বিশ্লেষণ
গাজওয়াতুল হিন্দ নিয়ে রাজনৈতিক বয়ান তৈরির উদ্দেশ্য কী
বাংলাদেশ এখন একটি ক্রান্তিকাল পার করছে। অর্থনীতি ও ভূরাজনীতির দিক থেকে যেমন অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তেমনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও একটি উদ্বেগের বিষয়। এ রকম অবস্থায় মানুষকে বাস্তব সমস্যা থেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে কি? রাজনীতিতে ধর্মীয় বয়ান তৈরির চেষ্টা নিয়ে লিখেছেন মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন শিকদার
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘অনেকে বলে জামায়াত ক্ষমতায় এলে ভারতের হামলার আশঙ্কা রয়েছে। আমি বলেছি দোয়া করতেছি এরা যেন ঢুকে পড়ে। তখন আমাদের ৫০ লাখ যুবক ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে।’ (‘আমাদের ৫০ লাখ যুবক ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে: তাহের’, দেশ রূপান্তর অনলাইন, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫)
এ যুদ্ধের কথা বলতে গিয়ে তিনি (তাহের) ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ অর্থাৎ হাদিসে বর্ণিত ‘হিন্দুস্তানের বিরুদ্ধে মুসলমানদের সর্বশেষ যুদ্ধের’ প্রসঙ্গ টেনে আনেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন এ ধরনের নতুন নতুন বয়ান দেখা যাচ্ছে। এ কথাগুলো অনেকের কাছে শুধু ধর্মীয় আলোচনা মনে হতে পারে। কিন্তু এগুলোর গভীর রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে। প্রশ্ন হলো, ধর্মীয় রেফারেন্স ব্যবহার করে এসব রাজনৈতিক বক্তব্যের উদ্দেশ্য ও ফলাফল কী হতে পারে?
‘মালহামা আল-কুবরা’: টেক্সট ও ব্যবহার
‘গাজওয়াতুল হিন্দের পাশাপাশি কোনো কোনো ইসলামপন্থী দল ও সংগঠন ‘মালহামা আল-কুবরা’র প্রসঙ্গ উল্লেখ করে থাকে। হাদিসে মালহামা আল-কুবরা নামে এক বড় যুদ্ধের কথা আছে। এই হাদিসে ‘দাবিক’ ও ‘আমাক’ নামক স্থানে মুসলমানদের বিরুদ্ধে খ্রিষ্টানদের যুদ্ধে মুসলমানদের কনস্টান্টিনোপল বিজয় আর দাজ্জালের প্রসঙ্গ এসেছে। (সহিহ মুসলিম ২৮৯৭; আবু দাউদ ৪২৯৫-৪২৯৬)।
উগ্রপন্থী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) মালহামা আল-কুবরা-সংক্রান্ত বয়ানকে ইরাক-সিরিয়ায় আইএসের উত্থান এবং সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় ব্যবহার করেছিল। তাদের একটি ম্যাগাজিনের নামও ছিল দাবিক। আইএসের উত্থানের আগে ‘দাবিক’ যদিও তেমন পরিচিত কোনো জায়গা ছিল না। আইএসে যোগদানকারী সিরিয়ার একটি সাংবাদিক গোষ্ঠী ২০১৪ সালে আল হায়াত মিডিয়া সেন্টার নামে বাংলা-ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষার একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলে। এ প্ল্যাটফর্ম থেকেই ‘দাবিক’ ম্যাগাজিনটি প্রকাশিত হয়।
‘আমাক’ নামটিও আইএস ব্যবহার করেছে। এ নামে আরেকটি সংবাদ সংস্থা গড়ে তোলে তারা, সেটির নাম হলো আমাক নিউজ এজেন্সি। পশ্চিমা বিশ্বে বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করে নেওয়ার প্রথম দিককার প্ল্যাটফর্ম এটি। আমাক নামটিও তারা সম্পৃক্ত করেছে সিরিয়ার হাতায় প্রদেশের ‘আমিক’ (অর্থ: গুহা, বহুবচন: আমাক) নামক জায়গা থেকে। যদিও হাদিসে উল্লেখিত আমাক স্থানটি সিরিয়া ছাড়াও জর্ডানসহ বিভিন্ন জায়গায় দাবি করা হয়ে থাকে।
ওয়াশিংটন পোস্ট-এর ২০১৬ সালের ১৭ অক্টোবরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আইএস এটিকে “শেষ যুদ্ধের ময়দান” হিসেবে তুলে ধরে সারা দুনিয়া থেকে জিহাদিদের টেনে আনে।’ পরে বিরোধীদের কাছে ‘দাবিক’ হারানোর পর নিজেরাই ঘোষণা দেয়, ‘অ্যাপোক্যালিপস’ বা ‘শেষ যুদ্ধ’ আপাতত স্থগিত।
সিরিয়ায় যুদ্ধের শুরুর দিকে দেখা যায়, ইসলামপন্থী বলে দাবি করা সংগঠনের অনেক যোদ্ধা এমন কিছু ধর্মীয় বয়ান দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন, যেগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইরাক ও সিরিয়া আইএসের উত্থানের ফলাফল কী হলো? লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারাল, কোটি মানুষ শরণার্থী হলো; ইরাক কোনোমতে টিকে থাকলেও সিরিয়া আজ ধ্বংসের পথে। যারা একসময় শেষ যুদ্ধের কথা বলে সারা দুনিয়া থেকে জিহাদিদের জড়ো করেছিল, তারাই এখন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করছে—এমন পরিহাসপূর্ণ দৃশ্যই সবাই দেখল।
সাম্প্রতিক সময়ে এ রকম একটি ঘটনার বড় উদাহরণ হলো আইএসের সাবেক শীর্ষ নেতা ও সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক। চলতি বছরের মে মাসে ওই বৈঠকের পর আকস্মিক এক ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্র জানায়, সিরিয়ার ইসলামপন্থী নেতৃত্বাধীন সরকারের ওপর থেকে তারা আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে এবং দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
আইএসের শেষ যুদ্ধের সেই ডাক এখন যেন বন্ধুত্বের আমন্ত্রণে বদলে গেছে। এ সুযোগে ইসরায়েল গোলান মালভূমি দখল করেছে। কারণ, সিরিয়া থেকে এখন আর কোনো প্রতিরোধ নেই। একই সময় ইসরায়েল গাজায় বোমা ফেলে হাজার হাজার মানুষ মেরেছে। অন্যদিকে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র মিলে ইরানে হামলা চালিয়েছে।
এ ঘটনাগুলো একটা শিক্ষা দেয়, ধর্মের নামে মানুষকে যুদ্ধে টেনে আনার নেপথ্যে অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। এ রকম উদাহরণ রয়েছে, ধর্মের নামে যুদ্ধকে ব্যবহার করা হয়েছে প্রতিপক্ষ বা শত্রুদেশের স্বার্থরক্ষার কৌশল হিসেবে। এতে মানুষের রক্ত ঝরে, দেশ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে এবং আখেরে শত্রুরা লাভবান হতে পারে।
মালহামা থেকে ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’
ইরাক ও সিরিয়া যুদ্ধ ঘিরে যেমন মালহামা-সংক্রান্ত হাদিস ব্যবহার করা হয়েছে, তেমনি বাংলাদেশেও ‘গাজাওয়াতুল হিন্দ’ নিয়ে আলোচনা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ইসলামিক গবেষক ও তাত্ত্বিকদের মধ্যে এ নিয়ে নানা মত ও তর্ক-বিতর্ক আছে। বহু গবেষক ও আলেম সতর্ক করেছেন, এই হাদিসগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করলে তা সমাজে বিভ্রান্তি ও বিভাজন বাড়াতে পারে।
বাস্তবে আমরা দেখেছি, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার কিছু জায়গায় গাজওয়াতুল হিন্দ রাজনৈতিক স্লোগান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। অথচ পাকিস্তান এখন ভেতরে ভেতরে বহু রকম সংকটে রয়েছে। জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা ইমরান খান কারাগারে, কাশ্মীরে বিক্ষোভ, বেলুচিস্তানে সংঘাত আর টিটিপি ও আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্তে সম্প্রতি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
তাহলে প্রশ্ন আসে, যখন মুসলমানরা নিজেরাই একে অপরের সঙ্গে লড়ছে, তখন ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ কি শুধু একটা রাজনৈতিক স্লোগান? বিশেষ বিশেষ দলের নেতারা কি কৌশলগত কারণে এ স্লোগান ব্যবহার করছেন, যাতে মানুষের আসল সমস্যা—অর্থনৈতিক সংকট, রাষ্ট্রীয় বৈষম্য আর নাগরিক অধিকারের কথাগুলো আড়ালে চলে যায়?
বাংলাদেশের পটভূমিতে ‘গাজওয়াতুল হিন্দ’ প্রসঙ্গ
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর রাজনীতিতে নতুন ট্যাগিং শুরু হয়েছে: ‘ভারতপন্থী’ বা ‘ভারতের দালাল’। বিস্ময়করভাবে এই ট্যাগিংয়ের প্রধান টার্গেট ছিল বিএনপি। সাম্প্রতিক সময়ে শুধু বিএনপিকে ‘ভারতপন্থী’ বলে আক্রমণ করা হলেও জামায়াতসহ অন্য দলগুলোও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছে। (‘আনন্দবাজারকে জামায়াত আমির: ভারতবিরোধী নই সম্মান ও সমতা নিয়ে সুসম্পর্ক চাই’, কালের কণ্ঠ, ২৩ নভেম্বর ২০২৪)
এটা যদি একটি বাস্তববাদী কূটনৈতিক পদক্ষেপ হয়, তবে ইতিবাচক। কিন্তু একই সঙ্গে গাজওয়াতুল হিন্দ স্লোগান তুলে জনতাকে উত্তেজিত করলে তা দ্বিমুখী বার্তা দেয়; একদিকে যুদ্ধের ডাক, অন্যদিকে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা। এতে সাধারণ মানুষের মনে সন্দেহ তৈরি হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতা হলো, শেষ পর্যন্ত সব দেশই নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী চলে। শ্রীলঙ্কার সংকটে দেশটি ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছে; মালদ্বীপে একদিকে ‘ইন্ডিয়া-আউট’ স্লোগান চলেছে, আবার নিরাপত্তা সহযোগিতা চালু রেখেছে; এমনকি আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারও ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছে। এসব উদাহরণ থেকে বোঝা যায়, রাজনৈতিক বক্তব্যে যা বলা হয়, ক্ষমতায় গিয়ে সেটি বদলে যায়—এটাই ভূরাজনীতির নিয়ম।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় বিশ্লেষক শ্রীরাধা দত্ত বলেন, জামায়াত দাবি করেছে ২০০১-০৬ সালের চারদলীয় জোট সরকারের সময় ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ডের দায় তাদের নয়, বিএনপির। (‘বিবিসি বাংলাকে ভারতীয় বিশ্লেষক: জামায়াতের নতুন নেতৃত্ব ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে আগ্রহী’, কালের কণ্ঠ, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫)
একটা বিষয় ভুলে গেলে চলবে না, জামায়াত চারদলীয় জোট সরকারের অংশ ছিল। তাদের দুজন শীর্ষ নেতা সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। তাহলে জামায়াত এখন কীভাবে নিজেদের দায় এড়িয়ে শুধু বিএনপির ঘাড়ে দোষ চাপাতে পারে?
একইভাবে চারদলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির দায়ও তারা এড়াতে পারে না। কারণ, জোট সরকার মানেই সম্মিলিত দায়। সর্বোপরি, মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবেও সামষ্টিকভাবে জামায়াত নেতাদের দুর্নীতির দায় নিতে হবে।
লক্ষণীয় হলো, জামায়াত নির্বাচনে যেতে চাইছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (চরমোনাই পীরের দল) সঙ্গে জোট করে। অথচ ২০০১ সালে এই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (তখন নাম ছিল ইসলামী শাসনতন্ত্র) আওয়ামী লীগের পরামর্শে জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট করেছিল, যাতে ইসলামপন্থী ভোট বিভক্ত হয় এবং বিএনপি-জামায়াত জোট শক্তিশালী না হতে পারে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, আজ তারাই বলছে সব ‘ইসলামপন্থী ভোট’ এক বাক্সে আনতে হবে!
শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনামলে ইসলামী আন্দোলন নিয়মিতভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। অনেকেই অভিযোগ করেন, এর মধ্য দিয়ে দলটি আওয়ামী লীগকে বৈধতা দিয়েছে। এ রকম একটি দলের সঙ্গেই জামায়াত জোট করতে চাইছে।
এ রকম পটভূমিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগকে সঙ্গ দিয়ে তাদের স্বৈরাচারী হয়ে ওঠার জন্য সহযোগিতা করেছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই দুটি দল হচ্ছে জাতীয় বেইমান।’ (‘জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলন জাতীয় বেঈমান: এ্যানি’, ইত্তেফাক অনলাইন, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫)
কিছু অনুচ্চারিত প্রশ্ন
সম্প্রতি কিছু ইসলামি রাজনৈতিক গোষ্ঠী দেশে শরিয়াহ আইন চালুর বিষয়টি সামনে এনেছে। আবার কোনো কোনো দলের নেতা দাবি করছেন, তাঁরা ধর্মের নামে বিভাজন চান না। এ রকম দ্বৈত বক্তব্য সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। এগুলো কি নীতিগত দাবি, নাকি ভোটের কৌশল—এমন প্রশ্ন উঠেছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, কিছু ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর সাম্প্রতিক আচরণ কি কোনোভাবে বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদী শক্তিকে ভারতের আগামী নির্বাচনে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে?
বাংলাদেশ এখন একটি ক্রান্তিকাল পার করছে। অর্থনীতি ও ভূরাজনীতির দিক থেকে যেমন অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তেমনি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও একটি উদ্বেগের বিষয়। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত, এসব বিষয়ে জনগণের সামনে পরিষ্কার পরিকল্পনা উপস্থাপন করা। এসব পরিকল্পনা তৈরি না করে রাজনীতির ময়দানে কেন গাজওয়াতুল হিন্দ-এর মতো স্লোগান দিতে হচ্ছে? এটা কি মানুষকে বাস্তব সমস্যা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা এবং দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির কৌশল?
মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন শিকদার শিক্ষক ও গবেষক, রাষ্ট্র ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়
মতামত লেখকের নিজস্ব