অনলাইন মন্তব্য

প্রথম আলোর প্রকাশিত ও অনলাইন সংস্করণে নিয়মিতভাবে পাঠকেরা বিভিন্ন সংবাদ ও মতামতের ওপর মন্তব্য করেন। এখন থেকে প্রতি সোমবার নির্বাচিত কিছু পাঠকের মন্তব্য প্রকাশ করা হবে। এ সপ্তাহের মন্তব্য আজ প্রকাশ করা হলো।

ভ্যাট বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা রাজপথে

নিজস্ব প্রতিবেদক। আপডেট: ১৩: ৩৫, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৫
‘ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ রোববারও রাজপথে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। ধানমন্ডি, উত্তরা, রামপুরা, বনানীর কাকলী মোড় ও চেয়ারম্যানবাড়ি-সংলগ্ন সড়ক, নর্দ্দা-বসুন্ধরা এবং গ্রিন রোড-পান্থপথ সড়কে অবস্থান নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন।’

জে কামাল
বাংলাদেশে হাতে গোনা কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়ার মান খুবই খারাপ। আর এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন ১ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং ভর্তি ও সেমিস্টার ফি লাখ লাখ টাকা। আমাদের শিক্ষার্থীরা এসব টাকা কমানোর জন্য এবং শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য তো আন্দোলন করেন না।

আহসান আজিজ
লেখাপড়ার মান খারাপ হলে সরকার ও ইউজিসি সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিক৷ ভ্যাট বসালেই শিক্ষার মান ভালো হয়ে যাবে না৷ আপনার মন্তব্য এখানে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক, আপনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পড়াশোনার খরচ সম্পর্কে মোটেই জানেন না৷ এখানে অনেক মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করেন৷ অনেক ছাত্র নিজেই টিউশনি করে বা কাজ করে এবং নিজের পূর্বের সামান্য জমানো অর্থ দিয়ে অতি কষ্টে পড়াশোনার খরচ চালান৷

মিজানুর রহমান
ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। অনেকের মনে হতে পারে যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু ধনী পরিবারের সন্তানেরাই পড়াশোনা করেন। আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীই আসেন মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে। আমাদের সব সন্তানকে আমরা বিনা মূল্যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ না দিতে পারি কিন্তু ভ্যাট আরোপ করে তাদের শিক্ষার সুযোগকে আরও সংকুচিত করতে পারি না। অর্থ দরকার কিন্তু তা যেন সন্তানদের ভবিষ্যতের বিনিময়ে না হয়। শিক্ষার ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করুন।

তানভির আহমেদ
আজ বেশ গোছালো ও পরিপক্ব নির্দেশনার মাধ্যমে ওরা অহিংস আন্দোলন করছে। সবচেয়ে ভালো দিক হলো, ওরা কোনো রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির মাধ্যমে এগোচ্ছে না। ওরা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছে, সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্তের বিরোধিতা মানে সরকারের বিরোধিতা নয়। সফলতা কামনা করছি।


শিক্ষায় ভ্যাট: কে দেবে, কেন দেবে?

সোহরাব হাসান। আপডেট: ১৪:১১, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৫। প্রিন্ট সংস্করণ
চলমান শিক্ষাক্ষেত্রে ভ্যাট বিতর্ক বিষয়ে লেখক মত দিয়েছেন, ‘আমাদের মন্ত্রী বাহাদুরদের কথাবার্তা শুনে মনে হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু বড়লোকের সন্তানেরাই পড়েন। আসলে তাঁদের সেই ধারণা ভুল।’

সজল
সরকার ভেবেছিল যে তাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামার কেউ নেই। কিন্তু এখন যেভাবে রাস্তায় মানুষ নেমেছে, সরকারবিরোধী দলগুলোও এত দিন এভাবে নামতে পারেনি। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এখন বিরোধীপক্ষ মাঠে নামতে পারে। কারণ, পতন যেকোনো কারণেই হতে পারে। সামান্য এই ইস্যুতেও যদি সরকারের পতন ঘটে, তবে তার জন্য পুরো দায় বর্তাবে অবিবেচক ও নির্বোধ কিছু মন্ত্রীর ওপর।

শহিদুল ইসলাম
শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশে যখন বাজেট ঘাটতি পূরণের জন্য শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকারের ওপর ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে, তখন ভ্যাট না দিয়ে এমপি-মন্ত্রীদের গাড়ি আমদানি এ দেশের জন্য বিলাসিতা ছাড়া আর কিছু নয়।

মো. খালেদ আল ইমরান
ভ্যাট সব সময় ক্রেতাই দিয়ে থাকেন ও দেবেন। এনবিআর, সরকার, মালিকপক্ষ—যে যা–ই বলুক, শেষ পর্যন্ত ভ্যাট শিক্ষার্থীদেরকেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে (সুবিধা/সেবা ত্যাগ বা নতুনেরা নতুন ফি দিয়ে) দিতে হবে ।

মো. মশিয়ুর রহমান
আন্দোলন হচ্ছে, হতেই পারে কিন্তু প্রশাসন চেষ্টা করলে জ্যামে পড়া যানবাহনগুলোকে আরও সাহায্য করতে পারত। এ সময়ে তারা ইচ্ছে করলে ব্রাঞ্চ রোডগুলো খুলে দিতে পারত।

মোহাম্মদ খান
কয় টাকা-ই বা এই ভ্যাট থেকে আসবে! তার চেয়ে কর ফাঁকিবাজদের ধরলে এর বহুগুণ আসবে। ঋণখেলাপিদের ধরলেও এর চেয়ে অনেক অনেক বেশি আসবে। দুর্নীতিবাজ ও কালোটাকার মালিকদের ধরলেও বহুগুণে সরকারের আয় হবে। আশা করি ভেবে দেখবেন।


শিশু ধর্ষণ, যুবলীগ নেতা হাতেনাতে ধরা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি। আপডেট: ২০:২৪, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৫।
‘সংখ্যালঘু পরিবারের এক শিশুকে ধর্ষণ করার সময় স্থানীয় লোকজনের হাতে ধরা পড়েছেন হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার এক যুবলীগ নেতা। শিশুটির মা তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার পর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। শামছুল মিয়া চৌধুরী (৩২) নামের ওই ব্যক্তি উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়ন যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি।’

সোহেল
অপরাধী দলীয় লোক হলেও ছাড় নেই—পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। বিএনপির অন্ধকার যুগ আর ছাত্রদলের নেতা হলে কখনোই কি ধরা পড়ত?

মাহফুজা বুলবুল
‘এমনকি শামছুলের পক্ষ নিয়ে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাঁদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।’ ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকতে হলে ভয়ভীতির রাজত্ব কায়েম করতে হয়।

শুভ্র আহমেদ
মুক্তিযুদ্ধ যাঁরা সমর্থন করেছেন, দলমত–নির্বিশেষে তাঁদের সবার একটাই স্লোগান ছিল ‘জয় বাংলা’। মহান মুক্তিযুদ্ধের এই একমাত্র স্লোগান ‘জয় বাংলা’কে অপমান করবেন না, গালাগালি দেবেন না। এবং এই স্লোগানকে ব্যক্তিগত বা দলীয় স্লোগান বানাবেন না। মুক্তিযুদ্ধের ফলেই আমরা আজ স্বাধীনভাবে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে, বিভিন্ন মাধ্যমের সাহায্যে আমাদের মতামত ব্যক্ত করতে পারছি। এই অধিকারটির অপব্যবহার কোনো রুচিবান, আত্মসচেতন, আত্মসম্মান বোধসম্পন্ন ব্যক্তি করতে পারেন না।