গৃহিণীরা কোন মন্ত্রে শিল্পপতিদের চেয়ে বেশি টাকা জমালেন

‘গৃহিণীদের ব্যাংক হিসাবে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের চেয়ে বেশি অর্থ গচ্ছিত আছে’—খবরটি যথেষ্ট কৌতুহলোদ্দীপক। পাঁচ বছরে গৃহিণীদের ব্যাংক হিসাবে আমানত বেড়েছে প্রায় শতকরা ৬৯ ভাগ। এই তথ্য হাওয়া থেকে পাওয়া নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী আমানতে প্রবৃদ্ধির দিক থেকেও দেশের ব্যবসায়ী, প্রবাসী, শিল্পপতি, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবীদের চেয়ে গৃহিণীরা এগিয়ে।

সংসারে সারা দিন কাজ করেও যে গৃহিণীদের কোনো কদর নেই, নেই সম্মান ও মর্যাদা, সেই গৃহিণীরাই কোন জাদুমন্ত্রবলে ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের চেয়ে বেশি অর্থ সঞ্চয় করতে পারলেন?

দেশের অর্থনীতিতে নারীর কাজের কোনো মূল্যায়ন নেই। নারী তাঁর সময়ের একটা বড় অংশ বাজারকেন্দ্রিক কাজের চেয়ে, পরিবারকেন্দ্রিক কাজে বেশি ব্যস্ত থাকেন। নারীর এই বিনা মূল্যের সেবামূলক ও গৃহস্থালি কাজগুলোকে ‘অ-অর্থনৈতিক’ কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এই অস্বীকৃত এবং অদৃশ্য কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে ঘরদোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, রান্না করা, শিশুর যত্ন নেওয়া, বয়স্ক মানুষের যত্ন নেওয়া ইত্যাদি। এর সঙ্গে আরও আছে কৃষিকাজ, গবাদিপশুর দেখাশোনা ও বীজ সংরক্ষণ।

অর্থনীতিবিদেরা দেখিয়েছেন, দেশে ৪৩ শতাংশের বেশি নারী পুরোপুরিভাবে গৃহস্থালিকাজের সঙ্গে যুক্ত। অন্যদিকে এই কাজে যুক্ত পুরুষের সংখ্যা ১ শতাংশের কম।

এই কাজগুলো কোনো অর্থনৈতিক লেনদেন বা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশা ছাড়াই গৃহিণীরা করে থাকেন। তাহলে হঠাৎ এমন কী ঘটল যে গৃহিণীদের নামে ব্যাংকে এত টাকা জমা হচ্ছে?

নারী অধিকারকর্মীরা বহু বছর যাবৎ দাবি জানিয়ে আসছেন যে নারী যেন তাঁর গৃহস্থালি ও সেবামূলক কাজের জন্য সম্মানিত হন। সংসারের সব কাজ করেও তাঁকে যেন সবার সামনে মাথা নত করে থাকতে না হয়। এত কাজ করার পরেও কোনো সন্তান যেন মনে না করে যে তার মা কিছুই করেন না। স্বামীসহ সংসারের আর কোনো সদস্য যেন বলতে না পারেন, ‘তুমি সারা দিন করোটা কী?’

তাদের সেই স্বপ্ন যদি সত্যি পূরণ হতো, তাহলে এর চেয়ে সুখের সংবাদ আর কিছুই হতো না। কিন্তু না, এখানে গৃহিণীকে সম্মান না দিয়ে, বরং স্ত্রী হিসেবে তাঁর পরিচয়টাকে ব্যবহার করেছেন কিছু দুর্নীতিপরায়ণ ও টাকাওয়ালা স্বামী। সংসারের সব দায়িত্ব পালন করার জন্য তাঁরা স্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন না, কৃতজ্ঞতা জানান না, মর্যাদা, ভালোবাসা ও সম্পত্তিতে মালিকানা দেন না। কিন্তু চুরির টাকার বা বাড়তি কালোটাকার দায় চাপিয়ে দেন।

এ কথারই প্রতিধ্বনি করেছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, গৃহিণীদের ব্যাংক হিসাবে থাকা আমানতের পরিমাণ অস্বাভাবিক। ‘গৃহিণীদের মধ্যে সঞ্চয়ের প্রবণতা বেশ ভালো। সংসারের ব্যয়ের ক্ষেত্রে তাঁরা দক্ষতার পরিচয় দেন। প্রতি মাসের সঞ্চয় থেকে তাঁরা ব্যাংকে কিছু অর্থ জমা রাখতে পারেন। কিন্তু যে পরিমাণ অর্থ গৃহিণীদের নামে ব্যাংকে জমা আছে, সেটি একেবারেই অস্বাভাবিক। কোনোভাবেই গৃহিণীদের ব্যাংক হিসাবে লাখ লাখ কোটি টাকা জমা থাকা সম্ভব নয়। এর মানে কর ফাঁকি দেওয়া কিংবা কালোটাকা জমা রাখার জন্য গৃহিণীদের ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি একেবারেই পরিষ্কার। এ জন্য কোনো গবেষণার প্রয়োজন নেই।’

বিভিন্ন সংস্থার গবেষণা ও জরিপ বলছে, দেশের প্রায় ৭৪ শতাংশ নারীর কাছে এখনো ব্যাংকসেবা পৌঁছেনি। শ্রমবাজারে অংশগ্রহণের বিচারেও দেশের নারীরা এখনো বেশ পিছিয়ে। আবার যৌক্তিক মজুরির ক্ষেত্রেও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। উত্তরাধিকার সম্পত্তিতে অধিকার নিয়েও শোনা যায় নারীর বঞ্চনার অনেক অভিযোগ। উদ্যোক্তা হিসেবে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রেও নারীরা ব্যাংকগুলোর বৈষম্যের শিকার বলে অভিযোগ রয়েছে।

এত অপ্রাপ্তি, বৈষম্য, বঞ্চনা ও উপেক্ষার গল্পের বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে ব্যাংকে গৃহিণীদের গচ্ছিত আমানতে। দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ২০২৩ সাল শেষে গৃহিণীদের নামে জমা ছিল ২ লাখ ১ হাজার ৮৪২ কোটি টাকার আমানত। পরিমাণের দিক থেকে তা দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের আমানতের চেয়ে বেশি। (সূত্র: বণিক বার্তা)
ব্যাংকে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ২ লাখ ৯২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার আমানত রয়েছে চাকরিজীবীদের। আমানতের স্থিতির দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে গৃহিণী বা বেগমেরা। সে হিসাবে ব্যক্তিশ্রেণির আমানতের ২১ দশমিক ৭৯ শতাংশের মালিকানাই গৃহিণীদের।

যেকোনো গ্রাহক যখন ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে যান, তখন তাঁকে কেওয়াইসি ফরম পূরণ করতে হয়। এতে নির্ধারিত কলামে গ্রাহকের পেশা উল্লেখ থাকে। বিবাহিত নারীদের মধ্যে যাঁরা শুধু গৃহস্থালি কাজ করেন, তাঁরা কেওয়াইসিতে নিজেদের পেশার জায়গায় হাউজওয়াইফ বা গৃহিণী উল্লেখ করেন। সাধারণত গৃহিণীদের তেমন কোনো আয় থাকে না। তাহলে ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ আমানত জমা হওয়ার পেছনে গৃহিণীদের নিজস্ব সঞ্চয় আসলে কতটা?

ধরে নিলাম তাঁদের ব্যয় কম এবং স্বামীর আয়ই তাঁরা ব্যয় ও সঞ্চয় করেন। তা ছাড়া তাঁরা সংসার খরচের টাকা থেকেও সঞ্চয় করেন। উত্তরাধিকার থেকে পাওয়া সম্পত্তি বিক্রি করা অর্থও গৃহিণীরা ব্যাংকে রাখেন। কিন্তু সেই পরিমাণ কতটা?

প্রকাশিত রিপোর্টটি বলছে, ব্যাংক হিসাবে জমাকৃত আমানতের সামান্য অংশই মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত গৃহিণীদের। এ শ্রেণির গৃহিণীদের আমানতের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৪০-৫০ হাজার কোটি টাকা হতে পারে। বাকি দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি আমানত দেশের উচ্চবিত্ত শ্রেণির গৃহিণীদের। পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, উচ্চপর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী ও বিভিন্ন উপায়ে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থবিত্তের মালিকদের স্ত্রীরাই ব্যাংকে এ পরিমাণ অর্থ জমা করেছেন।

নারীর নিজস্ব আয় থেকে সঞ্চিত অর্থ যে এতটা বেশি হবে না, তা সহজেই অনুমেয়। কারণ, নারীর নিজস্ব সম্পদ খুবই সামান্য। দেশে কৃষিকাজের বড় অংশে নারীরা কাজ করলেও তাঁদের নেই জমির মালিকানা। বাংলাদেশে ৯৬ শতাংশ জমির মালিক পুরুষ, কেবল ৪ শতাংশ জমির মালিকানা নারীর। কিন্তু এই ৪ শতাংশই সমাজের ধনী শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত নারীদের। ২০২২ সালে পাঁচটি বেসরকারি সংস্থার ফোরাম ‘ফরমাল রিকগনিশন অব দ্য উইমেন’স আনকাউন্টেড ওয়ার্কের উদ্যোগে একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে শ্রমে নিযুক্ত মানুষের মধ্যে শতকরা ৯১ দশমিক ৩ জন অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন এবং তাঁদের শতকরা ৯৬ দশমিক ৭ জন নারী।

এ ছাড়া উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদপ্রাপ্তির অধিকার শুধু পরিবারে নয়, সমাজেও নারীর অবস্থান নির্দেশ করে। নারীরা সম্পদের প্রকৃত মালিকানা পান খুবই কম।
২০১৪ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশে ৭০ ভাগ নারীর সম্পদের ওপর মালিকানা নেই। ফলে তাঁরা পরিবারের পুরুষ সদস্যদের ওপর যেমন নির্ভরশীল থাকেন, তেমনি নিজেরা কিছু করতে চাইলেও তা সম্ভব হয়ে ওঠে না।

১ শতাংশ নারীর নিজের সম্পদ থাকলেও পরবর্তী সময়ে তাঁরা তা হারিয়ে ফেলেন। ২৯ ভাগ নারী সম্পদের মালিক হয়েছেন উত্তরাধিকার সূত্রে। নারী উদ্যোক্তা ও শ্রমিকদের ৮২ শতাংশ জানান, তাঁদের সম্পদে নিজের অধিকার বা মালিকানা নেই। অধিকাংশ নারীই নিজের সম্পদ ব্যবহারে কোনো মতামতও দিতে পারেন না। মাত্র ২৬ শতাংশ নারী মতামত দেওয়ার সুযোগ পান।

যেমন কাগজি খাতুনের বাড়ি পঞ্চগড়ের একটি গ্রামে। স্বামী একজন কৃষক, যাঁর সামান্য কিছু জমি আছে। কাগজি সংসারের কাজ করার পাশাপাশি আবাদ–পরবর্তী সব কাজ করেন। যেমন গবাদিপশুর দেখাশোনা, দুধ আহরণ, ছাগল পালন, বাড়ির ভেতরের সবজি বাগান এবং বীজ সংরক্ষণের মতো জরুরি কাজগুলো তিনিই করেন। এ ছাড়া জমি তৈরি, চারা রোপণ, সার দেওয়া, পোকানাশকের ব্যবহার, বীজ তৈরি, শস্য জমি থেকে বাড়িতে নেওয়া, ফসল ভাঙানো, বাছাই ও প্যাকেটজাত করার প্রক্রিয়ার সঙ্গেও তিনি জড়িত।

এত সব কাজ করার জন্য কাগজি কি কোনো টাকা পান? অর্থাৎ কাগজির কি কোনো আয় হয় এই কাজ থেকে? নাকি জমিতে তাঁর কিছু মালিকানা আছে? এই টাকা কি তিনি নিজের মতো করে খরচ করতে পারেন? কাগজি বললেন, না কোনো মালিকানা নেই এবং তিনি কোনো পারিশ্রমিকও পান না।

ডিমের জন্য নীলফামারীর মোসলেমা বেগম হাঁস–মুরগি পালন করেন। সেই সঙ্গে একটা চায়ের দোকান সামলান। কিন্তু এই ডিম বাজারে বিক্রি করেন পরিবারের পুরুষ সদস্য। চায়ের দোকানের আয়টাও চলে যায় তাঁর হাতেই। নারীর শ্রমটা অমূল্যায়িতই থেকে যায়। গ্রামীণ নারীকে কাজ করতে হয় মূলত ‘পারিবারিক শ্রমিক’ হিসেবে। কাজেই তাঁদের আয়ের পরিমাণ খুব সামান্যই রয়ে গেছে। কৃষিতে মজুরিযুক্ত কাজে নারীর সংখ্যা মাত্র ১৫ শতাংশের কাছাকাছি।

গ্রামীণ নারীর সম্পদের বিক্রয়লব্ধ অর্থ তাঁদের স্বামী গ্রহণ করেন এবং এই টাকা ব্যয় করার অধিকারও তাঁদের নেই। ফলে এই কাজে নারীর যে শ্রম ও সময় ব্যয় হলো, তা অবমূল্যায়িতই থেকে গেল। (তথ্যসূত্র: কৃষিতে নারীর কাজের মূল্যায়ন)

কাজেই নিশ্চিতভাবেই বোঝা যাচ্ছে, ব্যাংকে গচ্ছিত ওই বিপুল অঙ্কের টাকা চাকরিজীবী নারীর না, কিষানি নারীর না, ব্যবসায়ী নারীরও নয়। ওই টাকা নামে-বেনামে জমা করেছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের অনেকে।

তাঁরা তাঁদের সম্পদ গোপন রাখার জন্য স্ত্রী, মা ও সন্তানদের ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা রাখেন। অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঘুষ লেনদেনের টাকাও চলে যায় স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে। যেমন র‍্যাবের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছিল, ঠিকাদার জি কে শামীম বিপুল অঙ্কের এফডিআরের মধ্যে ১৪০ কোটি টাকাই রেখেছিলেন মা আয়েশা আক্তারের নামে, অথচ তাঁর মায়ের কোনো আয় ছিল না। অর্থ হাতানোর কাজে পি কে হালদারও তাঁর মা লীলাবতী হালদারের নাম ও বান্ধবীদের নাম ব্যবহার করেছিলেন। বিদেশে অর্থ ও মানব পাচারের মামলায় কুয়েতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল। তিনি তাঁর অবৈধ অর্থ ব্যাংকে জমা রাখার জন্য স্ত্রী, কন্যা ও শ্যালিকার ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করেছিলেন।

পাপুল ও তাঁর পরিবারের তিন সদস্যের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। এভাবেই হিসাবের বাইরের টাকা স্ত্রীর নামে ব্যাংকে গচ্ছিত হচ্ছে।

আমরা যারা চাকরি বা ব্যবসা করে আয় করি, যারা নিয়মিত আয়কর প্রদান করি, তারা জানি দুইটা টাকা আয় করা খুব কঠিন। এর চেয়ে বেশি কঠিন এই আয় থেকে এক টাকা সঞ্চয় করা। টাকা ব্যাংকে জমা রাখতে গেলে বা তুলতে গেলেও উৎস নিয়ে আমাদের দশ ধরনের প্রশ্নের জবাব দিতে হয়। ইনকাম ট্যাক্স দেওয়ার পরেও নানা ধরনের ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়।

এদিকে সর্বশেষ অর্থবছরের এখন পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন মাত্র ৩৬ লাখ করদাতা। ব্যক্তিশ্রেণির আয়কর রিটার্নের মধ্যে খুবই নগণ্যসংখ্যক গৃহিণী রিটার্ন দাখিল করেন বলে এনবিআর সূত্র বলছে। তারা বলছে, চাকরিজীবী নারীদের বড় একটি অংশ আয়কর রিটার্ন দাখিল করলেও গৃহিণীদের রিটার্ন দাখিলের ঘটনা খুব কম।
এখন আমাদের প্রশ্ন, গৃহিণীদের এই অতিরিক্ত ‘সঞ্চয়’ নিয়ে কেন প্রশ্ন উঠছে না? কান টানলেই তো সহজে মাথা চলে আসার কথা।

বাংলাদেশে নারী স্বামীর পরিচয়ে পরিচিত হতে গর্ববোধ করেন, ভালো কথা। কিন্তু স্বামী ও সন্তানের অসৎ আয়ের দায়ভার নিতেও কি নারী গর্ববোধ করেন? নাকি তাঁরা জানতেও চান না এই টাকার উৎস কী? নাকি জানার অধিকারটুকু তাঁকে দেওয়াই হয় না? হয়তোবা তখনো স্ত্রীকে বলা হয়, ‘তোমার এত জেনে হবেটা কী?’

  • শাহানা হুদা যোগাযোগবিশেষজ্ঞ ও কলাম লেখক