সংবিধান সংস্কার: সংবিধান বনাম সাংবিধানিকতাবাদ

একটি গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হলো সাংবিধানিকতাবাদ প্রতিষ্ঠা করা, যার মধ্যে সংবিধানের চেতনা ও চেতনাজাত সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা পায়। সংবিধান ও সাংবিধানিকতাবাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে লিখেছেন এম এম খালেকুজ্জামান

সংবিধান, সাংবিধানিকতা আর সাংবিধানিকতাবাদ শব্দগুলোতে অনুপ্রাসজনিত নৈকট্য আছে। কিন্তু প্রায়োগিক ক্ষেত্রে মিল খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কারণ, আমাদের মতো গণতন্ত্র নিয়ে সংগ্রামরত দেশগুলোতে কার্যকারিতা বিবেচনায় এই তিন শব্দ মেরুসম দূরত্বে অবস্থান করে।

সংবিধান আর সাংবিধানিকতা যতটা পরিচিত সাধারণ ব্যবহারে কিংবা ব্যবহারজীবীমহলে (আইন অঙ্গন ও একাডেমিক) কনস্টিটিউশনালিজম বা সাংবিধানিকতাবাদ শব্দটা সে তুলনায় অনেক কম শোনা যায়। এমনকি  অস্পষ্টতা এবং ভ্রান্তিও লেগে আছে শব্দটির গায়ে। এর কারণ আমাদের সাংবিধানিক (আইন নিয়ে আদালতে আর আইন পাঠ নিয়ে শিক্ষাক্রমে) আর বিদ্যায়তনিক চর্চার দৈন্যতা।

৫ আগস্টের ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর সরকার ও সংশ্লিষ্ট কোনো কোনো ব্যক্তি সংবিধান সংস্কারের এক ‘মহাযজ্ঞ’ নিয়ে কথাবার্তা বলছেন। এ ছাড়া নির্বাচন, প্রশাসনসহ রাজনৈতিক অনেক বিষয়ে সংস্কারের দামামা বাজছে। আগ্রহী জনসমাজ এই সংস্কার প্রক্রিয়াকে সামনে রেখে এক বুদ্ধিবৃত্তিক মিথস্ক্রিয়ায় ব্যস্ত! অ্যাট লিগ্যাল জুরিস্ট উপেন্দ্র বক্সি উদ্ভাবিত ‘সোশ্যাল অডিট’ বিষয়টির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। 

‘সোশ্যাল অডিট’ কথাটা মানে হলো, আইন প্রণয়ন কেবল আইনপ্রণেতাদেরই একক বিষয় নয়। জনমানুষ নানা মতামত দিয়ে আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে। বুদ্ধিবৃত্তিক মিথস্ক্রিয়া অথবা সোশ্যাল অডিট যা–ই বলা হোক, আগামীর আইন ও সংবিধানে যাতে জনসমাজ তার অবদান রেখে সেই দলিলের অংশ হতে পারে, সে চাওয়া সবার।

বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য আইন অভিধানের মধ্যে বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও শিক্ষাবিদ আনিসুজ্জামানের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত হয়েছে আইন শব্দকোষ। এটি আইনের একটি ‘মহা অভিধান’এবং বেশ গভীর অনুধ্যানের কাজ। কিন্তু  আশ্চর্যের বিষয় এই আইন অভিধানে ‘সাংবিধানিকতাবাদ’ শব্দের কোনো ভুক্তি নেই!

■ আইন প্রণয়ন কেবল আইনপ্রণেতাদেরই একক বিষয় নয়। জনমানুষ নানা মতামত দিয়ে আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে। ■ সাংবিধানিকতাবাদ আসলে এমন এক মতবাদ, যেটি নিশ্চিত করতে চায় সরকারের কর্তৃত্ব নির্ধারিত হবে আইন বা সংবিধানের দ্বারা। ■ পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় বিগত সরকারের অমানবিক ও আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ডগুলো সাংবিধানিকতাবাদের বিপরীত চর্চার এক উপযুক্ত উদাহরণ। ■ সংবিধান যেন বিশেষ শ্রেণি–পেশা–জাতি–ধর্মের না হয়ে দেশের সব মানুষের ‘মহাদলিল’ হয়ে ওঠে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

এমনকি এ বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ, যা আইন কমিশনের নেতৃত্বে হয়েছিল, তাতে আরও অতিরিক্ত চার হাজার শব্দের ভুক্তি থাকলেও সাংবিধানিকতাবাদ শব্দের স্থান হয়নি। বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান তর্কাতীতভাবে আইনবিষয়ক সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ রচনার রচয়িতা, তিনিও সাংবিধানিকতাবাদ শব্দের নিতান্ত উল্লেখ ছাড়া বিস্তারিত কিছু বলেননি।

সাংবিধানিকতাবাদ আসলে এমন এক মতবাদ, যেটি নিশ্চিত করতে চায় সরকারের কর্তৃত্ব নির্ধারিত হবে আইন বা সংবিধানের দ্বারা। সাংবিধানিকতাবাদকে যদিও কখনো কখনো ‘সীমিত সরকার’–এর প্রতিশব্দ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তবে মনে রাখা দরকার, এটি শুধু একটি ব্যাখ্যা। এ ব্যাখ্যা কোনোভাবেই ঐতিহাসিকভাবে ও আইনগতভাবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা নয়।

সাধারণভাবে সাংবিধানিকতাবাদ বলতে বোঝায়, স্বেচ্ছাচারী সরকারকে প্রতিরোধ করার প্রচেষ্টা। সহজ করে বললে, সরকার সংবিধানের ম্যান্ডেট মেনে ‘অতি সরকার’ না হয়ে ‘সীমিত সরকার’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। সাংবিধানিকতাবাদ হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার গুচ্ছ নীতি, যা কার্যত একটি ‘পলিটিকো লিগ্যাল কন্ট্র্যাক্ট’ (রাজনৈতিক–আইনি নির্মাণ)।

সাংবিধানিকতা আর সাংবিধানিকতাবাদের বৈপরীত্য আর পারস্পরিকতা নিরূপণ ও নির্মাণ কঠিন। সব ভাষাতেই কিছু বৈপরীত্যের দ্বিপদ (অপজিশনাল বাইনারিজ) রয়েছে; যেমন সাদা-কালো, নারী-পুরুষ ইত্যাদি। সাধারণভাবে দ্বিপদের একটির অর্থ অন্যটির মাঝে তার অনুপস্থিতির মাধ্যমে মূর্ত হয়। বলা যায়, শব্দসমূহের পারস্পরিক বৈপরীত্যই এদের অর্থের নির্মাতা। 

ভাষাতাত্ত্বিকদের মতে, ভাষা তার কাঠামোর মধ্যে সিগনিফায়ারদের পারস্পরিক সব সম্পর্কের বিষয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ সম্পর্ক ভাষার বাইরে থেকে কেউ নিরূপণ করতে পারে না, নির্মাণও করতে পারে না। এটি কিছুটা স্বতঃস্ফূর্ত। সাংবিধানিকতা আর সাংবিধানিকতাবাদ বুঝতে এই আলাপ কিছুটা সাহায্য করতে পারে; অর্থাৎ যা সাংবিধানিকতা, তা সাংবিধানিকতাবাদ নয়।

লায়েন্সটাইনের চিন্তার অনুসারী হয়ে সংবিধানের নানা রকমফের উল্লেখ করে বলা যায় সংবিধান তিন ধরনের। আদর্শনিষ্ঠ সংবিধান (নর্মেটিভ কনস্টিটিউশন) নামীয় সংবিধান (নমিনাল কনস্টিটিউশন) শব্দগত বিচারে উত্তীর্ণ সংবিধান (সিমানটিক কনস্টিটিউশন অন্য নাম স্যুডো কনস্টিটিউশন)।

সংবিধান নামের ‘মহাদলিল’–এর কাঠামো পরিগ্রহণ করে জাতির ইতিহাসের অভিন্ন উৎস হতে। এই দলিল ফিরে দেখে, ‘অনন্তের গভীর প্রস্রবণ’, যা তার অন্তর্দৃষ্টি ও পুনরুদগমের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে। নেরুদার কবিতা প্রসঙ্গে হেইডেন ক্যারুথ বলেছিলেন, অভিজ্ঞতার তলায় থাকা অনুভবের কাঠামো। সাংবিধানিক কাঠামো প্রস্তুত করতে এই প্রত্যয়ন জরুরি।

পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় বিগত সরকারের অমানবিক ও আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ডগুলো সাংবিধানিকতাবাদের বিপরীত চর্চার এক উপযুক্ত উদাহরণ। ঔপনিবেশিক আমলের আইনকানুন ব্যবহার করে তারা সাংবাদিকদেরও ওপরও দমন–পীড়ন চালিয়েছে। আমাদের পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর এগুলো অনুধাবন করার সময় এসেছে।

বাক্‌স্বাধীনতা কী, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কী, সংবিধান কী বলছে, কখন কোন ক্ষোভ প্রদর্শন ন্যায়সংগত, বাক্‌সংযমের সীমা কোথায়, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ কেমন—এসব সব বিষয়ে সাংবিধানিকতাবাদের নিরিখে আমাদের পুলিশ প্রশাসন ও আমলাতন্ত্রকে প্রকৃত অর্থে শিক্ষিত
করা দরকার।

‘আমরা সংবিধান অনুযায়ী চলি’ বিগত সরকার এ কথাকে আপ্তবাক্যের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল; যেন তারা  সাংবিধানিকনিষ্ঠতার চূড়ান্ত পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছে! এর মানে হতে পারে, তারা সংবিধানের অক্ষর ধরে ধরে চলে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তারা সংবিধানের মর্মবস্তুকে বোঝার চেষ্টা করেনি।

একটি গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার মূল লক্ষ্য হলো সাংবিধানিকতাবাদ প্রতিষ্ঠা করা, যার মধ্যে সংবিধানের চেতনা ও চেতনাজাত সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা পায়। সংবিধানের অক্ষর মেনে চলতে গিয়ে বিগত সরকার বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছে, সংসদ চালিয়েছে। আক্ষরিক অর্থে তারা সংবিধান অনুযায়ী চলেছেন, কিন্তু সাংবিধানিকতাবাদকে পা মাড়িয়েছেন।

আইন ও সংবিধান অক্ষর কিংবা ভাব, যেভাবেই মেনে চলা হোক, তা দোষের নয়। বাংলাদেশ বনাম গোলাম আযম (১৯৯৪) মামলায় যে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল, তার বিপরীত কিছু আসাই স্বাভাবিক ছিল, যদি বিচারক আইন ও সংবিধান অক্ষরে অক্ষরে মানতেন।

বিচারপতি মোস্তফা কামাল ‘আবেগে দীর্ঘ কিন্তু আইনে খাটো’ বলে নাগরিকত্ব আইনকে আক্ষরিক অর্থের ঘেরাটপ থেকে বের হয়ে মানবাধিকারের জন্মগত ‘অ-প্রত্যাহারযোগ্যতা’ ধারণাকে অবলম্বন করে ব্যক্তির মর্যাদাকে নিশ্চিত করেন। এর মাধ্যমে আমাদের সুপ্রিম কোর্ট ‘কনস্টিটিউশনাল জুরিস্প্রুডেন্স’কে অনন্য উচ্চতা দেয়।

মোদ্দাকথা হলো, সাংবিধানিকনিকতাবাদ কেবল সংবিধানের অক্ষরে থাকে না।

আইন বা সংবিধানের ব্যাখ্যায় একক বা আদর্শ মান বলে বিবেচিত হওয়ার নিয়মকানুন নেই— এমন অভিমত অনেক বিখ্যাত আইনবিদের। আসলে এগুলোকে নিয়মকানুন না বলে পরস্পরবিরোধী নির্দেশিকা বলাই শ্রেয়। তারপরও মূলগত ঐক্য নিয়ে ব্যাখ্যা করলে আইনের অপূর্ণাঙ্গতার ঝুঁকি হ্রাস পাবে।

সঙ্গে সঙ্গে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য সাধন হবে আর তা হলো আইনের ব্যাখ্যার স্বেচ্ছাচারিতা কমবে। বিভিন্ন ব্যবস্থা ও ব্যাখ্যাপদ্ধতির ক্ষেত্রে সাধারণ মানদণ্ড নিরূপণ করা যাবে। বেন্থাম এ ব্যাপারে এতই প্রথানুগ ছিলেন যে তিনি বিচারকসৃষ্ট (জাজ মেড ল) সম্পর্কে বিরোধী মত ধারণ করতেন।

সাংবিধানিক ইতিহাসের এক অভূতপূর্ব নজির স্থাপন করেছিল বিগত স্বৈরাচারী সরকার। ছিটেফোঁটা গণতন্ত্র আছে, এমন কোনো দেশে নিকট অতীতে এমনটা কিছু করার উদাহরণ নেই। বিগত সংসদ নির্বিকারভাবে সংবিধানের ৫০টি অনুচ্ছেদকে ভাবীকালের জন্য ‘সংশোধনের অযোগ্য’ করেছিল।

এই নজিরবিহীন কাজের প্রতিক্রিয়ায় বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান লেখেন, ‘কোন অভিমানে পঞ্চদশ সংশোধনীর রূপকাররা ভাবলেন তাঁদের সংস্কারকৃত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধানটি চিরজীবী হয়ে ভাবীকালের কাছেও জলাভেদ্য, বাতাভেদ্য বা সংশোধনাভেদ্য হয়ে থাকবে? দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের সংশোধন করার ক্ষমতা কি চিরতরে নিঃশেষ হয়ে যাবে?’

সাংবিধানিকতাবাদের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাশীল কেউ এমন অসাংবিধানিক পরিবর্তন করতে পারেন না।

সংবিধানের ৫০ বছর পূর্তিতে রাষ্ট্র সাংবিধানিকতাবাদ অনুশীলন করছে কি না, তা বোঝার চেষ্টা করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আলী রীয়াজ। ‘আ কনস্টিটিউশন উইদাউট কনস্টিটিউশনালিজম’ নিবন্ধের শুরুতে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ এক প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি, সংবিধান কি সাংবিধানিকতাবাদকে বর্জন করেছে? (আ কনস্টিটিউশন উইদাউট কনস্টিটিউশনালিজম, দ্য ডেইলি স্টার, ৪ নভেম্বর ২০২২) সাংবিধানিকতাবাদ নিয়ে আগ্রহী পাঠকের জন্য সেই নিবন্ধ হতে পারে চমৎকার এক শুরু।

বিখ্যাত শিল্পী মনিরুল ইসলাম একবার বলেছিলেন, ‘আমি গোলাপ আঁকি না গোলাপের ঘ্রাণ আঁকি।’ তাঁর এই উচ্চারণ যতটা না স্পর্ধার, তার চেয়ে বেশি আত্মবিশ্বাসের। গোলাপ না এঁকেও ‘গোলাপবোধ’ প্রকাশের সঙ্গে তুলনা হতে পারে, সাংবিধানিকতাবাদ শব্দ ব্যবহার না করে সংবিধান যেন সাংবিধানিকতাবাদের বিষয়টিই নিশ্চিত করার সঙ্গে।

সাংবিধানিকতাবাদ ধারণা অনেকটাই গোলাপের সেই ঘ্রাণ বা অবস্তুর (এই অবস্তুই গোলাপের আত্মা) মতো। সংবিধানের ক্ষেত্রেও সাংবিধানিকতাবাদ এই ‘অবস্তু’ আসলে সংবিধানের মূল বিষয়। প্রাণবায়ু ছেড়ে গেলে যেমন মানবদেহ হাড়–মাংসের চেয়ে বেশি কিছু নয়, তেমনি সাংবিধানিকতাবাদই বোধ হয় সংবিধানের প্রাণবায়ু কিংবা অন্তরাত্মা।

‘অন দ্য ওয়ে টু ল্যাঙ্গুয়েজ’–এর পর্যবেক্ষণে মার্টিন হাইডেগার মনে করেন, ভাষার মধ্যেই মানুষ তার যথার্থ বসতি খুঁজে পেয়েছে। তাঁর এই কথার ব্যাখায় কোনো কোনো শিল্পতাত্ত্বিক বলেছেন, ভাষাই মানুষের সীমানা। মানুষের সব ভাব প্রকাশিত হয়েছে, তার ভাষার সীমানার মধ্যেই। আবার ভাষার সীমানা চিরস্থিরও নয়।

সংবিধানের ভাব ও ভাষার ব্যবহারে সাংবিধানিকতাবাদ মূর্ত হয়ে যখন উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারবে, তখনই এর রচয়িতাদের শাস্ত্রজ্ঞানের প্রয়োগনৈপুণ্য বোঝা যাবে। সংবিধান সংস্কারের যে উদ্যোগ শুরু হয়েছে, তাতে এ বিষয়গুলো যেন আরও সহজবোধ্য হয়, সংবিধান যেন বিশেষ শ্রেণি–পেশা–জাতি–ধর্মের না হয়ে দেশের সব মানুষের ‘মহাদলিল’ হয়ে ওঠে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

এম এম খালেকুজ্জামান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী