গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার ঘটনার অল্প কিছু পরে গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিবৃতি দেন। এতে ফিলিস্তিনিদের কথা উল্লেখ না করে তিনি ইসরায়েলিদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন। মেটা, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, আইবিএমসহ অন্য প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরাও ইসরায়েলের প্রতি তাদের ব্যাপক সমর্থন জানান।
এরপর থেকে তাঁরা অনেকাংশেই নীরব রয়েছেন। এরই মধ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনিকে নির্বিচার হত্যা করেছে, যার মধ্যে ১৪ হাজার ৫০০-এর বেশি শিশু রয়েছে। শত শত স্কুল, সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর, স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো, মসজিদ এবং ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো ধ্বংস করেছে।
এই জঘন্য পর্যায়ের ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর জন্য ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সহায়তা নিয়েছে। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রোগ্রামগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে ব্যবহারকারীদের সামান্য তদারকিতেই লক্ষ্য তৈরি করা যায়।
বিদেশি টেক জায়ান্টরা এই প্রকল্পগুলোর সঙ্গে কতটা সরাসরি জড়িত, তা স্পষ্ট নয়। তবে আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি যে তারা উন্নত কম্পিউটার চিপস, সফটওয়্যার এবং ক্লাউড কম্পিউটিংসহ এ প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় মূল অবকাঠামোর অনেকটাই সরবরাহ করেছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় চালানো এই গণহত্যার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো নীরবে ইসরায়েলের সঙ্গে যথারীতি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলে অবস্থিত একটি চিপ প্ল্যান্টে ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে ইন্টেল। অন্যদিকে মাইক্রোসফট দেশটিতে একটি নতুন ‘অ্যাজিউর’ ক্লাউড অঞ্চল চালু করেছে।
এগুলোর কোনোটিই বিস্ময়কর ঘটনা নয়। কয়েক দশক ধরে সিলিকন ভ্যালি ইসরায়েলি বর্ণবাদী শাসকগোষ্ঠীকে সমর্থন করে আসছে, দেশটির অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং ফিলিস্তিন দখল করতে প্রয়োজনীয় উন্নত প্রযুক্তি সরবরাহ এবং বিনিয়োগ করছে। বিশ শতকের দক্ষিণ আফ্রিকায়ও সংস্থাটি এমন কাজ করেছিল। এখনকার বৃহত্তম মার্কিন প্রযুক্তি করপোরেশনগুলো ইসরায়েলি বর্ণবৈষম্য থেকে মুনাফার একটি সুযোগ দেখতে পাচ্ছে, এটা যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত ডিজিটাল উপনিবেশবাদের একটি উপজাত৷
এআইয়ের সহায়তায় গণহত্যা
বৃহৎ প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন উপায়ে ইসরায়েলের দখল, স্থানান্তরকরণ ও ফিলিস্তিনিদের হেনস্তার মতো অবৈধ কাজের সহযোগী। এর মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে আলোচিত বিষয়টি হলো ইসরায়েল অধিকৃত এলাকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর নজরদারিতে সহায়তা করা।
২০২১ সালের মার্চ মাসে গুগল ও অ্যামাজন ইসরায়েলি সরকার এবং প্রতিরক্ষা সংস্থাকে ক্লাউড কম্পিউটিং পরিষেবার দেওয়ার জন্য ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এ দুই কোম্পানি ইসরায়েলকে চেহারা শনাক্তকরণ, আবেগ শনাক্তকরণ, বায়োমেট্রিক, জনমিতি–সংক্রান্ত তথ্যসহ অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণ, প্রক্রিয়া এবং বিশ্লেষণ করার ক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে। এটা ‘প্রজেক্ট নিম্বাস’ নামে পরিচিত।
গুগল এবং অ্যামাজনকর্মীরা ‘বর্ণবাদের জন্য প্রযুক্তি নয়’ (নো টেক ফর অ্যাপার্থিড) ক্যাম্পেইন চালুর মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তিটি বাতিলের দাবি করার পর এটি মূলধারার সংবাদমাধ্যমে যথেষ্ট মনোযোগ পায়। এ রকম প্রতিক্রিয়া পূর্বানুমান করে গুগল ও অ্যামাজন তাদের পরিষেবা অব্যাহত রাখার গ্যারান্টি দিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। এখন পর্যন্ত তারা তাদের অবস্থানে অনড় এবং ইসরায়েলকে ক্লাউড কম্পিউটিং পরিষেবা সরবরাহ করে চলছে।
‘নিম্বাস’ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জনসাধারণের কাছে গোপন রাখা হয়েছে। কিন্তু গুগলের কর্মীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এটি ইসরায়েলের এআইনির্ভর সামরিক গণহত্যাকে সহায়তা দিচ্ছে। এ উদ্বেগ আরও বেড়েছে যখন এ রকম খবর প্রকাশিত হয়েছে যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় বোমা হামলার লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য একটি এআইচালিত সিস্টেম ব্যবহার করছে।
এরই মধ্যে সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলমান গণহত্যা সত্ত্বেও গুগল সরাসরি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে। কোম্পানিটি ইসরায়েলি বাহিনীকে তার সম্ভাব্য ‘হিট লিস্ট’–এর জন্য গাজাজুড়ে ফিলিস্তিনিদের মুখ স্ক্যান করতে গুগল ফটোসের চেহারা শনাক্তকরণ পরিষেবা ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে।
সিলিকন ভ্যালি এবং বর্ণবাদী নজরদারি
এআইয়ের সহায়তায় গণহত্যা ‘টিপ অব দ্য আইসবার্গ’ (হিমশৈলের অগ্রভাগ টিপ) মাত্র। কয়েক দশক ধরে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো এবং বিনিয়োগকারীরা নীরবে ইসরায়েলের ডিজিটাল বর্ণবৈষম্যের ব্যবস্থাকে সহায়তা করে আসছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর উদাহরণগুলোর একটি হলো আইবিএম। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী রেজিমকে যারা কম্পিউটার সরবরাহ করেছিল, প্রতিষ্ঠানটি তাদের মধ্যে অন্যতম। প্রযুক্তিগত এই সহায়তা নিয়ে দেশটির সরকার বর্ণবাদী কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
ফিলিস্তিনি ও সিরিয়ার ভূমি এবং জনসংখ্যার ওপর ইসরায়েলের দখলদারির বাণিজ্যিক সম্পৃক্ততা উদ্ঘাটনের জন্য নিবেদিত একটি স্বাধীন গবেষণা কেন্দ্র ‘হু প্রফিটস’। এই সংস্থাটির মতে, আইবিএম ইসরায়েলি জনসংখ্যা, অভিবাসন এবং সীমান্ত কর্তৃপক্ষকে (পিআইবিএ) প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে থাকে। তারা দখলকৃত অঞ্চলে থাকা ফিলিস্তিনি এবং সিরিয়ার জনগণের ওপর নানাভাবে নজরদারি চালায়।
ইসরায়েলের ‘পারমিট’ সিস্টেমের একটি শর্ত হলো ১৬ বছরের বেশি বয়সী ফিলিস্তিনিদের ছবি, ঠিকানা, আঙুলের ছাপ এবং অন্যান্য বায়োমেট্রিক শনাক্তকারীসহ ‘স্মার্ট’ কার্ড বহন করতে হবে। অনেকটা বর্ণবাদী দক্ষিণ আফ্রিকার ‘পাসপোর্ট’ ব্যবস্থার মতো। এ কার্ডগুলো পারিবারিক পুনর্মিলন, ধর্মীয় আচার বা বিদেশভ্রমণসহ যেকোনো উদ্দেশ্যে ইসরায়েলি চেকপয়েন্টগুলোর মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনিদের পারাপার হওয়ার অধিকার নির্ধারণ করে।
বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর সেন্সরশিপ দৈনন্দিন ব্যবহারকারীদের ছাড়াও অন্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। হামাসের মতো রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে বৃহৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। অন্যদিকে তারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনী, সরকার ও অন্য ইসরায়েলি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সহিংস পোস্টের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ দেয়নি।
ইসরায়েলের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ
ইসরায়েলি নজরদারি ব্যবস্থাকে সহায়তা করার পাশাপাশি, সিলিকন ভ্যালি ইসরায়েলি ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন খাতকে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা প্রদান করছে। তারা একটি উচ্চ প্রযুক্তির আধুনিক অর্থনীতি বজায় রাখতে এবং তার বিকাশে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যামাজন, গুগল এবং মাইক্রোসফট—সবাই ইসরায়েলে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ক্লাউড কম্পিউটিং কেন্দ্র চালু করেছে। এটা তথ্য দ্বারা পরিচালিত পণ্য এবং পরিষেবাগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অবকাঠামো সরবরাহ করে। ইন্টেল হলো দেশটির বৃহত্তম বেসরকারি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান, যা ১৯৭৪ সালে সেখানে কার্যক্রম শুরু করে।
অন্যান্য শতাধিক বহুজাতিক কোম্পানির সঙ্গে মাইক্রোসফট ইসরায়েলে নিজস্ব গবেষণা ও উন্নয়নকেন্দ্র স্থাপন করেছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি হাইফাতে একটি চিপ উন্নয়ন কেন্দ্র চালু করেছে। এনভিডিয়া নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে চিপ তৈরিতে ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এই তালিকা অনেক লম্বা। ইসরায়েলের অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপক ভূমিকা দৃশ্যমান রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভূমিকা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোও ইসরায়েলি বর্ণবাদ এবং দখলদারির জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০২২ সালে মেটা পরিচালিত একটি ‘বহিরাগত’ প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের নীতিমালাগুলো ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এবং ইসরায়েলের পক্ষে। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে নির্লজ্জ সেন্সরশিপের দীর্ঘকালের এই চর্চা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
গত ডিসেম্বরে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছিল, মেটা ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ফিলিস্তিনিপন্থী পোস্টগুলো গায়েব ও সেন্সর করা অব্যাহত রয়েছে। একটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ফিলিস্তিনিদের সমর্থনকারী প্রায় সব পোস্টের বিষয়বস্তু ছিল শান্তিপূর্ণ এবং এগুলো সেন্সর করা হয়েছিল। এটা স্পষ্ট যে ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাত থেকে এই পোস্টগুলো অপসারণ করা হয়েছে। সংস্থাটি (মেটা) এমনকি ‘জায়নবাদী’ শব্দটি সেন্সর করার কথাও বিবেচনা করছে।
অন্যান্য যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনপন্থী কণ্ঠকে সেন্সর করার অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে এক্স (সাবেক টুইটার), ইউটিউব এবং এমনকি চীনের মালিকানাধীন টিকটক। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা সরকারগুলো ‘সন্ত্রাসী’ বা ফিলিস্তিনের সমর্থক হিসেবে বিবেচিত বিষয়বস্তু পর্যালোচনা এবং সেন্সর করার জন্য বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সংস্থাগুলোকে চাপ দিচ্ছে।
বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর সেন্সরশিপ দৈনন্দিন ব্যবহারকারীদের ছাড়াও অন্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। হামাসের মতো রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে বৃহৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো। অন্যদিকে তারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনী, সরকার ও অন্য ইসরায়েলি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সহিংস পোস্টের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ দেয়নি।
ডিজিটাল উপনিবেশবাদ
এটা কোনো আশ্চর্যের বিষয় নয় যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৃহৎ টেক কোম্পানিগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে অংশীদারত্ব বজায় রেখেছে, দেশটিতে বিনিয়োগ করছে এবং গণহত্যা ও বর্ণবাদী কার্যকলাপকে সমর্থন করছে। এই বৃহৎ প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে আধুনিক দিনের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এরা যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী শক্তির একটি সম্প্রসারিত রূপ। এরা বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল অর্থনীতিকে দখল করেছে এবং উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে বিভাজনকে শক্তিশালী করেছে। ফলে ডিজিটাল অবকাঠামো এবং জ্ঞান ও মেধার মালিকানার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক দক্ষিণ থেকে সম্পদ আহরণ ও মুনাফা অর্জন করছে।
ডিজিটাল ঔপনিবেশিকতা বৃহৎ প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক শুধু মুনাফার জন্য নয়, তারা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বৃহত্তর ভূরাজনৈতিক স্বার্থের জন্য কাজ করে। এভাবে তারা লাভবান হয়।
ইসরায়েলের জন্য প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর সমর্থন তাদের ভুয়া ভাবমূর্তি উন্মোচন করেছে। এই কোম্পানিগুলো বর্ণবাদবিরোধী ও মানবাধিকারকে সমর্থন করে—তাদের এমন দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। বাস্তবে তারা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের অন্য অঙ্গগুলোর মতোই অপরাধে জড়িত। আমরা যা প্রত্যক্ষ করছি, তা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের টেক জায়ান্টদের দ্বারা পরিচালিত মার্কিন-ইসরায়েলি বর্ণবাদ, ঔপনিবেশিক দখলদারত্ব এবং গণহত্যা।
গাজায় গণহত্যা নিয়ে বিতর্কিত ভূমিকার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য পশ্চিমা সরকারগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার চাপ তৈরি হয়েছে। পশ্চিমা প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ফিলিস্তিনে যা ঘটছে, তার জন্য মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টদের স্পষ্ট দায় রয়েছে। তারা ইতিহাসের ভুল দিকে রয়েছে, ঠিক যেমন তারা বর্ণবাদী দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিল। তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য জনমত তৈরি হচ্ছে।
মিচেয়েল কোয়েট ইয়েল ল স্কুলের ইনফরমেশন সোসাইটির ভিজিটিং ফেলো
আল–জাজিরা থেকে নেওয়া। অনুবাদ: মনজুরুল ইসলাম