ফরহাদ মজহারের কলাম
জুলাই ঘোষণা, জুলাই সনদ এবং গণমাধ্যম
‘জুলাই সনদে কী থাকছে, কী থাকা উচিত’ শিরোনামে গত ২৬ জুন কামাল আহমেদের একটি লেখা প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়। সেই লেখার সূত্র ধরে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের সঙ্গে গণমাধ্যমের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়ে দুই পর্বে লিখেছেন ফরহাদ মজহার। আজ প্রকাশিত হলো প্রথম পর্ব।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে গণমাধ্যম ও গণসার্বভৌমত্বের সম্পর্ক বিচার বাংলাদেশের আগামী রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রথম আলোয় কামাল আহমেদের ‘জুলাই সনদে কী থাকছে, কী থাকা উচিত’ (২৬ জুন ২০২৫) লেখাটির সূত্রে দুই কিস্তিতে প্রসঙ্গটি নিয়ে আলোচনা করব।
একটি সহজ সূত্র ধরে সে আলোচনা শুরু করতে পারি। সেটা হচ্ছে: জনগণের চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা হরণ করার ক্ষমতা বা অধিকার রাষ্ট্রের থাকা উচিত কি না? জনগণ সেই অধিকার বা ক্ষমতা রাষ্ট্রকে দিতে পারে কি না বা দেওয়া উচিত কি না—এই তর্ক পুরোনো। টমাস হবসের লেভিয়াথান (১৬৫১) প্রকাশের সময় থেকেই নানাভাবে চলে আসছে।
গণসার্বভৌমত্ব বা ‘পপুলার সভরেন্টি’র দাবি হচ্ছে, জনগণই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার মূল উৎস, রাষ্ট্র নয়। বিপরীতে, টমাস হবসের লেভিয়াথান গ্রন্থে সার্বভৌমত্ব (সভারেন্টি) একটি নিরঙ্কুশ, একক ও অপরিহার্য ক্ষমতা, যা হবস জনগণের চুক্তির মাধ্যমে একটি সর্বময় কর্তৃত্বের (সার্বভৌম) হাতে তুলে দেওয়ার যুক্তি প্রতিষ্ঠিত করেন।
গণসার্বভৌমত্বের ধারণার দৃষ্টিকোণ থেকে লেভিয়াথান-এর সার্বভৌমত্ব একটি গণবিরোধী, গণহীন এবং জনগণের ক্ষমতাকে অক্ষম করে ফেলার পদ্ধতি।
২.
শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট ‘সিকিউরিটি স্টেট’ সন্ত্রাসবিরোধী অনন্ত যুদ্ধের প্রধান হাতিয়ার হয়ে ওঠার পেছনে সার্বভৌম রাষ্ট্রের অনুমান বা ধারণা কাজ করে। বাংলাদেশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থান রাষ্ট্রের এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে গণসার্বভৌমত্বের প্রশ্ন বা তর্ক সামনে নিয়ে এসেছে।
শেখ হাসিনার সরকার উৎখাত হয়ে গিয়েছে। এটাই গণসার্বভৌমত্ব। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছে ও অংশগ্রহণ করেছে, তাদের অভিপ্রায়ের সারকথাও গণসার্বভৌমত্ব কায়েম এবং গণসার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা নতুন বাংলাদেশ গঠন।
গণমাধ্যমের তরফে কথাটা আমরা তুলব কীভাবে? সেটা পরিষ্কার: তথাকথিত রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের নামে গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার কোনো আইন আমরা মেনে নিতে পারি না, অথচ কলোনিয়াল (ঔপনিবেশিক) আমল থেকেই নানান গণবিরোধী আইন বলবৎ আছে। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো নতুন আইনও জারি হয়েছে।
চিন্তা ও বিবেককে দমন করে এমন আইনের সংখ্যাও প্রচুর: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ (বর্তমানে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫); তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইন, ২০০৬; স্পেশাল পাওয়ারস অ্যাক্ট, ১৯৭৪; ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (অনুপ্রবেশ) আইন, ১৯৭২; ধর্মীয় অবমাননাসংক্রান্ত আইন (দণ্ডবিধি, ১৮৬০); মুদ্রণ ও প্রকাশনা আইন, ১৯৭৩; অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩; বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৪ ইত্যাদি। বাক্ ও ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণ করার বিস্তর রাষ্ট্রীয় আইন আমাদের কণ্ঠ রোধ করে রেখেছে।
৩.
রাষ্ট্রকে সার্বভৌম ক্ষমতাসম্পন্ন গণ্য করা হয় বলে এ ধরনের গণসার্বভৌমত্ববিরোধী আইনকে বৈধ ও আইনসংগত গণ্য করা হয়। এটা ভুল এবং বিতর্কিত। ক্ষমতার বিচার ও রাষ্ট্রচিন্তার পর্যালোচনার ভয়াবহ অভাবের কারণে আমরা এই ভুল মাথায় বয়ে বেড়াই।
আমরা প্রতিবাদ করি বটে, কিন্তু রাষ্ট্রকে যদি আমরা সার্বভৌম গণ্য করি, তাহলে রাষ্ট্রীয় বিধি মোতাবেক আইন প্রণয়ণের অধিকার, এমনকি চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা হরণ করার অধিকারও রাষ্ট্রের আছে। এই কাজটা রাষ্ট্র করে ‘যুক্তিসংগত বাধানিষেধ সাপেক্ষে’ নামক আইনি ধারণা দিয়ে।
বাংলাদেশে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে গণসার্বভৌমত্বের বিরোধ নিষ্পত্তির জায়গাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জায়গা। এই নিবন্ধের উদ্দেশ্য এই গোড়ার বিতর্কটি তোলা এবং গণসার্বভৌমত্বের পক্ষে একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ চিন্তার ধারা গড়ে তোলা।
৪.
গণসার্বভৌমত্বের দিক থেকে জনগণের সামষ্টিক রাজনৈতিক সত্তাকে সক্রিয় ও সজীব এবং জনগণের সামষ্টিক অভিপ্রায় নির্ণয়ের প্রক্রিয়াকে প্রাণবন্ত রাখার ওপর রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক বিকাশ নির্ভর করে। সেই ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অর্থাৎ বাক্ ও ব্যক্তিস্বাধীনতার কোনো বিকল্প নেই। তাই গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার অধিকার জনগণ কখনো একচেটিয়া রাষ্ট্রের ওপর ন্যস্ত করতে পারে না।
পুরোনো ওয়েস্টফিলীয় রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব সংক্রান্ত প্রাচীন ধারণা থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। তেমনি টমাস হবসের চিন্তাজাত ‘সিকিউরিটি স্টেট’-এর ধারণা থেকেও নিষ্ক্রান্ত হওয়া দরকার। চিন্তা বা বিবেকের প্রকাশ রুদ্ধ করা কিংবা বাক্ ও ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণ করার অধিকার আমরা রাষ্ট্রের ওপর ন্যস্ত করতে পারি না।
তাহলে গণমাধ্যমের জবাবদিহির ক্ষেত্র কী? জনগণ। কিন্তু জনগণ এ ক্ষেত্রে কোনো অনৈতিহাসিক বিমূর্ত বর্গ বা ক্যাটাগরি না। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা ফ্যাসিবাদ, ফ্যাসিস্ট শক্তি ও ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থাবিরোধী জনগণই ‘জনগণ’। ‘কংক্রিট’ সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পরিগঠিত।
বিমূর্ত ও অরাজনৈতিক অর্থে ‘জনগণ’ কথাটা আমরা হামেশাই ব্যবহার করি। জনগণ কোনো বিমূর্ত সত্তা নয়, বরং একটি সক্রিয় রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী, যারা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নিজেদের গঠনের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে। আমার গণ-অভ্যুত্থান ও গঠন গ্রন্থে এই বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছি।
৫.
সুনির্দিষ্ট বাস্তব রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে কংক্রিট অর্থে জনগণ পরিগঠিত হয় বলে রাজনীতি ও বাস্তব লড়াই-সংগ্রামবহির্ভূত বিমূর্ত ‘জনগণ’-এর ধারণা পরিহার করা আমাদের জরুরি। কারণ, বিমূর্ত জনগণের ধারণা দ্বারা ফ্যাসিস্ট শক্তিকেই আবার পুনর্বাসিত করার দাবি ওঠে এবং বলা হয় আওয়ামী লীগও জনগণের অংশ।
আমরা তথাকথিত ইনক্লুসিভ বা অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির কথাও শুনি। অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি আসলে ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিস্ট শক্তিকে রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত করার রাজনীতি। ইনক্লুসিভ বা অন্তর্ভুক্তি মার্কা রাজনীতি ফ্যাসিস্ট শক্তির আধিপত্য এবং ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রকে আরও নিখুঁত করে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে হলে তথাকথিত ইনক্লুসিভ বা গালভরা অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির ধারণা নাকচ করা জরুরি। সেদিক থেকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে গণমাধ্যমের জবাবদিহি একমাত্র ফ্যাসিবাদ, ফ্যাসিস্ট শক্তি ও ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থাবিরোধী জনগণের কাছেই নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে, রাজনৈতিকভাবে সচেতন জনগণই গণমাধ্যমের মিত্র। সেই সচেতনতা তৈরির দায়ও গণমাধ্যমের।
৬.
কামাল আহমেদ ‘জুলাই সনদে কী থাকছে, কী থাকা উচিত’ (২৬ জুন ২০২৫) শিরোনামের লেখাটিতে গণমাধ্যমের তরফে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হাজির করেছেন। তিনি ঠিক বলেছেন যে ‘সংসদ, বিচারব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি গণমাধ্যমকেও স্বৈরতন্ত্রের (?) সহায়ক হাতিয়ার করে ফেলা হয়েছিল কিংবা তাদের অনেকে উৎসাহী সহযোগী হয়ে উঠেছিল’।
তবে মতবাদ কিংবা ব্যবস্থা হিসেবে স্বৈরতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ এক কথা নয়, তেমনি একনায়কতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র আর ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থাও এক নয়। ফ্যাসিবাদ, ফ্যাসিস্ট শক্তি ও ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পরিভাষা। আমরা যেন এই ভাষা এড়িয়ে না যাই। গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পরিভাষা যেন আবার অনর্থক ব্যবহার না করি। দুটিই খারাপ কাজ।
গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষা আমরা এড়াতে চাই কেন? কেন আমরা এখনো ‘ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা’কে স্বৈরতন্ত্র বলি? জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সেক্যুলার এবং ধর্মবাদীসহ সব কিসিমের ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই ছিল; শুধু আওয়ামী লীগ ও সেক্যুলার বাঙালি জাতিবাদ সৃষ্ট ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরোধী ছিল না।
সেক্যুলার ফ্যাসিবাদ ছাড়াও ধর্ম বা ধর্মীয় পরিচয়ের ঝান্ডা নিয়ে সমাজে ধর্মবাদী ফ্যাসিবাদ এবং ফ্যাসিস্ট শক্তি সমাজে সক্রিয়। তাই পরিভাষা এড়িয়ে যাওয়া বিপজ্জনক।
৭.
তথাকথিত পাশ্চাত্য ‘লিবারেলিজম’ এবং নির্বাচনবাদী রাজনীতি ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিস্ট শক্তি পরিগঠনের শক্তিশালী জমিন। হিটলার, মুসোলিনি ও শেখ হাসিনা নির্বাচনের মধ্য দিয়েই ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করেছিল। তাহলে লিবারেল নির্বাচনী গণতন্ত্র এবং তার বিপরীতে ব্যক্তির অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষা করতে সক্ষম গণতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য বিশাল।
গণসার্বভৌমত্ব মানে স্বাধীন ব্যক্তিদের সামষ্টিক অভিপ্রায়ের সার্বভৌম ক্ষমতা। এই ক্ষমতাই ব্যক্তির অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষা করতে পারে। এ জন্যই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মর্ম ছিল গণসার্বভৌমত্ব কায়েম। অর্থাৎ রাষ্ট্রের নামে ব্যক্তির অধিকার ও ব্যক্তির মর্যাদা হরণ করার কোনো আইন প্রণয়নের এখতিয়ার রাষ্ট্রের থাকবে না। কারণ, রাষ্ট্র নয়, জনগণই সার্বভৌম—জনগণই সব রাজনৈতিক ও আইনি ক্ষমতার উৎস।
‘স্বৈরতন্ত্র’ ও ‘স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্র’ এবং ‘ফ্যাসিবাদ’ ও ‘ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা’ যে আলাদা—এই জ্ঞান বা সচেতনতা আমাদের থাকতে হবে। আমরা ‘স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়িনি, বরং লড়েছি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে। উভয়ের বিপরীতে গণসার্বভৌমত্ব অর্থাৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের কর্তব্য। সেটা পরিষ্কারভাবে জনগণের কাছে হাজির করা দরকার। জনগণকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করে তোলা এই মুহূর্তের সবচেয়ে জরুরি কাজ।
৮.
বাঙালি জাতিবাদী ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে ধর্মবাদী ফ্যাসিস্ট শক্তিকেও আমাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে ফ্যাসিস্ট শক্তির হাত থেকে রক্ষা যেমন রাজনৈতিক কর্তব্য, তেমনি ধর্মকেও ফ্যাসিস্ট শক্তির কবল থেকে উদ্ধার করাও একই রাজনৈতিক কর্তব্য।
নিজেদের ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্ম, চিন্তা ও নীতি-নৈতিকতা বিকাশের মধ্য দিয়েই আমাদের শক্তিশালী রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী হিসেবে গঠিত হওয়ার শিক্ষা পেতে হবে। জনগণকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে আগামী দিনে লড়াই আরও তীব্র হবে। তাকে মোকাবিলার আগাম প্রস্তুতি নিতে হলে প্রথম কাজ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পরিভাষা পরিহার না করা।
সেক্যুলার জাতিবাদ ও জাতিবাদী ফ্যাসিস্ট শক্তির পশ্চাদপসরণের পর ধর্মবাদী ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই অস্বাভাবিক কিছু না, সেটা অনিবার্য। সেই ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বিশেষত চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা কায়েম এবং নিশ্চিত করা সব ধরনের ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পরাস্ত করার গুরুত্বপূর্ণ গণহাতিয়ার।
ফরহাদ মজহার কবি, লেখক ও চিন্তক
*মতামত লেখকের নিজস্ব