ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: সংশোধন, বাতিল, নাকি যথার্থ প্রয়োগ

সাম্প্রতিক সময়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর অধীন দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে করা মামলার কারণে আইনটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ঘটনাটি আমাদের সবার জানা।

গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘গ্রাফিক কার্ড’ তৈরি করা হয়। সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ছবিটি ছিল একটি শিশুর।

যদিও প্রতিবেদনে দিনমজুর ও শিশুর উভয়ের আলাদা আলাদা বক্তব্য ছিল আর প্রতিবেদনে মূল ছবিটি ছিল শিশুটির। এরপরও ফেসবুকে পোস্ট হওয়া গ্রাফিক কার্ডটিতে অসংগতি তৈরি হতে পারে—এ আশঙ্কায় পত্রিকাটি সেটি দ্রুত প্রত্যাহার করে নেয়। পরে প্রতিবেদনটির সঙ্গে সংশোধনী যুক্ত করে দেয়।

ইতিমধ্যেই এ-সংক্রান্ত ফেসবুক পোস্ট ও খবরের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ খবরকে মিথ্যা ও রাষ্ট্রবিরোধী উল্লেখ করে ২৯ মার্চ মধ্যরাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন আইনজীবী আবদুল মালেক। মামলায় প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের সঙ্গে পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমানকেও আসামি করা হয়।

পরে গত ২ এপ্রিল মতিউর রহমান উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন লাভ করেন এবং শামসুজ্জামান ৩ এপ্রিল জামিনে মুক্তি লাভ করেন।

এ মামলার ঘটনা দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। মানবাধিকার ও সাংবাদিকদের নিয়ে কাজ করা প্রায় সব দেশি-বিদেশি সংস্থা মামলাটির নিন্দা করেছে। সেই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেরও ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।

অনেকেই আইনটির সংশোধন দাবি করছেন। কেউ কেউ এক ধাপ এগিয়ে আইনটি বাতিলেরও দাবি জানাচ্ছেন। এ অবস্থায় আইনমন্ত্রী আইনটির কিছু অপব্যবহারের কথা গণমাধ্যমে স্বীকার করেছেন। তবে আইনটি বাতিলের দাবি তিনি নাকচ করে জানিয়েছেন, আইনটি সংশোধন করা হবে।

আইনটি সংশোধনীর জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর) থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। ‘ওএইচসিএইচআর টেকনিক্যাল নোট টু দ্য গভর্নমেন্ট অব বাংলাদেশ অন রিভিউ অব দ্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ শিরোনামের সুপারিশমালায় আইনটির ২১ ও ২৮ ধারা বাতিল এবং ৮, ২৫, ২৭, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩ ধারা সংশোধনের সুপারিশ করা হয়েছে।

২১ ধারায় মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির জনক, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষার কথা বলা হয়েছে। আর ২৮ ধারায় ধর্মীয় মূল্যবোধ রক্ষার কথা বলা রয়েছে। সংশোধনের সুপারিশ করা আটটি ধারায় মূলত এ আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ ও তার বিচারসংক্রান্ত বিষয়ে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে আলোচনার আগে আইনটিতে অপরাধ ও দণ্ড বিষয়ে কী বলা হয়েছে, সেটা দেখা দরকার। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ষষ্ঠ অধ্যায়ে ডিজিটাল সিস্টেমে সংঘটিত অপরাধ ও তার দণ্ড বিষয়ে বলা হয়েছে। এই অধ্যায়ে মোট ২২টি ধারা আছে। এর মধ্যে শেষ চারটি ধারায় অপরাধ সংঘটনে সহায়তা, কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন, ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা, সেবা প্রদানকারী সংস্থাকে কিছু ক্ষেত্রে দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চারটি ধারা বাদ দিলে আইনটিতে মূলত ১৮ ধরনের অপরাধের সংজ্ঞা ও তার দণ্ড বিষয়ে বলা হয়েছে।

এই ১৮ ধরনের অপরাধকে বিশ্লেষণ করলে আমরা অপরাধগুলোকে চারটি শ্রেণিতে বিভক্ত করতে পারি—ডিজিটাল সিস্টেমে সরকার ও রাষ্ট্রবিষয়ক অপরাধ, ডিজিটাল সিস্টেমে সরকারি ও রাষ্ট্রীয় তথ্যের নিরাপত্তা, সাধারণ অপরাধ যা ডিজিটাল সিস্টেমে সংঘটিত হয়েছে এবং সাইবার ক্রাইম।

ধারা ২১ ডিজিটাল সিস্টেমে সরকার ও রাষ্ট্রবিষয়ক অপরাধ; ধারা ১৭ ও ৩২ ডিজিটাল সিস্টেমে সরকারি ও রাষ্ট্রীয় তথ্যের নিরাপত্তা; ধারা ২৫, ২৮, ২৯, ৩১ সাধারণ অপরাধ, কারণ এগুলো ডিজিটাল সিস্টেম ছাড়াও সংঘটন করা সম্ভব এবং ১৮, ১৯, ২০, ২২, ২৩, ২৪, ২৬, ২৭, ৩০, ৩৩, ৩৪ ধারাগুলোয় মূলত সাইবার ক্রাইমবিষয়ক অপরাধ ও দণ্ড বিষয়ে বলা হয়েছে।

আমরা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ থেকে যখন ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ উত্তরণ করতে চাইছি, তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্মার্ট বাংলাদেশে সব নাগরিকের সমস্ত তথ্য থাকবে একটি স্মার্ট কার্ডে। সরকারি ও রাষ্ট্রীয় সমস্ত তথ্য ও নথি ডিজিটাল ব্যবস্থার মধ্যে চলে আসবে। তখন অনলাইনে সব কাজ করা যাবে। এ অবস্থায় আমাদের ডিজিটাল সিস্টেম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর স্থাপনা হিসেবে বিবেচিত হবে। এ স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। সেই সঙ্গে সব তথ্যের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষা করাও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে।

এ অবস্থায় বেসরকারি অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর তথ্য থাকবে। এগুলোর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষার দায়িত্ব সেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের। তারা নিজেদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করছে কি না, সেটাও দেখার দায়িত্ব সরকারের। তাদের দায়িত্বে কোনো অবহেলা থাকলে দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা সরকার ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কাছেই প্রতিকার চাইতে যাব। তাহলে দেখা যাচ্ছে, এখানেও সরকারের দায়িত্ব রয়েছে।

দেশের উন্নয়নের পথে সাইবার নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও এ বিষয়ে সরকারের উদাসীনতা লক্ষণীয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১৫ ধারা অনুযায়ী কোনো কম্পিউটার সিস্টেম, নেটওয়ার্ক বা তথ্য পরিকাঠামোকে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো’ হিসেবে ঘোষণা করার এখতিয়ার সরকারকে প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু আইনটি প্রণয়নের প্রায় ৪ বছর পর ২০২২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২৯টি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এত গুরুত্বপূর্ণ কাজে প্রায় চার বছর সময় লাগাটা বিস্ময়কর।

সরকার-ঘোষিত ২৯টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর অন্যতম বাংলাদেশ বিমান। গত মার্চ মাসের শেষ দিকে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে আমরা জানতে পারি, বিমানের ই-মেইল সার্ভারের নিয়ন্ত্রণ হ্যাকাররা নিয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস না করার বিনিময়ে তারা ৫০ লাখ টাকা দাবি করেছে। এগুলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীন সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে সরকারের মনোযোগ অভাবের প্রমাণ।

দুঃখজনক হলেও সত্য, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ব্যবহারের চেয়ে সাইবার স্পেসে সাধারণ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও দমনের ক্ষেত্রের বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। আইনটির ২৫ ধারায় আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ ও প্রকাশ; ২৮ ধারায় ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতি আঘাত করে—এমন তথ্য প্রকাশ ও প্রচার; ২৯ ধারায় মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার; ৩১ ধারায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোসংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ড বিষয়ে বলা হয়েছে। এসব ধারার অধীন দেশের সাধারণ নাগরিক ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলার খবর প্রায়ই পাওয়া যায়।

চলমান বাস্তবতায় সাইবার নিরাপত্তার জন্য নিঃসন্দেহে আইনটির প্রয়োজন রয়েছে। তবে আইনটির সংশোধন জরুরি। বিশেষত, সাইবার স্পেসে সংঘটিত সাধারণ অপরাধগুলোকে অ-আমলযোগ্য ও জামিনযোগ্য করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে এসব অপরাধের দণ্ড পেনাল কোডের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হওয়া বাঞ্ছনীয়। আর সাইবার অপরাধগুলোর দণ্ড ও বিচারপ্রক্রিয়াও দেশের প্রচলিত আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হওয়া দরকার।

বাক্‌স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংগঠন আর্টিকেল নাইনটিনের হিসাবে ২০২০ সাল থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সারা দেশে ২২৩ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১১০টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় মোট ৫৪ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ সময়ে সব মিলিয়ে ৫৭৩টি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪০৪ জনকে। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) প্রকাশিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার বিষয়ে গবেষণায় আইনটির ২৫, ২৯, ৩১ ও ৩৫—এ চার ধারার সর্বাধিক ব্যবহার দেখা যায়।

সিজিএসের হিসাবে ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত এ আইনের অধীন ১ হাজার ২৯৫টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৪৪ জন এবং তাঁর মধ্যে ১ হাজার ৩৭৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের অনেকে জামিনে মুক্ত হলেও অনেকেই বিচারাধীন অবস্থায় আটক আছেন। এ ছাড়া ২১ ধারায় মামলা হয়েছে ১৮টি, অভিযুক্ত হয়েছেন ২৪২ জন এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৯ জন। তাঁদের পেশাগত বিভাজন করলে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি অভিযুক্ত হয়েছেন রাজনীতিবিদেরা। এরপরই আছেন আইনজীবীরা (১১ জন)।

২৮ ধারায় মামলা হয়েছে ৪৪টি, অভিযুক্ত হয়েছেন ১১৮ জন এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ২৫ জন। তাঁদের পেশাগত বিভাজন করলে দেখা যায়, যে ৩৪ জনের পেশাগত পরিচয় পাওয়া গেছে, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিযুক্ত হয়েছেন সাংবাদিক ও শিক্ষক। ৬টি করে মামলা হয়েছে; গ্রেপ্তার হয়েছেন যথাক্রমে ২ ও ৩ জন। এরপরই রয়েছেন রাজনীতিবিদ বেশি। ২৫ ধারায় মামলা হয়েছে ২১২টি, অভিযুক্ত হয়েছেন ৬৮৮ জন এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৪১ জন। আর ২৯ ধারায় মামলা হয়েছে ২১১টি এবং তাতে অভিযুক্ত হয়েছেন ৬৭৭ জন।

আরও পড়ুন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিচারপ্রক্রিয়া এবং দণ্ডগুলোও বেশ কঠোর। আইনটির ষষ্ঠ অধ্যায়ে বর্ণিত অপরাধগুলোর মধ্যে কেবল ১৮, ২০, ২৫ ও ২৯ ধারার অপরাধগুলো অ-আমলযোগ্য ও জামিনযোগ্য। এ ছাড়া বাকি ১৪টি ধারার অপরাধ আমলযোগ্য ও জামিনঅযোগ্য।

এর ফলে আইনটির অধীনে দায়েরকৃত মামলাগুলোর বিচারপ্রক্রিয়া কঠোর হয়ে গেছে। বিনা বিচারে অথবা বিচারে দীর্ঘসূত্রতার ফলে অভিযুক্ত ব্যক্তি দীর্ঘদিন কারাগারে আটক থাকতে পারেন। আইনটিতে অভিনবভাবে অপরাধ পুনরাবৃত্তির ক্ষেত্রে দণ্ড বৃদ্ধির বিধান রয়েছে।

এ মুহূর্তে দেশে-বিদেশে যাঁরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করছেন, তাঁদের কাছ থেকে দুটি দাবি পাওয়া যাচ্ছে। এক দল আইনটি সংশোধনের কথা বলছে, অন্য দল আইনটির বাতিল দাবি করছে।

চলমান বাস্তবতায় সাইবার নিরাপত্তার জন্য নিঃসন্দেহে আইনটির প্রয়োজন রয়েছে। তবে আইনটির সংশোধন জরুরি। বিশেষত, সাইবার স্পেসে সংঘটিত সাধারণ অপরাধগুলোকে অ-আমলযোগ্য ও জামিনযোগ্য করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে এসব অপরাধের দণ্ড পেনাল কোডের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হওয়া বাঞ্ছনীয়। আর সাইবার অপরাধগুলোর দণ্ড ও বিচারপ্রক্রিয়াও দেশের প্রচলিত আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হওয়া দরকার।

আমাদের মনে রাখা দরকার, তাত্ত্বিক দিক দিয়ে একটি ভালো আইনও খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হলে আইনটির ফলাফল খারাপই হবে। তাই কেবল আইন সংশোধন বা বাতিলই যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন আইনের উপযুক্ত ব্যবহার। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটির অপব্যবহার রোধে সরকার ও সরকারি সংস্থাগুলোর সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আর আইনটিতে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে যেসব বিধান আছে, সেগুলো প্রয়োগে সরকারের অধিক মনোযোগ কাম্য।

তথ্যসূত্র: দৈনিক যুগান্তর, ২ ও ৩ এপ্রিল ২০২৩; দৈনিক প্রথম আলো, ৬ এপ্রিল ২০২৩, ১২ অক্টোবর ২০২২; দৈনিক মানবজমিন, ৪ এপ্রিল ২০২৩; সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) ওয়েবসাইট

  • মাবরুক মোহাম্মদ আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী