পরিবেশ প্রশ্নে উন্নয়ন দর্শনের ভঙ্গুরতা আর কত!

পরিবেশ প্রশ্নে বিশ্বসম্প্রদায় এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সচেতন। বিশ্বের উষ্ণতা কমাতে কিছুটা হলেও চিন্তিত। শিল্পবিপ্লবের শুরু থেকেই জীবাশ্ম জ্বালানির সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য, উন্নত জীবনের সোপানে আরোহণের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দরকারি, কিন্তু পরিবেশ সুরক্ষাহীন প্রয়োগ ও ব্যবহারের মাধ্যমে মনুষ্য সভ্যতা পৃথিবী ও পরিবেশের ওপর নির্বিচার ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়েছে কারণে কিংবা অকারণে, আমাদের জ্ঞাতসারে ও অজ্ঞাতে।

গত দুই শ বছরের মানব প্রজন্মগুলো ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও কারিগরি বিকাশের তৎপরতা চালাতে গিয়ে বিশ্ব পরিবেশের যে ক্ষতি করেছে, তাকে টেকসই করতে আজ নতুন প্রজন্মের ওপর পুরোনো প্রজন্মের জঞ্জাল মোচনের দায় এসেছে। পুরোনো প্রজন্ম এবং শিল্পোন্নত বিশ্ব যেসব সমস্যা তৈরি করে গিয়েছে, সেসব সমস্যা নতুন প্রজন্মকে সমাধান করার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। এ দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই। এটা ঠিক, কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের উন্নত দেশ এবং বৃহৎ অর্থনীতির দায়ই সিংহভাগ।

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মোট কার্বন নির্গমন বাংলাদেশের প্রায় ৪২ গুণ, মার্কিনিদের মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু নিঃসরণের ২১ গুণের কিছু বেশি। তাই প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের উন্নত দেশগুলোকেই বিশ্বের উষ্ণতা হ্রাসের জন্য বিনিয়োগ, নীতি এবং উদ্ভাবনের দিকে থেকে এগিয়ে আসতে হবে। এর মানে এই নয় যে উন্নয়নশীল ও মধ্যম আয়ের দেশের কোনো কিছুই করার নেই। বিনিয়োগের দায় উন্নত বিশ্বের হলেও পলিসিগত বাস্তবায়ন এবং পরিবেশবান্ধব উদ্ভাবন বা ইনোভেশনের চ্যালেঞ্জ সবার। ইউরোপ, আমেরিকা, চীন, ভারত, রাশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য কিংবা প্রাচ্যের উন্নত দেশগুলো শিল্প উৎপাদন এবং উন্নত জীবনমানের জন্য বেশি কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করে বলে আমাদের কিছুই করণীয় নেই—এমন ভাবনাও কিন্তু ক্ষতিকর। আমাদেরও পরিবেশবান্ধব জীবন, উন্নয়ন ও শিল্পের দীক্ষা নিয়ে বর্জ্য, পানি, বন ও শিল্প ব্যবস্থাপনা যথাসম্ভব ঠিক করতে হবে। কেননা বিশ্বের বাতাস, পানি, পরিবেশ পরস্পর আন্তসংযুক্ত। আমরা পরিবেশবান্ধব হয়ে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন পুনরুদ্ধার করতে পারব না, তা-ই শুধু রেজিলিয়েন্স অর্জন করতে হবে, যার জন্য চাই উন্নত বিশ্বের তহবিল। এই উন্নয়নের দর্শন যৌক্তিক। এতে বাংলাদেশের উপকূলীয় লবণ পানি ও ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড়ের আগ্রাসনে পড়া মানুষকে, নদী অববাহিকার খরা ও বন্যাপীড়িত মানুষকে জলবায়ু সুরক্ষা দেওয়ার মহৎ দিক আছে।

পরিবেশ প্রশ্নে বাংলাদেশের উন্নয়ন মডেল একেবারেই ভঙ্গুর। একটি প্রকল্পের অর্থনৈতিক উপযোগ থেকে এর পরিবেশ দূষণ-সম্পর্কিত ক্ষয়ক্ষতি, স্বাস্থ্য ও দারিদ্র্য তৈরির অনুষঙ্গগুলো বাদ দিয়েই উন্নয়ন সমীক্ষা প্রণয়ন দরকার। আমাদের শহরের বাতাস বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ে দূষিত, খাদ্যে বিষ ও ভেজাল, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিতান্তই হীন, নদীর পানি কৃষির রাসায়নিক ব্যবস্থাপনায় টেকসই নেই। আমাদের রপ্তানিমুখী শিল্পমাত্রই উন্মুক্ত বর্জ্য উৎপাদনকারী, পরিবেশ দূষণের উৎস। উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশগত ঝুঁকিগুলোকে আমলে নিয়ে এবং তার বিপরীতে পর্যাপ্ত পরিবেশগত সুরক্ষা নেওয়ার সংস্কৃতি তৈরির চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সময় হয়েছে আমাদের।

তাই বলে যাচ্ছেতাই বন, পাহাড় কেটে উজাড় করে ফেলব, ৪০ বছর ধরে পলিথিন ও প্লেট-বোতল খালে-বিলে, নদী ও সাগরে ফেলব, মধুপুর বন, সুন্দরবন ও চকরিয়া সুন্দরবন, প্যারাবন উজাড় করে আবাসন ও রান্নার জ্বালানি জোগাব, শিল্পের বর্জ্য পরিশোধন না করে প্রাকৃতিক জলাশয়ে ফেলব, দৈনন্দিন আবর্জনা উন্মুক্ত ল্যান্ডফিল করব, কৃষিতে নির্বিচার রাসায়নিক প্রয়োগ করব, ইলেকট্রনিক, মেডিকেল ও ব্যাটারি বর্জ্য নিয়ে নির্বিকার থাকব, উন্নয়ন প্রকল্পের ইটিপি গাইডলাইন থোড়াই কেয়ার করব—এসব কোনোভাবেই বোধগম্য হতে পারে না। এমন হীনচর্চা বন্ধ করা চাই। শিল্পায়ন ও জীবনমানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের মাথাপিছু বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ভোগ ঐতিহাসিকভাবেই কম। যেহেতু নব্বই দশকের পর শিল্পায়ন ক্রমাগত গতি পেয়েছে, তাই মাথাপিছু বিদ্যুৎ ব্যবহার বাড়ছে, বাড়ছে দূষণ। বাংলাদেশের মাথাপিছু সবুজ বিদ্যুৎ ব্যবহার বাড়ানোর হার ও কৌশল পশ্চাৎপদ। পরিবেশ দূষণ কমানোর হার সন্তোষজনক নয়।

মানুষের জীবন বাঁচাতে ও জীবন সাজাতে দরকারে কিংবা অদরকারে বিজ্ঞানের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির যে ছোঁয়া লেগেছে, তার প্রভাব উন্নত বিশ্বের গণ্ডি পেরিয়ে উন্নয়নশীল বিশ্বে পৌঁছে গেছে চীনের সাশ্রয়ী উৎপাদনের মডেলের হাত ধরে। কার্বনসহ অপরাপর গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে উন্নয়নশীল ও মধ্যম আয়ের দেশও এগিয়ে গেছে। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মোট কার্বন নির্গমন বাংলাদেশের প্রায় ৪২ গুণ, কিন্তু এর মাত্র কয়েক বছর আগেই তা ছিল ৬০ গুণ। অন্যদিকে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু নিঃসরণের ২১ গুণের কিছু বেশি, কিন্তু এর মাত্র কয়েক বছর আগেই তা ছিল ৩১ গুণ।

সবুজ জ্বালানির ব্যবহার কিছুটা বেড়ে মার্কিনিদের মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ কমে আসছে, বাংলাদেশের মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ সময়ের সঙ্গে বাড়ছে। উন্নত বিশ্বের আরও বেশি হারে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানো নিশ্চিত করে নেট জিরোর দিকে যেতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়নশীল বিশ্বেরও সবুজ জ্বালানি ব্যবহারে সচেতন হতে হবে। পানি, শিল্প বর্জ্য, কৃষি ব্যবস্থাপনাকে পরিবেশসম্মত টেকসই ধারায় ফেরাতে হবে। আমাদের এক বিশ্ব, এক পানি, এক সাগর। বিশ্বের প্রায় সব সম্পদ শেয়ারড, প্রাকৃতিক সম্পদের সবকিছু পরস্পর সংযুক্ত।

বর্তমান সময়ে সরকার প্রশাসন ও রাষ্ট্রের পাশাপাশি বিশ্বে ব্যক্তিজীবনেও কার্বন নিঃসরণ কমানোর ব্যাপারে আলোচনা আছে। কম সন্তান নেওয়া, কম মাংস খাওয়া, ফার্মিং কমানো বা বিমান যোগাযোগ কমানোর মতো বিষয়ে ইউরোপ, আমেরিকাসহ উন্নত বিশ্বে ব্যাপকভাবে আলোচিত। এসব গুরুত্বপূর্ণ। তথাপি যা ব্যাপকভাবে বলা হয় না, তা হচ্ছে—কম বিয়ার, ওয়াইন, অর্থাৎ অ্যালকোহল পান করা (ওই আঙুর ও দ্রাক্ষাক্ষেত্রগুলোর অধিকাংশই আগে বনাঞ্চল ছিল!)। কম পিৎজা খাওয়া, চিজ বা পনিরভিত্তিক শিল্প খাবারের কম উৎপাদন, সাধারণভাবে খাবারের কম অপচয় ইত্যাদি কম আলোচিত। আমরা ওয়ান টাইম গার্মেন্টস ও ফ্যাশন-পণ্য নিয়ে ভাবিত নই। ফ্যাশন এবং প্রসাধনী শিল্পের মিহি পদার্থের ব্যাপক দূষণ এবং সেসবের মাইক্রো বর্জ্য নিয়ে কথা বলি না!

উন্নত জীবনযাপনকারীরা মাইক্রোপ্লাস্টিক নিয়ে একেবারেই সচেতন নই। ওয়ান টাইম প্লাস্টিক, সিনথেটিক সুতার মাইক্রোপ্লাস্টিক, ওয়াশিং মেশিন ও ডিশ ওয়াশ মেশিনে পানির অতিরিক্ত ব্যবহার, ওয়াশিং মেশিনের মাইক্রোফাইবার, কৃষির রাসায়নিক, স্বাস্থ্যঝুঁকি, অতিরিক্ত ডিভাইস ব্যবহারের গ্রিনহাউস নির্গমন, অদরকারে আবাসিক বাণিজ্যিক পার্কিং ও শিল্প এলাকার সর্বত্র কংক্রিট থেকে ঢাকা পেভমেন্ট ইত্যাদির পরিবেশ দূষণ নিয়ে চিন্তিত নই। উন্নত বিশ্বে লাখো কৃত্রিম টার্ফ ফুটবল ও হকি মাঠে গ্রাউন্ড টায়ার রাবার কুশনিং প্লাস্টিক বর্জ্যের (মাইক্রোপ্লাস্টিকসহ) নদীতে মেশা নিয়ে বেখবর। প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী শত শত মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদিত হয়, যার এক-তৃতীয়াংশের গন্তব্য মাটি ও পানি। শুধু একবার একটি সিনথেটিক জ্যাকেট বৈদ্যুতিক মেশিনে ধোয়ার কারণে গড়ে দেড় গ্রামের বেশি মাইক্রোফাইবার তৈরি হয়। একটি ওয়াশিং মেশিন প্রতিবার কাপড় ধোয়ায় যে কয়েক লাখের মাইক্রোস্কোপিক প্লাস্টিকফাইবার পরিবেশে উন্মুক্ত হয়, তার চূড়ান্ত গন্তব্য নদী, কৃষিজমি ও সাগর। এসব নিয়ে উন্নত বিশ্বের মানুষ কিংবা ধনী পরিবারের সন্তানদের শিক্ষা দেওয়া হয় না। পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু সুরক্ষার শিক্ষা দেওয়া হয় পলিটিক্যাল ইকোনম, ভূরাজনীতি এবং করপোরেট বাণিজ্যের স্বার্থের সীমার ভেতরে থেকে।

ইউরোপে কম ফ্লাই করা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, তবু ‘ফার্স্ট ক্লাস’, প্রাইভেট জেট বন্ধ নিয়ে কথা নেই, আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে ‘স্পেস টুরিজম’-এর প্রতিবাদ নেই। আমাদের হিপোক্রেসিগুলো নিয়েও ভাবতে হবে। প্রতিটি পণ্য এবং সেবার পেছনে কী পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড ও গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হয়, তার বিবেচনাভিত্তিক ক্রয় এবং জীবনযাপনই ব্যক্তিজীবনেও কার্বন নিঃসরণ কমানোর ব্যাপারটা টেকসই করবে।
নতুন সহস্রাব্দের শুরুতে ২০০০ সালে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বা সহস্রাব্দ উন্নয়ন অভীষ্ট নামে ১৫ বছর মেয়াদি লক্ষ্যমাত্রা প্রবর্তন করে বিশ্বের দেশগুলো। প্রকৃতপক্ষে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল বা এমডিজিতে পরিবেশগত ক্ষতির পর্যাপ্ত বিবেচনা ছাড়াই উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়া হয়। এমডিজির সময়সীমার শেষে, বিশ্বব্যাপী পরিবেশিত বিপর্যয়গুলো প্রকট হয়। আসলে এমডিজির মাধ্যমে পরিবেশকে মহাবিপর্যয়ের পথে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় দেশে দেশে উন্নয়ন হয়েছে, তবে তা টেকসই ছিল না। বরং বেশ ভঙ্গুর ছিল (ফ্রেজাইল ডেভেলপমেন্ট)। এমডিজির পর ২০১৫ সাল থেকে পরিবেশের ক্ষতি না করেই সার্বিক উন্নয়নের কৌশলগত পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিতে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট’ (এসডিজি) নেওয়া হয়। এখানে ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত, পরিবেশ দূষণমুক্ত সুরক্ষিত নিরাপদ বিশ্ব গড়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে।

বিশ্ব পরিবেশগত স্থায়িত্ব বা এনভায়রনমেন্টাল সাস্টেইনেবিলিটি নিয়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। ভবিষ্যতের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করা, বিশ্বব্যাপী বাস্তুতন্ত্র রক্ষা করা, এর দায়িত্ব নেওয়া, স্বীকৃতি দেওয়া অভীষ্টগুলোর প্রধান উদ্দেশ্য। প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন, পানি ব্যবস্থাপনা-সম্পর্কিত সমস্যা, সামুদ্রিক সমস্যা, জীববৈচিত্র্য এবং বাস্তুতন্ত্র, চক্রাকার অর্থনীতি, রাসায়নিক ও বর্জ্যের পরিবেশগতভাবে সুব্যবস্থাপনাকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে টার্গেট দিয়েছে এসডিজি। তাই মিথ্যা পরিসংখ্যান মিলিয়ে সূচকের লক্ষ্য অর্জন নয়, বরং এসডিজির পরিবেশগত সূচক ও টার্গেটগুলোকে সৎভাবে মেনে, সেগুলোর নিখুঁত বাস্তবায়ন করা বাংলাদেশের সরকার ও প্রশাসনের দায়িত্ব ও কর্তব্য।

পরিবেশ প্রশ্নে বাংলাদেশের উন্নয়ন মডেল একেবারেই ভঙ্গুর। একটি প্রকল্পের অর্থনৈতিক উপযোগ থেকে এর পরিবেশ দূষণ-সম্পর্কিত ক্ষয়ক্ষতি, স্বাস্থ্য ও দারিদ্র্য তৈরির অনুষঙ্গগুলো বাদ দিয়েই উন্নয়ন সমীক্ষা প্রণয়ন দরকার। আমাদের শহরের বাতাস বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ে দূষিত, খাদ্যে বিষ ও ভেজাল, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিতান্তই হীন, নদীর পানি কৃষির রাসায়নিক ব্যবস্থাপনায় টেকসই নেই। আমাদের রপ্তানিমুখী শিল্পমাত্রই উন্মুক্ত বর্জ্য উৎপাদনকারী, পরিবেশ দূষণের উৎস। উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশগত ঝুঁকিগুলোকে আমলে নিয়ে এবং তার বিপরীতে পর্যাপ্ত পরিবেশগত সুরক্ষা নেওয়ার সংস্কৃতি তৈরির চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সময় হয়েছে আমাদের।

পরিবেশবিষয়ক ইস্যুগুলোকে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে সংযোগ ঘটিয়ে দিতে ব্যাপক শিক্ষা ও গবেষণা উদ্যোগও দরকার।

  • ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব টেকসই উন্নয়নবিষয়ক লেখক। গ্রন্থকার: চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও বাংলাদেশ; বাংলাদেশ: অর্থনীতির ৫০ বছর; অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবিত কথামালা; বাংলাদেশের পানি, পরিবেশ ও বর্জ্য।
    ইমেইল: [email protected]