বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত চাইতে মরিয়া ট্রাম্প, তালেবান কী করবে

ক্ষমতা দখলের তৃতীয় বার্ষিকী উদ্যাপনে বাগরাম বিমানঘাঁটিতে তালেবানের সামরিক কুচকাওয়াজ। ১৪ আগস্ট ২০২৪ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তানের শাসক তালেবানের কাছে দাবি জানিয়েছেন যে তারা যেন বাগরাম বিমানঘাঁটি ওয়াশিংটনের হাতে ফিরিয়ে দেয়। পাঁচ বছর আগে তিনিই তালেবানের সঙ্গে এমন একটি চুক্তি করেছিলেন, যা কাবুল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পথ সুগম করেছিল।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার (বাগরাম) ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এটা (তালেবানের হাতে) কিছু না নিয়েই দিয়ে দিয়েছিলাম। আমরা সেই ঘাঁটি ফেরত চাই।’ এর দুই দিন পর ২০ সেপ্টেম্বর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি আরও সরাসরি হুমকি দেন, ‘যদি আফগানিস্তান যুক্তরাষ্ট্রকে, যারা বাগরাম বিমানঘাঁটি নির্মাণ করেছে, ফেরত না দেয়, তাহলে ভয়ানক কিছু ঘটতে যাচ্ছে!’

তালেবান ট্রাম্পের এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে এটাই প্রথম নয় যে ট্রাম্প বাগরাম ঘাঁটি ফেরত নেওয়ার আগ্রহ দেখালেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইট থেকে পরবর্তী সময়ে মুছে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে তাঁকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছিল, ‘আমরা বাগরাম রাখতে চেয়েছিলাম। সেখানে একটি ছোট সেনাদল রাখতে চেয়েছিলাম।’

বাগরাম ঘাঁটি আসলে কী? কেন ট্রাম্প এটিকে এতটাই গুরুত্ব দিচ্ছেন? এর কৌশলগত তাৎপর্য কী? আর যুক্তরাষ্ট্র কি এটি ফেরত পেতে সক্ষম?

আরও পড়ুন

বাগরাম বিমানঘাঁটি কী

মার্কিন সেনারা আফগানিস্তানের ঘাঁটি ছেড়ে আসার চার বছর পরও বাগরাম রয়ে গেছেন বিতর্কিত একটি জায়গা হিসেবে, যেটি আবার তালেবানের কাছ থেকে নিতে চাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।

এই ঘাঁটিতে দুটি কংক্রিট রানওয়ে রয়েছে—একটি ৩ দশমিক ৬ কিলোমিটার (২ দশমিক ২ মাইল) দীর্ঘ; অন্যটি ৩ কিলোমিটার (১ দশমিক ৯ মাইল)। কাবুল শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মাইল) দূরে অবস্থিত ঘাঁটিটি গত অর্ধশতকে আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণ করা বিভিন্ন শক্তির জন্য ছিল এক কৌশলগত দুর্গ।

১৯৫০-এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ঠান্ডা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে প্রথম এটি নির্মাণ করে। ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত আগ্রাসনের পর এক দশক তাদের দখলে থাকে ঘাঁটিটি। ১৯৯১ সালে নাজিবুল্লাহ সরকারের পতনের পর নর্দান অ্যালায়েন্স এটা দখল করে, পরে আবার তালেবানের হাতে যায়। ২০০১ সালে ন্যাটো আগ্রাসনের পর ঘাঁটিটি মার্কিন সেনাদের নিয়ন্ত্রণে আসে এবং ধীরে ধীরে একটি কৌশলগত কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। ২০০৯ সালে ১০ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতা ছিল প্রায় এর। মার্কিন সেনাদের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের রয়্যাল মেরিনসহ ন্যাটোর অন্য বাহিনীরাও এটি ব্যবহার করত।

এখানে একটি কুখ্যাত কারাগারও ছিল, যেখানে আফগান বন্দীদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছিল। ঘাঁটিতে পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল, সেনাদের থাকার ব্যারাক এবং এমনকি মার্কিন চেইন রেস্টুরেন্ট—পিৎজা হাট ও সাবওয়ের মতো প্রতিষ্ঠানও ছিল। ২০২১ সালের আগস্টে মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান থেকে সরে আসার সময় অস্ত্র-সরঞ্জামের বড় অংশ ধ্বংস করে ঘাঁটি খালি করে দেন। পরে স্থানীয় লোকজন অবশিষ্ট জিনিসপত্র লুট করেন এবং অবশেষে তালেবান সেটার দখল নেয়।

২০২১ সালের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করে তালেবান
এএফপি ফাইল ছবি

কেন ট্রাম্প বাগরাম ফেরত চান

ট্রাম্প প্রায়ই অভিযোগ করেছেন যে ২০২১ সালের তড়িঘড়ি করে সরে আসার সময় যুক্তরাষ্ট্র বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ফেলে গিয়েছিল, যা কার্যত তালেবান ও অন্যান্য গোষ্ঠীর হাতে চলে যায়। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের আগ্রহের মূল কারণ সেসব অস্ত্র নয়, বরং ঘাঁটির কৌশলগত ও প্রতীকী গুরুত্ব। ক্রাইসিস গ্রুপের সিনিয়র বিশ্লেষক ইব্রাহিম বাহিস বলেন, ‘এটি সব সময় কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যেহেতু সোভিয়েত ইউনিয়ন এটি নির্মাণ করেছিল।’

আফগানিস্তানের দুর্গম পাহাড়ি ভূপ্রকৃতির কারণে এর আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। বড় আকারের সামরিক বিমান নামানোর মতো স্থান সেখানে খুবই সীমিত। বাগরাম আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় বিমানঘাঁটি হিসেবে, সেই বিরল সুবিধা দেয়। কাবুলভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক সেন্টার ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড পিস স্টাডিজের (সিএনপিএস) নিরাপত্তা বিশ্লেষক হেকমতুল্লাহ আজামী বলেন, বাগরাম ঘাঁটিটি ২০০১ সালের পর ওয়াশিংটনের তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে’ একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ পালন করেছে। এর মধ্যে ২০১৫ সালে কুন্দুজে ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস পরিচালিত হাসপাতালে বোমাবর্ষণের ঘটনাও রয়েছে, যেখানে ৪২ জন নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে মার্কিন বাহিনী স্বীকার করে এটি ছিল একটি ভুল। প্রেসিডেন্ট ওবামা এর জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন।

তালেবানের উপমুখপাত্র হামদুল্লাহ ফিতরাত সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, ‘এটি মনে করিয়ে দেওয়া উচিত যে দোহা চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকার করেছিল যে তারা আফগানিস্তানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা বা রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করবে না বা হুমকি দেবে না, কিংবা এর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। যুক্তরাষ্ট্রকে তার অঙ্গীকারের প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে হবে।’

যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ছেড়ে এলেও, চীনের আঞ্চলিক প্রভাব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এখন বাগরামের গুরুত্ব আরও বেড়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। আজামী বলেন, ‘অগ্রাধিকারগুলো পরিবর্তিত হওয়ার পর এবং যুক্তরাষ্ট্র যখন চীনকে এক নম্বর হুমকি হিসেবে দেখতে শুরু করল, তখন মূলত চীনের নিকটবর্তী অবস্থান ও এর তাৎপর্যের কারণে এই ঘাঁটি আবারও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’

বাগরাম চীনের সীমান্ত থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার (প্রায় ৫০০ মাইল) দূরে এবং শিনজিয়াংয়ে অবস্থিত চীনের নিকটতম ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা থেকে প্রায় ২ হাজার ৪০০ কিলোমিটার (প্রায় দেড় হাজার মাইল) দূরে অবস্থিত। ট্রাম্পও বাগরাম ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করতে চাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে চীনের প্রসঙ্গ তুলেছেন। লন্ডনে তিনি বলেছেন, ‘ঘাঁটিটি সেখানে থেকে মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্বে, যেখানে (চীন) পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে।’ গত ফেব্রুয়ারিতেও তিনি একই রকম দাবি করেছিলেন।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে ট্রাম্পের মন্তব্যের পর চীনা কর্মকর্তারা পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে তার জনগণেরই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। উত্তেজনা সৃষ্টি এবং এ অঞ্চলে মুখোমুখি পরিস্থিতি তৈরি করা জনপ্রিয় হবে না।’

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্র কি আবার বাগরাম ঘাঁটি দখল করতে পারবে

জেনেভাভিত্তিক সেন্টার অন আর্মড গ্রুপসের সহপরিচালক অ্যাশলি জ্যাকসন বলেন, ‘তাত্ত্বিকভাবে, বাগরাম হলো যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি কৌশলগত ঘাঁটি, যা অঞ্চলটিতে শক্তি প্রদর্শনে সহায়ক।’

তিনি আরও বলেন, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তানে সামরিক মিশন সমাপ্ত করার নীতির সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক বলে মনে হয়। পুনর্বিন্যাস নিয়ে আলোচনা এবং ঘাঁটি ফেরত নেওয়ার জটিল প্রক্রিয়া অত্যন্ত কঠিন ও দীর্ঘায়িত হবে এবং এটি যে উভয় পক্ষের কৌশলগত স্বার্থে কাজে লাগবে, তা পরিষ্কার নয়।

আজামী ও বাহিস উভয়েই মনে করেন, তালেবানেরও বাগরাম ছেড়ে দেওয়ার কোনো প্রণোদনা নেই। আজামী বলেন, এমন পদক্ষেপ তালেবানের বৈধতাকে ‘চূর্ণ করবে’।

বাহিস বলেন, এই গোষ্ঠী আফগানিস্তানে কোনো বিদেশি উপস্থিতি মেনে নেবে না, এমনকি বাগরাম ঘাঁটির ক্ষেত্রেও নয়। তালেবান আন্দোলন মূলত বিদেশি দখলদারত্ব ও প্রভাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ধারণার ওপর দাঁড়িয়ে গড়ে উঠেছিল, বাহিস উল্লেখ করেন। এই গোষ্ঠী প্রায়ই যুক্তি দেখিয়েছে যে ‘যতক্ষণ পর্যন্ত বিদেশি সেনারা এক মিটার মাটিও দখল করে রাখে, ততক্ষণ পর্যন্ত জিহাদ বা পবিত্র যুদ্ধ বাধ্যতামূলক।’

বাহিস বলেন, ‘কোনো বিদেশি সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় বসা তাদের শক্তিকে ভেঙে ফেলবে এবং ব্যাপক হারে নিজেদের সদস্যদের আন্দোলন থেকে বিচ্যুত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করবে।’

আরও পড়ুন

তালেবান কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে

তালেবান খুব স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছে এবং বারবার ট্রাম্পের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা ২০২০ সালের দোহা চুক্তির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে, যা ট্রাম্প প্রশাসন তালেবানের সঙ্গে স্বাক্ষর করেছিল।

তালেবানের উপমুখপাত্র হামদুল্লাহ ফিতরাত সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, ‘এটি মনে করিয়ে দেওয়া উচিত যে দোহা চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকার করেছিল যে তারা আফগানিস্তানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা বা রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করবে না বা হুমকি দেবে না, কিংবা এর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। যুক্তরাষ্ট্রকে তার অঙ্গীকারের প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে হবে।’

ফিতরাতের এই মন্তব্য আসে ট্রাম্পের সেই হুমকির পর, যেখানে তিনি বলেছিলেন যে তালেবান বাগরাম হস্তান্তর না করলে আফগানিস্তানের জন্য ‘খারাপ কিছু’ ঘটবে।

যুক্তরাষ্ট্র কী করতে চায়

ঘাঁটি নিয়ে আলোচনায় তালেবানের অস্বীকৃতি এখন পর্যন্ত ট্রাম্পকে দমাতে পারেনি। বিশ্লেষকরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র হয়তো বাগরাম দাবিকে দর–কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। সেন্টার অন আর্মড গ্রুপসের জ্যাকসন বলেন, ‘এটি হতে পারে বড় কিছু দাবি করার কৌশল, যেমন বাগরাম এবং পরবর্তী সময়ে ছোট ও প্রতীকী কিছুতে মেনে নেওয়া, যেমন কিছু অস্ত্র ও সরঞ্জাম ফেরত আনা, যার কথা প্রেসিডেন্ট আগেও বলেছেন।’

২০২২ সালের একটি মূল্যায়নে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর (যা এখন যুদ্ধ দপ্তর নামে পরিচিত) স্বীকার করেছে যে আফগানিস্তানে প্রায় সাত বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের অস্ত্র ফেলে আসা হয়েছিল, যার বেশির ভাগই বর্তমানে তালেবানের দখলে আছে বলে বিশ্বাস করা হয়। আর যদি বাগরামের দাবি বড় ধরনের আলোচনার অংশ হয়, তবে সেটি তালেবানের জন্যও সুসংবাদ হতে পারে, বিশ্লেষকরা মনে করেন। আফগানিস্তানের শাসকেরা বৃহত্তর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি খুঁজছে আর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা সেই পথে একটি ধাপ।

বাহিস বলেন, ‘কিছু ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসন আসলে ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তারা তালেবানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে প্রস্তুত।’ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আগের এমন উদাহরণগুলোর দিকে ইঙ্গিত করেন, যেখানে ওয়াশিংটন যাদের শত্রু মনে করত, তাদের সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে তোলার ইচ্ছা দেখিয়েছিলেন। এর মধ্যে সিরিয়ার আহমেদ আল-শারা, রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার কিম জং–উন রয়েছেন।

বাহিস আরও বলেন, ‘তবে শেষ পর্যন্ত, ট্রাম্পের তালেবানের সঙ্গে ব্যবসা করার আগ্রহ নির্ভর করবে আলোচনার টেবিলে কী রয়েছে তার ওপর। তালেবান কী প্রস্তাব করতে পারে? এটি কি বেসরকারি বিনিয়োগ, খনিজ সম্পদ নাকি বাগরামের মতো সামরিক সম্পদ? আসলে কী প্রস্তাব দিতে পারে, সেটি দেখানোর দায়িত্ব তালেবানের।’

  • রুচি কুমার ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। দক্ষিণ এশিয়া নিয়ে লেখালেখি করেন।

আল–জাজিরা থেকে নেওয়া। ইংরেজি থেকে অনুবাদ এবং কিছুটা সংক্ষেপিত।