ভারতের ‘আন্তরাষ্ট্র দমন’ অভিযোগের শেষ কোথায়

সম্প্রতি উদীয়মান তরুণ নেতা ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছেন

রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ‘ট্রান্সন্যাশনাল রিপ্রেশন’ (আন্তরাষ্ট্র দমন) বলে একটি ধারণা রয়েছে। ধারণাটি দিয়ে রাষ্ট্রগুলোর নিজ রাষ্ট্র ছাড়িয়ে অন্য রাষ্ট্রে অন্তর্ঘাত চালানো বোঝায়। নব্বইয়ের দশকে বিশ্বজুড়ে সমাজতান্ত্রিক বিপর্যয়ের আগে এই ধারণাটি দিয়ে বোঝানো হতো সিআইএ, কেজিবি, এমআইসিক্স, মোসাদ ইত্যাদি আন্তরাষ্ট্র গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে ভিনদেশে ভিন্নমতের সরকারকে চাপে রাখা। লক্ষ্য থাকত রাজনৈতিকভাবে কোনো দেশকে চাপে রাখা।

গোয়েন্দা সিনেমা, থ্রিলার, গেম, উপন্যাসে সেসব কার্যক্রমের কল্পগল্প উদাহরণ ভূরি ভূরি রয়েছে। সাধারণত আমনাগরিক পর্যায়ে ‘আন্তরাষ্ট্র দমন–এর ঘটনা মোটেই ঘটত না। অন্তর্ঘাতগুলো সাধারণ নাগরিক বা ছোটখাটো রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীর বিরুদ্ধে হতো না। ঘটত স্পাই-স্পাই, স্পাই-রুলিং এলিট, স্পাই-অস্ত্র উৎপাদক ও বিক্রেতা গোষ্ঠীর দালাল ও বাজার দখলদার পর্যায়ে। নিজ দেশের গোয়েন্দা তথ্য অন্য দেশের হাতে তুলে দেওয়া ডাবল এজেন্ট বা স্বপক্ষত্যাগীরাও লক্ষ্যবস্তু হতো।

গত তিন দশকে অপঘাতগুলো কমতে কমতে প্রায় শূন্যের কোঠায় নামছিল। আলোচনায় ছিল মাত্র দুটি ঘটনা। এক. ২০০৬ সালে লন্ডনে রাশিয়ার নাগরিক আলেক্সান্দর লিটভেঙ্কো হত্যাকাণ্ড। দুজন রুশ নাগরিকের সঙ্গে মিটিং ও খাবার শেষের পর পোলোনিয়াম-২১০ এর মতো মারাত্মক রেডিওঅ্যাকটিভ বিষক্রিয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়। [২০১৮ সালে আরেক সাবেক রুশ গোয়েন্দা সের্গেই স্ক্রিপাল ও তাঁর কন্যা ইউলিয়া স্ক্রিপাল বিষাক্ত নোভিচক নার্ভ এজেন্ট-এর (এ-২৩৪) বিষক্রিয়ায় মরতে বসেছিলেন। তাঁরা অবশ্য শেষ পর্যন্ত বেঁচে গেছেন।] দুই. তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে স্বপক্ষত্যাগী অনুমিত জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ড।

লক্ষণীয়, উল্লিখিত দুটি হত্যাকাণ্ডও ঘটেছে অত্যন্ত উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে। ভিনদেশের সাধারণ নাগরিককে বা রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বীকে প্রবাসে কোনো দেশের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণে কাউকে হত্যার ঘটনা কোনো গণতান্ত্রিক দেশ চালায় না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটানো দেশ হিসেবে ভারত এবং তার গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর নাম বহুল আলোচিত হচ্ছে কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে।

কানাডা পৃথিবীর শান্তিবাদী দেশগুলোর অন্যতম। দেশটির রাজনীতি ও অর্থনীতিতে ভারতের, বিশেষত পাঞ্জাবি ও গুজরাটি অভিবাসীদের অসামান্য আধিপত্য রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি কানাডার শান্তিবাদী মানুষদের বড় অংশই অশান্ত হয়ে উঠছেন ভারতবিরোধিতায়।

ঘটনার শুরু কানাডায় শিখদের মধ্যে জনপ্রিয় নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ড। কানাডা সরকারের দাবি ভারত সরকার এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত। হাতে আছে নিশ্চিত গোয়েন্দা তথ্যপ্রমাণ। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে কানাডার তখনকার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নিজেই নিজ্জর হত্যায় ‘বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ কুখ্যাত বিষ্ণোই গ্যাংকে (লরেন্স বিষ্ণোই নামের একজন গ্যাং লিডারের নামে এই গ্যাংয়ের নামকরণ হয়েছে) ব্যবহার করছে কানাডার জমিনে কানাডার নাগরিক শিখ নেতাদের নিধনের কাজে। নিজ্জর ছাড়া আরও অনেকেই নাকি আছে ‘র’–এর নিধন তালিকায়।

বিখ্যাত অ্যাঙ্গাস রিড ইনস্টিটিউট ও এশিয়া প্যাসিফিক ফাউন্ডেশনের যৌথ জরিপ প্রকাশিত হয় ২০২৪ সালে। জরিপে দেখা যায়, কানাডার নাগরিকদের ভারতের প্রতি কূটনৈতিক সমর্থন তলানিতে ঠেকেছে। ২০২২ সালের জরিপে যেখানে ভারতের প্রতি সমর্থন ছিল ৫২ শতাংশ নাগরিকের, মাত্র এক বছর আট মাস পর ২০২৪-এ সেটি ২৪ শতাংশে এসে ঠেকেছে। ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পতনের হার ২৬ শতাংশ।

আরও পড়ুন

ভারতের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি কানাডায় বিপন্ন। ঘটনাটির দায়দায়িত্ব বিষয়ে আদালত এখনো চূড়ান্ত সুরাহা দেয়নি। ভারত যথারীতি সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কিন্তু আধুনিক কূটনীতিতে ‘চূড়ান্ত রায়’ আসার আগেই ‘আখ্যান’ তৈরি হয়ে যায়। আর আখ্যান তৈরি হয় রাষ্ট্রের বক্তব্য, গোয়েন্দা তথ্য, আদালতের নথি, সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধান এবং রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ার মিশেলে। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে। কূটনীতিক বহিষ্কার, ভিসা ও সেবা সীমিত করা, আস্থার সংকট এখনো কমেনি।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ পর্যায়েই থেমে থাকেনি। অভিযোগ ছাড়িয়ে অভিযোগপত্র তৈরির পর্যায়ে চলে গেছে। মামলা হয়েছে আদালতে। মার্কিন বিচার বিভাগ ২০২৪ সালের অক্টোবরে ঘোষণা দেয়, একজন ভারতীয় সরকারি কর্মচারী বিকাশ যাদব যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার জন্য ভাড়াটে খুনি জোগাড়যন্ত্রসহ টাকাপয়সা লেনদেনের প্রায় সব প্রক্রিয়াই গুটিয়ে আনে। সব রকম যোগাযোগ হয়েছে গোপন ও কৌশলী এনক্রিপ্টেড বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যমে। কিন্তু দুর্ঘটনাটি ঘটার আগেই মধ্যস্থতাকারী সরকারি গোয়েন্দা দপ্তরে চর হিসাবে কাজ পেয়ে যান এবং ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দেন। মার্কিন কর্তৃপক্ষের জানা হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেও ভারতের অন্তর্ঘাত তৎপরতা।

শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যায় ভারত সরকারের প্রতিনিধিদের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে কানাডা তদন্ত চালানোর ঘোষণা দেওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়
ছবি: রয়টার্স।
শাস্তিপ্রাপ্ত দাগি আসামিদের আশ্রয়দান ইতিমধ্যে ভারতের নৈতিক ও কূটনৈতিক সম্মানকে দারুণভাবে খর্ব করেছে। শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের যদি সত্যিই ভারত জেনেশুনে আশ্রয় দিয়ে থাকে, তবে দুই দেশের সম্পর্ক আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। বল এখন ভারতের কোর্টে। কূটনৈতিক সমাধানে দেশটির আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসাই উভয় দেশের জন্য মঙ্গলকর।

এই ধরনের মামলা কেবল কূটনৈতিক সম্পর্কে আটকে থাকে না, ‘রুল অব ল’ পরিসরে ঢুকে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক সমাজ প্রশ্ন তোলে—গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয়েও ভারত কীভাবে বিদেশের মাটিতে ট্রান্সন্যাশনাল রিপ্রেশনে সাহসী হয়ে উঠছে? ভারত যথারীতি এই অভিযোগগুলোও অস্বীকার করেছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশে উদীয়মান তরুণ নেতা ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি আততায়ীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশের সব রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নজরদারি ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে চিহ্নিত আততায়ী ভারতে পালিয়ে গেছে—এই তথ্যেই বিশ্বাস রাখছে বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী। তাদের সন্দেহ ও বিশ্বাস হত্যাকাণ্ডটির দায় ভারতের। যথারীতি ভারত হত্যা-সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে চলেছে। কিন্তু জনমনে ভারতের প্রতি অনাস্থা ও অবিশ্বাস আরও কয়েক ধাপ বেড়েছে এবং বাংলাদেশের মানুষের অন্তরাত্মা থেকে ক্ষতটি দ্রুত শুকিয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না।

ভারতই হবে বৈশ্বিক দক্ষিণের নেতা—একুশ শতকের শুরুতে এই প্রত্যাশা ছিল প্রতিবেশী দেশগুলোর। কিন্তু বর্তমান সময়ে নতুন বন্ধুত্বের আফগানিস্তান এবং ভুটান ছাড়া প্রায় সব প্রতিবেশীর চোখেই ভারত ‘বিতর্কিত বহিঃশত্রু’। দেশটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়বে ধারণা করা হয়েছিল তিনটি বাস্তবতায়। এক. দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি ও বাজার, দুই. প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ, তিন. বড় কূটনৈতিক ভূমিকা, বিশেষত বৈশ্বিক দক্ষিণের প্রতিনিধি হয়ে ওঠার চেষ্টা।

আরও পড়ুন

অথচ কানাডায় নিজ্জর হত্যা ও যুক্তরাষ্ট্রের মামলা চতুর্থ বাস্তবতা সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের থিঙ্কট্যাংক কাউন্সিল অব ফরেন রিলেশন্সের মতে ‘রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ছায়ায় প্রবাসী বিরোধীদের টার্গেটিং’ তবে ভারতের ‘সফট পাওয়ার’, বিশেষত বহির্বিশ্বে ‘গণতান্ত্রিক উদাহরণ’কে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি শুধুই সত্য-মিথ্যার প্রশ্ন নয়। বরং ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ ও ‘স্বচ্ছতা’র প্রশ্ন। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ রকম অভিযোগ উঠলে আন্তর্জাতিক অংশীদারেরা দুটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজে। এক. অভিযুক্ত রাষ্ট্র স্বচ্ছ তদন্তে সহযোগিতা করছে কি না। দুই. ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঠেকাতে অভিযুক্ত রাষ্ট্র সত্যিকার প্রাতিষ্ঠানিক সততা দেখায় কি না!

কানাডার নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আলাপ-আলোচনার বড় অংশ জুড়েই থাকে বিদেশি হস্তক্ষেপ, অপতথ্য এবং প্রবাসী কমিউনিটির আচরণ। কানাডার সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি ম্যারি-জোসি হোগ-এর নেতৃত্বে ২০২৩ সালে গঠিত ‘পাবলিক ইনকোয়ারি ইনটু ফরেন ইন্টারফিয়ারেন্স ইন ফেডারেল ইলেকটোরাল প্রসেসেস অ্যান্ড ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউশনস’ এখন অবধি কাজ করে চলেছে।

আরও পড়ুন

আলোচনা ও প্রতিবেদনগুলোতে একাধিক দেশকে ‘অপরাধী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভারত সেগুলোর অন্যতম। রয়টার্স ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ২০২৫ সালের জুনে প্রকাশিত প্রতিবেদন জানাচ্ছে, কানাডীয় গোয়েন্দা প্রতিবেদনের মূল্যায়নমূলক পরামর্শ, ‘ভারতকে বিদেশি হস্তক্ষেপের অন্যতম ক্রীড়নক’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হোক।

মূল্যায়নগুলো ভারতবিদ্বেষী যেমন নয়, ভারতকে সরাসরি দোষারোপও নয়। তবু ভারতের বিরুদ্ধে ‘কাঠামোগত সন্দেহ’ প্রবল হতে প্রবলতর হচ্ছে। কানাডার নীতিনির্ধারণেও তাই মূল্যায়নগুলোই বেশি ভূমিকা রাখছে। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের অন্যতম বড় খবর—ভারতীয় সংগঠিত অপরাধচক্রটিকে (লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং) ‘ক্রিমিনাল নেটওয়ার্ক’ ঘোষণা করা হয়েছে। কূটনৈতিক আস্থা প্রতিদিনই ভাঙছে। আস্থা ভাঙলে যা হয়—বাণিজ্য, ভিসা, শিক্ষা-অভিবাসন, এমনকি প্রতিরক্ষা-প্রযুক্তি সহযোগিতাতেও তার প্রভাব পড়ছে।

ভারত ‘বিশ্বাস হারানো’র মতো কৌশলগত সংকটে পড়েছে ভালোভাবেই। কারণ, দুটি দেশই ভারতের ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সহযোগী রাষ্ট্র। উইলসন সেন্টারের বিশ্লেষণ—ভারত হয়তো ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ ও ‘চরমপন্থী’দের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে দেশ দুটিকে অভিযুক্ত করতে পারে। কিন্তু উভয় দেশেই আইনি কাঠামো শক্ত ও স্বচ্ছ হওয়ায় এবং সংবাদমাধ্যম স্বাধীন ও অনুসন্ধানী থাকায় জনমত তৈরিতে সরকারের প্রয়োজন হয় না।

উইলসন সেন্টারের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ভারতের ‘অবিশ্বস্ত’ পরিচিতি ঘোচানোর উপায় স্বচ্ছ তদন্ত ও তথ্য বিনিময় সহযোগিতা। প্রয়োজনে স্পষ্ট ভাষায় রাষ্ট্রীয় দায় স্বীকার করা বা নাকচ করা। ভারত অবশ্য কোনোটিই করছে না। ফলে আস্থার সংকট বাড়ছেই। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের অপরাধী বিনিময় চুক্তি রয়েছে। কিন্তু যখন কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র বিষয়েই ভারত নির্বিকার, বাংলাদেশের দাবিকে দেশটি কতটা আমলে নেবে অনুমান করা কঠিন।

শাস্তিপ্রাপ্ত দাগি আসামিদের আশ্রয়দান ইতিমধ্যে ভারতের নৈতিক ও কূটনৈতিক সম্মানকে দারুণভাবে খর্ব করেছে। শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের যদি সত্যিই ভারত জেনেশুনে আশ্রয় দিয়ে থাকে, তবে দুই দেশের সম্পর্ক আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। বল এখন ভারতের কোর্টে। কূটনৈতিক সমাধানে দেশটির আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসাই উভয় দেশের জন্য মঙ্গলকর।

  • হেলাল মহিউদ্দীন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ডাকোটার মেভিল স্টেট ইউনিভার্সিটিতে সমাজবিজ্ঞান অধ্যাপনায় নিয়োজিত

*মতামত লেখকের নিজস্ব