ছোট্ট একটি পতঙ্গ মশা, কিন্তু মাঝেমধ্যে ভয়ংকর হয়ে ওঠে। পৃথিবীতে সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণীগুলোর মধ্যে মশা প্রথম অবস্থানে আছে। মশা একমাত্র প্রাণী, যে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে। বিবিসি নিউজের তথ্যমতে, প্রতিবছর পৃথিবীতে ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় মশা। মশাবাহিত রোগের মধ্যে চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, জিকা, ইয়েলো ফিভার, ওয়েস্টনাইল ফিভার অন্যতম। তবে এ মুহূর্তে মশাবাহিত রোগের মধ্যে ডেঙ্গু সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এরই মধ্যে এ বিষয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে। তারা হুঁশিয়ার করেছে যে পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। গত বছর পৃথিবীর প্রায় ১৩০টি দেশে ডেঙ্গু সংক্রমণ হয়েছিল।
চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক সময়ের চিকুনগুনিয়া পরিস্থিতি জনস্বাস্থ্যের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জ্বর নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে গড়ে ৭০ থেকে ৭১ শতাংশ রোগীর দেহে চিকুনগুনিয়া ভাইরাস শনাক্ত হচ্ছে, যা এই রোগের ভয়াবহতা ও বিস্তারের একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়।
নগরীর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৮৫ জন রোগীর মধ্যে ১৫৩ জন (প্রায় ৮২%) চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে ১৩২ জনের মধ্যে ৬৫ (প্রায় ৪৯%) ও পার্কভিউ হাসপাতালে ৫৩ জন রোগীর মধ্যে ৪২ জনের (প্রায় ৭৯%) পরীক্ষায় ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে।
এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, চট্টগ্রামে জ্বর নিয়ে আসা প্রত্যেক রোগীই এখন কার্যত চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। তবু সরকারি পর্যায়ে এখনো রোগ শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাব–সুবিধা না থাকায় প্রকৃত সংক্রমণের মাত্রা ও বিস্তৃতি বুঝতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। সময়মতো পরীক্ষা ও রোগনির্ণয় না হলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
চট্টগ্রামে চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ বর্তমানে ভয়াবহ পর্যায়ে চলছে, যেখানে দ্রুত সরকারি পর্যায়ে রোগনির্ণয় ব্যবস্থার বাস্তবায়ন, সাশ্রয়ী পরীক্ষার ব্যবস্থা এবং তাৎক্ষণিক মশা দমন ও সচেতনতা কার্যক্রম প্রয়োজন। উপসর্গ যথাযথভাবে নির্ণয় ও চিকিৎসার মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। জনগণের সহায়তা ও প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা জোরদার করতে না পারলে পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রণহীন হতে পারে।
বাংলাদেশে চিকুনগুনিয়ার প্রথম প্রাদুর্ভাব ধরা পড়ে ২০০৮ সালে রাজশাহীর পবা উপজেলায়, যেখানে ৩২ জন আক্রান্ত হন। এরপর ২০০৯ সালে পাবনার আটঘরিয়া (সাঁথিয়া) এবং ২০১১ সালে ঢাকার দোহারে রোগটি আবার দেখা যায়।
তবে ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে এই রোগের সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব ঘটে, বিশেষ করে ঢাকা শহর এবং আশপাশের এলাকায়। এই সময় লক্ষাধিক মানুষ চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলেও নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান অনুপস্থিত। তবে চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোর হিসাব অনুযায়ী, প্রতিদিন শত শত রোগী জ্বর, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা ও দুর্বলতা নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
চট্টগ্রামে চিকুনগুনিয়া সংক্রমণ দ্রুত বাড়লেও সরকারি হাসপাতালগুলোয় এখনো রোগনির্ণয়ের জন্য কোনো প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু হয়নি। এ কারণে রোগ শনাক্তকরণ পুরোপুরি নির্ভর করছে বেসরকারি ল্যাব ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর ওপর। এসব কেন্দ্রে রোগনির্ণয়ে খরচ গড়ে ৪ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে, যা নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য চরম ভোগান্তির কারণ। অনেকেই আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে পরীক্ষা না করিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন শুধু উপসর্গের ওপর ভিত্তি করে, যা রোগ শনাক্তকরণে ভুলের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে। রোগ শনাক্ত না হলে সংক্রমণ ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসজনিত রোগ, যার প্রধান বাহক এডিস ইজিপ্টি ও এডিস অ্যালবোপিকটাস নামের মশা। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সাধারণত হঠাৎ উচ্চমাত্রার জ্বর দেখা দেয় এবং এর সঙ্গে থাকে তীব্র অস্থি ও সন্ধি ব্যথা, যা কখনো কখনো দীর্ঘস্থায়ী রূপ নিতে পারে। অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, পেশিতে ব্যথা, শরীরে ফুসকুড়ি বা র্যাশ, চোখে জ্বালা, বমি বমি ভাব ও দুর্বলতা। অনেক সময় রোগীর হাত-পা ফুলে যেতে পারে, বিশেষ করে বৃদ্ধাঙ্গুলির জয়েন্টে ব্যথা সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়।
এসব উপসর্গ অনেকটাই ডেঙ্গুর সঙ্গে মিলে যায়, তবে চিকুনগুনিয়ায় জ্বরের পাশাপাশি সন্ধিব্যথা বেশি প্রকট হয় এবং তা সপ্তাহ বা মাসব্যাপী স্থায়ী হতে পারে। শিশু, বৃদ্ধ ও দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য এই রোগ বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
হাসপাতালগুলোয় ভর্তি রোগীর চিকুনগুনিয়া শনাক্ত না হওয়ার কারণে সেখানে সাধারণ জ্বর হিসেবে বিবেচনা করে উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। এ কারণে রোগীরা উপযুক্ত চিকিৎসা না পেয়ে দীর্ঘমেয়াদি জয়েন্ট পেইন ও দুর্বলতার মতো জটিলতায় ভুগছেন। ঝুঁকিতে থাকছে হাসপাতাল বা এর আশপাশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা। সরকারি পর্যায়ে যদি দ্রুত সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করা না হয়, তাহলে চিকুনগুনিয়ার প্রকৃত বিস্তার ধরা পড়বে না এবং নিয়ন্ত্রণ করাও কঠিন হয়ে পড়বে।
চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়লেও এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। রোগটি সরকারের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে অন্তর্ভুক্ত না থাকায় সংক্রমণ পরিস্থিতির কোনো আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যানও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই রোগটির প্রকৃত বিস্তার ও গতিপ্রকৃতি বুঝে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া কঠিন। এ অবস্থায় স্থানীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শুধু সচেতনতামূলক পোস্টার ও লিফলেট বিতরণে সীমাবদ্ধ থেকেছে, যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথেষ্ট নয়।
রোগ শনাক্ত ও প্রতিবেদন বাধ্যতামূলক না হলে এটি নীরবে মহামারির রূপ নিতে পারে। এ অবস্থায় প্রয়োজন সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা, যেখানে মশকনিধন, জনসচেতনতা, রোগনির্ণয় ও চিকিৎসাব্যবস্থা একযোগে চালু থাকবে। স্বাস্থ্য প্রশাসনের অবহেলা ও প্রস্তুতির অভাবের কারণে সাধারণ জনগণ যেমন অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে, তেমনি জনস্বাস্থ্যব্যবস্থা বড় ধরনের বিপদের মুখে পড়তে পারে।
চিকুনগুনিয়ার বর্তমান বিস্তারে কীটতত্ত্বগত দিক থেকেও চট্টগ্রাম শহর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। সম্প্রতি জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, চট্টগ্রামের বেশ কিছু ওয়ার্ডে এডিস মশার প্রজনন হার অত্যন্ত উদ্বেগজনক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনসেক্টারিয়ারিং অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল স্টেশনের গবেষণা অনুযায়ী, চিকুনগুনিয়া বা ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভার ঘনত্বের ইনডেক্স (BI) পাওয়া গেছে ২৫ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭৫ পর্যন্ত, যেখানে ২০-এর ওপরে মানেই এডিস মশাবাহিত রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি নির্দেশক।
এ ছাড়া জরিপে পাওয়া গেছে, চট্টগ্রামের এসব এলাকায় ৭০ শতাংশ মশা এডিস ইজিপ্টি প্রজাতির, যা ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকার মতো ভাইরাসজনিত রোগ ছড়াতে সক্ষম। এ পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রোধে জরুরি ভিত্তিতে মশকনিধন কার্যক্রম জোরদার করা এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করে লার্ভার জন্মস্থান ধ্বংসে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এই মশাবাহিত রোগগুলো আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের এখন পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক নেই, তাই সংক্রমণ প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হলো মশার বিস্তার রোধ এবং ব্যক্তিগত সতর্কতা গ্রহণ। এডিস মশা সাধারণত দিনের বেলা কামড়ায় এবং জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে প্রজনন করে। তাই প্রথম করণীয় হলো ঘরবাড়ি ও আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখা, যেকোনো পাত্রে পানি জমে থাকলে তা নিয়মিত ফেলে দেওয়া, ফুলদানি, কুলার, টায়ার বা ড্রামজাতীয় জায়গাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা।
চিকুনগুনিয়া ভাইরাস বহন করে এডিস ইজিপ্টি ও এডিস অ্যালবোপিকটাস প্রজাতির মশা। এডিস ইজিপ্টি স্বভাবগতভাবে গৃহপালিত ও নগরকেন্দ্রিক। এটি আমাদের শহরে ঘরের ভেতরে এবং এর কাছাকাছি থাকে। এ জন্য একে আমরা গৃহপালিত মশা বলে থাকি। এডিস ইজিপ্টি মশা ডেঙ্গু বিস্তারে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ভূমিকা রাখে। আরেকটি প্রজাতি এডিস অ্যালবোপিকটাস, যাকে এশিয়ান টাইগার মশা বলা হয়। এটি বন্য বা জংলি বা গ্রামের মশা। বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামেই এ মশা রয়েছে। এই প্রজাতি ডেঙ্গু বিস্তারে ৫ থেকে ১০ শতাংশ ভূমিকা রাখে। এই মশা বিভিন্ন পাত্র ছাড়াও গাছগাছালি যুক্ত এলাকায় গাছের কোটর, কলাগাছের দুই পাতার মাঝখানে, কচুর পাতার মাঝখানে, কাটা বাঁশের গোড়ায় জমে থাকা পানিতে জন্মায়।
নগরে এডিস ইজিপ্টি মশা জন্মানোর জন্য অন্যতম স্থান হলো ড্রাম, টায়ার, বালতি, যেকোনো ধরনের মাটির পাত্র, নির্মাণাধীন ভবনের লিফটের গর্ত, টাইলস ভেজানোর চৌবাচ্চা, কিউরিংয়ের পানি জমার স্থান, বিশেষ করে বেজমেন্ট।
চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু ও জিকা ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে আর একে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই এই তিন রোগকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অন্যান্য মশার তুলনায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণও সহজ। কারণ, এডিস মশা পাত্রে জমা পানিতে বংশবিস্তার করে। জমা পানির পাত্র অপসারণ কঠিন কোনো কাজ নয়। অন্যান্য মশার চেয়ে কীটনাশক দিয়েও একে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ।
ব্যক্তিগতভাবে মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে দিনের বেলায়ও মশারি ব্যবহার করা, শরীর ঢেকে রাখে এমন কাপড় পরা এবং মশা প্রতিরোধী ক্রিম বা স্প্রে ব্যবহার করা উচিত। বাড়ি ও কর্মস্থলে দরজা-জানালায় জাল ব্যবহার করা এবং মশকনিধনে প্রয়োজনে অ্যারোসল বা ধোঁয়া ব্যবহার করা যেতে পারে।
স্থানীয় প্রশাসনের উচিত মশকনিধন কার্যক্রম জোরদার করা, বিশেষ করে উচ্চ সংক্রমণের এলাকাগুলোয় ফগিং ও লার্ভিসাইড ছিটানো কার্যক্রম নিয়মিত পরিচালনা করা। পাশাপাশি, গণসচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য স্কুল, মসজিদ ও কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে প্রচারাভিযান চালানো প্রয়োজন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, সব কার্যক্রমে জনগণকে সম্পৃক্ত করা, যাতে তারা নিজেরাই মশার উৎস ধ্বংসে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে। সমন্বিতভাবে এগিয়ে এলে চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব।
চট্টগ্রামে চিকুনগুনিয়ার সংক্রমণ বর্তমানে ভয়াবহ পর্যায়ে চলছে, যেখানে দ্রুত সরকারি পর্যায়ে রোগনির্ণয় ব্যবস্থার বাস্তবায়ন, সাশ্রয়ী পরীক্ষার ব্যবস্থা এবং তাৎক্ষণিক মশা দমন ও সচেতনতা কার্যক্রম প্রয়োজন। উপসর্গ যথাযথভাবে নির্ণয় ও চিকিৎসার মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। জনগণের সহায়তা ও প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা জোরদার করতে না পারলে পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রণহীন হতে পারে।
কবিরুল বাশার কিটতত্ত্ববিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক
ই–মেইল: [email protected]
(মতামত লেখকের নিজস্ব)