সেদিন রাতে কারওয়ান বাজারের পাশেই দেখলাম দু–তিনটি ঝুড়িতে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন দু–তিনজন শ্রমিক। তাঁরা গভীর রাতে তরকারি বা ফলবাহী ট্রাক আসার প্রতীক্ষায় আছেন। রাত বাড়ায় ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন। শেষরাতে মালামাল এলে সেগুলো সংগ্রহ করে ভোরে বিক্রি করতে বের হবেন। সারা দিন রোদ, বৃষ্টি, ঝড় উপেক্ষা করে বিক্রি করে হয়তো ঘরে ফিরে যান, হয়তো যান না। আবার রাতে এসে অবস্থান নেন এই বাজারে।
প্রধান সড়কের পাশে, গাড়ির হর্ন, ধুলা-ময়লার মধ্যেও যে একটা ঝুড়িতে এভাবে গুটিসুটি হয়ে ঘুমানো যায়, তা বিছানায় শোয়া মানুষ কল্পনাও করতে পারেন না। অথচ দরিদ্র এই তরকারি বা ফল বিক্রেতাদের জীবনে গভীর ঘুম এভাবেই হয়। দম বদ্ধ করা এই পরিবেশ বা মনের অশান্তি তাঁকে স্পর্শ করতে পারছে না। জীবিকার প্রয়োজনে যে ঘাম তাঁকে ঝড়াতে হয়, তাতে ঘুম আসতে দেরি হয় না। তা ছাড়া সামাজিক অনেক অনুষঙ্গ তাঁর নেই বলে এই খাতে সময়ও নষ্ট হয় না।
ঘুম আমাদের অনেকের কাছে খুব প্রিয়। এমনো কেউ কেউ আছেন, যাঁরা যখন-তখন এবং যেকোনো জায়গায় ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। ঘুমের জন্য বিশেষ কোনো পরিবেশ-পরিস্থিতির দরকার হয় না। স্বাস্থ্য ও মন সুস্থ আছে কি না, এটা জানার জন্য চিকিৎসকেরা রোগীর কাছে প্রথমেই জানতে চান, ঘুম ঠিক হয় কি না?
ঘুম এমন একটা আশীর্বাদ, যা টাকা দিয়ে কেনা যায় না। টাকা দিয়ে আরাম-আয়েশ কেনা গেলেও ঘুম নয়। দেশের সবচেয়ে দামি শয্যায় শুয়ে, এসির বাতাসে, তুলতুলে বালিশে মাথা গুঁজেও যে আপনার ঘুম আসবে, তা কিন্তু হলফ করে বলা যায় না। অথচ দেখবেন পথের পাশে পরম শান্তিতে এভাবেই ঘুমাচ্ছেন আশ্রয়হীন, খাদ্যহীন ও শয্যাহীন মানুষ। জীবনের না পাওয়াগুলো হয়তো তাঁকে ভাবার সময়ও দেয় না।
যাত্রাপথে গাড়ি চলতে শুরু করার আগেই সিট সোজা করে ঘুমিয়ে পড়েন অনেক যাত্রী। এতে কার কতটা অসুবিধা হচ্ছে, তা দেখার অবকাশ বোধ করেন না। পুরো যাত্রাপথ নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে হয়তো গন্তব্যে এসে ঘুম ভাঙে তাঁর। অন্যদিকে বাসযাত্রা তো বটেই, বিমানযাত্রাতেও ঘুম আসে না কারও কারও। হয়তো ১৫ ঘণ্টার যাত্রাপথ না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেন।
প্রসঙ্গক্রমে বলি, যখন-তখন, যেকোনো জায়গায়, বিশেষ করে যাত্রাপথে অবিরাম ঘুমানোর রেকর্ড ছিল আমাদের এক কাজিনের। তিনিই সেই সব ঈর্ষণীয় মানুষের একজন, কোনো ভোগান্তি, দুঃখ-কষ্ট, অভাব-অনটন ও দুশ্চিন্তা যার ঘুম ও হাসি কেড়ে নিতে পারেনি। আজকাল কোনো মানুষ যে এভাবে ঘুমাতে পারবেন না, সে বিষয়েও আমি নিশ্চিত। কাদের ভাই একবার ঘুমাতে শুরু করলে মোটামুটি ১০–১২ ঘণ্টা পার না করলে তাঁকে ঠেলেঠুলেও ওঠানো যেত না।
সেই কাদের ভাই ১৯৮৪ সালে রংপুর থেকে নাইট কোচে ঢাকা রওনা দিলেন ঢাকার দিকে। বাস চলতে শুরু করার আগেই ভাই ঘুমিয়ে পড়লেন। কারণ, তিনি মনে করতেন, খাওয়া আর কাজের বাইরে কারও উচিত নয় এক মিনিট সময়ও নষ্ট করা। তাই তিনি হাতের ব্রিফকেসটা মাথার ওপর লাগেজ বক্সে রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন প্রচণ্ড জোরে নাসিকা গর্জন করতে করতে ও হাত-পা এলিয়ে।
বগুড়া পার হওয়ার পরপর বাসে ডাকাত পড়ল। পাঁচ–ছয়জনের একটি ডাকাত দল চোখমুখ ঢেকে বাসে উঠে বাসযাত্রীদের পকেট, বাক্স-প্যাটরা খালি করে ১০–১৫ মিনিট পরে নেমে গেল। বাসে ডাকাত পড়ার পর যাত্রীদের চেঁচামেচি, কান্নাকাটি, হইচইয়ে চারদিকে ধুন্ধুমার অবস্থা। কাদের ভাইয়ের সহযাত্রী পরে আমাদের জানিয়েছিলেন, বাসে যখন ডাকাতি চলছিল, আমাদের ভাই নাকি তখনো ঘুমাচ্ছিলেন। ডাকাতেরা নেমে যাওয়ার পর ক্রমশ বাসে মৃত্যুপুরীর নীরবতা নেমে এল। যাত্রীরা হইচই ও কান্নাকাটি করে ক্লান্ত হয়ে চুপ হয়ে গেলেন।
ঘুম কম হলে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে বলে আমরা জেনেছি। কিন্তু তাই বলে ঘুম কম হলে মানুষ ভীষণ রকম স্বার্থপর হয়ে উঠতে পারে, এই তথ্য নতুন জেনেছি। ঘুম নিয়ে সাম্প্রতিক তিনটি গবেষণা এ কথাই বলছে। ঘুমের সঙ্গে স্বার্থপরতার সম্পর্ক নিয়ে গবেষণাগুলো প্রকাশিত হয়েছে ‘পিএলওএস বায়োলজি জার্নালে’। এখানে বলা হচ্ছে, ঘুমের ঘাটতি মানুষের মনকে নেতিবাচকভাবে বদলাতে সরাসরি প্রভাব ফেলে।
ঠিক এই সময় কাদের ভাইয়ের পাশের প্যাসেঞ্জার আর থাকতে না পেরে ভাইকে গুঁতা দিয়ে টেনে তুলে বললেন, ‘ভাইরে, এইবার ওঠেন, বাসে ডাকাত পইচ্ছে, আর আপনি ঘুমাচ্ছেন। আর কত ঘুমাইবেন বাহে?’ এইবার ডাকাডাকিতে কাজ দিল। ডাকে সংবিৎ ফিরে পেলেন কাদের ভাই। ‘ডাকাত’ শব্দটা কানে যেতেই তিনি ধড়ফড় করে উঠে দাঁড়ালেন। হঠাৎ করে বাজখাঁই গলায় চিৎকার করে উঠলেন, ‘ডাকাত ডাকাত, কই কই, ধর ধর’ বলে। বাসের যাত্রীরা ভাইয়ের এই আচানক চিৎকার ও লাফিয়ে ওঠা দেখে চমকে উঠলেন। হঠাৎ এই লোকটা আবার জেগে উঠল কেন? ব্যাপারখানা কী?
যাঁরা কান্নাকাটি করে ঝিমিয়ে পড়েছিলেন, তাঁরাও চোখ খুললেন। বাসের সুপারভাইজার লাইট জ্বালিয়ে এগিয়ে এসে বললেন, ‘ভাই কই ডাকাত? আপনি মনে হয় ভয়ে এমনটা ভাবছেন। ওরা তো সব মালামাল নিয়ে নেমে গেছে বহু আগেই।’ কাদের ভাই বললেন, ‘অ্যা, নেমে গেছে? আমার ব্রিফকেস কই গেল?’ পাশের যাত্রী বললেন, ‘ওইটাও ডাকাতরা নিয়ে গেছে। আপনি কেন যেন টের পান নাই। শুধু ঘুমাচ্ছেন আর ঘুমাচ্ছেন।’
এবার সুপারভাইজার বুঝতে পারলেন কাদের ভাই ভয় থেকে নয়, এখনই ঘুম থেকে উঠে জানতে পেরেছেন যে বাসে ডাকাত পড়েছিল। সুপারভাইজার বিস্মিত হয়ে বলেছিলেন, ‘ভাই আপনি কী মানুষ?’ শুধু তা–ই নয়, বাসের অন্য যাত্রীরাও ঘুম বাদ দিয়ে হাঁ করে ভাইকে দেখছিলেন। তাতে অবশ্য ভাইয়ের বেশ অস্বস্তিই হয়েছিল। ওই ব্রিফকেসে তাঁর কাপড়চোপড় ছাড়াও ব্যবসার কাগজপত্র ও ব্যাংকের চেক বই ছিল। কাদের ভাই এভাবেই ঘুমের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। ঘুমের কারণে তিনি বাস মিস করেছেন। এমনকি বাসায় আগুন লাগার পরও তাঁর ঘুম ভাঙেনি।
শান্তিতে ঘুমানোর সুযোগ ও ক্ষমতা মানুষের কমে আসছে। মানুষের ঘুম কেড়ে নিয়েছে বিভিন্ন ডিভাইস, সংসারের চাপ, চাকরির প্রেশার, সন্তানের জেগে থাকা, অনিয়ম ইত্যাদি। ডাক্তাররা বলেন, কাদের ভাইয়ের মতো অত্যধিক ঘুম না হলেও একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে সাত–আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। ঘুম কম হলে হতে পারে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, বিষণ্নতা, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকসহ অনেক গুরুতর সমস্যা। আমরা শহরের মানুষ সকালে উঠে কাজে বেরিয়ে পড়ি, যানজটের কারণে পথে এক ঘণ্টার জায়গায় কমপক্ষে তিন ঘণ্টা কাটাতে হয়। বাসায় ফিরে সাংসারিক কাজকর্ম শেষ করে, মোবাইল ঘেঁটে, বাচ্চার পেছনে সময় দিয়ে কতক্ষণ ঘুমাতে পারি?
আমাদের শহর, আমাদের কর্মক্ষেত্র, পরিবার ও জীবনযাপন—কোনোটাই ঘুমের পক্ষে নয়। নানা ধরনের ঝামেলা আমাদের প্রায় সবাইকে ম্যানেজ করে চলতে হয় বলে মাঝেমধ্যে মনে হয় মানুষ কি যন্ত্র? মানুষ কি অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো প্রাণী?
আমরা বলি, ‘শরীরের নাম মহাশয়, যাহা সহাইবে, তাহাই সয়।’ মানুষের মস্তিষ্কও কি সে রকমই মহাশয়জাতীয় কিছু? একটার পর একটা চিন্তা শুধু বসিয়ে দিলেই হলো।
আধুনিক ও শহুরে জীবন মানে নানা ধরনের চাপ ও তাপ মোকাবিলা করার জীবন।
অফিস, সংসার, হাসপাতাল, রোগী, অতিথি, অনুষ্ঠানসহ নানা ধরনের চিন্তা চলতেই থাকে মানুষের মনোজগতে। আমাদের সবার জীবনে মাল্টিটাস্কিংয়ের প্রভাবের কারণে বিশ্রাম, ঘুম, শান্তি সব উবে যাচ্ছে। কারণ, অনেক কাজের চাপ এবং একসঙ্গে অনেক কাজ করে যাওয়া ডিপ্রেশন, দুশ্চিন্তা, ক্রনিক ব্যথার কারণ। এ ছাড়া এ কারণে পারফরম্যান্স নষ্ট হয়, ব্রেনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কাজ আর চাপ প্রতিনিয়ত মানুষের সঙ্গে সঙ্গে চলছে। সকাল থেকে রাত—অবসরহীন ক্লান্ত জীবন যাপন করতে হচ্ছে আমাদের।
সেদিন খবরে দেখলাম ঘুম কম হওয়া মানুষ বাড়ছে। ঘুম ভালো না হওয়া, ঘুমে সমস্যা হওয়া বা ঘুম গভীর না হওয়ার কথা আজকাল শুনতে পাওয়া যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, যে কারণেই হোক রাতে ঘুম ভালো না হলে পরের দিনটি হয় বিশৃঙ্খল বা এলোমেলো। ঘুম না হলে মানুষ ক্লান্ত বোধ করেন, মনোযোগ ও সতর্কতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঘুম না হলে অনেক সময় মানুষ স্মৃতিভ্রষ্ট হয়। ঘুম না হওয়া মানুষ খিটখিটে মেজাজের হয়, কেউ কেউ হতাশায় ভোগেন। ঘুমের সমস্যায় থাকা মানুষের দুর্ঘটনায় পড়া বা আহত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এই যে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস হাইওয়েতে দুর্ঘটনায় পতিত হয়, এদের একটি বড় কারণ চালকের ঘুম। এসব দূরপাল্লার গাড়িগুলোর চালকেরা খুব কম ঘুমানোর সুযোগ পান। গাড়ি টানলেই টাকা, কাজেই দিনরাত না ঘুমিয়ে এরা গাড়ি টানেন আর দুর্ঘটনা ঘটান।
ঘুম কম হওয়া বা না হওয়ার সমস্যা দিন দিন বাড়ছে, সেই তুলনায় বাড়ছে না সচেতনতা। ঘুমের জন্য মানুষ ওষুধনির্ভর হয়ে পড়ছেন। নানা ধরনের কারণ ঘুমের শত্রু। এর মধ্যে আছে শিশু, পোষা প্রাণী, শব্দ, আলো, তাপ, শয্যার ধরন, ব্যথা, শয্যাসঙ্গী, কাজের ধরন, অভ্যাস, মাদক, ওষুধ, টেলিভিশন, রেডিও, কম্পিউটার, মুঠোফোন ও আরও অনেক কিছু।
ইদানীং শিশুরা অনেক রাত পর্যন্ত জাগে। বাবা-মাকেও জাগতে বাধ্য করে। অথবা বাবা-মা জেগে থাকেন বলেই শিশুরাও জেগে থাকে। অথচ ঘুমের সঙ্গে সব বয়সের মানুষের স্বাস্থ্যের সম্পর্ক আছে। সুস্বাস্থ্যের জন্য চাই পর্যাপ্ত ঘুম। স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে চিকিৎসকেরা তাই মানুষকে পর্যাপ্ত ঘুমের পরামর্শ দেন।
সাধারণত আমাদের শরীরে ঘুম ও জেগে থাকার একটি নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে। যাকে ইংরেজিতে বলে ‘বায়োলজিক্যাল ক্লক’। অথচ নানা কারণে এই দেহঘড়ির সিস্টেম এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।
এর থেকে বের হওয়ার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও মনোরোগবিশেষজ্ঞ পঞ্চানন আচার্য বলেছেন, ‘ঘুমের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করতে হবে। ধরা যাক, আপনি রাত ১১টায় ঘুমিয়ে সকাল ৭টায় উঠবেন। এ ক্ষেত্রে ১১টায় ঘুম না এলেও শুয়ে পড়তে হবে। আর ঘুম পূর্ণ না হলেও সাতটায় উঠতে হবে। সারা দিন আর ঘুমানো যাবে না। এমনটি হলে শরীরে ঘুমের জন্য একধরনের ঘড়ি ঠিক হবে।’
ঘুম কম হলে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে বলে আমরা জেনেছি। কিন্তু তাই বলে ঘুম কম হলে মানুষ ভীষণ রকম স্বার্থপর হয়ে উঠতে পারে, এই তথ্য নতুন জেনেছি। ঘুম নিয়ে সাম্প্রতিক তিনটি গবেষণা এ কথাই বলছে। ঘুমের সঙ্গে স্বার্থপরতার সম্পর্ক নিয়ে গবেষণাগুলো প্রকাশিত হয়েছে ‘পিএলওএস বায়োলজি জার্নালে’। এখানে বলা হচ্ছে, ঘুমের ঘাটতি মানুষের মনকে নেতিবাচকভাবে বদলাতে সরাসরি প্রভাব ফেলে।
অন্যকে সাহায্য করার যে মানসিকতা, কেবল এক ঘণ্টা কম ঘুমেই তাতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে। অন্যদিকে গবেষণা বলছে, পর্যাপ্ত ও আরামদায়ক ঘুম মানুষের আবেগ ও সামাজিক আচরণে ছাপ ফেলে। সুন্দর ঘুম মানুষকে সামাজিক আর মানবিক করে। (সূত্র: প্রথম আলো)।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সায়েন্স অ্যাডভান্সেস সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলেছেন, জৈবিক প্রক্রিয়ায় মানুষের ঘুমাতে যাওয়ার কথা সন্ধ্যার পরপরই। কিন্তু জীবনযাপনের ধরনে পরিবর্তনের কারণে তারা দেরিতে ঘুমায় এবং ঘুম সংক্ষেপ করে।
গবেষক দলে যুক্ত ছিলেন মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেনিয়েল ফরগার বিবিসিকে বলেন, ‘রাতে বেশিক্ষণ জেগে থাকার ইচ্ছা এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার মধ্যে একটা লড়াই হয়ে থাকে। সমাজই আমাদের দেরিতে ঘুমানোর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু জৈব ঘড়ি আমাদের সকাল সকাল জাগিয়ে দিতে চায়। এই দ্বন্দ্বের মাঝখানে পড়ে ঘুম কমে যাচ্ছে।’
আজকাল আমরা অনেক কিছুই করি মনের বিরুদ্ধে গিয়ে। বিশেষ করে কাজের ও অন্যান্য দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর জন্য সবচেয়ে বেশি কমিয়ে আনি ঘুমের সময়। আমরা আমাদের মনকে বাধ্য করতে গিয়ে ঠিক কতটা ক্ষতি ডেকে আনছি, সেটা অনুধাবন করার সময় এসেছে।
শাহানা হুদা
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও কলাম লেখক