বরিশাল বিভাগে স্বাস্থ্যসেবার বেহাল ঘুচবে কবে?

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নতুন ভবন হয়েছে, তবু মেঝেতে শয্যা নিতে হচ্ছে রোগীদের। তারপরেও চিকিৎসক সংকটে কাংঙ্ক্ষিত সেবা পান না রোগীরাছবি: প্রথম আলো

বরিশাল বিভাগে স্বাস্থ্যসেবার হাল কখনোই ভালো ছিল না। বছর বছর সরকার এই বিভাগের প্রায় কোটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে বড় বড় হাসপাতাল-অবকাঠামো, রোগনির্ণয়ের সরঞ্জাম বাড়ালেও সেসবের সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। বরং দিনে দিনে এই বিভাগের স্বাস্থ্যসেবার মান নিম্নমুখী হচ্ছে। এর মূলে রয়েছে তীব্র চিকিৎসক-সংকট।    

যুগ যুগ ধরে স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্টদের অজুহাত একটাই, এই অঞ্চলে চিকিৎসকেরা আসতে চান না। আবার এলেও কদিন বাদেই তাঁরা তদবির করে বদলি হয়ে চলে যান রাজধানীসহ তাঁদের সুবিধামতো কর্মস্থলে। ফলে এখন বিভাগের সর্বত্র সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেসব চিকিৎসক টিকে আছেন, তাঁরা প্রায় সবাই স্থানীয়।

আবার এই চিকিৎসকদের সম্পর্কে স্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে এ-ও অভিযোগ আছে, তাঁরা নিজের এলাকায় চাকরি করার সুবিধা নিয়ে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান খুলে নিয়মিত সেখানেই ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বেশি সময় ব্যস্ত থাকছেন। নিজের কর্মস্থলে আসছেন খেয়ালখুশিমাফিক। স্থানীয় হওয়ায় এই চিকিৎসকেরা রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রভাবশালীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলে নিজেদের দায়িত্ব, কর্তব্য, অঙ্গীকারকে উপেক্ষার সুবিধা নেন। সচেতন নাগরিকেরা এ নিয়ে সোচ্চার হলেও তা খুব একটা কাজে আসে না। ফলে সরকারি হাসপাতালগুলো অনেকটাই অভিভাবকহীনভাবে চলছে।

বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল। এই হাসপাতালটি ৫০০ থেকে ১০০০ শয্যায় উন্নীত হলেও এখনো তা চলছে আগের জনবল কাঠামোতেই। আর অবকাঠামোও বাড়েনি। পুরোনো জনবল কাঠামোর অনুকূলে যে চিকিৎসক পদ থাকার কথা, তার অর্ধেকের কম চিকিৎসক দিয়ে বছরের পর বছর খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। আবার পুরোনো অবকাঠামোতে ১০০০ শয্যা বসানো হলেও প্রতিদিন গড়ে ২০০০ হাজার রোগী ভর্তি থাকছে এখানে। সংকটের মধ্যেও যেসব চিকিৎসকেরা কর্মরত আছেন, তাঁদের নিয়ে অভিযোগের বিষয় নিয়ে তো আগেই বললাম। ভর্তি রোগীরা চিকিৎসকের দেখা পান কালেভদ্রে।  

বিভাগের ছয়টি জেলা হাসপাতালের চারটিকে ১০০ থেকে আড়াই শ শয্যায় উন্নীত করে বড় বড় অবকাঠামো ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হলেও চিকিৎসক টেকনোলজিস্ট, কর্মচারী-সংকটে সেখানে কার্যত চিকিৎসাসেবা বলতে কিছু নেই। সেখানে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে যাঁদের অবস্থা একটু গুরুতর, তাঁদের রেফার করা হয় বড় হাসপাতালে। আর বিভাগের ৪২টি উপজেলার মধ্যে ৪০টিতে যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে, সেসব চিকিৎসাকেন্দ্রে মূলত চিকিৎসাসেবা কার্যত নামে আছে, বাস্তবে নেই।

স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্টদের মতে, জনসংখ্যার বিবেচনায় বরিশাল বিভাগের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে এমনিতেই চিকিৎসকের অনুমোদিত পদের সংখ্যা কম। এর মধ্যে যতগুলো পদ আছে, তার ৪৬ শতাংশই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। ফলে বিভাগের প্রায় ১ কোটি মানুষের চিকিৎসার দায়িত্ব পড়েছে মাত্র ৬৮৮ জন চিকিৎসকের কাঁধে। কম জনবল  নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

২০২২ সালের ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুযায়ী, বিভাগের জনসংখ্যা ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৭৯। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ৬টি জেলা সদর হাসপাতালের পাশাপাশি ৪২টি উপজেলার মধ্যে ৪০টিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকের পদ আছে ১ হাজার ২৮১টি। এর বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৬৮৮ জন, শূন্য পদ ৫৯৩টি।

কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মান অনুযায়ী, প্রতি ১ হাজার মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য একজন চিকিৎসক থাকতে হবে। সেই বিবেচনায় বরিশাল বিভাগে প্রতি ৭ হাজার ১০৩ জন মানুষের জন্য ১ জন করে চিকিৎসকের পদ আছে। পদ শূন্য থাকায় এখন তা ১৩ হাজার ২২৬ জনের জন্য আছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। চিকিৎসকের এই চিত্র বলে দেয় এই বিভাগে চিকিৎসাসেবার হাল কতটা বেহাল।

মূলত সরকারি হাসপাতালগুলো এ অঞ্চলের নিম্ন ও মধ্যবিত্তের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসা। কিন্তু সেখানে চিকিৎসাসেবার মান নিম্নমুখী হওয়ায় নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির বড় একটি অংশ বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে তাঁরা আর্থিকভাবে নিঃস্ব হচ্ছেন, ধারদেনা ও ঋণে জড়িয়ে যাচ্ছেন।

এতে স্বাস্থ্য খাতে ব্যক্তিগত ব্যয় ক্রমাগত বাড়ছে (আউট অব পকেট এক্সপেন্ডিচার, পেমেন্ট)। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের প্রকাশিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চিকিৎসাসেবায় ২০১৫ সালে আউট অব পকেট এক্সপেন্ডিচার, পেমেন্ট ছিল ৬৭ শতাংশ। ২০২০ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ শতাংশে। অপর দিকে স্বাস্থ্য খাতে সরকারের বরাদ্দের পরিমাণ প্রতিনিয়ত কমছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গত অর্থবছর অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ এবার মোট বাজেটের নিরিখে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে।

বৈশ্বিক মানদণ্ডে আশপাশের দেশগুলোর তুলনায় আমাদের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। মাথাপিছু আয়ের ৮৮ ডলার স্বাস্থ্য খাতে খরচ করার আদর্শমান হলেও খরচ করা হচ্ছে মাত্র ৪৫ ডলার। এ ছাড়া অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে জেলা বা এলাকায় স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের প্রয়োজন সমান নয়, তাই প্রয়োজনভিত্তিক বরাদ্দ প্রদান করা জরুরি।

যদিও ২০১৩ সালে ল্যানসেট-এর একটি গবেষণায় স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের উন্নয়নকে ‘অস্বাভাবিক অর্জন’ বলা হয়েছিল। বিশেষত, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হ্রাস, যক্ষ্মা, পোলিও, গুটিবসন্তসহ এমন কিছু রোগ নির্মূলে আমাদের সাফল্য রয়েছে।

তারপরও আমাদের কিছু চিন্তার বিষয় রয়ে গেছে। এমন অনেক নির্দেশক আছে, যা নিচের দিকে যাচ্ছে। আমাদের প্রজনন হার ২০১১ সাল থেকে ২ দশমিক ৩ শতাংশে স্থির হয়ে আছে। দেশে ষাটোর্ধ্ব মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অসংক্রামক রোগের মাত্রাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানসিক চাপ আমাদের বড় একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত রোগের সংখ্যা বাড়ছে। আর এর সবচেয়ে বড় অভিঘাত মোকাবিলা করতে হচ্ছে বরিশালসহ উপকূলীয় অঞ্চলে।

দেশে অসংক্রামক রোগের মাত্রাও ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অতি ওজনসহ বিভিন্ন ধরনের অসংক্রামক রোগ দিন দিন বেড়ে চলেছে। ২০২২ সালের একটি জরিপ অনুযায়ী, আমাদের দেশের ২৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপ, ১১ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিসে এবং ২৯ শতাংশ মানুষ অতি ওজন রোগে ভুগছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ না বেড়ে কমছে। অন্যদিকে সরকারি হাসপাতালগুলোতে সেবার সুযোগ সংকুচিত হচ্ছে। এতে বড় চাপ পড়ছে দেশের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের বিশাল জনগোষ্ঠীর ওপর। জাতীয়ভাবে এই যে চাপ, তা আরও বেশি দক্ষিণ উপকূলের বরিশাল অঞ্চলের মানুষের জন্য। কারণ, এখানে মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের যে অভিঘাত তার বড় ভুক্তভোগী।

এর বাইরেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হচ্ছে, আমাদের দেশের স্বাস্থ্য খাত এখনো রাজনৈতিক মূল্য পায়নি। তাই জাতীয় বাজেটেও স্বাস্থ্য খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এই খাতের বর্তমানে রাজনৈতিক মূল্য আছে কেবল অবকাঠামো বা স্থাপনা উন্নয়নে। অর্থাৎ মেডিকেল কলেজ ভবন ও হাসপাতাল ভবন নির্মাণের মধ্যেই এর গুরুত্ব সীমাবদ্ধ। কেননা, এগুলো করলে মানুষকে উন্নয়নের বিষয়টি যত দ্রুত দৃশ্যমান করা যায়, সেবা দেওয়ার মাধ্যমে ততটা করা যায় না। কিন্তু বিদ্যমান কাঠামোর মধ্যেও যদি সেবার মান উন্নয়নে নজর দেওয়া যেত এবং বিনিয়োগ বাড়ানো যেত, তাহলে অনেক বেশি সুফল মিলতে। এটা না হওয়ার বড় ভুক্তভোগী হচ্ছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ।

বরিশাল বিভাগের জেলা ও উপজেলাগুলোয় স্বাস্থ্য খাতের অবকাঠামোগত যে উন্নয়ন গত  ১৫ বছরে হয়েছে কিন্তু সে তুলনায় সেবার মান বাড়েনি বরং আরও নিম্নমুখী হয়েছে। সরকারি খাতে স্বাস্থ্যসেবার এই বঞ্চনা দরিদ্রকে আরও ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে বড় অবদান রাখছে বলে মনে করা হয়। একদিকে এ অঞ্চলের জীবনযাত্রা ও জীবিকায় জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান ধকল, অন্যদিকে সরকারি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসাসেবার বেহালের কারণে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসার জন্য দ্বারস্থ হতে হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতালে। এতে তাঁদের উচ্চ মূল্য চুকাতে হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক অর্থনীতির সূচকে। এমন অবস্থা এ অঞ্চলের দারিদ্র্য হারকে ক্রমাগত বাড়াচ্ছে।

দেখা যাচ্ছে গত ছয় বছরে বরিশাল অঞ্চলে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ দারিদ্র্য বেড়েছে। শুধু তা-ই নয়, জাতীয়ভাবে দারিদ্র্যের চেয়ে ৮ দশমিক ২ শতাংশ হার বেশি বরিশালে। এটা কোনোভাবেই আশার খবর নয় বরং অশনিসংকেত বলা যায়।

দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর ব্যবস্থাপনার জন্য সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। এই কমিটির প্রতি মাসে একটি সভা করার নিয়ম রয়েছে। সেখানে সার্বিক সেবাব্যবস্থার পর্যালোচনা, উন্নয়ন এবং সেবা বৃদ্ধিতে আরও কী করা যায়, সেসব বিষয়ে করণীয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো এসব কমিটির অধিকাংশই সক্রিয় নয়।

কোথাও কোথাও বছরে একটি, আবার কোথাও পাঁচ বছরেও একটি সভা না হওয়ার নজিরও এ অঞ্চলে রয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের এই উদাসীনতা, নিষ্ক্রিয়তার ফলে স্থানীয় হাসপাতালগুলো এখন চলছে খেয়ালখুশিমতো। এখানে কারও কোনো জবাবদিহি নেই, ব্যয় বরাদ্দে কোনো স্বচ্ছতা নেই। তেমনি কোনো ধরনের অঙ্গীকারও নেই কারও।

এ নিয়ে জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলগুলোর যেমন মাথাব্যথা নেই, তেমনি নাগরিক সমাজ, অধিকারকর্মীদের কাছে বিষয়টি গা সওয়া বিষয়ে পরিণত হয়েছে। একটি সামাজিক কাঠামোতে মানুষ, মানবতা, মানবাধিকার সুরক্ষার দায়িত্ববানদের এ ধরনের উপেক্ষা, উদাসীনতার সংস্কৃতি মোটেই ভালো নজির নয়। এটা ঘুমন্ত অবস্থা বলা যায়।

এই ঘুম দীর্ঘায়িত হলে স্বাস্থ্যসেবার এই বেহাল আরও তলানিতে যাবে। এ অঞ্চলের মানুষ অবশ্যই মনেপ্রাণে চায় সেটা তলানিতে না পৌঁছাক। অগণন মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার কি কোনো মূল্য নেই? যদি সেটা থাকে, তবে বরিশাল অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবার এমন বেহাল ঘুচবে কবে? কবে গরিব, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের ন্যূনতম চিকিৎসাসেবাটুকু সরকারি হাসপাতালে মিলবে?

  • এম জসীম উদ্দীন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল  
    ই-মেইল: [email protected]