গাজা যুদ্ধ বিশ্বকে যেদিকে নিয়ে যাচ্ছে

গাজায় হামলা বন্ধ করতে লেবাননের বৈরুতে মার্টায়ার্স স্কয়ারে ফিলিস্তিনি ও লেবানিজ শিশুরাছবি: এএফপি

বিশ্বে দুটি বড় যুদ্ধ চলছে এখন। এই লেখা তৈরির সময় ইউক্রেনে ৬৭৪তম দিনের মতো বোমা পড়ছিল। গাজা যুদ্ধও শিগগির শততম দিন ছোঁবে। ২৫ মাইল আয়তনের একটা জায়গায় প্রতিদিন গড়ে ৩০০ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে।

গাজা সংঘাতের সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধের বড় এক ফারাক নিশ্চয়ই ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের গণহত্যার ধরনে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ যেভাবে ওই দেশের সীমানায় চলছে, গাজা যুদ্ধ সেই তুলনায় ভিন্ন চেহারা নিয়েছে।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সহযোগিতায় ইয়েমেনে হুতি, লেবাবনে হিজবুল্লাহ, সিরিয়ায় আসাদ সরকার, ইরাকে ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স সরাসরি যে ভূমিকা রাখছে, সেটা স্পষ্ট। এটা ইসরায়েলের বিপরীতে ইরানের উচ্চাভিলাসী এক সামরিক ছকের কথাও জানাচ্ছে।

তেহরানের এই পরিকল্পিত ছক যে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক ভারসাম্যে পালাবদলের স্পষ্ট ইঙ্গিত, সেটা ২০২৩-এর অক্টোবর থেকে বেশ খোলাসা হলো।

প্রশ্ন উঠেছে, ইউরোপ-আমেরিকার ভুল মধ্যপ্রাচ্য নীতির ফলেই এমন ঘটতে চলেছে কি না। এর ফলই–বা কী দাঁড়াবে?

আরও পড়ুন

ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ কয়েক দশকের। কেবল গাজাতেই গত ১৭ বছরে ৫ দফায় যুদ্ধ হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের যোদ্ধারা যখন নতুন করে প্রতিরোধ সংগ্রামে নামেন, তখন রাষ্ট্রীয়ভাবে সবচেয়ে জোরালো ও শর্তহীন সমর্থন দিয়েছে কেবল ইরান। এটা এখন আর কেউ লুকায় না, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের বিভিন্ন উপদলের সঙ্গে তেহরানের গভীর সম্পর্ক আছে।

সুন্নিপ্রভাবিত ইসলামি ব্রাদারহুডের সূত্রে হামাসের জন্ম হলেও ইসরায়েলের মুখোমুখি হওয়ার সাহস পেয়েছে তারা ইরানের সামরিক মদদে। সুতরাং গাজা যুদ্ধে পরোক্ষে হলেও ইরান আছে। যেভাবে ইসরায়েলের পাশে ওয়াশিংটন আছে বহুকাল।

এ যুদ্ধ শুরুর পর সবাই ধরে নিয়েছিলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই শেষ হবে এটা। ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা বেশি সময় টিকে থাকতে পারবেন না। ইয়েমেনের হুতি ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মতো সামরিক শক্তিগুলো যে এই যুদ্ধে নির্ধারক শক্তি হয়ে উঠবে, সেটা অনেকের প্রাথমিক বিবেচনায়ই ছিল না। হুতিদের অংশগ্রহণে এই যুদ্ধ ইতিমধ্যে লোহিত সাগর পর্যন্ত ছড়িয়েছে। আবার তাদের তৎপরতা রুখতে ভারত পর্যন্ত গাজা যুদ্ধে পরোক্ষ শরিক এখন।

আরও পড়ুন

ইয়েমেন উপকূলের অদূরে আরব সাগরে জাহাজ চলাচলে হামলা রুখতে ভারতের তিনটি যুদ্ধজাহাজ সেখানে অবস্থান নিয়েছে সম্প্রতি। যদিও আরব সাগরে ভারতের অবস্থান ইয়েমেনের উল্টো দিকে, কিন্তু তাদের কাছাকাছি জলসীমায় ২৩ ডিসেম্বর লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাপানি মালিকানাধীন তেলের ট্যাংকারে ড্রোন হামলার দুই দিন পর নয়াদিল্লি নতুন পদক্ষেপের কথা জানাল। জাপানি মালিকানাধীন জাহাজটি হামলার পর মুম্বাইয়ে নোঙর করে। এতে হুতিরা হামলা করেছে কি না, সেটা স্পষ্ট নয়। তবে লোহিত সাগরে ইসরায়েলে আসা-যাওয়ার চেষ্টাকারী যেকোনো জাহাজে হামলা চালানোর কথা হুতিরা বহু আগেই জানিয়েছে এবং বেশ কয়েকটি জাহাজে অভিযানের ভিডিও প্রকাশ করেছে।

বিশ্ববাণিজ্যের প্রায় ১২ শতাংশ লোহিত সাগর ব্যবহার করত এত দিন। ২৫ ডিসেম্বর এশিয়া টাইমস লিখেছে, লোহিত সাগরে হুতিদের নিখুঁত নজরদারি বলছে, তারা এ কাজে স্বয়ংক্রিয় ‘ট্র্যাকিং সিস্টেম’–এর পাশাপাশি হয়তো ইরানের রাডার ব্যবস্থার সহায়তা নিচ্ছে।

জলপথে গোপনে চলাচল কঠিন। আবার শিপ রেজিস্ট্রেশন–সংক্রান্ত তথ্যও গোয়েন্দাদের কাছে দুষ্প্রাপ্য নয়। মনে হচ্ছে, এ রকম সব সহায়তা হুতিরা পাচ্ছে। সে জন্য ওই অঞ্চলের পণ্যবোঝাই জাহাজগুলো নিরাপত্তার খাতিরে এখন ভিন্ন জলপথে আসা-যাওয়া করে। তাতে খরচও বাড়ছে। এ–ও একধরনের যুদ্ধই বটে।

আমেরিকার ক্যাম্পাসগুলোতে কেফিয়া পরা তরুণদের সংখ্যাও বেড়ে গেছে। ইহুদিরা ইউরোপ-আমেরিকায় ঐতিহাসিকভাবে যে সহানুভূতি পেত, গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতার পর সেই স্রোত বইছে ফিলিস্তিনিদের দিকে। অনেক লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী ইসরায়েলপন্থী বহু প্রতিষ্ঠান ও অনুষ্ঠান বর্জন করছেন। বলা যায়, ইউরোপ-আমেরিকায় ইহুদি প্রভাবের একচেটিয়াত্ব গভীর এক সামাজিক চ্যালেঞ্জে পড়েছে গাজায় নিহত হাজার হাজার নারী ও শিশুর রক্তের বিনিময়ে।

হুতিদের এই ভূমিকা ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সমর্থনে হলেও হামাসের মতো তাদেরও সামরিক অভিভাবক ইরান। সে কারণে গাজা যুদ্ধ যে লোহিত সাগর ও আরব সাগর পর্যন্ত ছড়াচ্ছে, তাতে ইরানের নাম আসছে। যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি বলছে, লোহিত সাগরের অস্থিতিশীলতার জন্য ইরান দায়ী। এটা রুখতে আন্তর্জাতিক একটা নৌ জোট গড়ারও ঘোষণা দিয়েছে তারা। এতে গাজা যুদ্ধে ওয়াশিংটনের যুক্ততা সরাসরি হলো।

ইয়েমেনের হুতিদের মতো গাজা যুদ্ধে পরোক্ষ শরিক আছে ইরানের আরেক মিত্র লেবাননের হিজবুল্লাহ। ফিলিস্তিন যোদ্ধাদের ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ শুরুর পরদিন ৮ অক্টোবর থেকে লেবাননের ভেতর থেকে গড়ে প্রতিদিন ২০-৩০টি রকেট পড়ছে উত্তর ইসরায়েলের নানা স্থাপনায়। ইসরায়েলের ডিফেন্স ফোর্সও লেবাননে হিজবুল্লাহর অবস্থানে নিয়মিত পাল্টা হামলা চালাচ্ছে। এই সীমান্ত দিয়ে ‘ইসলামি জিহাদ’ নামের ফিলিস্তিনি যোদ্ধা দলও মাঝেমধ্যে ইসরায়েলে অভিযান চালায়। গত ৮ অক্টোবর থেকে এই তিন পক্ষের বহুজন হতাহত হয়েছেন। উভয় দিকে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষকে সরানো হয়েছে বাড়তি যুদ্ধের শঙ্কায়।

হামাস ও হিজবুল্লাহর মতো ‘ইসলামি জিহাদ’ও ইরানের তরফ থেকে সহায়তা পায় বলে প্রচার রয়েছে। এদের মতোই ইরানপ্রভাবিত ইরাকি শক্তি হলো ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স’ জোট। এরাও ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলের বিভিন্ন অবস্থানে হামলা করছে।

গোলান এলাকা সিরিয়ার কাছ থেকে জোর করে কেড়ে নিয়ে বহু বছর ধরে সেখানে ইহুদি বসতি বসাচ্ছে ইসরায়েল। গোলানে হামলার পাশাপাশি ইরাকের ইরানপন্থী মিলিশিয়ারা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থাপনাতেও হামলা করছে গত ৭ অক্টোবর থেকে। যুক্তরাষ্ট্রও ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ইরাকের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বোমা ফেলেছে।

পাল্টাপাল্টি এসব হামলায় গত সপ্তাহে ইরান তাদের সিনিয়র এক কমান্ডার রাজি মৌসাভিকে হারাল। সিরিয়ায় ইরানের সামরিক তৎপরতা সমন্বয় করতেন তিনি। একসময় এ কাজ করতেন জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। ২০২০-এর জানুয়ারিতে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পিত হামলায় নিহত কাসেম সোলাইমানিরই প্রধান সহযোগী মৌসাভি। ২৫ ডিসেম্বর সিরিয়ার রাজধানীতে মিসাইল ছুড়ে তাঁকে হত্যা করে ইসরায়েল।

সোলাইমানি ও মৌসাভি উভয়ে চার দশক সিরিয়া ও লেবাননে ইরানের প্রভাববলয় তৈরিতে মাঠে থেকে কাজ করেছেন। গাজা ও লেবাননে হামাস ও হিজবুল্লাহর কাছে রসদ জোগাতে সিরিয়ায় প্রভাব ধরে রাখা ইরানের দিক থেকে জরুরি। ইসরায়েলও সে কারণে সিরিয়ায় ইরানের লোকবলের ওপর বিরামহীনভাবে বছরের পর বছর হামলা করে যাচ্ছে।

মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের গত নভেম্বরের এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৩ থেকে গত এক দশকে ইসরায়েল সিরিয়ায় ইরানিদের ওপর ২২৬ দফায় হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় ইরানের সামরিক সরঞ্জাম ও মানবসম্পদের অনেক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। মৌসাভির মতো মানবসম্পদ হারানো ইরানের দিক থেকে বড় ধরনের বিপর্যয়।

ইরানের নীতিনির্ধারকদের ক্রোধের আগুন আরেক দফা বেড়েছে তাতে। তবে এসব হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে ইরানের গত কয়েক দশকের প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করে যা দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের এসব অভিযানের বদলা নিচ্ছে তারা পরোক্ষভাবে—মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক ভারসাম্য পাল্টে দিয়ে। গাজা যুদ্ধও তাদের দিক থেকে সে রকম এক ‘বদলা’। এ যুদ্ধকে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের রণকৌশলের একাংশ হিসেবে দেখার সুযোগ আছে। তবে নিশ্চয়ই এটা ফিলিস্তিনিদের ‍যুদ্ধও বটে।

হামাস ও কয়েকটি বামপন্থী উপদল মিলে প্রায় এক শ দিন গাজায় আগ্রাসন মোকাবিলা করে যাওয়ার ভেতর দিয়ে ফিলিস্তিনের সামরিক ঐতিহ্যে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটছে। অতীতে ফিলিস্তিনিদের এ রকম প্রতিরোধ যুদ্ধে নেতৃত্ব দিত প্রয়াত ইয়াসির আরাফাতের ফাত্তাহ উপদল। ২০০৭ সালে গাজা থেকে পিছু হটার পর এখন পশ্চিম তীরে সংকুচিত হয়ে আছে ফাত্তাহর প্রভাব। গাজার ঘটনাবলিতে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তাদের রাজনৈতিক প্রভাবে টান পড়েছে।

ফাত্তাহর বিপরীতে হামাসের জনপ্রিয়তা বাড়ার তাৎক্ষণিক ফল হলো ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধানে আমেরিকা ও ইসরায়েলের পক্ষে এখন প্রতিপক্ষকে মধ্যপন্থী কোনো ঐক্যমতে রাজি করানোও কঠিন হবে। আবার যেকোনো ‘সমাধান’ উদ্যোগে হামাস বা ইসলামি জিহাদের মতো সংগঠনগুলোকে রাজি করাতে হলে ইরানকেও সঙ্গে রাখতে হবে। অথচ কয়েক বছর আগেও তেহরান ফিলিস্তিন সমাজে প্রভাবশালী পক্ষ ছিল না। এখন পরিস্থিতি ভিন্ন।

আরও পড়ুন

ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সমর্থনে ইরানের ভূমিকার বৈশিষ্ট্য হলো তারা শিয়া-সুন্নি উভয় ঘরানার সংগঠনকে সহায়তা দিচ্ছে। ধর্মীয়ভাবে শিয়া ও সুন্নিদের নানা বিষয়ে ভিন্নমত থাকলেও ইরান যে একই সঙ্গে এই দুই ঘরানার যোদ্ধাদের এক কাতারে এনে ইসরায়েল ও আমেরিকার বিরুদ্ধে দাঁড় করাতে পারছে, সেটা রাজনৈতিক ও ধর্মীয় মুনশিয়ানার পরিচয়।

ইসরায়েলের বর্ণবাদী ও জাতিবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো যে সবার যৌথ দায়িত্ব, সেটা সামনে এনে ইরান নৈতিকভাবে আরব বিশ্বে নিজের আবেদন জোরদার করতে পেরেছে। সৌদি আরবের সঙ্গেও তার পুরোনো বৈরিতা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে কম।

এই যুদ্ধ যদি দীর্ঘায়িত হয় এবং রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের মতো আমেরিকার অর্থনৈতিক বোঝা হয়ে ওঠে, তাহলে ইরানসহ ওয়াশিংটনের সব প্রতিপক্ষের জন্য সেটা হবে কৌশলগত বড় বিজয়। দুটি যুদ্ধে তহবিল দিতে যুক্তরাষ্ট্রের জনসমাজে প্রশ্ন উঠবে। ইসরায়েলেরও দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির শঙ্কা আছে এতে। আগের মতো আর যুক্তরাষ্ট্রের দরাজ সহায়তা তারা না–ও পেতে পারে। দুটি যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ মেয়াদে যুক্ত হয়ে পড়া চীনের জন্যও কিছুটা স্বস্তির।

রাজনৈতিক অর্থনীতির চেয়েও গাজা যুদ্ধ ইসরায়েল ও আমেরিকার জন্য ভিন্ন আরেক সর্বনাশের কারণ ঘটিয়েছে। গাজায় গণহত্যা শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে জায়নবাদবিরোধী নতুন এক সাংস্কৃতিক আন্দোলনের বীজ ছড়িয়েছে। ‘ফ্রম রিভার টু সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ স্লোগান ইতিমধ্যে ইউরোপ-আমেরিকার নানা শহরে বেশ পরিচিতি পেয়েছে।

আমেরিকার ক্যাম্পাসগুলোতে কেফিয়া পরা তরুণদের সংখ্যাও বেড়ে গেছে। ইহুদিরা ইউরোপ-আমেরিকায় ঐতিহাসিকভাবে যে সহানুভূতি পেত, গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতার পর সেই স্রোত বইছে ফিলিস্তিনিদের দিকে। অনেক লেখক, শিল্পী, বুদ্ধিজীবী ইসরায়েলপন্থী বহু প্রতিষ্ঠান ও অনুষ্ঠান বর্জন করছেন। বলা যায়, ইউরোপ-আমেরিকায় ইহুদি প্রভাবের একচেটিয়াত্ব গভীর এক সামাজিক চ্যালেঞ্জে পড়েছে গাজায় নিহত হাজার হাজার নারী ও শিশুর রক্তের বিনিময়ে।

আলতাফ পারভেজ: লেখক ও গবেষক।

ই–মেইল: [email protected]