ঢাকার ৩৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে অধিকাংশ বিদ্যালয়ের ভবনমলিন ভাঙাচোরা ও অপরিচ্ছন্ন (৫ মে ২০২৩, প্রথম আলো)। অথচ জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ সুস্পষ্টভাবে প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্রে স্থান ও বিদ্যালয়ভেদে সুযোগ-সুবিধার প্রকট বৈষম্য, অবকাঠামোগত সমস্যা, শিক্ষক স্বল্পতাসহ সমস্যাগুলোকে স্বীকার করে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর তুলনায় শিক্ষক কম, বিদ্যালয়গুলোতে সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত দপ্তরি, নিরাপত্তাপ্রহরী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আয়া নেই। বেশ কিছু বিদ্যালয়ের জমি ও অবকাঠামো বেদখল হয়ে আছে। সহশিক্ষা কার্যক্রম নেই, শিক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
খোদ রাজধানীতেই প্রাথমিক শিক্ষার এই দীনহীন অবস্থা সারা দেশের প্রাথমিক শিক্ষার এক হীনমন্য বাস্তবতার ছবিমাত্র। এসব বিদ্যালয়ে দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত পরিবারের শিশুরা পড়ে বলেই কি কর্তৃপক্ষ এমন উদাসীন? সরকারি বা আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে যাঁরা ভালো চাকরি করেন, তাঁদের সন্তানদের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ান না। সেখানে গণিত অলিম্পিয়াড হলেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অন্তঃসারশূন্য পাঠে দরিদ্রদের শিক্ষার ভবিষ্যৎ অন্ধকারে আছে। এই বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি ঘোষিত শিক্ষানীতির ‘সর্বজনীন’ এবং ‘সবার জন্য একই মানের’ শিক্ষা নিশ্চিতের অঙ্গীকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
সরকারের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির প্রভাব মূল্যায়ন প্রতিবেদনমতে, প্রায় ২৭ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় জরাজীর্ণ এবং ১৯ শতাংশ শ্রেণিকক্ষে বৃষ্টি হলেই পানি ঝরে। টিউবওয়েল নেই ১৩ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, টিউবওয়েল নষ্ট ১৩ শতাংশ বিদ্যালয়ে। পৃথক শৌচাগার নেই ২৫ শতাংশ বিদ্যালয়ে। প্রাথমিকের ৩৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য গাইড বইয়ের ওপর তাদের নির্ভরতার কথা জানিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী বাংলাই পড়তে পারে না, ইংরেজি ও গণিতে দুর্বলতা তার চেয়েও বেশি (বিবিসি বাংলা, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯)।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের জরিপ অনুযায়ী দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশ শিশু বাংলা পড়তে পারে না। মাত্র ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ৫টির মধ্যে কমপক্ষে ৪টি শব্দ শনাক্ত করতে পারে, ৬১ দশমিক ৯৫ শতাংশ ছেলে শিক্ষার্থী এবং ৫৩ দশমিক ১৪ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী তিনটি বা তার কম ভুল উচ্চারণসহ একটি কাহিনি সাবলীলভাবে পড়তে পারে। ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ শিশু একক অঙ্কবিশিষ্ট সংখ্যা শনাক্ত করতে পারে না। শুধু ২৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ শিক্ষার্থী দুটি যোগ সমস্যার সমাধান করতে পারে। আর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের দুটি বিয়োগ ও দুটি ভাগ সমস্যার সমাধান করতে পারে না পর্যায়ক্রমে ৭৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং ৯৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ শিশু। সবচেয়ে করুণ অবস্থা ইংরেজিতে। এ বিষয়ে ছেলেশিশুর মধ্যে ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং মেয়েশিশুর মধ্যে ১৫ দশমিক ২২ শতাংশ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ইংরেজি বইয়ের একটি বর্ণও পড়তে পারে না (১৪ জুন ২০২৩, বাংলাদেশ জার্নাল)।
দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজে প্রায় ৮৩ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর পদ শূন্য রয়েছে। বেসরকারি স্কুল-কলেজে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর পদ শূন্য রয়েছে। সরকারি স্কুল-কলেজে ১৩ হাজারের বেশি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদ শূন্য রয়েছে। কলেজ পর্যায়ে শূন্য রয়েছে ৩ হাজার ৫২৯টি পদ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯ হাজার ৮৭০টি পদ শূন্য রয়েছে। (৮ এপ্রিল ২০২৩, দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস)
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মোট ৩৭ হাজার ৯২৬টি শিক্ষকের পদ শূন্য আছে, এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক পদে ২৯ হাজার ৮৫৮টি এবং সহকারী শিক্ষকের ৮ হাজার ৬৮টি পদ শূন্য (সংসদের প্রশ্ন–উত্তর, ৬ জুন ২০২৩, প্রথম আলো)।
বাংলাদেশ এমন এক দেশ যেখানে শিক্ষকের পৌনে এক লক্ষের কাছাকাছি শিক্ষকের পদ শূন্য কিন্তু ঢাকার সচিবালয়ের তেলবাজ কর্মকর্তাদের পদোন্নতির হার এত বেশি যে সরকার প্রমোশন পাওয়া শত শত উচ্চপদস্থ আমলাকে দায়িত্ব এবং চেয়ার দিতে পারছে না। মূলত অপর্যাপ্ত শিক্ষক এবং অবকাঠামোতেই আটকে আছে শিক্ষাব্যবস্থা।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেসকো) পরামর্শ হলো শিক্ষায় জিডিপির অন্তত ৬ শতাংশ ব্যয় করা। ২০২৩-২৪ বাজেটে শিক্ষা খাতের সঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মিলিয়ে মোট বরাদ্দকে জিডিপির ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ, যা গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত জিডিপির শতাংশ হিসেবে বাংলাদেশে শিক্ষা খাতে গড় ব্যয় ছিল ৪১টি স্বল্পোন্নত দেশের মধ্যে পঞ্চম সর্বনিম্ন। বাস্তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পূর্ণ ভিন্ন মন্ত্রণালয়, যার সঙ্গে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কিংবা কর্মদক্ষতা তৈরির সংযোগ নেই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বাজেট বাদ দিলে বাংলাদেশ শিক্ষায় বরাদ্দ দেশজ আয়ের মাত্র দেড় শতাংশ ব্যয় হয়। উল্লেখ্য, ভারতে শিক্ষা বরাদ্দ জিএনআইয়ের ৪ শতাংশের ওপরে। দেশজ উৎপাদনের শতাংশ হিসেবে শিক্ষায় বরাদ্দে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। এর অর্থ দক্ষ মানবসম্পদ গঠনের বাংলাদেশের গুরুত্বহীনতা।
তথাপি বরাদ্দের প্রায় ৯০ শতাংশ যায় ভবন নির্মাণ, পূর্তকাজ, বেতন–ভাতা পরিবহন, বিভিন্ন ক্রয় খাতে। শ্রেণি শিক্ষা, শিক্ষক ট্রেনিং, ল্যাব, প্রশিক্ষণসামগ্রী এবং গবেষণা বরাদ্দ সব মিলে অনূর্ধ্ব–১০ শতাংশ মাত্র। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর খরচ বিশ্লেষণ করে দেখা যায় গড় গবেষণা ব্যয় সর্বোচ্চ ১ শতাংশ।
শিক্ষা গবেষণা ও দক্ষতা তৈরিতে বরাদ্দের ক্ষেত্রে আমরা অতিকৃপণতার দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি; বরং সর্বশেষ তিন বাজেটে জিডিপি অনুপাতে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমেছে। শিক্ষায় এত কম বরাদ্দ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা কিংবা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কথা বলা ‘সোনার পাথরবাটির’ মতোই অলীক কল্পনা।
সারা বিশ্বে শিক্ষা যেখানে দারিদ্র্য বিমোচন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরির সবচেয়ে টেকসই বিনিয়োগ হিসেবে স্বীকৃত, সেখানে আমরা প্রাথমিক শিক্ষার ভিতটাই শক্ত কাঠামোর ওপর দাঁড় করাতে পারিনি। সর্বজনীন শিক্ষা বিনিয়োগ যেন সরকারের বোঝা, টেকসই বিনিয়োগ নয়!
বাংলাদেশে শিক্ষার মান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুপারিশ বিশ্বব্যাংকও। বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থায় পড়ালেখা ও সাধারণ অঙ্ক করার উপযুক্ত দক্ষতা অর্জন না করায় এ দেশের অনেক যুবক শেষ পর্যন্ত মানসম্পন্ন কাজ পায় না।
‘বৈশ্বিক উন্নয়ন প্রতিবেদন-২০১৮: শিক্ষার প্রতিশ্রুতি বোঝার শিক্ষা’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়ার বেশ কিছু কারণ চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক। বড় কারণের মধ্যে রয়েছে—মানহীন পাঠদান, স্কুল ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা, সরকারি খাতের শিক্ষায় স্বল্প বরাদ্দ ও শিশুর বিকাশমূলক কর্মসূচির অভাব। এসব সমস্যা সমাধানে শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ আরও বাড়ানো এবং বিনিয়োগের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। বলা হয়, পড়াশোনায় দুর্বলতার কারণে প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত ১১ বছরের শিক্ষাজীবনে আন্তর্জাতিক মান থেকে এ দেশের শিক্ষার্থীরা কমপক্ষে সাড়ে চার বছর পিছিয়ে থাকে।
প্রতিবেদনে তৃতীয় শ্রেণির বাংলা বিষয়ে দেখে পড়া এবং বোঝার দক্ষতা না থাকা ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর, পঞ্চম শ্রেণির গণিতের ন্যূনতম মান অর্জনে অক্ষম ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর ব্যাপারে হতাশা জানানো হয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলেছে, মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার মান বাড়াতে পারে বাংলাদেশ। শিখন পদ্ধতির উন্নয়ন, স্কুলগামী করতে শিক্ষার্থীদের প্রেরণা জোগানো, নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে কার্যকর নীতি নির্ধারণে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের মতে, শিক্ষা খাতে বাংলাদেশে সরকারি ব্যয় দক্ষিণ এশিয়ার গড় ব্যয়ের তুলনায়ও কম, মালয়েশিয়ার ব্যয়ের প্রায় অর্ধেক। টাকার অঙ্কে ব্যয়ের এই চিত্রের চেয়েও মানসম্পন্ন ব্যয় নিশ্চিত করা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। (সমকাল, ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯)
সব গঠনমূলক পরামর্শ বাদ দিয়ে সরকার ব্যস্ত আছে শুধু কারিকুলাম নিয়ে, যেখানে সমস্যা সবচেয়ে কম। আমাদের সন্তানদের গিনিপিগ টেস্ট করে সরকার বছর বছর শিক্ষক ট্রেনিং না দিয়েই কারিকুলাম পরিবর্তন করে শিক্ষার সর্বনাশ করছে। অথচ দেড় দশকে শত কোটি টাকা খরচের পরও বাচ্চাদের পুষ্টি ও ক্ষুধার সংকট মেটাতে অতিপ্রয়োজনীয় স্কুল ফিডমিল চালু করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।
কিছু লোক কয়েক দিন উন্নত বিশ্বের কারিকুলাম ঘাঁটাঘাঁটি করে, বিদেশ ভ্রমণ করে এসে নতুন কারিকুলামের নামে বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষা একেবারে সংকুচিত করে ফেলেছে। বিপরীতে দলগত, ছেলে-মেয়েদের একসঙ্গে শেখা, ধর্মীয় গোঁড়ামি কমানোর চেষ্টা হয়েছে। প্রজনন শিক্ষা, গানবাজনা-নৃত্য-অভিনয়, হাতে–কলমে শেখার নামে রান্নাবান্নাসহ কিছু সামাজিকীকরণ প্রকল্প ঢুকিয়ে সমাজের একাংশের বাহবা নিতে চাইছে। যদিও এসব পারিবারিক শিক্ষা এবং এক্সট্রা কারিকুলাম লার্নিং হওয়ার কথা। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, এসব কোনোটাই পরিবার অভিভাবক ও শিক্ষক নিয়ে বাংলাদেশের সামাজিক ইকোসিস্টেমে টেস্টেড নয়। যারা নতুন কারিকুলামের গোটা প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁরা নিজেদের সন্তানদের আদৌ আমাদের শিক্ষায় শিক্ষিত করেন কী না, নাকি ইংরেজি মাধ্যমে পড়ান বা একেবারে অল্পবয়সেই বাইরে পাঠিয়ে দেন, তা নিয়েও সন্দেহপোষণ করা যায়।
প্রতিদিন বাচ্চাদের ধারাবাহিক মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু ৫০-৫৫ মিনিটের ক্লাসে ৬৫-৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষক পড়াবেন নাকি মূল্যায়ন করবেন? উন্নত বিশ্বে প্রাথমিকে ২০-২৫ জনের বিপরীতে একজন শিক্ষক থাকেন, থাকেন শিক্ষানবিশ শিক্ষক। সেখানে স্কুলের শিক্ষণ পরীক্ষা মূল্যায়ন এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রায় সব কাজই সফটওয়্যারে হয়। এখন শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষক ট্রেনিং, শিক্ষণ, পরীক্ষা মূল্যায়ন এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইত্যাদিতে সফটওয়্যার রূপান্তরে বিনিয়োগ না করে, কম্পিটারাইজেশন, ভবন ও স্কুলমাঠ অবকাঠামো বিনিয়োগ না করে সরকার বিদেশের কিছু কারিকুলাম চালু করতে বেশ আগ্রহী। এতে শিক্ষণের কাজে শিক্ষক সময় না দিয়ে বাড়তি কাজে ব্যস্ত থাকবেন।
আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় বড্ড পিছিয়ে গেছে, এই সরকারের আমলে সহজ প্রশ্ন, উদার মূল্যায়নের পলিসি নিয়ে জিপিএ–৫–এর ছড়াছড়ি করে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের চর্চা প্রতিষ্ঠিত করে শিক্ষাকে ভেতর থেকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের শিক্ষা যে দক্ষতা তৈরি করতে পারছে না, তার প্রধান কারণ শিক্ষায় কম বিনিয়োগ এবং ভুল বিনিয়োগ।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব টেকসই উন্নয়নবিষয়ক লেখক। গ্রন্থকার: চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও বাংলাদেশ; বাংলাদেশ: অর্থনীতির ৫০ বছর; অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবিত কথামালা; বাংলাদেশের পানি, পরিবেশ ও বর্জ্য। ই-মেইল: [email protected]