‘সেভেন সিস্টার্স’ শব্দযুগলের উপস্থিতি পাওয়া যায় গ্রিক মিথলজিতে, ব্যবহৃত হয় টাইটান আটলাস আর ওশেনিড প্লিওনের সাত মেয়েকে বোঝাতে।
‘সেভেন সিস্টার্স’ শব্দযুগলের সঙ্গে পাঠকদের পরিচয় মূলত ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের রাজ্যগুলোকে কেন্দ্র করে।
এসব রাষ্ট্রের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি ও জনমিতি বিবেচনায় প্রথম ‘সেভেন সিস্টার্স’ শব্দযুগল ব্যবহার করেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে সেভেন সিস্টার্স হিসেবে বোঝানো হয় সাতটি কলেজকে। বার্নাড কলেজ, স্মিথ কলেজ, ব্রায়ান মওর কলেজ, র্যাডক্লিফ কলেজ, ভাসার কলেজ, ওয়েসলি কলেজ ও মাউন্ট হলৌক কলেজকে একত্রে বলা হয় ‘সেভেন সিস্টার্স’।
নারীদের শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে উচ্চশিক্ষার পথ খুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এসব কলেজ। আজকের লেখায় ‘সেভেন সিস্টার্স’ বলতে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সাতটি ‘সুইং স্টেট’ নিয়েই আলোচনা হবে।
‘সুইং স্টেট’ কী
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত অভিযোজিত হয়েছে। নাগরিক প্রত্যাশা আর সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের মধ্যে এ অভিযোজনে নেতৃত্ব দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো।
শুরুতে ইলেকটোরাল কলেজের সদস্যরা ভোট দিতেন দুটি করে। প্রথম দুবারই সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জর্জ ওয়াশিংটন প্রেসিডেন্ট আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জন এডামস ভাইস প্রেসিডেন্ট হন।
সেই জায়গা থেকে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যসংখ্যা ৫০। আর ইলেকটোরাল কলেজের ভোট ৫৩৮টি। ইলেকটোরাল কলেজের ভোট প্রতিটি রাজ্যের জন্য নির্ধারিত।
সর্বোচ্চ ৫৫টি ইলেকটোরাল কলেজের ভোট আছে ক্যালিফোর্নিয়ার। সর্বনিম্ন ৩টি করে ভোট আছে আলাস্কা, ওয়াশিংটন ডিসি, মন্টানা, নর্থ ডাকোটা, সাউথ ডাকোডা, ভারমন্ট আর ওয়াইমিংয়ের মতো রাজ্যগুলোয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যকে তিন ভাগে ভাগ করা যাবে। কিছু রাজ্য প্রথাগতভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থীরা জয়লাভ করেন।
তাঁরা পরিচিত ‘রেড স্টেট’ নামে। টেক্সাস, ফ্লোরিডা, ওহাইও, জর্জিয়া, ইন্ডিয়ানা, আলবামার মতো রাজ্যগুলো রেড স্টেট হিসেবে পরিচিত। এসব রাজ্য সাধারণত শ্বেতাঙ্গ–অধ্যুষিত।
বিপরীতে কিছু রাজ্য আছে, যেগুলো প্রথাগতভাবেই ডেমোক্রেটিক পার্টির দিকে ঝুঁকে থাকে। এগুলো পরিচিত ‘ব্লু স্টেট’ নামে।
ক্যালিফোর্নিয়া, নিউইয়র্ক, ভার্জিনিয়া, নিউ জার্সি, নিউ মেক্সিকো, ম্যাসাচুসেটসের মতো ডেমোক্রেটিক পার্টির ঘাঁটিগুলো ‘ব্লু স্টেট’। তুলনামূলকভাবে এসব জায়গায় অভিবাসীদের আনুপাতিক হার বেশি।
এর বাইরে কিছু রাজ্যে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রায় সমসংখ্যক সমর্থক রয়েছেন। দুই দলের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় এসব রাজ্যে।
নির্বাচনে এসব রাজ্যই নির্ণায়ক হয়ে ওঠে। এসব রাজ্যের ফলাফলই নির্ধারণ করে হোয়াইট হাউসের পরবর্তী চার বছরের বাসিন্দা কে হবেন।
এসব রাজ্য পরিচিত সুইং স্টেট নামে। এবারের নির্বাচনে সুইং স্টেট সাতটি, যেগুলোর ফলাফলই নির্ধারণ করবে দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর ভাগ্য।
জর্জিয়া
সর্বশেষ ১২ নির্বাচনের মধ্যে ৮ বারই জর্জিয়ার বিজয়ীরা হোয়াইট হাউসের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছেন। আবার ১৯৯২ সালে বিল ক্লিনটনের পরের ছয় নির্বাচনেই জর্জিয়াতে জিতেছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী।
তিন দশক পরে ২০২০ সালে এসে এই রাজ্যে প্রথম ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে জেতেন জো বাইডেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়েছিলেন মাত্র ১১ হাজার ৭৭৯ ভোটের ব্যবধানে। এই ব্যবধান মোট ভোটের শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেটে বা বিতর্কে খারাপ করে সরে দাঁড়াতে হয় জো বাইডেনকে। সেই বিতর্কও হয়েছে জর্জিয়ার আটলান্টায়।
জর্জিয়াতে জনবৈচিত্র্য বাড়ছে। নারী আর তরুণদের মধ্যে ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থনও বাড়ছে। একইভাবে আফ্রিকান-আমেরিকানদের ভোট দিতে আসার প্রবণতাও বাড়ছে।
ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীকে আশা দেখাচ্ছে এখানকার জনমিতি। জর্জিয়ার মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই আফ্রিকান-আমেরিকান। রয়েছে ৫ শতাংশের মতো এশীয়ও।
ফলে গত সাত নির্বাচনের মধ্যে ছয়টি এটি রিপাবলিকান পার্টি জিতলেও এবারের নির্বাচনে এটি সুইং স্টেট। জিততে পারেন যেকোনো প্রার্থী।
বর্তমানে জর্জিয়াতে এমারসন/ পোলারার জরিপে ১ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। মারিস্টের জরিপ আর নিউইয়র্ক টাইমস/সারিনা কলেজের জরিপে এগিয়ে আছেন ৪ শতাংশ ব্যবধানে।
সিএনএন/এসএসআরএসের জরিপে কমলা হ্যারিস ১ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন।
মিশিগান
২০২০ সালের নির্বাচনে যে তিনটি সুইং স্টেট মিলে ‘ব্লু ওয়াল’ গড়ে তুলেছিল, পেনসিলভানিয়া আর উইসকনসিনের সঙ্গে সেটার অংশ ছিল মিশিগান।
২০১৬ সালের নির্বাচনে এই রাজ্যগুলোয় হিলারি ক্লিনটন পরাজিত হলেও জো বাইডেন এসব রাজ্য থেকে বিজয় অর্জনের সক্ষম হন।
সর্বশেষ দুই নির্বাচনেই মিশিগান ভিন্ন দুই দলের বিজয়ীর পক্ষ নিয়েছে। দুই দলের প্রার্থীরাই নির্বাচনী প্রচারণায় এবারও বারবার মিশিগানে যাচ্ছেন।
১৯৯২ সাল থেকে সাতটি নির্বাচনের মধ্যে ছয়বারই ডেমোক্রেটিক পার্টি জিতলেও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের চিন্তার কারণ হচ্ছেন এখানকার আরব-আমেরিকান ভোটাররা।
গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলা নিয়ে ক্ষুব্ধ এই তরুণ ভোটারদের মধ্যে গাজার প্রতি সহমর্মিতা বাড়ছে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেভাবে নিজেকে ‘প্রো-জায়োনিস্ট’ হিসেবে উত্থাপন করেছেন এবং ইসরায়েলকে সমর্থন জুগিয়েছেন, সেটি এখানকার ভোটারদের অনেকেরই পছন্দ হয়নি।
বিদ্যমান পরিস্থিতিকে নিজের পক্ষে নিতে তৎপর দুই দলই। ১৫টি ইলেকটোরাল কলেজের ভোট যে রয়েছে এখানে। মিশিগানে এমারসন/পোলারার জরিপে সমতায় আছেন দুই প্রার্থী।
মারিস্টের জরিপে ৫ শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে আছেন হ্যারিস, কুইনিপিকের জরিপে এগিয়ে আছেন একই ব্যবধানে।
অ্যারিজোনা
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে দলীয় বিভাজনের প্রধান ইস্যু হচ্ছে অভিবাসন। যে অবৈধ অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্প সব সময় উচ্চকণ্ঠ, সেই যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে রয়েছে অ্যারিজোনা।
১১টি ইলেকটোরাল ভোট থাকা এই রাজ্য প্রথাগতভাবে রিপাবলিক পার্টির ঘাঁটি হলেও পরিবর্তিত জনমিতি ডেমোক্রেটিক পার্টির সামনে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।
এই রাজ্যের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ আফ্রিকান-আমেরিকান, সমসংখ্যক মানুষ আবার রেড ইন্ডিয়ান। হিস্পানিক মানুষ আছে ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ।
অ্যারিজোনাতেও এমারসন/পোলারার জরিপে সমতায় আছেন দুই প্রার্থী। মারিস্টের পোলে ১ শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প, নিউইয়র্ক টাইমস/সারিনা কলেজের জরিপে এগিয়ে আছেন ৫ শতাংশের ব্যবধানে।
সিএনএন/এসএসআরএসের জরিপেও ট্রাম্প এগিয়ে আছেন ৫ শতাংশ ব্যবধানে। কেবল এমারসনের জরিপ গত সপ্তাহে হ্যারিসকে এগিয়ে রেখেছিল ১ শতাংশের ব্যবধানে।
উইসকনসিন
উইসকনসিনে গত ছয় নির্বাচনের পাঁচটিতে জিতেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীরা। তবে যে একটিতে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী জয়লাভ করেছিলেন, সেই রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রাজ্যের ৮০ শতাংশের বেশি মানুষ শ্বেতাঙ্গ। সাম্প্রতিক সময়ে ডেমোক্রেটিক পার্টি ভালো করলেও প্রতিবারই জিতেছে খুবই সামান্য ব্যবধানে। ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল বারাক ওবামা-দুবারই তিনি জিতেছেন বেশ বড় ব্যবধানে।
উইসকনসিনের ১০টি ইলেকটোরাল কলেজের ভোটকে টার্গেট করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবারের রিপাবলিকান পার্টির ন্যাশনাল কনভেনশন হয়েছে এই রাজ্যে, ট্রাম্প দলীয় নমিনেশনও নিয়েছেন এখান থেকেই।
মারিস্ট ও কুইনিপিকের জরিপে ১ শতাংশ ব্যবধানে উইসকনসিনে এগিয়ে আছেন হ্যারিস। একই ব্যবধানে ট্রাম্প এগিয়ে আছেন এমারসনের জরিপে। এমারসন/পোলারার জরিপে সমতায় আছেন দুই প্রার্থী।
ফেব্রুয়ারিতে যোগ দিয়েছিলেন ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানেও। ভোটারদের ভয় দেখিয়েছেন অস্ত্ররক্ষার অধিকার আর রাজ্যের নামের প্রশ্নে। ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস ও ইউগভের পোলে এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস। ভোট দেবেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ সমর্থন করছেন কমলাকে। ৪৬ শতাংশের সমর্থন পাচ্ছেন ট্রাম্প। কুইনিপিক ইউনিভার্সিটির জরিপে অবশ্য ৬ শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে আছেন হ্যারিস।
পেনসিলভানিয়া
রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এখন পর্যন্ত দুবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, যার প্রথমটি হয় পেনসিলভানিয়াতে। ট্রাম্পের কানে লাগে আততায়ীর গুলি।
এ ঘটনা পরিণত হয় অন্যতম নির্বাচনী ইস্যুতে। ১৯টি ইলেকটোরাল কলেজের এই রাজ্য আশির দশকে নিয়মিত জিতিয়েছে রিপাবলিকানদের।
পরের দুই যুগ জিতিয়েছে ডেমোক্র্যাটদের। সর্বশেষ দুই নির্বাচনে নিয়েছে বিজয়ীর পক্ষ। এবারও বিজয়ী নির্ধারণে রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
সরে দাঁড়ানোর আগে বেশ কয়েকবার জো বাইডেন সফর করেছেন এই রাজ্য। রানিংমেটকে নিয়ে বারবার আসছেন কমলা হ্যারিসও। পিছিয়ে নেই ডোনাল্ড ট্রাম্পও। বছরের শুরু থেকেই বারবার এসেছেন পেনসিলভানিয়াতে।
ফেব্রুয়ারিতে যোগ দিয়েছিলেন ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠানেও। ভোটারদের ভয় দেখিয়েছেন অস্ত্ররক্ষার অধিকার আর রাজ্যের নামের প্রশ্নে।
ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস ও ইউগভের পোলে এগিয়ে আছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
ভোট দেবেন এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৮ শতাংশ সমর্থন করছেন কমলাকে। ৪৬ শতাংশের সমর্থন পাচ্ছেন ট্রাম্প। কুইনিপিক ইউনিভার্সিটির জরিপে অবশ্য ৬ শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে আছেন হ্যারিস।
নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা কলেজের জরিপে এগিয়ে আছেন ৪ পয়েন্টে। এমারসন কলেজের জরিপে এক পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প।
নেভাডা
ছয়টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমের রাজ্য নেভাডার গভর্নর একজন রিপাবলিকান। দুই সিনেটর আবার ডেমোক্রেটিক পার্টির।
গত ১২ নির্বাচনে সমান ৬ বার করে জিতেছে দুই দলের প্রার্থীরা। ১০ বারই এখানকার নির্বাচিত প্রার্থীরা হোয়াইট হাউসে বসবাসের সুযোগ পেয়েছেন।
সর্বশেষ নির্বাচনে ট্রাম্পকে মাত্র ৩৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন বাইডেন। ভোটারদের মধ্যে দুই দলের সমর্থক প্রায় সমান।
কিন্তু তার চেয়ে বেশি ভোটার নিজেদের কোনো দলের সঙ্গে সংযুক্ত করেননি। মোট ভোটারের মধ্যে ৪০ শতাংশের দলীয় পরিচয় নেই।
তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন গর্ভপাত, অর্থনীতি আর গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে সামনে রেখে।
নেভাডায় এমারসন/পোলারার জরিপে সমতায় আছেন দুই প্রার্থী। একই ফলাফল এমারসনের জরিপেও। কমলাকে ১ শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে রেখেছে সিএনএন/এসএসআরএন।
নর্থ ক্যারোলাইনা
এই শতাব্দীতে নর্থ ক্যারোলাইনায় একমাত্র ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে ২০০৮ সালে জিতেছিলেন বারাক ওবামা। এ ছাড়া প্রতিবারই জিতেছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থীরা।
সর্বশেষ নির্বাচনের জিতেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সেটি মাত্র ৭৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে।
গত কয়েক নির্বাচনেই রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থীর সঙ্গে ব্যবধান কমছে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থীর। একই সঙ্গে ২২ শতাংশ আফ্রিকান আমেরিকানের পাশাপাশি ১০ শতাংশের বেশি রয়েছে হিস্পানিক জাতিগোষ্ঠীর মানুষ।
কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংযুক্ত নন, এমন ভোটার মোট ভোটারের ৩৬ শতাংশ। মোট ভোটারের ৫১ শতাংশ নারী।
রাজ্যে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা বারবার পরাজিত হলেও এসব সমীকরণই আশা দেখাচ্ছে ডেমোক্র্যাটদের; নর্থ ক্যারোলাইনাকে করেছে সুইং স্টেট। রাজ্যের রিপাবলিকানদের কাছে অভিবাসনই মুখ্য ইস্যু আর ডেমোক্র্যাটদের কাছে মুখ্য ইস্যু গণতন্ত্র রক্ষা করা।
দুই প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস আছে নর্থ ক্যারোলাইনায়। এমারসন/পোলারার জরিপ আর মারিস্টের জরিপে সমতায় রয়েছেন দুই প্রার্থী।
নিউইয়র্ক টাইমস/সারিনা কলেজের জরিপে ২ শতাংশ ব্যবধানে এগিয়ে আছেন কমলা; এমারসনের জরিপে এগিয়ে আছেন ১ শতাংশ ব্যবধানে।
মাহবুব মাসুম পিএইচডি গবেষক, যুক্তরাষ্ট্র