অপুষ্টির দুষ্টচক্র অর্থনীতিকে চরম সংকটে ফেলতে পারে

বাংলাদেশ এখনো অপুষ্টির ক্ষেত্রে একটি উচ্চ হারের বোঝা বহন করে চলেছে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক অঙ্গীকার এবং সংকল্প দৃশ্যমান নয়। অপুষ্টি রোধে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে তা নিয়ে লিখেছেন জিয়াউদ্দিন হায়দার

বিউটি, বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের গ্রামীণ জনপদের চার বছর বয়সী একটি কন্যাশিশু। সমবয়সীরা বিউটির অপুষ্টিজনিত খর্বাকৃতি ও দুর্বল শারীরিক কাঠামোর কারণে প্রায়ই ঠাট্টা-রসিকতা করে। মা-বাবাও তার স্বাস্থ্য-পুষ্টি ও পড়াশোনার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন।

এই প্রবন্ধে অপুষ্ট শিশু বলতে বয়সের তুলনায় খর্বাকৃতি বা লম্বায় খাটো পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের বোঝানো হয়েছে। অপুষ্টিতে আক্রান্ত এ ধরনের শিশুদের মস্তিষ্কের গড়ন ও গঠন অপূর্ণ থাকে। তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ পূর্ণ হয় না। স্বভাবতই তারা দুর্বল প্রকৃতির হয়, প্রায়ই রোগে ভোগে ও পড়ালেখায় পিছিয়ে থাকে।

শারীরিক অপুষ্টি ও মস্তিষ্কের গড়ন-গঠনের অপূর্ণতার কারণে বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতি চরম সংকটে পড়তে পারে। এই আর্থিক সংকটের ক্ষতিকারক দিকগুলোর অন্যতম হলো ১১ শতাংশ পর্যন্ত দেশীয় পণ্যের ক্ষতি, ২০ শতাংশ পর্যন্ত ভবিষ্যৎ আয়ের ক্ষতি ও ৩০ শতাংশ পর্যন্ত দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করার ঝুঁকি। এ ছাড়া অধিকতর চিকিৎসা ব্যয়ের ঝুঁকি তো আছেই।

খারাপ স্বাস্থ্যব্যবস্থা, দূষিত পানি, অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন ইত্যাদির কারণে অপুষ্টি মাতৃগর্ভে আসার প্রথম এক হাজার দিনের মধ্যে, অর্থাৎ দুই বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের সুস্থতার সঙ্গে জীবন শুরুর পথকে বাধাগ্রস্ত করে। এর পাশাপাশি সারা জীবনের জন্য তাদের মস্তিষ্ক বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনাকে হ্রাস করে এবং শারীরিক ক্ষমতাকে সীমিত করে রাখে। এসব কারণে ঘটা অপূরণীয় শারীরিক, মানসিক ও মেধাবিকাশের ক্ষতি সার্বিক মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে অপুষ্টি অসুস্থতার আশঙ্কা বৃদ্ধি, মেধাবিকাশ হ্রাস এবং অদূরভবিষ্যতে পড়াশোনার খারাপ ফল নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে তা বংশপরম্পরায় অপুষ্টির একটি দুষ্টচক্র তৈরি করে। শিশু বয়সে যেসব নারী অপুষ্ট ছিলেন অথবা পরিণত বয়সের আগেই ‘মা’ হয়েছেন, তাঁদের অপুষ্ট শিশু জন্মদানের আশঙ্কা অনেক বেশি থাকে।

অপুষ্টিজনিত সমস্যা সমাধানের কৌশল

বিউটি ও তার মতো অপুষ্টিতে আক্রান্ত পরিবারের জন্য সৌভাগ্যবশত সুখবর এই, বাংলাদেশের কাছাকাছি উন্নয়নশীল কয়েকটি দেশে অপুষ্টি রোধে গৃহীত কার্যক্রমে ইতিমধ্যে কার্যকর ফল পাওয়া গেছে। ইন্দোনেশিয়া, পেরু, কিরগিজ প্রজাতন্ত্র, ইথিওপিয়া, সেনেগাল ও প্রতিবেশী নেপালের মতো দেশগুলো টেকসই ও বাস্তবসম্মত নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করেছে। উভয় ক্ষেত্রেই এসব দেশ অপুষ্টির জটিল কারণগুলো সফলভাবে মোকাবিলা করে বিশ্বে বড় একটি উদাহরণ তৈরি করেছে।

১০ থেকে ১৫ বছর ধরে তাদের মতো উদাহরণ সৃষ্টিকারী দেশগুলো একটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং সমন্বিত কৌশল প্রণয়ন করেছে। এটা স্বাস্থ্য, পানি, কৃষি, সামাজিক সুরক্ষা এবং শিক্ষা ক্ষেত্রের সমন্বিত কর্মকৌশলের মাধ্যমে অপুষ্টি রোধে ব্যাপক পদক্ষেপ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।

আরও পড়ুন

বিষয়ভিত্তিক কর্মকৌশল, যেগুলো অপুষ্টি প্রতিরোধের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলো হলো নারীশিক্ষা, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, নিরাপদ পয়োনিষ্কাশন এবং মানুষ ও পশুর মল বর্জ্যের সংস্পর্শ কমাতে পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্রাক্‌-প্রাথমিক শিক্ষা, মাতৃ-মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা, পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ শাকসবজি উৎপাদন ও খাদ্যবৈচিত্র্য, স্বাস্থ্য এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবা, আয়-সহায়তা, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি।

অধিকন্তু এসব দেশ রাষ্ট্রপ্রধান অথবা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রভাবশালী সরকারি সংস্থার নেতৃত্বে পাঁচ বছরের কম বয়সী সব শিশুর জন্য একটি বহু বিভাগীয় সমন্বয়মূলক প্রচেষ্টা গ্রহণ করে। ফলে সবচেয়ে অবহেলিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে সংশ্লিষ্ট সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রতিফলিত হয়েছে এবং অপুষ্টি দূরীকরণে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ বরাদ্দকরণ সহজ হয়েছে।

বাংলাদেশে শিশু অপুষ্টি রোধে করণীয়

বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের অপুষ্টির হার ২০১৭ সালে ৩১ শতাংশ, ২০১৯ সালে ২৮ শতাংশ ও ২০২৩ সালে ২৫ শতাংশ ছিল। বাংলাদেশে বিগত বছরে যদিও শিশুদের অপুষ্টির একটি নিম্নমুখী হার দেখা যাচ্ছে, তথাপি বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার এখনো বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে বেশি।

গত দশকে বাংলাদেশে অপুষ্টির হার হ্রাস পেলেও তা আমাদের ঊর্ধ্বমুখী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। অন্যান্য নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় কিছুটা উন্নতি পরিলক্ষিত হলেও বাংলাদেশ এখনো অপুষ্টির ক্ষেত্রে একটি উচ্চ হারের বোঝা বহন করেই চলেছে। স্পষ্টতই, জীবনের শুরুতে পুষ্টিকর খাবার, বিশুদ্ধ পানি, পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ পয়োনিষ্কাশন প্রভৃতির অপর্যাপ্ততা বাংলাদেশের লাখ লাখ শিশু, তাদের পরিবার ও জাতিকে প্রত্যাশিত সমৃদ্ধি থেকে পিছিয়ে রেখেছে।

বেশ কয়েকটি গবেষণায় বাংলাদেশে শিশুদের অপুষ্টির সঙ্গে সম্পর্কিত জটিল ও বহুমাত্রিক কারণগুলো তুলে ধরা হয়েছে, যা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও জাতীয় স্তরে বিদ্যমান। এর মধ্যে অন্যতম হলো—স্বতন্ত্র মাতৃত্ব-সংক্রান্ত কারণ; এর মধ্যে রয়েছে অশিক্ষা, গর্ভাবস্থায় ও তার আগে মায়ের অপুষ্টি। শিশু-সংক্রান্ত কারণ; যেমন ঘন ঘন অসুস্থতা, অস্বাস্থ্যকর ও অপর্যাপ্ত খাওয়ানোর অভ্যাস এবং সীমিত আকারে শিশুযত্ন। পরিবার-সংক্রান্ত কারণ; যেমন পরিবারের নিম্ন সম্পদ সূচক, বড় পরিবার এবং অপর্যাপ্ত সেবা গ্রহণ-সংক্রান্ত কারণ; যেমন স্বাস্থ্য, পানি, পয়োনিষ্কাশন ও পরিচ্ছন্নতার অভাব।

এখন ‘উদাহরণ সৃষ্টিকারী’দেশগুলো, যারা অপুষ্টি প্রতিরোধে তুলনামূলকভাবে দ্রুত সাফল্য অর্জন করেছে, তাদের দিকে আলোকপাত করা যাক। তাদের যে শুধু উচ্চপর্যায়ের দীর্ঘমেয়াদি ও বলিষ্ঠ রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছিল, তা-ই নয়; সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবহারেও নিয়মিত ও অধিক বিনিয়োগ, অবলোকন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণপ্রক্রিয়ায় সক্ষমতা অর্জন এবং প্রয়োজনীয় ও টেকসই প্রকল্প বাস্তবায়ন দক্ষতা অর্জনও ছিল। উদাহরণ সৃষ্টিকারী দেশগুলোর সাফল্যের অন্যতম কারণ ছিল এগুলো।

আরও পড়ুন

২০১০ সাল থেকে শুরু হওয়া ‘গ্লোবাল স্কেল আপ নিউট্রিশন মুভমেন্ট’-এর প্রধান লক্ষ্য ছিল সরকারের সর্বস্তরে অধিকতর প্রচার। এ ছাড়া জনসাধারণ ও জনপ্রতিনিধিদের প্রাসঙ্গিক কার্যকারণ সম্পর্কে বোঝানোর মাধ্যমে অপুষ্টি হ্রাসকরণের কৌশলকে সরকারের একটি অন্যতম অগ্রাধিকার খাত হিসেবে তুলে ধরা।

দুর্ভাগ্যবশত বাংলাদেশে অপুষ্টি রোধের কার্যক্রম এখনো সীমিত আকারে এবং অনেকাংশেই উন্নয়ন সহযোগীদের ওপর নির্ভরশীল। উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং সংকল্প এখনো দৃশ্যমান নয়। বিভিন্ন খাতের সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার হলেও কাঠামোগতভাবে অপুষ্টি প্রতিরোধ কর্মসূচি বাংলাদেশে এখনো প্রধানত স্বাস্থ্য খাতের নিয়ন্ত্রণে। ফলে কৃষি, পানিসহ অন্যান্য খাতের সক্রিয় অংশগ্রহণ ঐতিহাসিকভাবেই অত্যন্ত দুর্বল।

১৯৭৪ সালে গঠন হওয়া দুর্বল কাঠামো এবং অর্থ সমস্যায় ভোগা রুগ্‌ণ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ পুনর্গঠন করা হলেও তা কাঠামোগতভাবে আজও দুর্বল এবং প্রশাসনিকভাবে এখনো স্বাস্থ্য খাতেরই নিয়ন্ত্রণে। গোষ্ঠীগত স্বার্থ, রাজনৈতিক অর্থনীতি, উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক সংকল্প ও দক্ষ জনশক্তির অভাব এবং অপর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দের সমস্যা তো আছেই।

বাংলাদেশে সমন্বিত পুষ্টি কার্যক্রম প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন জোরদারকরণের লক্ষ্যে সরকারের সব খাত, যেমন স্বাস্থ্য, পানি, কৃষি, সামাজিক সুরক্ষা, শিক্ষা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে জাতীয় অপুষ্টি প্রতিরোধ কর্মকৌশল প্রণয়নের মাধ্যমে এসব উদ্যোগকে আবার জোরদার করতে হবে। এ ছাড়া দেশের বাস্তবতার নিরিখে প্রশাসনের কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক পক্ষগুলোকে সমন্বয়ের মাধ্যমে সমন্বিত প্রকল্প বাস্তবায়নে একটি বাস্তব রূপ প্রদান করতে হবে।

প্রকল্পকাজের অগ্রগতি নিরূপণের জন্য সরকারি-বেসরকারি আর্থিক উৎসে পরিচালিত সব প্রকল্পের একটি অভিন্ন মূল্যায়ন করার কৌশল প্রণয়নের প্রয়োজন। এ ছাড়া অপুষ্টি হ্রাসকরণে স্থায়ী রাজনৈতিক অঙ্গীকারসহ প্রকল্পের সমন্বিত অবলোকন, মূল্যায়ন, অর্থায়ন ও বাজেট অনুসন্ধানের জন্য শক্ত জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি।

এই সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হবে জাতীয় পুষ্টি পরিষদকে একটি উচ্চপদস্থ সত্যিকারের ‘মাল্টি সেক্টরাল’ অঙ্গে পরিণত করা এবং সরকারের দৃঢ় রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি এবং সমতার ভিত্তিতে পুষ্টিবিষয়ক ও অন্যান্য বাস্তবভিত্তিক প্রকল্প পরিচালনা করা। তদুপরি ফলাফলভিত্তিক ‘মূল্যায়ন ছক’ ব্যবহার, স্থানীয় সরকার ও সেবা প্রদানকারী নিম্ন স্তরের কর্মীদের প্রণোদনা সহায়তা প্রদান এবং অপুষ্টি হ্রাসকরণের হালনাগাদ অবস্থা সম্পর্কে নিয়োজিত কর্মীদের নিয়মিত অবহিত করার মাধ্যমে কাজের লক্ষ্য ও অর্জন সম্পর্কে জানানো অত্যন্ত জরুরি।

অন্য দেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে

প্রতিবেশী নেপালসহ সব উদাহরণ সৃষ্টিকারী দেশগুলোর বাস্তব অভিজ্ঞতা আমাদের দেশের অপুষ্টি সমস্যা হ্রাসকরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অন্তর্নিহিত অবদান রাখতে পারে। এটা স্পষ্ট যে টেকসই ফলাফলের জন্য একটি সক্ষম পরিবেশ তৈরিতে সরকার, সমাজ ও সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ ও সম্পদের সুষম ব্যবহারের মাধ্যমে একটি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব।

শিশুদের অপুষ্টি হ্রাসকরণে নীতি ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে ‘গুণগত’ ও ‘পরিমাণগত’ তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে একটি শক্তিশালী বেজলাইন তথ্যগুচ্ছ তৈরি করতে হবে। এর মাধ্যমে অপুষ্টির পরিস্থিতি, প্রবণতা এবং কারণ জানা যাবে। চলমান কার্যক্রম এবং সেগুলোর বাস্তবায়ন কৌশল, নীতি, আইনগত ভূমিকা, সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সহায়ক খাত/ প্রতিষ্ঠানের পুষ্টিবিষয়ক কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং কৌশল ইত্যাদি পর্যালোচনার মাধ্যমে সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা ও অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে জানা যাবে।

পরিস্থিতি বিশ্লেষণের মাধ্যমে চিহ্নিত বিষয়গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব সরকারি খাতের সমন্বয়ে একটি ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে, যার মধ্যে পরিবার ও সমাজের বাস্তবতা প্রতিফলিত হবে এবং শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি কার্যক্রমের বাস্তবায়নের অঙ্গীকার সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হবে।

প্রতিশ্রুতিশীল নেতৃত্ব, জবাবদিহি, সুশাসন, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতি, কৌশলগত অর্থ বিনিয়োগ, সামাজিক ন্যায্যতা, অভিজ্ঞতা বিনিময় প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে অপুষ্টি হ্রাসকরণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে ব্রতী হতে হবে। বাংলাদেশের সামনে সেটা করার এখনই সময়।

  • ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিশেষজ্ঞ, বিশ্বব্যাংক