বাংলাদেশে ‘পুশ ইনে’ বিপদে ভারতীয়রাই

ভারতীয় সংবাদপত্রগুলোতে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এই সব বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া অসহায় ভারতীয় নাগরিকদের হৃদয়বিদারক কাহিনিগুলো ক্রমান্বয়ে প্রকাশ পাচ্ছে।ফাইল ছবি : প্রথম আলো

ভারতে সবচেয়ে ‘বিখ্যাত’ বাংলাদেশি এখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া ৫ আগস্টের পর অনেক আওয়ামী লীগপন্থী রাজনীতিবিদ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বাংলাদেশে ভারতের যত ‘পুশ ব্যাক’ হচ্ছে, স্বভাবতই এসব বাংলাদেশিদের তার বাইরে রাখা হয়েছে।  

২.
নিয়তির কী পরিহাস! ভারতে আসল বাংলাদেশিদের ‘মেহমান’ বানিয়ে, ‘পুশ ব্যাকের’ জন্য ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে হাজার হাজার ভারতীয় নাগরিককে ‘বাংলাদেশি’ বলে হেনস্তা করা হচ্ছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলা ভাষাভাষী অনেক হিন্দু ও মুসলমান। এই সব দরিদ্র লোকগুলোকে ভারত সরকার ব্যবহার করছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘বাংলাদেশকে শায়েস্তা করার’ রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য।

বিজিপিশাসিত রাজ্যগুলোও এই পুশ ব্যাককে ব্যবহার করছে নিজ নিজ রাজ্যে অবাঙালি ভোটারদের মন জয় করে বিজেপির ভোট বাড়াতে।

১৭ জুলাই ‘বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে বাঙালিদের ওপর অত্যাচার’-এর প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস কলকাতায় এক মিছিল বের করে। কলকাতার বাংলা পত্রিকা আনন্দবাজার জানায়, মিছিল শেষে মমতার প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার বক্তৃতায় সিংহভাগজুড়েই ছিল বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে বাঙালিদের হেনস্তার অভিযোগ।

প্রতিবাদ সভায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপিশাসিত রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার এবং বাংলাদেশি তকমা দিয়ে আটক করা গণতন্ত্রের ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ।

ভারতীয় সংবাদপত্রগুলোতে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এই সব বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া অসহায় ভারতীয় নাগরিকদের হৃদয়বিদারক কাহিনিগুলো ক্রমান্বয়ে প্রকাশ পাচ্ছে। কিন্তু ভারত সরকার নির্বিকার। মোদি সরকার এই বিষয়গুলো নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য না করলেও তাদের কর্মকাণ্ড সাক্ষ্য দেয় তাদের মূল উদ্দেশ্য কী।

৩.
আসাম থেকে বিবিসির একটা প্রতিবেদন, প্রকাশ পায় জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে।
ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য আসামের বারপেটা জেলার বাসিন্দা ৫৮ বছর বয়সী সোনা বানু। তিনি বলেন যে ২৫ মে তাঁকে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে ডেকে পাঠানো হয় এবং পরে তাঁকে বাংলাদেশ সীমান্তের এক জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে এবং আরও প্রায় ১৩ জনকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, কেন যে তাঁকে অন্য দেশে পাঠানো হলো, তা তাঁকে বলা হয়নি; এই পরিস্থিতিতে তিনি খুব ভয় পেয়েছিলেন। সোনা বানু বলেন, তিনি সারা জীবন আসামে বসবাস করেছেন, তিনি একজন ভারতীয় নাগরিক এবং বাংলাদেশ থেকে আসা ‘অবৈধ অভিবাসী’ নন।

‘তারা আমাকে বন্দুকের মুখে ঠেলে দিয়েছে। আমি মশা এবং জোঁকে ভরা হাঁটু পর্যন্ত জলের মধ্যে দুই দিন খাবার বা জল ছাড়াই কাটিয়েছি’, সোনা বানু চোখের জল মুছতে মুছতে বিবিসির প্রতিবেদককে বলেন। দুই দিন সীমান্তবর্তী এলাকায় রাখার পর, তাঁকে বাংলাদেশের পাশের একটি পুরোনো কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

সেখানে দুই দিন থাকার পর, বাংলাদেশি কর্মকর্তারা তাঁকে এবং আরও কয়েকজনকে সীমান্তের ওপারে ভারতীয় কর্মকর্তাদের কাছে নিয়ে যান। ভারতীয় কর্মকর্তারা শেষমেশ তাঁদের ভারতে তাঁদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এই সব কথা মনে পড়লে এখনো সোনা বানুর বুক কেঁপে ওঠে।

সোনা বানুকে কেন হঠাৎ করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল এবং তারপর ফিরিয়ে আনা হয়েছিল, তা স্পষ্ট নয়। তবে তাঁর ঘটনাটি সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে আসামের কর্মকর্তারা অতীতে ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ সন্দেহে তথাকথিত ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক ‘বিদেশি ঘোষিত’ ব্যক্তিদের আটক করে সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে দিয়েছেন। বিবিসি কমপক্ষে ছয়টি ঘটনা খুঁজে পেয়েছে, যেখানে লোকেরা বলেছে যে তাদের পরিবারের সদস্যদের তুলে নেওয়া হয়েছে, সীমান্তবর্তী শহরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং বাংলাদেশে ‘পুশ’ করা হয়েছে।

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, আসাম পুলিশ এবং রাজ্য সরকারের কর্মকর্তারা বিবিসির প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি।

৪.
ভারতীয় ‘পুশ ব্যাক’ নিয়ে আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে উঠে আসে ভারত কীভাবে নিজ দেশের দরিদ্র নাগরিকদের ‘পুশ ব্যাকে’ ব্যবহার করছে।

৩১ মে, ৬৭ বছর বয়সী এই সাইকেল মেকানিক ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য আসামে তাঁর বাড়িতে ফিরে আসেন, চার দিন ধরে বাংলাদেশে আটকে থাকার পর।

আলীর সপ্তাহব্যাপী হেনস্তা শুরু হয় ২৩ মে, যখন পুলিশ তাঁকে আসামের মরিগাঁও জেলার একটি ছোট গ্রাম কুয়াডালের তাঁর ভাড়া বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। সরকারি অভিযানটি ছিল ‘ঘোষিত বিদেশি নাগরিকদের’ বিরুদ্ধে। ২৩ মে পুলিশ আলীকে তুলে নেওয়ার পর তাঁকে আসামের গোয়ালপাড়া জেলার মাটিয়াতে ১২৪ মাইল দূরে অবস্থিত একটি আটক কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিন দিন পর ২৭ মে ভোরের দিকে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সৈন্যরা তাঁকে এবং পাঁচজন মহিলাসহ আরও ১৩ জনকে একটি ভ্যানে করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়ে যায়। তাদের বলা হয় তারা যদি ফিরে আসতে চেষ্টা করে, তাদের গুলি করা হবে। একজন ভারতীয় সাংবাদিক বলেছেন, বিএসএফ তাদের ভয় দেখতে চারটি রাবার বুলেটের গুলি ছুড়েছে।

বাংলাদেশি গ্রামবাসীর ক্রুদ্ধ প্রতিবাদের পর বাংলাদেশের বিজিবি সৈন্যরা আলীকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের একটি সীমান্ত পয়েন্টে ফেলে দেয়, যেখান থেকে তিনি ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে ১০ ঘণ্টার যাত্রা করে বাড়ি ফিরে আসেন।

আসামভিত্তিক দ্য সেন্টিনেল সংবাদপত্রের ৩১ মে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এই ঘটনায় বিএসএফ বিজিবি থেকে ৬৫ জন ভারতীয় নাগরিককে পেয়েছে।

‘বাংলাদেশি’ পরিচয় দিয়ে উচ্ছেদের ঘটনায় আসামে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে বরাক উপত্যকার বাঙালি–অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। তিনি বলেছেন, আগামী আদমশুমারিতে কেউ মাতৃভাষা হিসেবে বাংলা উল্লেখ করলে তাঁকে ‘বিদেশি’ বলে চিহ্নিত করা হবে।

‘বাংলাদেশি তাড়ানোর’ এই সব ঘটনা এখন বিজেপিশাসিত অন্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে। দিল্লি, বিহার ও মহারাষ্ট্রের অনেকগুলো ঘটনা সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।

ভারতে নতুন নাগরিত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
ছবি : রয়টার্স

৫.
ভারতের এক রাজ্যের যাযাবর শ্রমিকেরা অন্য রাজ্যে দল বেঁধে গিয়ে কাজ করেন, এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু আজকাল বাংলা ভাষাভাষী শ্রমিকদের জন্য এটা কঠিন হয়ে উঠেছে। কারণ, ভারতের অনেক রাজ্যেই ‘বাংলা বললেই বাংলাদেশি’ নীতি প্রয়োগ করে তাঁদের হেনস্তা করা হচ্ছে এবং অনেককে বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

এমনি একটা ঘটনা উঠে এসেছে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে, পশ্চিমবঙ্গের যাযাবর শ্রমিকদের এক মামলায়। কাজের সূত্রে দিল্লিতে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকেরা। সেখানে শুধু বাংলায় কথা বলার ‘অপরাধে’ তাঁদের আটক করা হয়েছে। সন্দেহ করা হয়েছে, তাঁরা বাংলাদেশি। অভিযোগ, বেআইনিভাবে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় তাঁদের আটকে রাখা হয়েছিল। পরিচয়টুকুও যাচাই করা হয়নি।

বীরভূমের পাইকরের এই ছয়জন যাযাবর শ্রমিককে বাংলাদেশি সন্দেহে দিল্লিতে আটক করা হয়েছিল এবং তারপর তাঁদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে আদালতে জানান মামলাকারীর আইনজীবী।

থানা থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশি সন্দেহে যাঁদের আটক করা হয়েছিল, তাঁদের বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এবং তাঁদের ‘পুশ’ করিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।

কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার এক খবরে জানা যায়, কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রের এই ‘বাংলাদেশি শনাক্তকরণ’ কার্যক্রম নিয়ে একগাদা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন কেন্দ্রকে ‘হঠাৎ করে কেন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশি শনাক্ত করার কাজ শুরু হলো? এর পেছনে কারণ কী? সব রাজ্যের জন্য কেন জুন মাস বেছে নেওয়া হলো?

পূর্বপরিকল্পিতভাবেই কি এটা করা হচ্ছে? অভিযোগ উঠছে, বাংলায় কথা বলার জন্য আটক করা হচ্ছে, এটা কি সত্য।’

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিজেপি দলের সংসদ নেতা শুভেন্দু অধিকারী এখন রোহিঙ্গাদের নিয়ে এক নতুন জুজু তুলেছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গেও অনুপ্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা। তাঁর অদ্ভুত দাবি, অবিলম্বে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চাই।

৬.
১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর, কিছু বছর ধরে ভারত, পাকিস্তান এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ‘মাইগ্রেশন’ বা স্থানান্তর একটা অতি সাধারণ ব্যাপার ছিল। কারও জন্য এটা ছিল পারিবারিক প্রয়োজন, কারও জন্য ছিল ঐচ্ছিক সিদ্ধান্ত। সব সরকার এটাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়েছিল। তখনকার দিনে কোনো সরকারই এসবের তেমন কোনো কাগজপত্র বা নথি সংরক্ষণ করেনি।

ভারতে বিজেপি সরকার পরবর্তীকালে বিভিন্ন আইন জারি করে বেছে বেছে বিভিন্ন গোষ্ঠীর লোকজনকে কাগজপত্র দেখানোর জন্য হয়রানি করছে। এই হয়রানি কখনো ভাষাভিত্তিক, কখনোবা ধর্মভিত্তিক আবার কখনো এলোপাতাড়িভাবে, বিশেষত, অন্য রাজ্যে আসা বাংলা কথা বলা শ্রমিকদের ওপর। এই সব হয়রানির একটা চরম পদক্ষেপ হলো বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’।

এর সঙ্গে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা রিফিউজিদের তুলনা করলে দেখা যাবে এক ভিন্ন চিত্র। এদের বলা হতো ‘বিহারি রিফিউজি’। ঢাকার মোহাম্মদপুর, খুলনার খালিশপুর, চট্টগ্রামের পাহাড়তলী, রংপুরের সৈয়দপুর এই সব এলাকায় বিহারিরা আশ্রয় গড়ে তোলে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেক দিন বিহারিরা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিতে অস্বীকার করেছে। তখন বাংলাদেশ সরকার যৌক্তিকভাবে এদের ভারতে ‘পুশ ব্যাক’ করতে পারত, কারণ এরা এসেছিল ভারত থেকে। কিন্তু বাংলাদেশের কোনো সরকারই সেই অমানবিক পথটা বেছে নেয়নি।

৭.
বাংলাদেশিরা জীবিকার জন্য ভারতে যায়, এটা একটা প্রচারণা বা অযৌক্তিক কথা। এটা সত্য, অনেক বাংলাদেশি ঝুঁকি নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, কানাডা ও আমেরিকায় যায় ভালো জীবন ও জীবিকার সন্ধানে। কিন্তু ভারতকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা অযৌক্তিক।

আইএমএফের ২০২৫ সালের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ভারতীয়দের মাথাপিছু গড় আয় ২৯৩৭ ইউএস ডলার।  আর বাংলাদেশিদের মাথাপিছু গড় আয় ২৭৭৪ ইউএস ডলার, খুবই কাছাকাছি। ভারতে পেশাজীবীদের চাকরিবাজার বাংলাদেশ থেকেও অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক। আর শ্রমজীবীরা অবশ্যই ভারতের কোনো শহরে কাজ করে বাংলাদেশ থেকেও বেশি পারিশ্রমিক পাবেন না; ভারতের যেসব শহরে পারিশ্রমিক কিছুটা বেশি যেমন মুম্বাই, দিল্লি সেসব জায়গায় থাকা-খাবার খরচও আকাশচুম্বী।
সুতরাং এটা কোনো যুক্তিতেই টিকবে না যে বাংলাদেশিরা ভারতে অবৈধভাবে কাজ করতে যাবে।

ভারত সরকারকে এই ‘পুশ ব্যাক’ ব্যাপারটা বন্ধ করতে হবে। এতে কত কত দরিদ্র ভারতীয় নাগরিক যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং নিজেদের দেশের নেতৃবৃন্দের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠছে, তা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমগুলোর রিপোর্টেই তুলে ধরা হয়েছে।

একজন মানুষ শুধু ভোটের ঘুঁটি নন, তিনি দেশের একজন নাগরিক এবং একটা পরিবার। দুই দেশের বা দেশের নেতাদের মাঝে যদি কোনো সমস্যা থাকে, সেটা আলাপ–আলোচনা করে মেটানো যায়, কিন্তু নিজ দেশের কিছু নাগরিকের জীবন ধ্বংস করে সমস্যার সমাধান খোঁজা খুব অমানবিক।

সালেহ উদ্দিন আহমদ লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
ই-মেইল: [email protected]