জলবায়ু পরিবর্তনে আফ্রিকায় দল ভারী হচ্ছে জঙ্গিদের

আফ্রিকার সাহেল এলাকায় ক্রমবর্ধমান উষ্ণতার কারণে কমছে শস্য উৎপাদন। এ সুযোগে জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম সাধারণ মানুষকে উন্নত ভবিষ্যতের প্রলোভন দেখিয়ে দলে ভেড়াচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও সহিংস সংঘাত মিলে এই অঞ্চলে মারাত্মক দুষ্টচক্র তৈরি হতে পারে।

লেক চাদ এলাকায় সক্রিয় বোকো হারাম জঙ্গিগোষ্ঠী
ফাইল ছবি এএফপি

বোকো হারামের জঙ্গিরা যখন আলহাদজি ইয়ারোর গ্রাম লেক চাদে তাণ্ডব চালায়, তখন তিনি কিশোর। তাঁর স্পষ্ট মনে আছে, গ্রামের সব মানুষের দিকে বন্দুক তাক করে জঙ্গিরা বলছিল, ‘আমরা তোমাদের উন্নত জীবন দেব।’ গ্রামের যুবকদের বোকো হারামে যোগ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বলে, ‘তোমরা সবকিছু পাবে।’

ইয়ারো ভয় পেয়েছিলেন, কিন্তু কিছুটা কৌতূহলও ছিল। তিনি বলছিলেন, তিনি তুলনামূলক প্রাচুর্যের মধ্যে বেড়ে উঠেছেন। এরপর জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে তাদের পরিবারের আবাদি জমিতে শস্যের উৎপাদন ক্রমে কমতে থাকে। ২০১৫ সালে বোকো হারামের ওই তাণ্ডবের আগে বন্যায় ভুট্টা, বাজরা—সব নষ্ট হয়ে যায়।

গবেষকেরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বাড়ছে। বাড়ছে খরা, ধারণার চেয়ে বৃষ্টিপাত কম হচ্ছে। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতি বোকো হারামের তৎপরতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে, জঙ্গিদের সহিংসতায় ইন্ধন জোগাচ্ছে বলে মনে করেন জঙ্গিগোষ্ঠীর সাবেক, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, সামরিক কর্মকর্তা ও গবেষকেরা। তাঁদের ভাষ্য, রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে আত্মপ্রকাশ করা বোকো হারামের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন একটা ‘সুযোগ’।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আফ্রিকার এই অঞ্চলের তরুণদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দিচ্ছে। তাদের জঙ্গিগোষ্ঠীতে ভেড়ানো সহজ হচ্ছে। চলতি বছর জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনেও বিষয়টি উঠে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, ধর্মীয় মতাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে নয়, মূলত কাজের সুযোগ হিসেবে আফ্রিকাজুড়ে তরুণেরা কট্টরপন্থী গোষ্ঠীগুলোতে নাম লেখাচ্ছে।

লেক চাদ এলাকার অবস্থানটা এমন যে চাদ, নাইজেরিয়া, ক্যামেরন ও নাইজারের সীমান্ত এখানে এসে মিলিত হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে বোকো হারামসহ অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠী এই এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে আছে। গবেষকেরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন লেক চাদ অঞ্চলে সংঘাতও বাড়াচ্ছে। কারণ, চরম ক্ষুধার মুখে মানুষ কট্টরপন্থীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে মাছ ধরা ও কৃষিকাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আফ্রিকা কমান্ডের (আফ্রিকম) সামরিক কর্মকর্তারাও বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব লেক চাদসহ আশপাশের অঞ্চলে ‘হুমকি’ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। জলবায়ু ও সংঘাতের মধ্যে যোগসূত্রের বিষয়টি তাঁরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। কেননা, জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মালি ও বুরকিনা ফাসোর মতো দেশগুলো আফ্রিকমের আওতায়। সাহেল অঞ্চলের এসব দেশে ইসলামপন্থী জঙ্গিদের ব্যাপক তৎপরতা রয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তন এসব সংঘাতের কারণ নয়, কিন্তু সংঘাতের বিদ্যমান মাত্রাগুলোকে তা জটিল করে তুলছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার যে সক্ষমতা মানুষের, সংঘাত তা কমিয়ে দিচ্ছে...যা নতুন সংঘাতের জন্ম দিচ্ছে।
জননী বিবেকানন্দ, জলবায়ু কূটনীতি ও নিরাপত্তাবিষয়ক প্রধান, আডেলফি

আফ্রিকায় ফরাসি সামরিক বাহিনীর যত বড় ঘাঁটি আছে, তার একটি চাদে। ফরাসি এক সেনা কর্মকর্তাও জলবায়ু পরিবর্তন যে সংঘাত বাড়াতে ভূমিকা রাখছে, তাতে সম্মতি জানান।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) প্রতিবেদন বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী যে ২০টি দেশ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে, সেগুলোর অর্ধেকের বেশি দেশে সশস্ত্র সংঘাত চলছে। ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষের দেশ চাদ তৃতীয় শীর্ষ ঝুঁকিতে।

জার্মানির চিন্তক প্রতিষ্ঠান আডেলফির জলবায়ু কূটনীতি ও নিরাপত্তাবিষয়ক প্রধান জননী বিবেকানন্দ বলেন, এসব সংঘাতের কারণ জলবায়ু পরিবর্তন নয়, কিন্তু সংঘাতের মাত্রাকে তা জটিল করে তুলছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মানুষের সক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে সংঘাত...যা নতুন সংঘাতের জন্ম দিচ্ছে।

চাদের সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণের পর থেকে একটি ধূলামলিন আশ্রয়শিবিরে আছেন বোকো হারামের সাবেক সদস্য আলহাদজি ইয়ারো। তিনি বলছিলেন, বোকো হারাম যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তার কিছুই তারা পূরণ করেনি।

‘যখন আমি তাদের কাছে গেলাম, তারা দিল কেবল একটি বন্দুক’, বললেন ২৬ বছরের এই যুবক। এ সময় তার মুখ মলিন হয়ে এল, চোখ নামিয়ে নিলেন তিনি। ইয়ারো এত দিন যে সময়ের মধ্যে ছিলেন, তিনি তা ভুলে থাকতে চান। ইয়ারো বললেন, ‘তারা আমাকে বলেছিল, যদি আমি খাবার পেতে চাই, তাহলে আমাকে লড়াই করতে হবে।’

রেড জোনের অভ্যন্তরে

প্রায় এক দশক আগে বোকো হারামের যোদ্ধারা লেক চাদে তৎপরতা শুরুর পর বহু মানুষের প্রাণ গেছে। একসঙ্গে পুরো গ্রামের বাসিন্দাদের অপহরণ করেছে তারা। তরুণদের তাদের সঙ্গে যোগ দিতে চাপ দিয়েছে। যারা রাজি হয়নি, তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।

লেক চাদের অনেক দ্বীপই এখন ‘বিপজ্জনক অঞ্চলের’ অন্তর্গত। সেখানে বোকো হারামের আধিপত্য। গৃহহীন মানুষ এখনো নিজেদের বাড়িঘরে ফেরার সাহস পান না। মানবিক সহায়তা দেওয়া অধিকাংশ বেসরকারি সংস্থাও ওই অঞ্চলে কর্মকাণ্ড পরিচালনাকে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে।

সম্প্রতি লেক চাদের কৌলফৌয়া দ্বীপে গিয়ে দেখা যায়, শিশুরা খেলাধুলা করছে। মাছ বিক্রি করছেন নারীরা। এলাকার প্রধান মাহামাত আলি কোংগোই বললেন, আর্থিক বঞ্চনার কারণে এলাকার অনেক মানুষ কট্টরপন্থীদের দলে ভিড়ছে। এলাকার কিছু ছেলেপুলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়েছে, কিন্তু কৃষিকাজ বা মাছ ধরা ছাড়া তাদের সামনে কোনো পথ নেই।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, ১৯৫১ থেকে ১৯৮০ সাল মেয়াদের তুলনায় গত তিন দশকে চাদের গড় তাপমাত্রা ২ দশমিক ৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেড়েছে। আর ব্রিটিশ গবেষকেরা জানাচ্ছেন, চাদসহ সাহেল অঞ্চলজুড়ে ঝড়বৃষ্টি তিন গুণ বেড়েছে এবং বৃষ্টিপাতের আগাম আভাস দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

ওই অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষই জানে না, জলবায়ু পরিবর্তন কী এবং এর কারণ কী—এ কথা উল্লেখ করে মাহামাত আলি কোংগোই বললেন, তাঁরা কেবল জানেন আবহাওয়া আর আগের মতো নেই। এ কারণে তাঁরা দিন দিন আরও গরিব হচ্ছেন।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, ১৯৫১ থেকে ১৯৮০ সাল মেয়াদের তুলনায় গত তিন দশকে চাদের গড় তাপমাত্রা ২ দশমিক ৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেড়েছে। আর ব্রিটিশ গবেষকেরা জানাচ্ছেন, চাদসহ সাহেল অঞ্চলজুড়ে ঝড়বৃষ্টি তিন গুণ বেড়েছে এবং বৃষ্টিপাতের আগাম আভাস দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো এসবের সুযোগ নিয়েছে বলে মত দিলেন মাহামাত আলি। তিনি বললেন, তারা (বিভিন্ন গোষ্ঠী) এই পরিস্থিতিকে নিজেদের কার্যসিদ্ধিতে ব্যবহার করেছে। সর্বস্ব হারানো মানুষকে বুঝিয়ে নিজেদের দলে ভিড়িয়েছে।

কট্টরপন্থা বেছে নেওয়া

লেক চাদের বালুময় পাড়ঘেঁষে গড়ে উঠেছে একটি অস্থায়ী গ্রাম। কৌলকিম গ্রামের বাইরে গড়ে ওঠা সেই অস্থায়ী আশ্রয়ে নলখাগড়া দিয়ে ঘেরা ছোট ছোট ঘর। যেগুলোর ওপরে কম্বল, কাপড় বা ত্রিপল দেওয়া। বোকো হারামের তাণ্ডবে বাস্তুচ্যুত কয়েক শ পরিবার এসব ঘরে বাস করছে। স্থানীয় নেতারা জানান, কৌলকিমের এই অংশের প্রায় ২০০ পুরুষ হয় বোকো হারাম, নয়তো তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্সের (আইএসডব্লিউএপি) সদস্য ছিলেন।

আলহাদজি ইয়ারো এখন চার সন্তানের বাবা। তিনি কৌলকিমের নলখাগড়া ও কম্বল দিয়ে বানানো ছোট একটি ঘরে থাকেন। ঘরটি এতই ছোট যে রান্নার সামগ্রী এর ওপর রাখতে হয়। ইয়ারো জানান, নাইজেরিয়ার সীমান্তঘেঁষা একটি দ্বীপে তিনি বেড়ে উঠেছেন। তাঁদের ইট-সুরকি দিয়ে বানানো বড় ঘর ছিল। মাছ, গরু, ছাগল, ভুট্টা—কোনো কিছুরই অভাব ছিল না।

তবে ইয়ারো জানান, কৈশোরেই তিনি লক্ষ করলেন, তাঁদের মাঠের ফসল আর আগের মতো হচ্ছে না। ফলে বন্যায় ফসলহানি ও বোকো হারামের আগমনের আগেই তিনি বুঝতে পারছিলেন, ভবিষ্যৎ হয়তো তেমন সুখের হবে না।

লেক চাদ অঞ্চলে বোকো হারামের সাবেক আরও ছয় সদস্যের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদেরও গল্প প্রায় অভিন্ন। তাঁদের কেউ কেউ বোকো হারামে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন, কেউ হয়তো স্বেচ্ছায় নাম লিখিয়েছিলেন। কেউ আবার বললেন, আর্থিক অনটন ও সরকারের কর্মকাণ্ডে হতাশা থেকে জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগদানে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন।

বোকো হারামের সাবেক সদস্য মালিমিতি মাহামাত (৩৫) বলেন, ভালো কিছু হবে এমন আশায় তাঁরা জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিলেন, প্রতিশোধ (সরকারের বিরুদ্ধে) নিতে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি আরও বললেন, তাঁরা বোকো হারামে যোগ দিয়েছিলেন, কারণ, শস্যের উৎপাদন কমে আসছিল, পানির স্তর বদলে যাচ্ছিল।

প্রাণক্ষয়ী হিসাব–নিকাশ

চিন্তক প্রতিষ্ঠান আডেলফির বিবেকানন্দ ও অন্যান্য গবেষকের মতে, জলবায়ু পরিবর্তন ও সহিংস সংঘাত মিলে মারাত্মক দুষ্টচক্র তৈরি করতে পারে।

যেসব এলাকায় সংঘাত নেই, সেসব অঞ্চলের মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চাইলে এলাকা ছাড়তে পারেন। বন্যার সময় শুকনা কোথাও আশ্রয় নিতে পারেন। কিংবা খরার কবলে পড়লে তুলনামূলক উর্বর এলাকায় যেতে পারেন।

কিন্তু যেসব অঞ্চলে কট্টরপন্থীদের তৎপরতা রয়েছে এবং তাদের দমনে সেনা অভিযান চলছে, যেমন লেক চাদ অঞ্চল, সেসব অঞ্চলে মানুষকে হয় না খেয়ে থাকতে হবে অথবা জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আশ্রয় নিতে হবে।

আরও পড়ুন

সংঘাত অনিবার্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা

বিশ্ব ক্রমে উষ্ণ হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সাহেল অঞ্চল ‘হট স্পট’ হয়ে উঠতে পারে। বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রার চেয়ে অঞ্চলটির পারদ দেড় গুণ বেশি দ্রুত বাড়তে পারে। জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্তসরকার প্যানেলের (আইপিসিসি) মতে, চলতি শতকের মাঝামাঝি অঞ্চলটিতে বছরের ৪০ দিনের বেশি তাপমাত্রা ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ছাড়িয়ে যাবে। পানির সংকট বাড়বে এবং শস্যের উৎপাদন কমবে।

এই অঞ্চলে জঙ্গি দমনে একটি বহুজাতিক বাহিনী লড়াই করছে। এর নেতৃত্বে আছেন ক্যামেরুনের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসৌয়ালাই ব্লামা। তাঁর দাবি, বোকো হারামের সদস্যরা সেনাদের কাছে পরাস্ত হচ্ছে।

তবে তিনি যখন লেক চাদ অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবেন, তখন শঙ্কিত হয়ে পড়েন। কেননা জলবায়ু পরিবর্তনের অর্থ অঞ্চলটির যৎসামান্য যা সম্পদ আছে, তা ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার মধ্যে ভাগ হবে। সে ক্ষেত্রে সংঘাত অনিবার্য হয়ে পড়বে।

আরও পড়ুন

বোকো হারামের সাবেক কয়েকজন সদস্য কিছুদিন সেনাবাহিনী পরিচালিত শিবিরে ছিলেন। পরে নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পান। তাঁরা বলছেন, আগে জীবিকা চালানোর যত সুযোগ ছিল, এখন তা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। আবহাওয়ার খামখেয়ালি আচরণ ক্রমে বাড়ছে। একই সঙ্গে চাষযোগ্য ভূমি ও কট্টরপন্থীদের নাগাল থেকে মুক্ত থাকার জায়গা কমছে।

৩০ বছরে আহমাত সুলাইমান বোকো হারামের হয়ে লড়েছেন, পরে যোগ দিয়েছিলেন আইএসডব্লিউএপিতে। এরপর তিনি পালিয়ে আসেন। পরিবারের কাছে ফিরে আসার পর একে একে স্ত্রী ও সন্তানকে হারিয়েছেন। অসুখে তাঁরা মারা গেলেও সুলাইমান এ জন্য দারিদ্র্যকেই দায়ী করেন।

সুলাইমান বলছিলেন, বোকো হারাম বা আইএসডব্লিউএপির কেউ যদি তাঁকে দলত্যাগকারী হিসেবে হত্যা না করেন, তাহলে তিনি আবারও জঙ্গি বলয়েই ফিরে যেতে চান। তাঁর কথা পরিষ্কার, ‘ধুঁকে ধুঁকে মারা যাওয়া কোনো সমাধান হতে পারে না।’

  • রাচেল চ্যাসন ওয়াশিংটন পোস্ট–এর পশ্চিম আফ্রিকা ব্যুরো প্রধান