বিশ্লেষণ
সংঘাত কি মধ্যপ্রাচ্যের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়বে
ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লেবাননের এই শিয়াপন্থী সংগঠনের নেতৃত্বে ছিলেন। তাঁর এই মৃত্যুতে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য স্থানে কী প্রতিক্রিয়া হয়েছে এবং তাতে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে কি না, তা নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস–এ লিখেছেন অ্যারন বক্সারম্যান, রোনেন বার্গম্যান, প্যাট্রিক কিংসলে ও স্টিভ লোর
লেবাননের মিলিশিয়া বাহিনী হিজবুল্লাহ গত শনিবার সংগঠনটির দীর্ঘদিনের নেতা হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাঁর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রক্সি বা সমর্থকদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি হামলার একটি বড় নিদর্শন।
নাসরুল্লাহকে হত্যার জন্য ইসরায়েলি বোমা হিজবুল্লাহর ভূগর্ভস্থ সদর দপ্তর রক্ষায় তৈরি তিনটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনকে মাটিতে মিশিয়ে দেয়। তাঁর এই মৃত্যু ইরান-সমর্থিত বাহিনীর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধকে নতুন ভূখণ্ডে ঠেলে দিল। ইরান বহুদিন ধরেই প্রক্সি বাহিনীগুলোর মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রেখেছে। এগুলো হলো গাজায় হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনে হুথিদের বাহিনী।
হিজবুল্লাহ ইরানের অন্যতম সামরিক ‘মিত্র’। হিজবুল্লাহকে যদি যথেষ্ট দুর্বল করে দেওয়া যায়, তাহলে ইসরায়েল অনেক কম হুমকি বোধ করবে। একই সঙ্গে ইসরায়েল নিয়ে ইরান কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে, সেই সিদ্ধান্ত নিতেও দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
হামলার তীব্র নিন্দা করলেও ইরানি নেতারা প্রতিশোধের জন্য সরাসরি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ ছাড়া তেহরানে গত মাসে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার জন্য ইরান এখনো ইসরায়েলকে কোন ‘শাস্তি’ দেয়নি। এসব ‘নিষ্ক্রিয়তা’র কারণে কিছু বিশ্লেষক এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে ইরানিরা আসলে ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষের ঝুঁকি নিতে চায় না।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি শনিবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এই অঞ্চলের সমস্ত প্রতিরোধ শক্তি হিজবুল্লাহর পাশে দাঁড়িয়েছে এবং সমর্থন করে।’
এই হামলা ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনার ভবিষ্যৎকে সন্দেহের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। হিজবুল্লাহকে দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র এবং আরও কিছু দেশ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে। বোমা বিস্ফোরণের দিন পর্যন্ত, বাইডেন প্রশাসন ও অন্য মধ্যস্থতাকারীরা গাজা নিয়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি কূটনৈতিক চুক্তি করার চেষ্টা করছিল। এই চুক্তিটি হলে ১১ মাসের যুদ্ধের একটা সমাধান হবে, এমন আশা করা হচ্ছিল।
■ ইরান বহুদিন ধরেই প্রক্সি বাহিনীগুলোর মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রেখেছে। এগুলো হলো গাজায় হামাস, লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনে হুতিদের বাহিনী।
■ নাসরুল্লাহ মধ্যপ্রাচ্য এবং এর বাইরেও ইসরায়েলবিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যে একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। নাসরুল্লাহর মৃত্যু হিজবুল্লাহর জন্য একটি প্রচণ্ড আঘাত।
■ ইসরায়েলের জন্য নাসরুল্লাহর হত্যাকাণ্ড বড় বিজয়ের একটি বিরল মুহূর্ত। হামাস ও হিজবুল্লাহর সঙ্গে প্রায় এক বছর ধরে দেশটি যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে।
কিন্তু এই হামলা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পাল কিছুটা হাওয়া দিয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। বৈরুতে বোমা হামলার ঠিক আগে গত শুক্রবার তিনি জাতিসংঘে দেওয়া এক ভাষণ ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘আমরা জয়ী।’ যুদ্ধবিরতির আহ্বানের মধ্যে তাঁর এই ঘোষণা ছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
নাসরুল্লাহকে হত্যার পর তাঁর প্রথম মন্তব্যে শনিবার নেতানিয়াহু বলেন, অসংখ্য ইসরায়েলি এবং অন্যান্য দেশের অনেক নাগরিক হত্যার জন্য দায়ী প্রধান ব্যক্তির সঙ্গে ইসরায়েল ‘খেলা শেষ’ করেছে। তিনি আরও যোগ করেন, হিজবুল্লাহ নেতা একজন সন্ত্রাসী ছিলেন।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন শনিবার বলেন, নাসরুল্লাহর হত্যাকাণ্ড বহু মার্কিনসহ আরও অনেক ভুক্তভোগীর জন্য ন্যায়বিচারের একটি পদক্ষেপ। তবে তিনি যুদ্ধ শেষ করার জন্য আবারও একটি কূটনৈতিক চুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন।
নাসরুল্লাহর মৃত্যু একটি আকস্মিক ঘটনা হিসেবে সামনে এসেছে। তিনজন সিনিয়র ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, তাঁরা কয়েক মাস ধরে নাসরুল্লাহর অবস্থান সম্পর্কে অবগত ছিলেন। এই হিজবুল্লাহ নেতা শিগগিরই অন্য কোনো জায়গায় চলে যাবেন, এমনটা জানার পর হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় কুদস বাহিনীর একজন সিনিয়র ইরানি কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার মো. জেনারেল আব্বাস নিলোফোরোশানও নিহত হয়েছেন। জেনারেল নিলোফোরোশান ছিলেন লেবানন ও সিরিয়ার অপারেশন কমান্ডার। তিনি ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের একজন অভিজ্ঞ ও ইসরায়েলের হাতে নিহত সবচেয়ে সিনিয়র ইরানি কমান্ডারদের মধ্যে একজন।
দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, নাসরুল্লাহকে হত্যার অভিযানে কয়েক মিনিটের মধ্যে ৮০টিরও বেশি বোমা ফেলা হয়েছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে যে হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। হতাহতের এই সংখ্যা পরে আরও বেড়েছে।
লেবানন ও গাজায় ইসরায়েলের হামলায় হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ইসরায়েল আন্তর্জাতিক নিন্দার সম্মুখীন হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের অভিযোগ, হামাস সদস্যরা গাজার সাধারণ জনগণের মধ্যে মিশে গিয়ে তাদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
নাসরুল্লাহ মধ্যপ্রাচ্য এবং এর বাইরেও ইসরায়েলবিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যে একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। নাসরুল্লাহর মৃত্যু হিজবুল্লাহর জন্য একটি প্রচণ্ড আঘাত। এ ঘটনা ইসরায়েলের সঙ্গে হিজবুল্লাহর কয়েক দশকের পুরোনো লড়াইয়ের একটি যুগের অবসান ঘটিয়েছে এবং সংগঠনটির ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। হিজবুল্লাহর নেতা হিসেবে নাসরুল্লাহ একাধিক ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি একই সঙ্গে হিজবুল্লাহর ধর্মীয় নেতা, রাজনৈতিক কৌশলবিদ এবং কমান্ডার ইন চিফ হিসেবে কাজ করেছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল–হামাস সংঘাত শুরু হয়েছিল। সেই ঘটনার সূত্র ধরে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ শুরু করে। হিজবুল্লাহ কয়েক মাস ধরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ না করলে হিজবুল্লাহ তার ফিলিস্তিনি মিত্রের পক্ষে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।
কিন্তু নাসরুল্লাহকে হত্যার পরও লেবাননে সংঘাত শেষ হবে না বলে মনে হচ্ছে। শনিবার হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এবং ইসরায়েল লেবাননে পুনরায় বিমান হামলা শুরু করেছে।
নাসরুল্লাহ ছিলেন একজন শিয়া ধর্মগুরু। তিনি ১৯৯২ সাল থেকে হিজবুল্লাহর নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি লেবাননের একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল এবং ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট, ড্রোনসহ অন্যান্য আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত একটি শক্তিশালী মিলিশিয়া বাহিনী পরিচালনা করেছেন।
মধ্যপ্রাচ্যের কিছু হিজবুল্লাহবিরোধী দল নাসরুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় উদ্যাপন করলেও লেবাননের রাজধানী বৈরুত এবং অন্যান্য অঞ্চলে হিজবুল্লাহ সমর্থকেরা দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন। বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে একটি বড় মসজিদের বাইরে কয়েকজন শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি শোকে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমরা তাঁর পথ অনুসরণ করব। তিনি মারা গেলেও জিতবেন।’
নাসরুল্লাহর জন্য শোক প্রকাশ করতে ইরানিরা শনিবার তেহরানের প্যালেস্টাইন স্কোয়ারসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় জড়ো হয়েছিলেন। তাঁরা হিজবুল্লাহর পতাকা নাড়েন এবং ধর্মীয় গীতিনাট্যের মাধ্যমে শোক জানান। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি ইরাকের সব অংশে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেন। হামাস একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে যে ইসরায়েলের এই হত্যাকাণ্ড ফিলিস্তিন এবং লেবাননে প্রতিরোধকে আরও দৃঢ় এবং অবিচল করে তুলবে।
রাজনীতি ও ধর্মের কারণে গভীরভাবে বিভক্ত লেবাননের বিভিন্ন অংশে নাসরুল্লাহর হত্যার ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বৈরুতের একটি খ্রিষ্টান–অধ্যুষিত এলাকা আচরাফিহতে নাসরুল্লাহর মৃত্যুর খবরকে অনেকে অস্বস্তির সঙ্গে স্বাগত জানান। সেখানকার অনেক খ্রিষ্টধর্মাবম্বলী মানুষ নাসরুল্লাহকে পছন্দ করেন না। তবে তাদের কেউ কেউ বেশ চিন্তিত। তাদের আশঙ্কা এই হত্যাকাণ্ড অভ্যন্তরীণ কলহের জন্ম দিতে পারে এবং যার ফলাফল হতে পারে আরেকটি গৃহযুদ্ধ।
সিরিয়ার কিছু অংশে হিজবুল্লাহর ওপর সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলা এবং নাসরুল্লাহর মৃত্যুর খবরকে এমনকি রাস্তায় গান গেয়েও স্বাগত জানানো হয়েছিল। হিজবুল্লাহ একটি শিয়া সংগঠন, যারা সিরিয়ায় সুন্নি বিরোধীদের পরাজিত করতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পক্ষে বড় রকমের ভূমিকা পালন করেছিল।
সেই সময় সুন্নি–অধ্যুষিত বেশ কিছু শহরে অবরোধ আরোপ করা হয়েছিল। সেখানকার মানুষেরা মাসের পর মাস অনাহারে ছিলেন। বহু সুন্নি মুসলমানকে আশপাশের শহর থেকে বহিষ্কার করে হয়েছিল। তুরস্কের পূর্বাঞ্চলে বসবাসকারী একজন সিরীয় শরণার্থী মোহাম্মদ আল-শামারি নাসরুল্লাহর মৃত্যুকে ‘এখন পর্যন্ত সবচেয়ে মধুর সংবাদ’ বলে অভিহিত করেছেন।
ইসরায়েলের জন্য নাসরুল্লাহর হত্যাকাণ্ড বড় বিজয়ের একটি বিরল মুহূর্ত। হামাস ও হিজবুল্লাহর সঙ্গে প্রায় এক বছর ধরে দেশটি যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে হিজবুল্লাহর নেতাকে নিয়ে ভীতির মধ্য ছিল। তাঁরা ভেবেছেন যে কখন তাদের জীবন নতুন করে সহিংসতার দ্বারা বিপর্যস্ত হতে পারে।
ইসরায়েলের সীমান্ত শহর কিরিয়াত শমোনার ডেপুটি মেয়র ওফির ইয়েজেকেলি বলেছেন, হিজবুল্লাহর নিরবচ্ছিন্ন রকেট হামলার পর শহরটি প্রায় খালি হয়ে গেছে। শহরের বাসিন্দারা এখন বিক্ষিপ্ত। তিনি বলেন, ‘রকেট হামলা হবে কি না, তা জানার জন্য আমরা সব সময় তাঁর কথা এবং তাঁর বক্তৃা অনুসরণ করতাম।’ তিনি আরও বলেন, এটি একটি যুগের শেষ।
নাসরুল্লাহর মৃত্যুর পর লেবাননে বিক্ষোভ ও অস্থিরতা ঠেকাতে বিভিন্ন প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু স্থানে সেনাবাহিনীর ট্যাংক মোতায়েন করা হয়েছিল। শিয়া ও খ্রিষ্টধর্মাবম্বলীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি নিয়ে কারও কারও মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এরই মধ্যে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিসহ লেবাননজুড়ে হিজবুল্লাহর বিভিন্ন অবস্থানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডএম ড্যানিয়েল হাগারি টেলিভিশন ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, তাঁরা হিজবুল্লাহ কমান্ডারদের হামলা, হত্যা ও নির্মূল করতে হামলা অব্যাহত রাখবে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শনিবার বলেছে যে তারা হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য হাসান খলিল ইয়াসিনকেও হত্যা করেছে। তিনি বেসামরিক ও সামরিক লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করার জন্য দায়ী ছিলেন, এমন দাবি করা হয়েছে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে।
হিজবুল্লাহ নেতাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলার পাশাপাশি ড্রোন, রকেট, ক্ষেপণাস্ত্রসহ হিজবুল্লাহর শক্তিশালী অস্ত্রভান্ডারও ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তু। তবে হিজবুল্লাহর অস্ত্রাগার ধ্বংস করতে ইসরায়েল এখন পর্যন্ত কতটা সফল হয়েছে, সেটা এখনো বলার মতো সময় আসেনি।
● নিউইয়র্ক টাইমস থেকে নেওয়া
অ্যারন বক্সারম্যান টাইমস–এর রিপোর্টিং ফেলো
রোনেন বার্গম্যান নিউইয়র্ক টাইমস–এর সাংবাদিক
প্যাট্রিক কিংসলে জেরুজালেমে টাইমস–এর ব্যুরো চিফ
স্টিভ লোর প্রযুক্তি ও অর্থনীতিবিষয়ক লেখক
অনুবাদ ও সংক্ষিপ্তকরণ: মনজুরুলইসলাম