বিশ্লেষণ
জনসংখ্যা, উন্নয়ন ও বৈষম্যের মধ্যে সম্পর্ক কী
জনসংখ্যা, উন্নয়ন ও বৈষম্য একে অপরের পরিপূরক। বাংলাদেশে জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করতে পারলেই প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব। আর সেই উন্নয়ন তখনই টেকসই হবে, যখন তা বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে। জনসংখ্যা, উন্নয়ন ও বৈষম্যের মধ্যকার সম্পর্ক, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধান নিয়ে লিখেছেন মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম।
জনসংখ্যা, উন্নয়ন ও বৈষম্য গভীরভাবে সম্পর্কিত। সাধারণত জনসংখ্যা বলতে আমরা বুঝি একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে নির্দিষ্ট সময়ে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা। আর বৈষম্য হলো রাষ্ট্র ও সমাজস্থ এসব মানুষের মধ্যে সম্পদ, সুযোগ, আয় ও মর্যাদার অসম বণ্টন।
লক্ষণীয় যে জনসংখ্যার আকার, বৃদ্ধি হার, ঘনত্ব ও গঠন (বয়স, জেন্ডার/লিঙ্গ, পেশা, অঞ্চল, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, উপগোষ্ঠী ইত্যাদি) সমাজের উন্নয়ন ও বৈষম্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে থাকে। এটি সমাজের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে যেমন প্রভাবিত করে, তেমনি বৈষম্যের মাত্রাকেও নির্ধারণ করে।
জনসংখ্যার যেমন পরিমাণগত দিক রয়েছে, তেমনই রয়েছে গুণগত দিক, যা আইসিপিডি, ১৯৯৪ (জনসংখ্যা ও উন্নয়নবিষয়ক আন্তর্জাতিক সন্মেলন, কায়রো, মিসর) থেকে স্বীকৃত। আইসিপিডি জনসংখ্যা ও উন্নয়ন আন্তসম্পর্কে একটি প্যারাডাইম শিফট (চালচিত্র পরিবর্তন)।
২.
এ ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্য হলো, সব মানুষের জীবনের গুণগত উন্নয়ন, যেখানে মানব উন্নয়নের কেন্দ্রে রয়েছে পছন্দকে বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা, যেখানে অধিকার ও পছন্দই মুখ্য।
আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশনকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৭৯টি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে, যেখানে ‘জনসংখ্যা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশের আন্তসম্পর্ক’; জেন্ডার সমতা, সমদর্শিতা ও নারীর ক্ষমতায়ন; জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও কাঠামো; প্রজনন অধিকার ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং জনসংখ্যা বণ্টন, নগরায়ণ ও স্থানান্তর; আন্তর্জাতিক অভিবাসন; জনসংখ্যা, উন্নয়ন ও শিক্ষা; এবং প্রযুক্তি, উন্নয়ন ও গবেষণার ক্ষেত্রগুলো পেয়েছে অগ্রাধিকার।
দেশের উন্নয়ন, অর্থনীতি ও সমাজব্যবস্থার ভিত্তিমূলে রয়েছে জনসংখ্যা, যার বিভিন্ন স্তরে দেখা যায় নানা ধরনের বৈষম্য। এ ক্ষেত্রে বৈষম্যের ধরনগুলো জনমিতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন পরিসরে লক্ষণীয়, যেখানে বৈষম্য নিরসনে ব্যক্তির মানবাধিকার, সামর্থ্য ও আত্মমর্যাদায় বিনিয়োগই মুখ্য।
৩.
জনসংখ্যায় তরুণ-যুবগোষ্ঠী প্রায়ই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের বাইরে থেকে যায়। ফলে তাদের ক্ষমতায়ন-অধিকার ও পছন্দ হয় বাধাগ্রস্ত কিংবা লঙ্ঘিত, বৈষম্য হয় ত্বরান্বিত।
ফলে অধিকার আদায়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বে আরও কিছু দেশে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে নেতৃত্ব দিয়েছে জেনারেশন জেড বা ‘জেন–জি’ (তরুণ-যুব জনগোষ্ঠী)।
জনসংখ্যার বিবেচনায় বৈষম্যের দিকগুলো বিবেচনা করলে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখতে পাই:
প্রথমত, বয়স কাঠামোগত বৈষম্য। তরুণ-যুব জনগোষ্ঠী, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী, বয়স্ক জনসংখ্যা, নির্ভরশীল জনসংখ্যার চাহিদা পূরণে তারতম্য
বা ব্যবধান রয়েছে। বয়সের আদর্শ মানদণ্ডের পার্থক্য রয়েছে।
যেমন ১৫-২৪ বছর বয়সী তরুণ-যুবগোষ্ঠীকে যুব বলে জাতিসংঘ ও এ–সংক্রান্ত অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের ‘জাতীয় যুব নীতি ২০১৭’ অনুসারে আবার ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের ‘যুব’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জাতীয় শ্রম জরিপে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের ‘যুব’ বলে চিহ্নিত করে থাকে।
এ পটভূমিতে বয়সভিত্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষাহীনতা, চাহিদা বা বৈষম্য লক্ষণীয়। এখানে উচ্চ যুব বেকারত্বের পাশাপাশি শিক্ষা, কাজ বা প্রশিক্ষণে নেই—এমন যুব জনগোষ্ঠীও অনেক বেশি। এ কারণে এখানে কাজপ্রাপ্তিতে বা সরবরাহে বড় ধরনের বৈষম্য রয়েছে।
জনসংখ্যা একটি দেশের মানবসম্পদ হবে তখনই; যখন তা দক্ষ, শিক্ষিত ও কর্মক্ষম হয়। কিন্তু জনসংখ্যার সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে দেশের উন্নয়নের পথ হবে প্রতিবন্ধকতাময়। কর্মসংস্থান ঘাটতি, দারিদ্র্য বৃদ্ধি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় চাপ উৎপাদনশীল মানবসম্পদ ও উন্নয়ন ত্বরায়নে চ্যালেঞ্জ।
দ্বিতীয়ত, লিঙ্গ বা জেন্ডার–বৈষম্য। নারী ও পুরুষের মধ্যে সুযোগের পার্থক্য স্পষ্ট লক্ষ করা যায়। বাংলাদেশে নারীরা জনমিতিক সংখ্যায় লিঙ্গ অনুপাতে এগিয়ে থাকলেও শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে এখনো পিছিয়ে রয়েছে।
যেমন শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণ পুরুষের তুলনায় এখনো প্রায় অর্ধেক। পারিবারিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কাঠামোর পরিসরে এখানে জেন্ডার বা লিঙ্গবৈষম্য বিদ্যমান।
তৃতীয়ত, অর্থনৈতিক বৈষম্য। বাংলাদেশে ধনী-দরিদ্রের আয়বৈষম্য লক্ষণীয়, যা ক্রমান্বয়ে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে, যা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ গৃহস্থালি আয়-ব্যয় জরিপে লক্ষণীয়।
বেসরকারি জরিপেও সাম্প্রতিক সময়ে দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়ার প্রবণতাও লক্ষণীয়। সমাজস্থ সম্পদের অসম বণ্টনের কারণে অর্থনৈতিক অসমতা বা ব্যবধান এখানে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
চতুর্থত, সামাজিক বৈষম্য। জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, জাত, ধর্ম, বর্ণ ইত্যাদির ভিত্তিতে প্রবেশগম্যতায়ও বৈষম্য লক্ষ করা যায়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাগত বৈষম্য শিক্ষার সুযোগে পার্থক্যকে নির্দেশ করে।
শহর-গ্রামভিত্তিক গুণগত শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিতেও পার্থক্য দেখা যায়। আবার শহরে বিভিন্ন প্রান্তিক ও সুরক্ষাহীন জনগোষ্ঠীর (যেমন স্থানান্তরিত, ভাসমান, বস্তিবাসী) এর মানুষ ওই শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে। গ্রাম-শহরের শিক্ষার বৈষম্যের ফলে কর্মসংস্থানেও বৈষম্য তৈরি হয়।
পঞ্চমত, স্থান বা আঞ্চলিক বৈষম্য। শহর ও গ্রামের পাশাপাশি অঞ্চল বা বিভাগভিত্তিক উন্নয়নের পার্থক্যও জনসংখ্যায় বৈষম্য সৃষ্টি করছে। শহরে শিল্প, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা গ্রহণের সুবিধা বেশি, কিন্তু গ্রামে এসব সীমিত।
৪.
জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিভাগের বিশ্ব জনসংখ্যা সম্ভাবনার (২০২৪ রিভিশন) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা এখন ১৭ কোটি ৭৫ লাখের বেশি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২২ সালের জনশুমারির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এই তরুণ-যুবাগোষ্ঠী, যাঁদের বয়স ১৫ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে রয়েছে ৩ কোটি ৩২ লাখ ৫৩ হাজার। আর ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ।
বাংলাদেশের এই তরুণ-যুব জনগোষ্ঠী একটি বড় সংখ্যা, বড় সম্ভাবনা ও বড় চ্যালেঞ্জ। এই জনগোষ্ঠীর সবার সুযোগ গ্রহণে সমান প্রবেশগম্যতা ও সুযোগকে কাজে লাগাতে প্রতিবন্ধকতা দূর করা, প্রান্তিক বা পিছিয়ে থাকাদের দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন।
কেননা জনসংখ্যা ও উন্নয়ন পটভূমিতে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এখনো সব ক্ষেত্রে জেন্ডার–সমতা ও অধিকার নিশ্চিত হয়নি। তরুণ-যুবাদের শিক্ষা ও তথ্যে প্রবেশগম্যতা দরকার। যখন তরুণ-যুব জনগোষ্ঠী সুশিক্ষায়, দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষিত হবে, ঘটবে না বাল্যবিয়ে বা কিশোরী মাতৃত্ব, মাতৃমৃত্যু, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা আর পরিবার পরিকল্পনার অপূর্ণ চাহিদা পূরণ।
জন্ম ও মৃত্যুহার হ্রাসের ফলে জনমিতিক রূপান্তর মডেলের তৃতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ পৌঁছালেও এখনো প্রতিস্থাপনযোগ্য প্রজনন হারে পৌঁছানো যায়নি। ২০১১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত স্থিতাবস্থায় রয়েছে, এমনকি বর্তমানে তা বাড়ার প্রবণতায় রয়েছে, যেখানে অঞ্চল বা বিভাগভিত্তিক রয়েছে বেশ ব্যবধান।
বর্তমানে জন্মনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহার হ্রাস আর ও শিশুমৃত্যুর হার বাড়ার প্রবণতাও লক্ষ করা যাচ্ছে। ফলে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা শক্তিশালীকরণ, জলবায়ু পরিবর্তন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এখন অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। তা না হলে অসমতা বা ব্যবধান বাড়বে স্থানীয় বা জাতীয় পর্যায়ে।
পাশাপাশি এক কোটি ষাট লাখের বেশি আন্তর্জাতিক স্থানান্তরিত জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। শিক্ষা, চাকরি ও নেতৃত্বে নারী তরুণ-যুবাদের সমতাকেন্দ্রিক প্রবেশাধিকার প্রদান করতে হবে।
এ রকম অবস্থায় দরকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। আর এ সবকিছুর ঘাটতিতে বৈষম্যের ফলস্বরূপ আমরা দেখতে পাচ্ছি—দেশে দারিদ্র্য ও বেকারত্ব বৃদ্ধি; অপরাধ, অশান্তি ও সামাজিক অস্থিরতা এবং উন্নয়নের গতি শ্লথ হয়ে যেতে।
এ ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টির কারণে রয়েছে—সম্পদের অসম বণ্টন; গুণগত শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের অভাব, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বাধা, রাষ্ট্রীয় নীতি-কৌশল প্রণয়ন, হালনাগাদ ও বাস্তবায়নের ঘাটতি।
৫.
জনসংখ্যা একটি দেশের মানবসম্পদ হবে তখনই; যখন তা দক্ষ, শিক্ষিত ও কর্মক্ষম হয়। কিন্তু জনসংখ্যার সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে দেশের উন্নয়নের পথ হবে প্রতিবন্ধকতাময়। কর্মসংস্থান ঘাটতি, দারিদ্র্য বৃদ্ধি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় চাপ উৎপাদনশীল মানবসম্পদ ও উন্নয়ন ত্বরায়নে চ্যালেঞ্জ।
উন্নয়ন তখনই হবে অর্থবহ, যখন তা সমাজের সব শ্রেণির মানুষের উপকারে আসবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, উন্নয়নের সুফল সমানভাবে বণ্টিত হয় না। ফলে একদিকে উন্নয়নের হার বৃদ্ধি পেলেও, অন্যদিকে সমাজে অসাম্য ও অস্থিরতা বেড়ে যায়।
জনসংখ্যা ও বৈষম্যের সম্পর্ক বিশ্লেষণে লক্ষ করা যায়, দরিদ্র পরিবারগুলো সাধারণত বড় পরিবার, যেখানে শিক্ষা ও পুষ্টির অভাবে দারিদ্র্য প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে যায়। আবার বৈষম্যের কারণে উন্নয়নের সুযোগ থেকে অনেক মানুষ বঞ্চিত হয়, যা জনসংখ্যার গুণগত মান কমিয়ে দেয়।
এ ক্ষেত্রে সমাধানের উপায় ও করণীয় কী
সমাধান হলো শিক্ষার প্রসার ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি। নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার–সমতা ও সামাজিক ন্যায্যতা নিশ্চিতকরণ। ন্যায্য আয়ের বণ্টন ও সামাজিক নিরাপত্তা; পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন এবং বিকেন্দ্রীকরণ, গ্রামীণ উন্নয়ন ও আঞ্চলিক ভারসাম্য রক্ষা করা। শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি। অনাকাঙ্ক্ষিত বৈষম্য নিরসনে টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন জনসংখ্যা ও সম্পদের মধ্যে সুষম সমন্বয়।
৬.
পরিশেষে বলব, জনসংখ্যায় বৈষম্য একটি রাষ্ট্রের উন্নয়নের বড় অন্তরায়। বৈষম্য দূর করতে হলে প্রয়োজন সমান সুযোগ ও ন্যায্য সম্পদ বণ্টন। যখন প্রত্যেক নাগরিক শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও মর্যাদার অধিকার পাবে, তখনই গড়ে উঠবে এক বৈষম্যহীন, উন্নত সমাজ।
জনসংখ্যা, উন্নয়ন ও বৈষম্য একে অপরের পরিপূরক। বাংলাদেশে জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করতে পারলেই প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব। আর সেই উন্নয়ন তখনই টেকসই হবে, যখন তা বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে।
মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে, পছন্দকে বেছে নেওয়ার সক্ষমতা তৈরি হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের সব উন্নয়ন পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে জনসংখ্যাকে রেখে নীতি-পরিকল্পনা প্রণয়ন (বিশেষ করে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি) ও তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ই-মেইল [email protected]
*মতামত লেখকের নিজস্ব
