ব্যাংক খাতকে আমরা যেমন দেখতে চাই

‘বাংলাদেশের ব্যাংক খাতকে কেমন দেখতে চাই’—এ প্রশ্নের জবাব বোধ হয় সোজা। এককথায় যদি বলি, তাহলে প্রশ্নটির জবাব হতে পারে, ‘বাংলাদেশে আমরা একটি জনবান্ধব, সমতামুখী, অঙ্গীকারবদ্ধ, সুশাসিত, দক্ষ, দুর্নীতিমুক্ত ও কার্যকর ব্যাংক খাত দেখতে চাই।’ খুব সোজাসাপটা জবাব। কিন্তু যদি প্রশ্ন ওঠে, ‘সে জায়গায় আমরা কী করে যাব’, তখন কিন্তু তার জবাবটি অত সোজা থাকে না।

কারণ, দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে অনাচার ও অবিচার চলেছে। ব্যাংকগুলোর সম্পদ কতিপয় পরিবার কুক্ষিগত করেছে, সব নিয়মকানুন ভেঙে এ খাতের দৃশ্যমানতা ও দায়বদ্ধতা নষ্ট করা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ভেঙে ও দুর্নীতির অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সুশাসন, দক্ষতা ও কার্যকারিতায় বিঘ্ন ঘটানো হয়েছে।

সেই সঙ্গে অর্থ পাচার করে ও সম্পদ লোপাট করে এ খাতকে দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে। আমরা ব্যাংকিং খাতের সমস্যার স্বরূপ জানি, এ খাতকে কোথায় আমরা নিয়ে যেতে চাই, সে লক্ষ্য সম্পর্কেও আমাদের একটা ধারণা আছে, কিন্তু সে পথযাত্রার বিভিন্ন জটিলতা সম্পর্কে নানান বিষয় রয়েছে।

আমরা সবাই বলি, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতকে জনবান্ধব হতে হলে তার সব সম্পদ ও সেবায় সাধারণ মানুষের অগ্রাধিকার থাকতে হবে, দেশের ব্যাংকিং সুবিধে পৌঁছে দেওয়া হবে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অঙ্গনে। তবে সমতার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি শুধু সেবার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিত নয়, ঋণ লভ্যতার দিক থেকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হচ্ছে কি না, কোন শর্তে তারা ঋণের সুযোগ পাচ্ছে, ঋণ পরিশোধের ব্যাপারে বিত্তশালী কিংবা প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলোকে বাড়তি সুযোগ দেওয়া হচ্ছে কি না, সেগুলোও সমতার বিবেচ্য বিষয়।

তেমনিভাবে বাংলাদেশ ব্যাংককেও দেখতে হবে, রাজনৈতিক প্রভাবের চাপে সে যেন কোনো বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রতি পক্ষপাতমূলক ব্যবহার করে তাকে বিশেষ সুযোগ না দেয়। বৈষম্যহীন নীতির এ–ও একটি মাত্রিকতা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জনবান্ধব হয় তখনই, যখন তার নীতিমালা দেশে মূল্যস্ফীতি হ্রাস করে মানুষের অর্থনৈতিক জীবনে কষ্ট ও চাপ কমিয়ে আনতে পারে। অস্বীকার করার উপায় নেই যে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি ব্যবহার করে।

সে লক্ষ্যেই বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন করে টাকা ছাপানো বন্ধ করেছে এবং বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রি করে টাকার জোগান না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে সুদের হার বাড়িয়ে অর্থের চাহিদা হ্রাস করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার জন্য মুদ্রানীতি হিসেবে এগুলো সঠিক পদক্ষেপ, সন্দেহ নেই; কিন্তু এর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে কি?

নিশ্চয়ই বাংলাদেশ ব্যাংক তার কর্মকাণ্ড নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবে, কিন্তু মুদ্রানীতি প্রণয়ন থেকে তার অন্যান্য কর্মপরিধিতে বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে দেয় স্বাধীনতার মাধ্যমে কাজ করবে। উপরিউক্ত কাজগুলো যদি করা যায়, তাহলে বাংলাদেশে আমরা একটি জনবান্ধব, সমতামুখী, অঙ্গীকারবদ্ধ, সুশাসিত, দক্ষ, দুর্নীতিমুক্ত, কার্যকর ব্যাংকিং খাত পাব—তেমনটাই তো দেখতে চাই।

উপরিউক্ত প্রশ্নটি উঠছে এ কারণে যে এত কিছুর পরিপ্রেক্ষিতেও বাংলাদেশ অর্থনীতিতে জিনিসপত্রের দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বিশ্বের নানান অর্থনীতিতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেখানে মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে, সেখানে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাচ্ছে না। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশ, যা ভারত ও নেপালের চেয়ে দ্বিগুণ। বছর দুয়েক আগে শ্রীলঙ্কার চরম অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে দেশটির মূল্যস্ফীতি ছিল প্রায় ৭০ শতাংশ। আজ সেটা ১ শতাংশের কাছাকাছি নামিয়ে আনতে শ্রীলঙ্কা সক্ষম হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশে সেটা হচ্ছে না কেন?

গত প্রশাসনের সময়ে হাজার হাজার কোটি টাকার নোট ছাপিয়ে ব্যয় করার ফলে বাংলাদেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ঘটেছে বলে বর্তমানে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে ব্যাংক মনে করছে, আগামী পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতির হার কমে আসবে। মানুষের অর্থনৈতিক চাপ কমানোর জন্য, মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার জন্য এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা অত্যাবশ্যক।

তবে এ কথা মনে রাখা দরকার, একটি দেশের মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য মুদ্রানীতি, রাজস্বনীতি, বাণিজ্যনীতির যেমন ভূমিকা আছে, তেমনি মূল্যস্ফীতি হ্রাসের ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে প্রাতিষ্ঠানিক নানান দুর্বলতা, কাঠামোগত অন্তরায়, অপর্যাপ্ত পণ্য জোগান, অপ্রতুল আমদানি সামগ্রী।

সুতরাং মূল্যস্ফীতি রোধে যথাযথ মুদ্রানীতি অনুসরণ করার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক অন্য কৌশলগুলোর (যেমন বাণিজ্যনীতি, রাজস্বনীতি, অর্থনীতির কাঠামোগত দুর্বলতা দূরীকরণ) ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক সংস্থার সঙ্গেও সহযোগিতা করে যৌথভাবে কাজ করতে পারে কি না, সে বিষয়গুলোও ভেবে দেখা প্রয়োজন। সব নীতি ও কৌশলের ক্ষেত্রে সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণ ব্যতীত বাংলাদেশ মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা যাবে না।

জনবান্ধব কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক আরেকটি নীতি গ্রহণের কথাও ভেবে দেখতে পারে। যদিও সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মূল লক্ষ্য মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, তবু বহু দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি লক্ষ্যমাত্রা সংযোজন করেছে; সেটি হচ্ছে কর্মনিয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই দ্বিতল লক্ষ্যমাত্রা (ডাবল টার্গেটিং) গ্রহণ করে, তাহলে তা দেশের মানুষের জন্য কল্যাণমূলক হতে পারে।

বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের অঙ্গীকার এবং এ খাতের সুশাসনের বিষয়টি দীর্ঘদিন যাবৎই প্রশ্নবিদ্ধ। এ খাতের রাজনৈতিকীকরণ ও দুর্বৃত্তায়ন সর্বজনবিদিত। এর সূত্র ধরেই বাংলাদেশের স্বল্প কয়েকটি পরিবার ব্যাংক খাতের সম্পদ কুক্ষিগত করেছে, বিশাল অঙ্কের ঋণ খেলাপি করেছে, বহু হাজার কোটি অর্থ বাইরে পাচার করা হয়েছে। ব্যাংক খাতের সুশাসন নিশ্চিত করা, এ খাতে দুর্বৃত্তায়ন রোধ করা ও রাজনৈতিকীকরণের কুপ্রভাব থেকে মুক্ত রাখা প্রচেষ্টার নানান মাত্রিকতা আছে।

প্রথমত, ব্যাংক খাতে আর্থিক নিয়মশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের খবরদারি ভূমিকাকে শুধু জোরদার করলেই চলবে না, সে ভূমিকা নিয়মনিষ্ঠ ও বস্তুনিষ্ঠ হওয়া দরকার। যেমন দুর্বল ব্যাংকগুলোকে অন্য ব্যাংক থেকে অর্থ এনে বাঁচিয়ে রাখার ব্যাপারটি বস্তুনিষ্ঠভাবে নিরীক্ষিত হওয়া উচিত। যদি সেসব ব্যাংককে বন্ধ করে দেওয়াই যৌক্তিক বলে মনে হয়, তাহলে সেটা করার আত্মবিশ্বাস ও সৎসাহস বাংলাদেশ ব্যাংকের থাকা উচিত। আর্থিক নিয়মশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার অন্যতম শর্ত হচ্ছে পুরো প্রক্রিয়ার দৃশ্যমানতা, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি। এ প্রক্রিয়ার দুটি অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে—এক, বস্তুনিষ্ঠ ও সঠিক পরিসংখ্যান ও উপাত্ত তৈরি করা এবং দুই, একটি নিরীক্ষণ ও মূল্যায়নের কাঠামো প্রণয়ন।

দ্বিতীয়ত, এটা সর্বজ্ঞাত যে বিভিন্ন ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়ে গেছে এবং সেসব অর্থের গন্তব্যস্থল হিসেবে যুক্তরাজ্য, দুবাই, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশগুকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেসব পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জানা গেছে, সেই লক্ষ্যে সেসব দেশের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে একটি কথা মনে রাখা অতীব প্রয়োজন।

যেকোনো দেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ আপাতদৃষ্টে কতগুলো বৃহৎ দেশে যায় সত্যি, কিন্তু তারপর তারা ছোট ছোট দ্বীপের অর্থনীতিতে ও কর আশ্রয়স্থলে (ট্যাক্স হ্যাভেন) উপস্থিত হয়। তখন এসব অর্থের বহুমাত্রিক আশ্রয়স্থল চিহ্নিত করাই দুষ্কর হয়ে পড়ে; উদ্ধার করা তো পরের কথা। কিছুকাল আগে শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে এ সত্য হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া দিয়েছিল। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি উদ্‌ঘাটনের মূলমন্ত্র ছিল অর্থকে অনুসরণ করো (ফলো দ্য মানি)। বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থের জাল এত জটিল যে ওই অর্থকে অনুসরণ করতে গেলে শুধু বড় কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনা করলে হবে না, সে ক্ষেত্রে তদন্তজাল বিস্তৃতভাবে ছড়িয়ে দিতে হবে।

তৃতীয়ত, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশের ব্যাংক খাতের প্রতি দেশের সাধারণ মানুষের মনোভাবের তিনটি মাত্রিকতা আছে—একটি ক্ষোভের, একটি অনাস্থার আর অন্যটি আশঙ্কার। এই তিন মাত্রিকতা যে পরস্পরের বিচ্ছিন্ন, তা নয়, তারা একে অন্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ব্যাংক খাতের সব ঘটনা সাধারণ মানুষের মনে একটা গভীর ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। কারণ, একটি শ্রেণি ব্যাংক–ব্যবস্থাকে যেভাবে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে, তাতে সাধারণ মানুষ নিজেদের প্রতারিত মনে করেছে। বিপুল পরিমাণ দেশজ সম্পদের বিদেশ পাচার সাধারণ মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছে। এ অবস্থায় দেশের ব্যাংক–ব্যবস্থার ওপর সাধারণ মানুষের অনাস্থা খুবই স্বাভাবিক। এ রকম অনাস্থার হাত ধরেই এসেছে জনমনে আশঙ্কা।

চতুর্থত, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের নানান সমস্যা নিরসনে দুটি কর্মদল বা টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং এ প্রচেষ্টাকে স্বাগত। এ–জাতীয় কর্মদল ও তাদের প্রতিবেদন ব্যাংকিং খাতের স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি সমস্যাগুলো সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, সন্দেহ নেই। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে মৌলিক কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য একটি ব্যাংকিং কমিশনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

পঞ্চমত, রাজনীতি ঠিক করা আগে, নাকি ব্যাংক খাতের সংস্কার আগে—এমন একটি কথা ইদানীং শোনা যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, রাজনীতি ঠিক না হলে ব্যাংক সংস্কার বজায়ক্ষম হবে না। অতি সত্যি কথা। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও বোধ হয় সত্যি যে ব্যাংক সংস্কার না করলে রাজনীতিও ঠিক হবে না। ব্যাংক খাত সংস্কারবিহীন পড়ে থাকলে রাজনৈতিক প্রক্রিয়া আগের মতোই দুর্বৃত্তায়ন, অর্থ লোপাট, ঋণখেলাপি, সম্পদ কুক্ষিগতকরণের মাধ্যমে চরিত্রহীনই থেকে যাবে; ঠিক হবে না। সুতরাং রাজনৈতিক সংস্কার ও ব্যাংক খাতের সংস্কার একই সঙ্গে হতে হবে।

বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতার প্রশ্নটি বারবার এসেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি বিশেষ স্বাধীনতা ভোগ করে। এ–জাতীয় স্বাধীনতা ছাড়া কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকই একটি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংককেও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রভাববলয়ের বাইরে অবস্থান করে তার ভূমিকা পালন করতে হবে।

নিশ্চয়ই বাংলাদেশ ব্যাংক তার কর্মকাণ্ড নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবে, কিন্তু মুদ্রানীতি প্রণয়ন থেকে তার অন্যান্য কর্মপরিধিতে বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে দেয় স্বাধীনতার মাধ্যমে কাজ করবে। উপরিউক্ত কাজগুলো যদি করা যায়, তাহলে বাংলাদেশে আমরা একটি জনবান্ধব, সমতামুখী, অঙ্গীকারবদ্ধ, সুশাসিত, দক্ষ, দুর্নীতিমুক্ত, কার্যকর ব্যাংকিং খাত পাব—তেমনটাই তো দেখতে চাই।

  • সেলিম জাহান অর্থনীতিবিদ