চট্টগ্রামে হামলা: জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষার এ কেমন পরিণতি

গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে শাহবাগবিরোধী ঐক্যের ব্যানারে হামলার ঘটনা সর্বস্তরে প্রতিবাদের ঝড় তুলেছে। বুধবার বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম নগরের জামালখান এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছবি: প্রথম আলো

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ত্বরান্বিত করার পেছনে রংপুরে আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ছাড়াও আরেকটি ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, সেটি হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলা।

সেদিন ক্যাম্পাসে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের বহিরাগত নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও গুলি চালিয়েছিল। পরদিন এর ছবি সব কটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল। তবে তার আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ছবিগুলো সবচেয়ে বেশি মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছিল, তা হলো ছাত্রীদের ওপর তাদের হামলে পড়া। এক ছাত্রীকে মেরে রক্তাক্ত করার ছবি এখনো মানুষ ভুলতে পারে না।

প্রায় ১০ মাসে এসে সেই রক্তাক্ত ছবি আবারও ফিরে এল, সঙ্গে আরেকটি নতুন রক্তাক্ত ছবিসহ। নতুন ছবিটি গতকাল বুধবার চট্টগ্রামে একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে হামলার ঘটনার। কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মীকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছে, যেখানে একজন নারীর মাথা ও চেহারা রক্তে ভরে গেছে। রাজনৈতিক এই কর্মসূচি কিসের জন্য ছিল? আর সেখানেও হামলা চালানো হলো কেন?

মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আওয়ামী লীগ আমলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাঁকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছিল।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করা অন্তর্বর্তী সরকার এ ট্রাইব্যুনালকে নতুন করে সাজিয়েছে বা গঠন করেছে। আওয়ামী লীগ আমলে ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠায় আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজহারুলের রায় রিভিউ করেন বর্তমান ট্রাইব্যুনাল। যার পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের রায়ে আজহারুল মঙ্গলবার খালাস পান এবং এক দিন পর মুক্তিও পেয়ে যান।

সংবাদমাধ্যম থেকে আমরা জানতে পারছি, বিচারপ্রক্রিয়ায় ত্রুটিবিচ্যুতি ছিল বা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি বলে আদালত আজহারুলকে খালাস দিয়েছেন। কিন্তু তিনি নির্দোষ কি দোষী—তা এ রায়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়নি; ফলে তাঁর মুক্তি নিয়ে জনমনে অসন্তোষ ও প্রশ্ন রয়ে গেছে।

গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ছড়িয়ে পড়েছে
ছবি: ফেসবুকের ভিডিও থেকে কোলাজ

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধ ঘটেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সে সময় জামায়াতের পত্রপত্রিকাগুলোই মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে দলটির অবস্থান নিয়ে সাক্ষ্য দেয়। তবে একাত্তরে দলটির বিতর্কিত ভূমিকার বিষয়টি এখনো অমীমাংসিত থেকেই গেছে। যদিও জামায়াত ও তাদের অনুসারীরা একাত্তরের বিতর্কিত ভূমিকার বিষয়টি এখনো স্বীকার করে না এবং নানা পাল্টা যুক্তিতর্ক দিয়ে সেটিকে ন্যায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করে।

ফলে তাদের নেতা আজহারুল ইসলাম যখন ফাঁসির দণ্ডাদেশ থেকে মওকুফ পেয়ে মুক্তি পেয়ে যান, তারা সেটিকে উদ্‌যাপনই করতে চায়। আর আজহারুলের মুক্তির প্রতিবাদে কর্মসূচি দিয়েছিল বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। সেখানে হামলা চালায় ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম, যেটির সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।

কয়েক দিন আগেও ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’ নামে এ ধরনের কোনো প্ল্যাটফর্ম বা সংগঠনের কথা শোনা যায়নি। আজহারুলকে মুক্তির প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম সংগঠনের মিছিলেও এই ব্যানারে হামলা চালাতে দেখা যায়। হামলার সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা যুক্ত ছিলেন বলে দেশের শীর্ষ সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশ পেয়েছে। কারণ, ছবি ও ভিডিওতে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের পরিচয় সবার কাছে স্পষ্ট।

গতকাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব এলাকায়ও ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’ নামে যাঁরা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছেন, তাঁদের নাম–পরিচয়ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হয়ে পড়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই কোনো না কোনোভাবে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। সংবাদমাধ্যমের ভিডিওতেই দেখা যাচ্ছে, একজন ব্যক্তি গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের দুই নেতা-নেত্রীকে পেছন থেকে যেভাবে লাথি মারলেন, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কতটা নিষ্ঠুর হলে এ ধরনের কাজ করা যায়, তা ভেবে দেখার বিষয়।

রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর পরিচয় ও অতীত অপকর্ম প্রকাশ হয়ে পড়ে। আকাশ চৌধুরী নামের ওই ব্যক্তি জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তা তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তৎপরতাতেই প্রমাণিত হয়। হামলার ঘটনার সময় একাধিক ছবিতে, এমনকি আকাশ চৌধুরীর পাশেই দেখা গেছে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’র প্রধান সমন্বয়কারী আবরার হাসান রিয়াদকে, যিনি ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সদ্য সাবেক নেতা।

হামলার শিকার বাম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছিলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় তাঁদের সক্রিয় ভূমিকাও ছিল, কেউ কেউ সে সময় আহত হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন। গণ-অভ্যুত্থানে জামায়াত-শিবিরের সক্রিয় ভূমিকা ছিল, সেটিও স্বীকৃত। হামলাকারীদের মধ্যেও অনেকে জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। দুঃখজনক হচ্ছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ভূমিকা রেখেও সেই জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্ল্যাটফর্মের হামলা থেকে রেহাই পাওয়া গেল না।

হামলার সময় ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এর জেরে এশার নামাজের পর কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগবিরোধী ঐক্য। তবে ব্যানারে তাঁদের নাম ইংরেজিতে ‘অ্যান্টি-শাহবাগ মুভমেন্ট’ লেখা ছিল। তাঁরা আটক দুজনের মুক্তিসহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করে রাখেন কয়েক ঘণ্টা। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন আবরার হাসানসহ জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি সংশ্লিষ্ট লোকজন।

পুলিশকে এখানে ধন্যবাদ দিতে হয় যে তারা চাপের মুখে নত স্বীকার করেনি। নিজেরা বাদি হয়ে মামলা করেছে এবং দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজকে আদালতে পাঠিয়েছে।

বাম গণতান্ত্রিক জোট, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন—এই তিন সংগঠনও বুধবার বিবৃতি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর কর্মসূচিতে ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্যের’ ব্যানারে হামলা চালিয়েছেন মূলত ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা।

আকাশ চৌধুরী নামের হামলাকারী এই ব্যক্তি নিয়ে আলোচনা নতুন নয়। গাজীপুরে মসজিদের ইমাম মাওলানা রইস উদ্দিনের হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত নামে সুন্নি জামাত হিসেবে পরিচিত একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী কর্মসূচি দিয়েছিল। এই ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের আদর্শিক দ্বন্দ্ব চট্টগ্রামে সর্বস্বীকৃত। তো তাদের সেই আন্দোলন প্রতিহত করতে নামে জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা, যাঁর মধ্যে ছিলেন আকাশ চৌধুরীও।

রাস্তা অবরোধ করে সেই কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ হয়। সেখানে পুলিশের পক্ষে দেখা যায় আকাশ চৌধুরীদের। আন্দোলনকারীদের পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছেন তিনি—এমন ভিডিও তো আছেই, এ ব্যাপারে তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছিল তখন। আর গতকাল আমরা দেখলাম, প্রেসক্লাবের গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে পুলিশের সামনেই হামলা চালিয়েছেন আকাশ চৌধুরীরা।

তার মানে কী দাঁড়াল, একসময় আওয়ামী সরকারের আমলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা যেভাবে পুলিশের সঙ্গে থেকে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালাতেন, সেই চিত্রই কি আবার প্রকাশ পেল না?

গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় আটক দুই ব্যক্তির মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রামে থানা ঘেরাও। বুধবার রাত ৯টার দিকে নগরে কোতোয়ালী থানার সামনে
ছবি: সংগৃহীত

অথচ হামলার শিকার বাম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছিলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় তাঁদের সক্রিয় ভূমিকাও ছিল, কেউ কেউ সে সময় আহত হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছিলেন। গণ-অভ্যুত্থানে জামায়াত-শিবিরের সক্রিয় ভূমিকা ছিল, সেটিও স্বীকৃত। হামলাকারীদের মধ্যেও অনেকে জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন।

দুঃখজনক হচ্ছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ভূমিকা রেখেও সেই জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্ল্যাটফর্মের হামলা থেকে রেহাই পাওয়া গেল না। জুলাইয়ের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষার এর চেয়ে করুণ পরিণতি আর কী হতে পারে! গত দশ মাসে আরও কিছু ঘটনায়ও এমন হতাশা প্রকাশ পেয়েছিল মানুষের মধ্যে।

রাজনৈতিক মতবিরোধ বা আদর্শের দ্বন্দ্ব থাকবে। যে কারও কর্মসূচি নিয়ে বা কোনো বক্তব্য বা স্লোগান নিয়ে আপত্তি থাকতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা–সমালোচনাও সুষ্ঠু রাজনীতিরই অংশ। তাই বলে হামলার ঘটনা তো কোনোভাই মানা যায় না। এটি তো ফ্যাসিবাদী আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ। যে কারণে গতকালের ঘটনায় সর্বস্তর থেকে প্রতিবাদ উঠেছে। এটিই আসলে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের বড় অর্জন। তবে আমরা অবাক হয়ে এটাও দেখলাম যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দল বেঁধে ইনিয়ে–বিনিয়ে নানা অপযুক্তি দিয়ে কীভাবে এই হামলাকে ন্যায্যতা দেওয়া হচ্ছে।

আবার এটিও বলতে হয়, জামায়াত-শিবির সংশ্লিষ্ট কিছু লোকজনও এই হামলার প্রতিবাদ করেছেন, যাঁর মধ্যে আছেন জামায়াত নেতা ও দলটি থেকে এমপিপ্রার্থী হিসেবে ঘোষিত অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদও। তবে তাদের সংখ্যা নিতান্তই কম।

যদিও এই হামলার ঘটনায় দায় বিবৃতি দিয়ে অস্বীকার করেছে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর। তাদের দাবি, এখানে তাদের নাম উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জড়ানো হয়েছে। আবার তারা এ–ও স্বীকার করেছে, নারীর ওপর হামলাকারী ব্যক্তি একসময় ছাত্রশিবিরের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে সেই সম্পৃক্ততা আর নেই। ফলে ব্যক্তির একান্ত হীন কর্মকাণ্ডের দায় সংগঠন নেবে না।

অতীতেও এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষেত্রে এমন ‘গৎবাধা’ বক্তব্য দেখেছি।

যা–ই হোক, বাকি হামলাকারীরা কি আইনের আওতার বাইরে থেকে যাবেন? আকাশ চৌধুরীরা যে একের পর এক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ‘কুখ্যাতি’ অর্জন করে যাচ্ছেন, তাঁদের থামাবে কে?

  • রাফসান গালিব প্রথম আলোর সম্পাদকীয় সহকারী। ই–মেইল: [email protected]

    (মতামত লেখকের নিজস্ব)