অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলেই–বা লাভ কী

শিরোনামের প্রশ্নটি ইদানীং বেশ শোনা যায়। সঙ্গে শোনা যায় আরও পরিপূরক প্রশ্ন—গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনে কে ক্ষমতায় আসবে? তারা দেশকে ডোবাবে না, নিশ্চয়তা কী? প্রশ্নগুলো কিছু ‘সুশীল’ বাজারে ছেড়েছিলেন। এই দৌড়ে দু–একটি রাজনৈতিক দলের নেতারাও যে খুব পিছিয়ে আছেন, তা নয়। যখন একটা অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে মাঠের সব বিরোধী দল একজোট হয়ে আন্দোলন করার আহ্বান জানাচ্ছে, তখন আবার এই প্রশ্ন আগের চেয়ে অনেক বেশি জোরেশোরে আসতে শুরু করেছে আমাদের সামনে।

অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ধারণার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ

অনেকেই বলেন, একটা ভালো নির্বাচন মানেই গণতন্ত্র না। খুব সত্যি কথা। একটা সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলেই একটা রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এগিয়ে যাবে, দেশের মানুষ খুব ভালো থাকবে, এ নিশ্চয়তা নেই। এই সত্য মাথা পেতে স্বীকার করে নিয়েও বলছি, একটি ভালো নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্রের প্রথম পদক্ষেপটি দেওয়াও সম্ভব নয়। অধিকন্তু ভালো নির্বাচনকে আমরা যেভাবে ছোট করে দেখার চেষ্টা করি, একটা ভালো নির্বাচনের প্রভাব, আমি বিশ্বাস করি তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি।

জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত একটা সরকারের নৈতিক ভিত্তি শক্তিশালী হয়। সেই কারণে তেমন সরকার জনগণের স্বার্থরক্ষার প্রশ্নে দেশের ভেতরের এবং দেশের বাইরের যেকোনো শক্তির সঙ্গে দৃঢ়ভাবে যুদ্ধ করতে পারে। সেই সরকারকে এমনকি ইচ্ছা না থাকলেও জনগণের স্বার্থের পক্ষে দাঁড়াতে হয়। কারণ, মেয়াদান্তে তাকে আবার ভোট চাইতে জনগণের কাছেই যেতে হবে। ঠিক একই কারণে প্রতিনিধিত্বশীল সরকার জনগণের ন্যায্য দাবিদাওয়ার প্রতি সংবেদনশীল থাকে। সম্ভব হলে দাবি মেনে নেওয়ার চেষ্টা করে।

দুর্বল গণতন্ত্রের দেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার প্রতিপক্ষের ওপর দমন-পীড়ন যদি চালায়ও, সেটা কখনো ভয়ংকর হয়ে ওঠে না। কারণ, সে জানে পরবর্তী নির্বাচনে সে যদি ক্ষমতাচ্যুত হয়, তাহলে তার ওপর একই রকম নিপীড়ন নেমে আসতে পারে।
জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়নি—এমন একটা সরকার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও কেমন সমস্যায় পড়তে পারে, তার ভূরি ভূরি উদাহরণ এই দেশকে দিয়েই দেওয়া যায়। কিন্তু পরিসরের অপর্যাপ্ততার জন্য একটা উদাহরণই দিই। রোহিঙ্গা সংকটে সরকারের তিন ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ ভারত, চীন ও রাশিয়া বাংলাদেশের পক্ষে না থেকে আছে মিয়ানমারের পক্ষে। অথচ ওই তিন রাষ্ট্র আমাদের দেশের সঙ্গে নানা রকম ব্যবসা করছে এবং নানা রকম কৌশলগত সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে।

২০১৪ সালের পর যে সরকারটি গঠিত হয়েছে, সেটির নৈতিক ভিত্তি  দুর্বল থাকার কারণে ওই রাষ্ট্রগুলো জানে, অনৈতিক ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বর্তমান সরকার তাদের এমনিতেই তোয়াজ করবে। বাংলাদেশের স্বার্থ দেখার কোনো প্রয়োজন তাদের নেই।

আরও পড়ুন

ওদিকে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত না হওয়া সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে রাষ্ট্রের ভেতরের যেকোনো শক্তিশালী গ্রুপের পক্ষে থাকে। বর্তমান বাংলাদেশে যে গোষ্ঠীতন্ত্র চালু আছে, তাতে ক্ষমতাসীন দলের সদস্যদের সঙ্গে ব্যবসায়ী, সামরিক-বেসামরিক আমলাদের মধ্যে এক ধরনের নেক্সাস তৈরি হয়েছে। সরকার কোটি কোটি সাধারণ নাগরিকদের স্বার্থ না দেখে, দেখে থাকে মূলত সেই মানুষগুলোর স্বার্থ। এভাবেই সাধারণ নাগরিকদের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে অলিগার্কদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য রাষ্ট্রের যাবতীয় সব নীতি পরিচালিত হয়। এতে সরকারের কোনো ঝুঁকি নেই। কারণ, বৃহৎ জনগোষ্ঠী ক্ষুব্ধ হলেও পরবর্তী ভোটে সরকারের হিসাব চুকিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা তাদের হাতে নেই।
ওদিকে মানুষ যখন তার কোনো গণতান্ত্রিক ন্যায্য অধিকার নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য মাঠে নামতে চায়, তখন সরকার  নিপীড়ক হয়ে ওঠে। কারণ, সরকার সারাক্ষণ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত থাকে। সাম্প্রতিক অতীতে কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে কিশোরদের আন্দোলনের সময় আমরা দেখেছি, সেই আন্দোলনেও সরকার ভীত হয়ে তাদের ওপর মারমুখী আচরণ করেছে। হেলমেট বাহিনী, পুলিশের পিটুনি, মামলা সব রকম নিপীড়ন চাপিয়ে দেওয়া হয় আন্দোলনকারীদের ওপর। নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, একটা নির্বাচিত সরকার হলে, সামনে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দেখলে, সরকার এ রকম আচরণ করত না। কারণ, দিন শেষে তাদের ভোট চাইতে মানুষের সামনে যেতে হবে।

সুষ্ঠু নির্বাচনে নির্বাচিত, কিন্তু সামনে সুষ্ঠু নির্বাচন না দেখা সরকারের চরিত্র

এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ যে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা বাংলাদেশের শুরু হয়েছিল, তাতে পরপর দুটি সরকার ১৯৯১ সালে বিএনপি এবং ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকার নানা রকম বিচ্যুতি সত্ত্বেও যথেষ্ট ভালো ছিল। ভালো নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হওয়া আরও দুটি সরকার ২০০১ সালের বিএনপি ও ২০০৯ সালের আওয়ামী লীগের সরকার দুটি আগের সরকার দুটির তুলনায় অনেক নিম্নমানের ছিল। এই উদাহরণ দিয়ে অনেকেই বলতে পারেন, ভালো নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার তো নিম্নমানেরও হতে পারে।

আমি ২০০১ ও ২০০৯–এর বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের সরকার দুটিকে একটু ভিন্নভাবে দেখতে চাই। এই সরকার দুটি প্রত্যক্ষ ভোটে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হলেও  দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ওই সরকারগুলো অত্যন্ত বাজে শাসন করার কারণ হচ্ছে, এই দুটি সরকার তাদের সামনে নির্বাচন দেখছিল না।

২০০১ সালে বিএনপি সরকার শুরু থেকেই জানত, বিচারপতির বয়স বাড়িয়ে ২০০৬ সালে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারটা কবজায় এনে তারা ক্ষমতায় থেকে যাবে। আর ২০০৯ সালের আওয়ামী লীগ সরকারও জানত, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে আবার ক্ষমতাসীন সরকারের অধীন নির্বাচন করে ক্ষমতায় থেকে যাবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ২০০১ আর ২০০৯–এর সরকার দুটি তাদের সামনে একটা অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখছিল না, তাই তারা মানুষকে মোটাদাগেও খুশি না রেখে অপশাসন চালিয়েছে।

এই দেশে কে ক্ষমতায় থাকবে, ক্ষমতায় গিয়ে কোন দল কী করবে, ক্ষমতায় গিয়ে দেশকে কতটা ডোবাবে, আগে কোন দল কোন কোন ‘পাপ’ করেছে, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কার সঙ্গে জোট করছে, এই আলোচনা দেশের গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য অপ্রয়োজনীয় নয়, সেই আলাপ হোক নির্বাচনী প্রচারের মাঠে। কিন্তু একটা নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করে একটা দলের জবরদস্তির ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার যৌক্তিকতা প্রদান করার জন্য এই আলোচনাগুলো সামনে আনা রাষ্ট্রের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকর।

ধারাবাহিক সুষ্ঠু নির্বাচনের ফল; একটি বিখ্যাত উদাহরণ

বিশ্বখ্যাত বই ‘হোয়াই ন্যাশনস ফেইল: দ্য অরিজিন্স অব পাওয়ার, প্রসপ্যারিটি অ্যান্ড পভার্টি’–এর লেখক ড্যারন এসেমাগলু ও জেমস রবিনসন তাঁদের কেস স্টাডি হিসাবে সাব-সাহারান দেশ বতসোয়ানাকে নিয়ে আলাপ করেছেন। দেশটি স্বাধীন হয় বাংলাদেশের আগে, ১৯৬৬ সালে। সেই সময় ওই দেশে পাকা রাস্তা ছিল ১২ কিলোমিটার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী গ্র্যাজুয়েট সংখ্যা ছিল ২২, হাইস্কুল পাস করা মানুষ ছিল ১০০ জন।

আলোচ্য বইটিতে বতসোয়ানার সঙ্গে সীমান্ত থাকা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে তুলনা করে দেখানো হয়েছে, সেই দেশের তুলনায় বতসোয়ানা কতটা উন্নতি করেছে। আর সাব-সাহারান আফ্রিকার অন্যান্য অনেক রাষ্ট্রের তো কোনো তুলনাই চলে না বতসোয়ানার সঙ্গে।

এই বইয়ের লেখকেরা সংগত কারণেই বাংলাদেশের সঙ্গে বতসোয়ানার তুলনা করেননি। কিন্তু আমি কয়েকটা বিষয়ে তুলনা করতে চাই। ২০২১ সালে বতসোয়ানার মাথাপিছু আয় বিশ্বব্যাংকের হিসাবে ৭ হাজার ৩৪৭ ডলার। একই সময়ে বিশ্বব্যাংকের হিসাবে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫০৩ ডলার, যা বতসোয়ানার এক-তৃতীয়াংশ।

আরও পড়ুন

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের দুর্নীতির ধারণা সূচকে ২০২১ সালে ১৮০টি দেশের মধ্যে বতসোয়ানার অবস্থান ৪৫; এই সালেই বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৭তম। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে ২০২২ সালে ১৮০টি দেশের মধ্যে বতসোয়ানার অবস্থান ৯৫তম আর বাংলাদেশ ১৬২তম। আরও অনেক বিষয়ে তুলনা করা সম্ভব হলেও কলেবর সীমিত রাখার স্বার্থে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত  দিয়ে আমরা এই তুলনা শেষ করব। ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট বিশ্বের দেশগুলোর আইনের শাসনের পরিস্থিতির ভিত্তিতে একটি সূচক তৈরি করে (রুল অব ল ইনডেক্স)। ১৩৯ দেশ নিয়ে করা ২০২১ সালে এই সূচকে বতসোয়ানার অবস্থান ৫১তম আর বাংলাদেশের ১২৪তম।
বতসোয়ানার স্বাধীনতার সময়টার পরিস্থিতি আবার স্মরণ করে নিলে বুঝব, আমরা স্বাধীনতার সময় তাদের চেয়ে এগিয়ে ছিলাম যোজন যোজন। বতসোয়ানার ক্ষেত্রে এই ম্যাজিক কেন হলো, সেটার কারণ দেখানোর জন্য ওসেমাগ্লু এবং রবিনসন যুক্তি দেন এভাবে—এই দেশ বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জন্য কল্যাণকর খুব শক্তিশালী রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান (লেখকদের ভাষায় ‘ইনক্লুসিভ ইনস্টিটিউট’) তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোই এই রাষ্ট্রকে এ রকম ঈর্ষণীয় জায়গায় নিয়ে গেছে।

১৯৬৬ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর বতসোয়ানার প্রতিটি নির্বাচন হয়েছে অবাধ, স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য। তারা জানান, এভাবে ক্রমাগত সুষ্ঠু ক্ষমতার পরিবর্তন ধীরে ধীরে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বার্থের পক্ষে শক্তিশালী করে তোলে, এবং সেই প্রতিষ্ঠানগুলোই শেষ পর্যন্ত জনগণের স্বার্থ রক্ষা করেছে। অর্থাৎ জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা একটা রাষ্ট্র গঠনের পেছনে মূল ফ্যাক্টর ক্রমাগত অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে যেতে পারা। নিয়মিত অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো হয়ে ওঠে বৃহৎ জনগোষ্ঠী থেকে সম্পদ এবং সুবিধা আহরণ করে অল্প কিছু মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার মতো (লেখকদের ভাষায় ‘এক্সট্র্যাকটিভ ইনস্টিটিউট’)।

এই দেশে কে ক্ষমতায় থাকবে, ক্ষমতায় গিয়ে কোন দল কী করবে, ক্ষমতায় গিয়ে দেশকে কতটা ডোবাবে, আগে কোন দল কোন কোন ‘পাপ’ করেছে, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কার সঙ্গে জোট করছে, এই আলোচনা দেশের গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য অপ্রয়োজনীয় নয়, সেই আলাপ হোক নির্বাচনী প্রচারের মাঠে। কিন্তু একটা নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করে একটা দলের জবরদস্তির ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার যৌক্তিকতা প্রদান করার জন্য এই আলোচনাগুলো সামনে আনা রাষ্ট্রের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকর। আমরা যদি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চাই, তাতে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার প্রশ্নে এই আলাপগুলো একেবারে নিষিদ্ধ হওয়া উচিত।

নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় চলে আসা কোনো সরকার যদি সাধারণ জনগণের জন্য অকল্যাণকর হয়, তাহলে আন্দোলন করে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বাধ্য করবে জনগণ; আর হাতে তো থাকবেই সর্বোচ্চ ক্ষমতা—তাদের হিসাব জনগণ বুঝিয়ে দেবে পরবর্তী নির্বাচনে। আর কোনো সরকার যদি মনে করে তারা অসাধারণ কাজ করার পরও মানুষ তাদের আর ক্ষমতায় রাখেনি, তবু সেটাকে মেনে নিতেই হবে। কোনো যদি বা কিন্তু দিয়ে নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করে ক্ষমতা ধরে রাখা যাবে না। এটাই গণতন্ত্র।

  • জাহেদ উর রহমান ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের শিক্ষক