দলগুলোর জাতীয় সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে প্রধান দলগুলোর জাতীয় সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা

শনিবার, ২২ অক্টোবর সকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুই দিনব্যাপী ২০তম সম্মেলন শুরু হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একজন আমন্ত্রিত ব্যক্তি হিসেবে আমার উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল। ঢাকার, সম্ভবত সমগ্র বাংলাদেশেরই আবহাওয়া ছিল চমৎকার। আকাশ সম্পূর্ণ মেঘমুক্ত ছিল না, ছিল নীলাভ ধূসর। হালকা সাদা মেঘের আস্তর ছিল আকাশে। সামনের আসন থেকে দেখা যাচ্ছিল উদ্যানের অতি উঁচু গাছপালার গাঢ় সবুজ পাতা। ঠিক বাংলাদেশের পতাকার জমিন যে রঙের। একদা নদীমাতৃক গ্রাম-বাংলার ছৈ-দেওয়া নৌকার আদলে তৈরি হয়েছিল রুচিশীল বিরাট মঞ্চ। তাতে শেখ হাসিনা তাঁর সহকর্মী ও কয়েকজন বিদেশি বন্ধুপ্রতিম দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে সমাসীন। বিশাল প্যান্ডেলের নিচে হাজারো মানুষ। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দলের স্বেচ্ছাসেবকেরা শৃঙ্খলা রক্ষা করেছেন সুষ্ঠুভাবে। আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবকেরা পানির বোতল ও কোমল পানীয় সরবরাহ করেছেন অনবরত, তাতে চার ঘণ্টার সম্মেলন অস্বস্তিকর বোধ হয়নি।

সম্মেলনে বসে আমার মনে পড়ল ৩৫ বছর আগের একটি দিনের কথা। ১৭ মে, ১৯৮১। সেদিনের আবহাওয়া ছিল ২২ অক্টোবরের একেবারেই বিপরীত। তার দু-তিন দিন আগে থেকেই ঢাকার আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। সেদিন ছিল রীতিমতো দুর্যোগপূর্ণ। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির বড় মেয়ে শেখ হাসিনা দীর্ঘ ছয় বছরের স্বেচ্ছানির্বাসন থেকে স্বদেশে ফিরবেন। আওয়ামী লীগের নেতারা নানা রকম নির্যাতন-নিপীড়নে বিধ্বস্ত। যাঁরা জেল-জুলুম থেকে মুক্ত ছিলেন, তাঁরা ছিলেন উপদলীয় কোন্দলে ব্যস্ত। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অনুরাগী ও সাধারণ মানুষ শোকে পাথর মুজিব-কন্যাকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য যে যার মতো প্রস্তুতি নিয়েছিল। দলের অনেক নেতা ট্রাকে চড়িয়ে লোকদের বিমানবন্দরে নিয়ে যান। অনেকেই যান নিজের মনের টানে।

সেই ১৭ মে উপলক্ষে আমি দুজন মানুষের তৎপরতা দেখেছি হৃদয় উজাড় করে দেওয়া। সেই দুজনের একজন হলেন মোহাম্মদ হানিফ, আর একজন হলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি তখন ছাত্রলীগের সভাপতি। শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা জানানোর জন্য সে সময় মোহাম্মদ হানিফ পুরান ঢাকায় মানুষকে যেভাবে সংগঠিত করেন, তা যারা স্বচক্ষে দেখেনি তাদের বোঝানো মুশকিল।

আমার হাতে কিছু টাকা জমেছিল, তা দিয়ে ছাপাখানার ব্যবসা করে বড়লোক হওয়ার বাসনা হয়েছিল। আমার ছাপাখানায় কম্পোজিটর-কাম-ম্যানেজার ছিলেন একজন এবং আর একমাত্র কর্মচারী ছিলেন মেশিনম্যান। ছোট্ট ট্রেডল মেশিন। দু-তিন মাসের মধ্যে কোনো কাজই পাওয়া গেল না। বন্ধুবান্ধবকে বিনা পয়সায় ভিজিটিং কার্ড কিছু ছেপে দিলাম। এর মধ্যে একদিন আমার ভাগ্য খোলে। আওয়ামী লীগের নেতা গণপরিষদের সাবেক সদস্য অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বঙ্গবন্ধুর বাকশালের কৃষি ও সমবায় নীতি নিয়ে একটি বই লিখেছিলেন। তাঁর পাণ্ডুলিপি নিয়ে তিনি বিভিন্ন প্রেসে ঘুরেছেন কিন্তু বিষয়বস্তু দেখে কেউ তা ছাপার আগ্রহ দেখাননি। আমার প্রেসে দুই বা চার পৃষ্ঠার বেশি ছাপা যেত না। মাস দুই ধরে আমি সেই বই ছাপিয়ে দিই। আমার পাঁচ মাস আয়ুসম্পন্ন ছাপাখানার সেটাই ছিল একমাত্র বড় কাজ। পাঁচ মাস দুই কর্মচারীর বেতন আর বাড়িভাড়া দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে ছাপাখানা ব্যবসায় ইস্তফা দিই।

ওই সময় ছাত্রলীগের কয়েকটি ছেলে একদিন বাসসে আমার অফিসে গিয়ে বলেন, ‘শেখ হাসিনা অমুক দিন দিল্লি থেকে আসতেছেন, আমাদের কিছু লিফলেট ছাপা দরকার, অনেক প্রেসই ছাপতে চায় না। আপনি ব্যবস্থা করে দিলে উপকার হয়। কাদের ভাই কইছেন দুই দিনের মধ্যে ১০-১২ হাজার ছাপতে হইব।’

তখন ছাত্রলীগের সভাপতি ওবায়দুল কাদের এবং সাধারণ সম্পাদক বাহলুল মজনুন চুন্নু। সেই লিফলেট ছাপায় দৌড়াদৌড়ি, প্রুফ দেখা ইত্যাদি করেছিলেন প্রকাশনা সম্পাদক মহিবুর রহিম বাবুল এবং প্রচার সম্পাদক মনোয়ার হোসেন রুমি। বাংলা ভাষায় ওবায়দুল কাদেরের দখল থাকায় এবং তিনি অনেক দিন সাংবাদিকতা করায় লেখার হাত ছিল। লিফলেটের বক্তব্যটি লিখেছিলেন ওবায়দুল কাদের তাঁর নিজস্ব শৈলীতে। তখন ছাত্রলীগের নেতাদের হাতে এখনকার মতো বেশুমার টাকা ছিল না। তখন বিশ–পঞ্চাশ টাকার অনেক দাম। ছাত্রলীগকে চাঁদা দিতে চাইত না কেউ। আওয়ামী লীগের অনেকেই তখন রাজনীতির সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে নেমেছেন। জগন্নাথ হলের দুই ছাত্রনেতা আমাকে বললেন, ১০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে চায় না অনেকে। যা হোক, শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে কয়েক হাজার বিতরিত লিফলেটটিতে ওবায়দুল কাদের লিখেছিলেন: ‘বাঙালী জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক/ সংগ্রামী নেত্রী/ শেখ হাসিনা ওয়াজেদের/ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আহ্বান: প্রিয় ভাই ও বোনেরা, কঠিন দুঃসময়ের অন্ধকার পেরিয়ে আমরা আজ জাতীয় জীবনের এক মাহেন্দ্রক্ষণে উপনীত হয়েছি। আসছে ১৭ই মে লক্ষ শহীদের রক্তে কেনা বঙ্গবন্ধুহীন এই স্বদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করছেন তাঁর আদরের কন্যা সংগ্রামী নেত্রী শেখ হাসিনা। বাঙালীর মহান মুক্তি সংগ্রামের অঙ্গীকার নিয়ে জনতার মুক্তির পতাকা হাতে জনক-জননী, ভাই ও স্বজনের রক্তে ভেজা মাটিতে ফিরে আসছেন তিনি। জাতীয় জীবনের মহালগ্ন ১৭ই মে।’

ওই প্রচারপত্রে তিনি আরও লিখেছিলেন: ‘আমাদের সকল ভরসার স্থল জাতির জনক আজ নেই। জনতার মুক্তির দ্বিতীয় বিপ্লবের সূচনাপর্বে তিনি বুকের রক্ত ঢেলে দিলেন সাম্রাজ্যবাদ ও দেশীয় প্রতিক্রিয়ার হিংস্র চক্রান্তে। কিন্তু মহামানবের মৃত্যু নেই, মুক্তির দিশারী বেঁচে থাকেন মুক্তি সংগ্রামের প্রাণশক্তিরূপে।...তিনি আমাদের কর্ম ও চেতনার হাতিয়াররূপে নির্মাণ করে গেলেন। বঙ্গবন্ধুর এই কর্মসূচীকে আমরা বহন করে চলেছি মানুষের মুক্তির মিছিলে। আর এই মিছিলের অগ্রসেনানী শেখ হাসিনা।’

প্রচারপত্রে আরও বলা হয়েছিল: ‘...ক্ষমতার মোহে মদমত্ত একশ্রেণীর বন্দুকধারী ও তার চাটুকার রাজনৈতিক দলে চলছে বিলাসী উন্মত্ততা। ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা।...আজ এই সময়ের মুখোমুখি শেখ হাসিনার আগমন তাই আমাদের জীবনে তাৎপর্যমণ্ডিত। আমাদের প্রত্যাশা—জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের পথ প্রশস্ত করবে এ প্রত্যাবর্তন। বাঙালী জাতিকে তিনি নেতৃত্ব দেবেন জাতির জনকের আরাধ্য দ্বিতীয় বিপ্লবের মহান কর্মসূচী বাস্তবায়নে সৎ, বিপ্লবী, সুশৃঙ্খল, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীবাহিনীর সংগঠন গড়ে তুলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন শোষণমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মহাসংগ্রামে। আর তাই এ প্রত্যাবর্তন হোক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা।’

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সুসজ্জিত মঞ্চে বহু নেতার সঙ্গে ওবায়দুল কাদেরকে শেখ হাসিনার পাশে দেখে আমার ফাইলে রক্ষিত সেই সস্তা নিউজপ্রিন্টে ছাপা লিফলেটটির কথা এবং সেই দুর্যোগপূর্ণ দিনটির কথা মনে পড়ে। বিচিত্র প্রতিকূলতা এবং উপদলীয় কোন্দলের মধ্যে দলকে শেখ হাসিনা সংহত ও শক্তিশালী করেছেন, সেটা তাঁর বিরল কৃতিত্ব। সরকার পরিচালনার অভিজ্ঞতাও তাঁর প্রচুর। তাঁর প্রতি অবিচল আস্থার কারণেই তিনি ওবায়দুল কাদেরকে বেছে নিয়েছেন তাঁর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। দলও এখন আগের চেয়ে অনেক বড়। একনাগাড়ে অনেক দিন ক্ষমতায় থাকায় আওয়ামী লীগে এখন সুবিধাবাদী ও সুবিধাভোগীর সংখ্যা যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। সুবিধাভোগীদের সুবিধা দিতেই দলের কমিটি ক্রমাগত বড় হচ্ছে।

গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে দেশের প্রধান দলগুলোর জাতীয় সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। বড় রাজনৈতিক সংগঠনের জাতীয় সম্মেলন আর কোনো স্পোর্টিং ক্লাবের বার্ষিক সভা এক জিনিস নয়। জাতীয় সম্মেলনে দলের প্রধান নেতার মূল অভিভাষণে দেশের চলমান রাজনীতির বাস্তব অবস্থার একটা বিশ্লেষণ থাকে, ক্ষমতায় গেলে অথবা বিরোধী দলে থাকলে দলের ভূমিকা কী হবে, সে ব্যাপারে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য থাকে এবং আরও থাকে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি উপদেশ ও নির্দেশনা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে থাকে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিরও বিচার-বিশ্লেষণ।

কখনো কখনো কাউন্সিল অধিবেশনে দলের নীতি ও গঠনতন্ত্রে পরিবর্তনও আনা হয় এবং তা আনা হয় সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ১৯ মে, ১৯৫৬ সভাপতি মওলানা ভাসানী বলেছিলেন: ‘আওয়ামী লীগকে অসাম্প্রদায়িক করার একটা প্রশ্ন দুই বছর পূর্বেই উঠিয়াছে এবং বিগত কাউন্সিল অধিবেশনে শাসনতন্ত্র [গঠনতন্ত্র] গৃহীত হওয়ার সময় আওয়ামী লীগের নাম সম্বন্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত করিবার ভার আমার উপর ন্যস্ত করা হইয়াছিল এবং জনমত গ্রহণ করিয়া অধিবেশন আহ্বান করার নির্দেশ দেওয়া হইয়াছিল। আমি ভিন্ন ভিন্ন জেলা, মহকুমা আওয়ামী লীগ কর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনা করিয়া এই সিদ্ধান্ত করিয়াছি যে, দেশের অধিকাংশ লোকই, বিশেষত কর্মীদের বহুলাংশ প্রতিষ্ঠানকে অসাম্প্রদায়িক করার শুধু পক্ষপাতীই নন, জোর দাবীও জানাইয়াছেন।’

[পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর অভিভাষণ, পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবর রহমান কর্তৃক ৫৬ নং সিম্পসন রোড হইতে প্রকাশিত। ১৯ মে, ১৯৫৬]

এখানে লক্ষ করার বিষয়, মওলানা ভাসানীর মতো নেতা বলছেন: ‘ভিন্ন ভিন্ন জেলা, মহকুমার আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত’ নিয়েছেন। আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি রাখা বা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত শুধু কেন্দ্রের কয়েকজন নেতার সিদ্ধান্ত নয়। প্রতিটি গণতান্ত্রিক দলে প্রত্যেকটি নেতা-কর্মীর মতামতের মূল্য রয়েছে। এখন দলের সভাপতি তো দূরের কথা, কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো সদস্য ভূরুঙ্গামারী বা মহেশখালীর কোনো নেতার পরামর্শ শুনবেন, তা অবিশ্বাস্য। সেকালের কেন্দ্রীয় নেতারা সারা দেশ ঘুরতেন। সাধারণ মানুষের আবেগ-অনুভূতি অবগত হতেন এবং তৃণমূলের নেতাদের মতামতের মূল্য দিতেন। এবং সেই প্রক্রিয়াতেই তৈরি হয়েছিল আওয়ামী লীগের গণভিত্তি।

গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান নয় বা জয়েন্ট স্টক কোম্পানি নয়। সেখানে নিচের দিকের নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের কর্মচারী নন। জাতীয় কাউন্সিলেই নিচের দিকের নেতারা কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুলভ্রান্তির সমালোচনা করার সুযোগ পান। কিন্তু আজকাল তা হয় না। যা হয় তা স্তাবকতা। আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনেও তা-ই হয়েছে।

বড় দলের জাতীয় সম্মেলন কোনো মহোৎসব নয়। আলোকসজ্জাও অনাবশ্যক। সম্মেলন কত বড় হলো, সেটাও বড় কথা নয়, সম্মেলনে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চা কতটা হলো, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। মরিচ বাতির আলো দিয়ে সারা দেশের রাস্তাঘাট ও দালানকোঠা আলোকিত করার সঙ্গে গণতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই। আলোকিত করা প্রয়োজন জাতির ভেতরটা। কারণ, একুশ শতকের দাবি আলোকিত সমাজ, গণতান্ত্রিক সুশাসন এবং অপরাধ ও দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র।

সৈয়দ আবুল মকসুদ: লেখক  গবেষক