তরল দুধের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে গেলে কার লাভ

কাঙ্খিত মূল্য না পাওয়ায় অনেক সময় এভাবে রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ জানান খামারিরা
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

লোকগল্পটি পাবনা অঞ্চলের। ছামেদ আলী (কল্পিত নাম) নামের এক ব্যক্তি গেছেন নদীর চরে ঘাস কাটতে। ঘাস বেশ লকলকে হয়েছে। খুশি মনে কেটে বস্তায় ভরছেন। গরু কাঁচা ঘাস খেলে দুধ ভালো হয়।

এমন সময় গ্রামের একটি ছোকরা পড়িমরি করে এসে খবর দিল, ছামেদের ছেলে হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত, এখনই যেন তিনি ঘরে ফিরে যান। কিন্তু ছামেদ নিরুত্তর। ঘাস কেটেই চললেন। ঘণ্টাখানেক পর গ্রামের সেই ছোকরা আবার খবর নিয়ে এল, ‘ছামেদ ভাই, তোমার লাল গরুটা সকাল থেকে কিছু খায়নি। কেমন যেন ঝিমোচ্ছে।’ ছামেদ আলী ঘাস কাটা ফেলে দৌড়ে ঘরে ফিরে গেল। কথা বলতে লাগল লাল গরুটার সঙ্গে। কপাল, পিঠ, পা টিপতে লাগল। ব্যস্ত হয়ে পড়ল গরুর সেবায়।

গল্পটি পাবনা-সিরাজগঞ্জের অনেক মানুষেরই জানা। সেখানকার কৃষক বা খামারিরা গরু লালন–পালনকে কতটা হৃদয় থেকে ভালোবাসে, এ গল্প থেকে তা বোঝা যায়।
কিন্তু এখন কেমন আছেন পাবনা-সিরাজগঞ্জসহ সারা দেশের খামারিরা, দুধ বেচে তাঁরা কতটা ধনী হলেন, আজ এ বিষয়ে একটু হাঁড়ির খবর নেওয়া যাক।

তার আগে পাড়ার মুদিদোকানে খোঁজ নিয়ে আসি। সেখান থেকে জানা গেল, তরল দুধ প্রতি লিটার ৯০ টাকা। মিল্কভিটাসহ দেশে যে কয়টি কোম্পানি দুধ বিক্রি করে, সবই একই দামের। স্থানীয় খামারের প্যাকেটজাত দুধ পাড়ামহল্লার দোকানগুলোতে লিটারে দু-তিন টাকা কমে পাওয়া যেত, এখন আর তা–ও নেই, সবই সমানে সমান।

যে পথ দেখায়, সে থাকে এগিয়ে। এ ক্ষেত্রে সব সময় পথ দেখায় মিল্ক ভিটা। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড বা মিল্ক ভিটা দেশের তরল দুধের বাজারের প্রায় ৭০ শতাংশের জোগান দেয়। এরা প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে সাধারণ ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে। এই মিল্ক ভিটা কোম্পানি দাম কমানোর উপায় না খুঁজে নিয়মিতভাবে দাম বাড়ায় সবার আগে। আর মিল্ক ভিটা বাড়ালেই অন্যদের পথ সুগম হয়। বছরের পর বছর এভাবেই চলছে, যার ফল এখন দুধের লিটার সেঞ্চুরি হতে ১০ টাকা কম। সামনে রমজান মাস। রমজানে দুধের চাহিদা বেশি থাকে। যত দূর খবর পেলাম, আরেক দফা দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা ভেতরে-ভেতরে শুরু হয়ে গেছে। যেকোনো দিনই শুভমুক্তি!

২.

দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। শারীরিক শক্তি–সামর্থ্য মজবুত করতে বা ঠিক রাখতে দুধের বিকল্প নেই। কেবল শিশু-কিশোর নয়, তরুণ, মধ্যবয়সী ও বয়সী—সব মানুষেরই নিয়মিত দুধ পান করা অপরিহার্য। যদিও এ দেশের মানুষের গরুর দুধ পানের সুযোগ ও দুধের জোগান চাহিদার তুলনায় কম। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে জনপ্রতি দুধ পানের যে পরিমাণ, সে তুলনায় আমাদের দেশে এ হার নগণ্য।

এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি পণ্যের মূল্যই সাধারণ ও স্বল্প আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। শহর-গ্রামনির্বিশেষে এখন বেশির ভাগ মানুষেরই দুটো ডাল-ভাত জোগাড় করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। সেখানে ৯০ টাকা লিটারে দুধ কিনে খাওয়ার মতো ‘বিলাসিতা’ কজনের আছে!

গত সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে ঢাকার পাশে একটি জেলায় গিয়েছিলাম, যেখানে প্রায় সাত শ মানুষ হাজির ছিলেন। অনেকের সঙ্গে কথা হলো। অনেকের পোশাক-আশাক, চেহারা দেখেই যেন অনেক কথা বলা হয়ে গেল। বলা যেতে পারে, স্বল্প আয়ের মানুষ ভালো নেই। বিশেষ করে যাঁরা বেসরকারি চাকরিতে নিয়োজিত, আবার যাঁদের মাইনাপত্র ঠিক নেই, তাঁদের অবস্থাটা বেশ সঙিন। জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধির এই দিনে বাসাভাড়া, চাল–ডাল–তেল–নুন, ওষুধপত্র, জামাকাপড়, সন্তানের স্কুলের বেতন কীভাবে তাঁরা জোগাড় করছেন, আমরা কজন সে খবর রাখি। দু-একজন বললেন, দিনে এক পোয়া, আধা সের দুধ কেনা হয় কেবল ঘরের ছোটদের জন্য।

স্মৃতি যদি ফাঁকি না দেয়, তাহলে বলতে পারি, ১৯৯২–৯৩ সালে যখন আমি মাধ্যমিকের ছাত্র, তখন এক কেজি দেশি চাল (কিংবা মোটা) ও এক লিটার দুধের দাম ছিল প্রায় সমান। আর পাঁচ কেজি চাল বা দুধের দামে এক কেজি গরুর মাংস পাওয়া যেত। অর্থাৎ এক কেজি দেশি চালের দাম ছিল আট টাকা। এক লিটার দুধের দামও তা–ই। আর এক কেজি গরুর মাংসের দাম ৪০ টাকা। অবশ্য তখন এই ‘অল্প টাকা’ দিয়েও দুধ বা গরুর মাংস কিনে খাওয়ার লোক মফস্বলে কমই ছিল।

এখন এক কেজি মোটা চাল ৬০ টাকার কাছাকাছি। এক লিটার তরল দুধ ৯০ টাকা। এক কেজি গরুর মাংসের দাম ৭৫০ টাকা।

আয় ঠিক থাকলে মূল্যবৃদ্ধি কখনো কখনো সমস্যা হয় না। কিন্তু আয় তো কমছেই। ১ ডিসেম্বর ২০২২ প্রথম আলোর প্রতিবেদন বলছে, ৩৭ শতাংশ মানুষের আয় কমেছে, বেশির ভাগ মানুষের সংসারের ব্যয় বেড়ে গেছে। ফলে কম আয়ের লোকদের কাছে এই চড়া দামে দুধ কিনে খাওয়া অগ্রাধিকার নয়।

আরও পড়ুন

৩.

তবে কি খামারিরা অনেক বেশি মুনাফা করছেন, যে কারণে দাম এত বেশি? এবার তাকানো যাক সেদিকে। সাম্প্রতিক সময়ে সিরাজগঞ্জ ও পাবনা অঞ্চলের কয়েকজন ছোট ও মাঝারি খামারির সঙ্গে কথা হলো। তাঁরা যে হিসাব দিলেন, তাতে তাঁরাও বিশেষ কোনো মুনাফা করতে পারছেন বলে মনে হলো না। একটা সংকর জাতের গরু দিনে গড়ে দুধ দেয় ১২ লিটার। আর খাবার খায় দিনে গড়ে ৫০০ টাকার। এর সঙ্গে যুক্ত হয় গরুর বাসস্থান নির্মাণ, ওষুধ ও কর্মচারীদের বেতন খরচ। এটা ধরলে প্রতি কেজি দুধের উৎপাদন খরচ পড়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। কোনো কোনো খামারির উৎপাদন খরচ আরও বেশি।

কিন্তু মিল্ক ভিটার কাছে বিক্রি করতে হয় ৪০ থেকে ৪৫ টাকা (দুধের ফ্যাটের মাত্রা অনুযায়ী দাম নির্ধারিত হয়)। মিল্ক ভিটার চেয়ে অন্য কোম্পানিগুলো দু-এক টাকা বেশি দেয়। আর স্থানীয় বাজারে দুধ বিক্রি হয় ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। কোম্পানিগুলো যে দাম দেয়, তার চেয়ে স্থানীয় বাজারে সব সময় ১৫ থেকে ২০ টাকা বেশি থাকে। কিন্তু যেসব খামারি সমিতির সদস্য, তারা আইনত বাইরে দুধ বেচতে পারেন না। আবার যিনি সমিতির সদস্য নন, তিনি যদি ছোট বা মাঝারি খামারি হয়ে থাকেন, তাঁর জন্য রোজ পাত্রে করে দুধ নিয়ে বাজারে গিয়ে বিক্রি করা বা দোকানে দোকানে সরবরাহ করা বিরাট ঝক্কির। তাঁর চেয়ে সমিতির সদস্য হওয়াই একরকম ভালো।

তাহলে উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে মিল্ক ভিটাসহ অন্য কোম্পানিগুলোর কাছে খামারিরা দুধ বেচে কীভাবে পোষান, এমন প্রশ্ন করেছিলাম কয়েকজনকে। তাঁদের জবাব, না পোষালেও কোম্পানিকে দুধ দিতে হচ্ছে। কারণ, দীর্ঘদিন তাঁরা এ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। কোম্পানিগুলো সপ্তাহে এক দিন টাকা দেয়। সেই টাকা দিয়ে গোখাদ্যের দোকানের বাকি পরিশোধ করেন। কর্মচারীদের বেতনের কিছু অংশ দেন। এভাবেই টেনেটুনে চলছে।

অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, উৎপাদনকারীরা সুখে নেই, ভোক্তারাও নন। তাহলে সুখে আছেন কারা? তবে কি গোখাদ্য বিক্রেতারাই সবচেয়ে সুখে আছেন?

বাজারে গোখাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। প্রতি কেজি গমের ভুসি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। প্রতি কেজি খইল ৭৫ থেকে ৯০ টাকা। প্রতি কেজি ধানের কুড়া ১৮ থেকে ২২ টাকা, প্রতি কেজি চিটাগুড় ৫৫ থেকে ৮০ টাকা, খড় প্রতি মন ৫৫০ টাকা। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর বাড়াবিল এলাকার খামারি আতাউর রহমান বলছিলেন, গোখাদ্যের মূল্য যেমন বেশি, তেমনি এ খাদ্যের গুণগত মান একেবারেই ঠিক নেই। গমের ভুসিতে ভেজাল করা হচ্ছে। এর সঙ্গে মেশানো হচ্ছে ধানের কুড়া। এতে খামারির খরচ বেশি হচ্ছে, দুধ উৎপাদন হচ্ছে কম।

একজন খামারি জানালেন, দাম বেশি হওয়ার কারণে তিনি খইল খাওয়ানো বাদ দিয়েছেন। এতে তাঁর দুধ উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে। ষাঁড়ের ওজন কমছে। কিন্তু কিচ্ছু করার নেই।

বাস্তবতা হচ্ছে, গোখাদ্যের দাম এত বাড়ছে কেন, তা খতিয়ে দেখা ও তদারকির জন্য তেমন তৎপরতা চোখে পড়ে না। খামারিরা বলছেন, নিশ্চিতভাবে এর মধ্যে আমদানিকারক ও মিলারদের কারসাজি রয়েছে। কিন্তু তাঁদের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে? সাবধান, তাঁরা কিন্তু প্রভাবশালী!

গরু লালন–পালন, দুধ উৎপাদন এখন আর সিরাজগঞ্জ-পাবনা এলাকায় সীমাবদ্ধ নেই। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, বিশেষ করে ভারত থেকে গরু আমদানি নিষিদ্ধ হওয়ার পর আমাদের দেশে খামারের সংখ্যা বাড়ছেই। এটা ভালো দিক। ইংল্যান্ড-আমেরিকা থেকে লেখাপড়া করে এসে অনেক তরুণ খামারের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। এটা বড় আশার জায়গা।

৪.

পাবনা ও সিরাজগঞ্জ অঞ্চলে গরুর খামার, দুধ উৎপাদনের ইতিহাস বহু পুরোনো। দেশভাগেরও আগে ওই অঞ্চলের দুধ, ঘি, মাখন কলকাতার বাজারে সরবরাহ করা হতো। একশ্রেণির মানুষ সস্তায় দুধ কিনে কলকাতায় পাঠাতেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শাহজাদপুরে জমিদারি দেখার কাজে এলে সেখানকার ঘোষদের দুধ, ঘি, দধি খুব পছন্দ করতেন। খাঁটি গাওয়া ঘি সংগ্রহ করে তাঁর জোড়াসাঁকোর বাড়িতে পাঠাতেন।

একটি লেখায় পড়েছি, একদিন এক ঘোষ কবিকে বললেন, ‘আর বোধ হয় আপনাদের ভালো দুধ, ঘি খাওয়াতে পারব না বাবু।’ রবীন্দ্রনাথ এর কারণ জানতে চাইলে ঘোষ জানালেন, ‘গরু চরাবার মাঠ নেই। গরুকে ভালো ঘাস না খাওয়ালে ভালো দুধ–ঘি হবে কী করে?’ এ কথা শুনে কবি বুড়িপৌতাজিয়া ও রামকান্তপুর মৌজার বিস্তৃত ভূখণ্ড গোচারণের জন্য বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন। সেই বাথান এখনো আছে। এ জমির একটি অংশেই মিল্ক ভিটার মূল কারখানা ও অফিস অবস্থিত।

কালে কালে আমাদের মিল্ক ভিটার বয়সও কম হলো না। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কোম্পানি না পেরেছে খামারিদের আস্থা অর্জন করতে, না পেরেছে ভোক্তাদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে দুধ-মিষ্টান্ন নিয়ে হাজির হতে। এমনকি অনেক জেলাতেই এখনো শীতলীকরণ যন্ত্র বসাতে পারেনি। গরুর জাত উন্নত করতে যেমন মিল্ক ভিটার ভূমিকা জোরালো হওয়া দরকার ছিল, তেমনি ঘাসের বন্দোবস্ত বিষয়েও এ সমবায় কোম্পানিকে নতুন করে ভাবতে হবে। কেবল খামারিদের কাছ থেকে দুধ কেনা আর জনগণকে বেশি দাম তা গেলানো, মিল্ক ভিটার কাজ কতে পারে না। সর্বতোভাবে যদি খামারিদের পাশে দাঁড়াতে না পারে, তাহলে এটা কিসের সমবায় কোম্পানি? এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটিকে ঘিরে অনেক অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার খবরও সংবাদপত্রে আসে। কখনো কখনো নষ্ট থাকে এদের শীতলীকরণ যন্ত্র। এতেও প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে আস্থাহীনতা তৈরি হয়। রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ ছাড়া খামারিদের আর কীই–বা করার থাকে।

গরু লালন–পালন, দুধ উৎপাদন এখন আর সিরাজগঞ্জ-পাবনা এলাকায় সীমাবদ্ধ নেই। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, বিশেষ করে ভারত থেকে গরু আমদানি নিষিদ্ধ হওয়ার পর আমাদের দেশে খামারের সংখ্যা বাড়ছেই। এটা ভালো দিক। ইংল্যান্ড-আমেরিকা থেকে লেখাপড়া করে এসে অনেক তরুণ খামারের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। এটা বড় আশার জায়গা।

তরল দুধ বিক্রির জন্য খামারিদের কেবল কোম্পানির ওপর নির্ভরশীল হলে চলবে না। অনলাইনে কীভাবে বিক্রি করা যায়, তা–ও ভাবতে হবে। এ খাতে তথ্যপ্রযুক্তির প্রবেশ ঘটাতে হবে।

শেষে এসে শুরুর কথায় আবার আসা যাক। ৯০ টাকা লিটার, তরল দুধের এই দাম এরই মধ্যে নাগালের বাইরে। সামনে কী হবে, ধারণা করাই যায়। অপর দিকে আমদানি করা গুঁড়ো দুধের দামও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। ৫০০ গ্রামের একটি প্যাকেট ৩৬০ টাকার নিচে নেই। গুঁড়ো দুধ যতই ভালো হোক, তা তরল দুধের মতো স্বাদের নয়। ফুটপাতের টংদোকানে যদি লেখা থাকে ‘গরুর দুধের চা’, আমরা খেতে বসে যাই।

তাই তরল দুধের দাম অবশ্যই সাধারণের নাগালের মধ্যে রাখার উপায় বের করতে হবে। দাম বাড়ানোর কারণে সাধারণ মানুষ তরল দুধ কিনতে না পারলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। এটা এখনই ভেবে রাখা ভালো।

  • কাজী আলিম-উজ-জামান প্রথম আলোর উপবার্তা সম্পাদক
    [email protected]