বিশ্লেষণ
যুদ্ধের আবহে বিজেপি সরকারের জাতগণনার ঘোষণা ও ‘শুভংকরের ফাঁকি’
নরেন্দ্র মোদির বিজেপি এতকালের আদর্শ ও নীতি পাশে সরিয়ে জাতগণনার ঘোষণা দিয়েছে। ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত রূপায়িত হোক না হোক, এ বছরের শেষে বিধানসভার ভোটে জিততে ঘোষণাটুকু যথেষ্ট বলে মনে করছে তারা। ভারতে যুদ্ধের আবহে জাতগণনার ঘোষণা নিয়ে লিখেছেন সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়
পেহেলগামের ‘বদলা’ কবে কীভাবে নেওয়া হবে, সেই আলোচনা যখন তুঙ্গে, তখন আচমকাই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করে, পরবর্তী জনগণনার সময় জাতগণনাও করা হবে। ‘যুদ্ধ যুদ্ধ’ আবহে প্রত্যাঘাতের ব্যাপ্তি ও চরিত্র জল্পনায় মশগুল ভারতীয়দের কাছে এ ঘোষণার আকস্মিকতা ছিল অভাবিত। তার কারণও ছিল।
প্রথমত, এমন অস্থির সময়ে ওই রকম এক ঘোষণা যে হতে পারে, সে প্রত্যাশা কারও ছিল না। দ্বিতীয়ত, ঘোষণাটি করল সেই দলের সরকার, যারা আবহমান কাল ধরে জাতগণনার বিরোধিতা করে এসেছে। যুদ্ধের আবহে এই ‘অ্যান্টিক্লাইম্যাক্স’ নিয়ে চলছে রাজনৈতিক চর্চা। শুরু হয়েছে কৃতিত্বের দাবি ঘিরে চাপান–উতোর।
অতীত প্রেক্ষাপট ও বর্তমানের বাস্তবতা
এ ঘোষণা নিয়ে বিস্ময়ও অন্তহীন। আরএসএসের পক্ষপুটে লালিত, পালিত ও আশ্রিত ‘ব্রাহ্মণ্যবাদী’ বিজেপি বরাবর নীতি ও আদর্শগতভাবে জাতগণনার বিরোধিতা করে এসেছে। তারাই কেন ভোল পাল্টে এ সিদ্ধান্ত নিল—এ প্রশ্ন আলোড়ন তুলেছে। কংগ্রেস দু-তিন বছর ধরে নিয়মিত জাতগণনার দাবি জানাচ্ছে। কিন্তু অতীতে তারাও এর পক্ষে ছিল না।
জওহরলাল নেহরু ১৯৫১ সালের প্রথম জনগণনার সময় জাতগণনা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ‘জাতপাতহীন নতুন ভারত’ গড়ে তোলার তাগিদে। ২০১১ সালে মনমোহন সিংয়ের জমানায় জাত–ঘোষণার বিষয়টি ‘ঐচ্ছিক’ রাখা হয়েছিল। গণনা শেষে সরকার নানাবিধ ‘ভুলভ্রান্তির’ কারণ দেখিয়ে জাত-তথ্য প্রকাশ করেনি।
তার পর থেকে মোদির উত্থান কংগ্রেসকে যত কমজোরি করেছে, ততই তারা আঁকড়ে ধরতে চেয়েছে জাতগণনার দাবি। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে জাতভিত্তিক দলগুলোর মতো রাহুল গান্ধীও স্লোগান দেন ‘জিতনি আবাদি উতনা হক’। অর্থাৎ যার জনসংখ্যা যত, তার প্রাপ্যও তত।
সে দাবিই ক্রমে মুখ্য হয়ে এখন কংগ্রেসের হাতিয়ার। শতাব্দীপ্রাচীন দল এখন সারা দেশে প্রচার করছে, তাদের চাপেই মোদি সরকার জাতগণনায় রাজি হয়েছে। তারাই মোদিকে মাথা নোয়াতে বাধ্য করেছে। হোর্ডিং ও পোস্টার পড়েছে জায়গায় জায়গায়। কৃতিত্বের মুখ্য দাবিদার হয়ে উঠেছেন রাহুল গান্ধী।
বিজেপিও ছেড়ে কথা কইছে না। তাদের দাবি, কংগ্রেস কোনো দিন যা করতে চায়নি, নরেন্দ্র মোদির সরকার তা করার সাহস দেখাল। কৃতিত্বের এই দাবি ও পাল্টা দাবির মধ্যেই ‘যুদ্ধ যুদ্ধ’ আবহে রাজনৈতিক জল্পনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে সরকারের এই সিদ্ধান্ত।
সরকারি ঘোষণা ও ‘শুভংকরের ফাঁকি’
যদিও এর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ‘শুভংকরের ফাঁকি’; কেননা সরকারি ঘোষণায় বলা হয়নি জনগণনা কবে হবে। এ–ও বলা হয়নি, জনগণনার ফলের ওপর নির্ভর করে দেশের বিদ্যমান সংরক্ষণব্যবস্থায় বদল ঘটানো হবে কি না কিংবা হলেও কবে থেকে। কাজ হলো কি না পরের কথা, আসল কথা কাজ হওয়ার ঘোষণা! ওটাই আসল; বিশেষ করে ভোটের মুখে।
সরকারিভাবে এ ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয়বার বিহারে গেছেন। বেশ বোঝা যাচ্ছে, পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার চেয়েও বিহারের ভোটে উতরানো তাঁর কাছে জরুরি। কেন তিনি পেহেলগাম নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে না থেকে গোটা দিন বিহারে কাটিয়েছিলেন, সেটাও এখন বেশ বোঝা যাচ্ছে।
■ আরএসএসের পক্ষপুটে লালিত, পালিত ও আশ্রিত ‘ব্রাহ্মণ্যবাদী’ বিজেপি বরাবর নীতি ও আদর্শগতভাবে জাতগণনার বিরোধিতা করে এসেছে। তারাই কেন ভোল পাল্টে এই সিদ্ধান্ত নিল—এ প্রশ্ন আলোড়ন তুলেছে। ■ বিজেপি এতকালের আদর্শ ও নীতি পাশে সরিয়ে জাতগণনার ঘোষণা দিয়েছে। ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত রূপায়িত হোক না হোক, এ বছরের শেষে বিধানসভার ভোটে জিততে ঘোষণাটুকু যথেষ্ট বলে মনে করছে তারা।
স্বাধীন ভারতে প্রথম জনগণনা হয়েছিল ১৯৫১ সালে। সেই থেকে প্রতি ১০ বছর অন্তর জনগণনা হয়ে আসছে। শেষবার হয় ২০১১ সালে। ২০২১ সালের গণনা স্থগিত থাকে কোভিডের কারণে। ২০২৬ সালে সরকারের জানানোর কথা, কবে হবে জনগণনা।
এই যে এতগুলো দশক কেটে গেল, এতবার জনগণনা হলো, একবারও কিন্তু জাতগণনা হয়নি। এখন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে তা কখন হতে পারে? সেটাও জরুরি বিষয়। কারণ, গণনা যখনই হোক, তার ফল বেরোতে অন্তত দু–তিন বছর লাগার কথা।
গণনা ২০৩১ সালে হলে ২০৩৪ সালের আগে জাতগণনার তথ্য না পাওয়ার কথা। সেই তথ্য অনুযায়ী জাত অনুপাতে নতুন সংরক্ষণব্যবস্থা চালু হবে কি না, হলেও কীভাবে ও কখন, সেসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা এখন বৃথা।
কারণ, এসব প্রশ্নের কোনো উত্তরই সরকার দেয়নি। মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর গণমাধ্যমকে কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ দেননি। কাজেই হেঁয়ালি ও বিভ্রমের শেষ নেই।
সুপ্রিম কোর্ট মোট সংরক্ষণ সর্বোচ্চ কত হবে তা নির্ধারণ করে রেখেছেন। সব ধরনের সংরক্ষণ মিলিয়ে শতাংশের হার কখনো ৫০–এর বেশি হবে না। জাতগণনায় যখন দেখা যাবে অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি, তখন সংরক্ষণের হার বাড়াতে সরকার কী পদক্ষেপ নেবে?
এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। আপাতত চলছে বিজেপি ও কংগ্রেসের তরজার লড়াই। অতীত ভুলে দুই পক্ষই এখন নিজের পিঠ চাপড়াচ্ছে।
ভোট বড় বালাই, বিহার কঠিন ঠাঁই
জাতগণনা বরাবর বিজেপির দুই চোখের বিষ। ‘মনুবাদী’ দল বলে তারা পরিচিত। বর্ণপ্রথা ও ব্রাহ্মণ্যবাদে বরাবরের বিশ্বাসী তারা। আজন্ম তাই তারা জাতগণনার বিরোধিতা করে গেছে।
২০২১ সালেও মোদি সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লোকসভায় প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তফসিলি জাতি ও উপজাতি ছাড়া জনগণনার সময় জাতভিত্তিক গণনা হবে না। সরকারের এই সিদ্ধান্ত নীতিগত।’
ওই বছরেই সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়েও মোদি সরকার বলেছিল, ‘এ ধরনের গণনা প্রশাসনিক দিক থেকে কঠিন ও অসুবিধাজনক।’
সেই বিজেপি এখন ঢাকঢোল পিটিয়ে জাতগণনা নিয়ে তুমুল প্রচারে নেমেছে। কেন? সেই উত্তর খুঁজতে হলে বিহারের দিকে তাকাতে হবে।
এই বিহারেই সাম্প্রতিক অতীতে দেশের প্রথম জাতগণনা হয়েছিল। তা করিয়ে ছিলেন নীতীশ কুমার। ২০২৩ সালে। তখন তিনি আরজেডি ও কংগ্রেসের জোটসঙ্গী।
সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘দেশবাসীর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে নীতীশের জেডিইউ পাপ করছে।’
তারপর জাতগণনা হয় কংগ্রেস–শাসিত কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানাতেও। প্রতিবারই প্রবল বিরোধিতা করে আসা বিজেপি ও তার নেতা নরেন্দ্র মোদির কণ্ঠে এখন ভিন্ন সুর কেন? কারণ, তিনি বুঝেছেন, বিহারে ক্ষমতা ধরে রাখতে হলে জেডিইউসহ অন্য শরিকদের তুষ্ট রাখা জরুরি।
বিহারের জেডিইউ, এলজেপি ও হিন্দুস্তানি আওয়ামি মোর্চা (হাম)—তিন দলই জাতগণনার পক্ষে। কংগ্রেস-আরজেডি-বামপন্থীদের জোটও জাতগণনার অঙ্গীকার করে বসে আছে। একদিকে বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোটের এই প্রচার, অন্যদিকে নীতীশ কুমারের ফিকে হয়ে আসা ভাবমূর্তি বিজেপিকে অসহায় করে তুলছিল।
বিপদটা বুঝতে পেরে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি এতকালের আদর্শ ও নীতি পাশে সরিয়ে জাতগণনার ঘোষণা দিল। ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত রূপায়িত হোক না হোক, এ বছরের শেষে বিধানসভার ভোটে জিততে এই ঘোষণা যথেষ্ট বলে মনে করছে তারা। ভোট বড় দায়।
ওয়াক্ফ আইন, জাতগণনা ও পসমন্দা মুসলমান
বিজেপির উদ্যোগী হওয়ার আরও এক কারণ ওয়াক্ফ আইন। জেডিইউ, এলজেপি, হাম বা দক্ষিণি শরিক টিডিপি ওয়াক্ফ আইন সমর্থন করায় মুসলমান সমাজ ক্ষিপ্ত। দিল্লিতে সম্প্রতি মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড আয়োজিত এক সম্মেলনে বিভিন্ন মুসলিম নেতা এই দলগুলোকে সতর্ক করে জানিয়ে দিয়েছেন, তারা যদি আইন রদ করাতে সরকারকে বাধ্য না করে, তাহলে মুসলমান সমাজের রোষের মোকাবিলা করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট বিরুদ্ধে না গেলে ওয়াক্ফ আইন খারিজ করতে বিজেপি রাজি নয়। তারা এখনো মনে করে, ভোটের আগে ওয়াক্ফ আইনের সমর্থনে তাদের প্রচার ক্ষুরধার করে তুলবে, যাতে ধর্মীয় মেরুকরণ তীব্রতর হয়। তবে তার আগে প্রয়োজন কোণঠাসা শরিকদের তুষ্ট করা। জাতগণনায় সম্মত হওয়া ছাড়া বিজেপির কাছে তাই দ্বিতীয় উপায় ছিল না।
নীতি ও আদর্শগতভাবে জাতগণনার বিরোধী বিজেপির সর্বেসর্বা নরেন্দ্র মোদি কিছুদিন আগেও জানিয়েছিলেন, তাঁর দৃষ্টিতে দেশের সবচেয়ে বড় জাত দারিদ্র্য। পরে কিঞ্চিৎ ব্যাখ্যা করে বলেছিলেন, তাঁর কাছে ভারতীয়দের জাত মাত্র চারটি—দরিদ্র, নারী, কৃষক ও যুবসমাজ।
সেই মোদি জাতগণনার ঘোষণার মধ্য দিয়ে অনগ্রসর হিন্দুদের শুধু নয়, মুসলমান সমাজকেও কাছে টানতে কোমর কষতে শুরু করেছেন। সেই ইঙ্গিত ইতিমধ্যেই দলীয় নেতারা দিতে শুরু করেছেন।
পসমন্দা, অর্থাৎ মুসলমানদের মধ্যে সবচেয়ে অনগ্রসর শ্রেণিকে কাছে টানতে নরেন্দ্র মোদি অনেক দিন থেকেই সক্রিয়। মণ্ডল কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, মুসলমানদের কোনো কোনো অংশ কেন্দ্র ও রাজ্যের অনগ্রসর তালিকাভুক্ত।
বিজেপির অনগ্রসর মোর্চার সভাপতি কে লক্ষ্মণ বলেছেন, এসব গোষ্ঠী জাতগণনায় নিজেদের অনগ্রসর বলে অন্তর্ভুক্ত করবে। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি জামাল সিদ্দিকিও সেই সুরে বলেছেন, জাতগণনায় পসমন্দা মুসলমানরা নিজেদের অনগ্রসর বলে নথিবদ্ধ করবেন।
বিজেপি কিছুদিন ধরেই বলতে শুরু করেছে, ধর্মগতভাবে মুসলিম সমাজ ‘জাতভিত্তিক’ না হলেও সেখানে ‘উচ্চবর্ণের’ উপস্থিতি মাত্র ২০ শতাংশ। বাকি ৮০ শতাংশই অনগ্রসর। তারাই পসমন্দা মুসলমান।
২০১১ সাল পর্যন্ত জনগণনায় সব মুসলমান ‘সম্প্রদায়’ হিসেবে গণ্য হয়ে এসেছে; জাতভিত্তিক নয়। বিজেপি এখন প্রচারে নেমেছে, জাতগণনায় মুসলমানদের মধ্যে অনগ্রসররা নিজেদের নথিভুক্ত করলে পসমন্দা মুসলমানরাই সংরক্ষণের বেশি সুবিধা ভোগ করবেন।
সাচার কমিটির রিপোর্টে দেশের মুসলমানদের মধ্যে তফসিলি জাতি, উপজাতি ও অনগ্রসর শ্রেণি ছিল ৪০ শতাংশ। যদিও পসমন্দা মুসলমানদের দাবি, তাঁরা ৮০ শতাংশ। বিহারের জাতগণনায় অনগ্রসর মুসলমানের সংখ্যা ছিল ৭১ শতাংশ। তেলেঙ্গানায় ওই হার ছিল ৮১।
স্পষ্টতই, নীতি ও আদর্শকে পাশে সরিয়ে নরেন্দ্র মোদি এমনি এমনি জাতগণনায় রাজি হননি। হিন্দুদের সঙ্গে মুসলমান সমর্থন আদায়েও এটা হতে চলেছে তাঁর অস্ত্র। তাঁর চোখে এটাই হবে ওই সমাজের উন্নয়নের সোপান।
‘শুভংকরের ফাঁকি’ মোকাবিলা
বিরোধীদের ‘হাতিয়ার’ ছিনতাই করে মোদির বিজেপি আপাতত এক কদম এগিয়ে গেল। রাজনীতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণই বড় কথা, দাবি জানানো নয়। কিছুটা হতোদ্যম কংগ্রেস এবং ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকেরা এখন তাই বিজেপিকে চেপে ধরতে চাইছে।
তাদের দাবি, আলগোছে ঘোষণা নয়, জাতগণনার নির্দিষ্ট রোডম্যাপ সরকার দিক। সেই সঙ্গে জানানো হোক, গণনা অনুযায়ী দেশের সংরক্ষণের ছবিটা কেমন হবে। সেই সংরক্ষণ শুধু সরকারি সংস্থায় শিক্ষা ও চাকরিতে নয়, ওই পরিধি বেসরকারি ক্ষেত্রেও বিস্তার করতে হবে।
এই প্রথম দেশের সব দল জাতগণনার প্রশ্নে এককাতারে দাঁড়াল। কিন্তু সরকারি ঘোষণায় ‘শুভংকরের ফাঁকি’র মোকাবিলা বিজেপি কীভাবে করে, তা দেখার আগ্রহ বাড়ছে; যদিও সেই মীমাংসার ঢের আগে চুকেবুকে যাবে বিহার বিধানসভার ভোট।
●সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়প্রথম আলোর নয়াদিল্লি প্রতিনিধি