অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ, আর্থিক সংকট ও শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতা

অপ্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামোতে অতিরিক্ত বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি না বাড়িয়ে অর্থনীতিতে ভঙ্গুরতা আনে। এরই নেতিবাচক ফল ভোগ করছে শ্রীলঙ্কা
ছবি: রয়টার্স

বৃহৎ ভৌত অবকাঠামো, বিশেষত যোগাযোগ অবকাঠামো প্রকল্প রাজনীতিবিদদের অতি প্রিয়। কেননা, ভোটাররা অবকাঠামো উন্নয়নকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমার্থক ভাবে বিধায় ভোটের বাজারে সুবিধা হয়। দৃশ্যমান এসব প্রকল্প দেখিয়ে মন্ত্রীরা তাঁদের রাজধানীকে প্যারিস, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে তুলনা করতে পারেন। বলতে পারেন, সেসব দেশে এমআরটি, এক্সপ্রেসওয়ে আছে, আমাদের ও আছে। আর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো, এসব প্রকল্পে দুর্নীতির অবারিত সুযোগ। কারণ, আমরা বোকা জনগণ ভোজ্যতেল, পেঁয়াজের দাম ৫০ শতাংশ বাড়লে তেতে উঠি। কিন্তু অবকাঠামো প্রকল্পের ব্যয় ৩০০ শতাংশ বাড়লেও রাজনীতিবিদদের বাহবা দিই। অথচ ভোজ্যতেল, পেঁয়াজের মতো এ ধরনের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ভারও জনগণকেই বহন করতে হয় টোল বা কর প্রদানের মাধ্যমে।

সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, এসব ক্ষেত্রে ফাঁপিয়ে উন্নয়নের গালগল্প বলার একটা আবহ সৃষ্টি হয়। কেননা, অনুৎপাদনশীল বিনিয়োগের ফলে প্রথমে নির্মাণকাজ চলাকালে অর্থনীতিতে তেজিভাব এলেও পরে ধস নামে, যখন প্রক্ষেপিত সুবিধা অর্জিত হয় না এবং তা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শ্লথ করে। আবার যদি এসব বিনিয়োগ ঋণনির্ভর হয়, তখন অনুৎপাদনশীল প্রকল্পে অতিরিক্ত বিনিয়োগের ফলে ঋণের বোঝা বাড়তে থাকে, মুদ্রাপ্রবাহ সম্প্রসারণের ফলে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ে, আর্থিক বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও ভঙ্গুর অর্থনীতির উদ্ভব হয়, যেমনটি আমরা এখন শ্রীলঙ্কায় দেখতে পাচ্ছি।

কীভাবে শ্রীলঙ্কা এ অবস্থায় এল

শ্রীলঙ্কার বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট কেবল অনুৎপাদনশীল বৃহৎ ভৌত অবকাঠামো প্রকল্পের জন্য হয়েছে, এমনটি নয়। এর মূল কারণ পরিবারতন্ত্র (গোতাবায়ার ভাই ও ভাতিজারা) কর্তৃক পারিবারিক স্বার্থে ভুল রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও রাষ্ট্রের অন্যান্য স্তম্ভ যেমন প্রশাসন, বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের মূক দর্শকের ভূমিকা পালন। অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে অহেতুক করহার হ্রাস, উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে মুদ্রা ছাপানো, অর্গানিক কৃষি চালু করতে সার ও কীটনাশকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, রেমিট্যান্স ও পর্যটনের মতো সেবা খাতের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা। ঋণ করে আলংকারিক ভৌত অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন সংকটের একটি অন্যতম কারণ। এর ফলে ঋণ জিডিপির অনুপাত ১০২ শতাংশে ও ঋণ পরিশোধের দায় ৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। অতিমারির কারণে আরোপিত যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞার ফলে পর্যটন ও রেমিট্যান্সে ভাটা পড়ে। ফলে রিজার্ভে ধস নামে। শ্রীলঙ্কান রুপির অবমূল্যায়নের (প্রতি ডলার ২০২১ সালে ১৯৮ রুপি থেকে মার্চ ২০২২ সালে ২৯০ রুপি) ফলে আমদানি ব্যয় বিপুল পরিমাণে বেড়ে যায়। ফলে ডিজেল, রান্নার জ্বালানি, সবজি, খাদ্যশস্য, ওষুধের সংকট দেখা দেয় ও ঋণের দায় পরিশোধ অসম্ভব হয়ে পড়ে।। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে ওঠে বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস ও এর ফলে সাত-আট ঘণ্টা ব্ল্যাকআউট। এভাবেই সামগ্রিক অর্থনীতি ভেঙে পড়ে ও দেশটি এখন দেউলিয়াত্বের সম্মুখীন।

এ সংকট হঠাৎ করে তৈরি হয়নি। উদাহরণস্বরূপ শ্রীলঙ্কা ২০০৯ সালে রপ্তানি ক্ষেত্রে আটটি খাতে যেমন কফি, চা, কাপড়, কৃষিপণ্য, পানীয়, চামড়া ও জুতা, কাঠের পণ্য, নন-ইলেকট্রিক্যাল মেশিনারি খাতে প্রতিযোগী ছিল; ২০২০ সালে তা কমে কফি, চা, কাপড়, কৃষিপণ্য, চামড়া ও জুতা, কাঠের পণ্য এই পাঁচটিতে নেমে আসে। শ্রীলঙ্কার আরেকটি অন্যতম সমস্যা ছিল তথাকথিত উন্নয়নযাত্রায় সমাজের পেছনে পড়ে যাওয়া মানুষগুলোর জন্য কোনো কর্মসূচি গ্রহণ না করা।

চীনা ঋণ গলায় ফাঁস

চার্বাক দর্শনে বলা হয়েছে, ‘ঋণং কৃত্বা ঘৃতং পিবেৎ, যাবৎ জীবেৎ সুখং জীবেৎ।’ অর্থাৎ ঋণ করে হলেও ঘি খাও, যত দিন বাঁচো সুখে বাঁচো। শ্রীলঙ্কার উন্নয়ন-দর্শনে ‘ঋণ করে হলেও ঘি খাও’ নীতি প্রতিফলিত হয়েছে। আর এ ঋণ দিতে এগিয়ে এসেছে চীন। হাম্বানটোটা আন্তর্জাতিক গভীর সমুদ্রবন্দরের কথাই ধরুন। শ্রীলঙ্কার সাবেক ও বর্তমান প্রেসিডেন্টের বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপক্ষে সমালোচকদের এ প্রকল্প বাণিজ্যিক সম্ভাব্যতা বিচারে গ্রহণযোগ্য নয় মতামত উপেক্ষা করে তঁার জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এ প্রকল্প গ্রহণ করেন। ২০০৭-১৪ সালের মধ্যে চীন প্রকল্পটির জন্য পাঁচ কিস্তিতে ১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়। প্রথম দিকে ঋণের সুদহার ১ থেকে ২ শতাংশ ধরা হলেও পরে তা বেড়ে ৬ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়ায় এবং ঋণ পরিশোধের মেয়াদ সংক্ষিপ্ত করা হয়।

২০১০ সালে প্রকল্প চালু হলে দেখা গেল সেখানে জাহাজ ভিড়ছে না, শিপিং কোম্পানিগুলো পার্শ্ববর্তী কলম্বো বন্দর ব্যবহার করছে। এ অবস্থায় ২০১৭ সালে চীনা কোম্পানিকে ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ৯৯ বছরের জন্য বন্দরের ৮৫ শতাংশ মালিকানা দেওয়া হয়। শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষ চীনা কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে বন্দর পরিচালনা করতে থাকে। চীনা কোম্পানি অধিগ্রহণের পর বন্দরটিতে কনটেইনার, সাধারণ পণ্য, যাত্রী, বাঙ্কারিং, এলএনজি ইত্যাদি পরিবহনের সুবিধা দেওয়ায় এর ব্যবসা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। চীনা কোম্পানি বন্দরের ১৫ হাজার একর জমিতে রপ্তানিমুখী শিল্পজোন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে।

এ ছাড়া চীন কলম্বো বন্দর নগরী প্রকল্পে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে, যেখানে সমুদ্র থেকে ভূমি উদ্ধার করে রিসোর্ট, ক্যাসিনো, সম্মেলনকেন্দ্র ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে। এসব প্রকল্পের ফলে চীনের কাছে শ্রীলঙ্কার দায় ২০২০ সালে ৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়, যদিও এসব প্রকল্প থেকে আয় ঋণ পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। এ পর্যায়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট ও অন্য নেতারা চীনা ঋণের দায় তেমন বেশি নয় বলে প্রচার করতে থাকেন। চীন শ্রীলঙ্কাকে বৈদেশিক বাণিজ্য ভারসাম্য সহায়তা ও ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের কারেন্সি সোয়াপ সুবিধা ও চায়না উন্নয়ন ব্যাংক ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণসুবিধা চীনে অবস্থিত এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক ১৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেয়। এভাবে শ্রীলঙ্কা চীনা ঋণের শৃঙ্খলে আষ্টেপৃষ্ঠে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, চীনা ঋণ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা আন্তর্জাতিক বন্ডের মাধ্যমে ও অন্যান্য লগ্নিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করে।

শ্রীলঙ্কার বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট কেবল অনুৎপাদনশীল বৃহৎ ভৌত অবকাঠামো প্রকল্পের জন্য হয়েছে, এমনটি নয়। এর মূল কারণ পরিবারতন্ত্র (গোতাবায়ার ভাই ও ভাতিজারা) কর্তৃক পারিবারিক স্বার্থে ভুল রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও রাষ্ট্রের অন্যান্য স্তম্ভ যেমন প্রশাসন, বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের মূক দর্শকের ভূমিকা পালন।
আরও পড়ুন

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির মিল–অমিল

একসময় নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ শ্রীলঙ্কার এ পরিণতি বাংলাদেশেও উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এ পটভূমিতে মন্ত্রীরা, সংবাদমাধ্যম, এমনকি এডিবি প্রতিনিধিও বাংলাদেশে ও শ্রীলঙ্কার অমিল তুলে ধরেছেন। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশে ও শ্রীলঙ্কার জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৪ দশমিক ৫ ও ১ দশমিক ৩ শতাংশ; বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যথাক্রমে প্রায় ৬ মাসের ও ১ দশমিক ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে সক্ষম; বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার জিডিপি ও ঋণের অনুপাত যথাক্রমে ৪০ ও ১০২ শতাংশ। অর্থাৎ, বাংলাদেশ প্রতিটি সূচকেই এগিয়ে এবং বর্তমানে নিরাপদ অবস্থানে আছে।

কিন্তু মিলগুলোও উপেক্ষার নয়। দুই দেশের শাসনকাঠামোই কেন্দ্রীভূত এবং সরকার একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী; বাণিজ্যিক ঋণ করে অবকাঠামোতে বিনিয়োগকে উন্নয়নের কৌশল হিসেবে গ্রহণ করেছে। শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে চীন ও আমাদের ক্ষেত্রে চীন, ভারত ও রাশিয়া প্রধান ঋণদাতা। অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উভয় দেশেই ব্যয় ও সময়সীমা মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি ও সুবিধা বাড়িয়ে দেখানোর প্রবণতা লক্ষ করা যায়। বাংলাদেশের ঋণ জিডিপির অনুপাত কম হলেও তা বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে নিট বার্ষিক বিদেশি ঋণের পরিমাণ ২০১৪-১৫ সালে ৪ হাজার ৯১০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা ও পরিশোধের পরিমাণ ৭ হাজার ৮০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১৪ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা হয়েছে। উভয় দেশেরই রপ্তানি পণ্যের তালিকা ক্ষুদ্র এবং প্রবাসী প্রেরিত অর্থের ওপর নির্ভরশীলতা রয়েছে। উভয় দেশেই অপ্রয়োজনীয় ও ভুল প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাড়তি ক্যাপাসিটি ও এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে ভূমিতে প্ল্যান্ট স্থাপনের পরিবর্তে এফএসআরইউর (ভাসমান জাহাজ) উল্লেখ করা যেতে পারে।

তবে কি বৃহৎ ভৌত অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ করা যাবে না? তা নয়, তবে ভৌত অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিম্ন ব্যয়ের উচ্চ মানের প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে হবে। মেগা প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে গিয়ে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রকল্প বাদ যাচ্ছে। যেসব প্রকল্পে বিনিয়োগ দেশীয় সম্পদ বৃদ্ধিতে অধিকতর ভূমিকা রাখতে পারে। উদাহরণস্বরূপ ঢাকা-আশুলিয়া-গাজীপুরে কমিউটার ট্রেন ও সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপে যাতায়াতব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের উল্লেখ করা যেতে পারে।

বাংলাদেশ কী করতে পারে

লেখা শেষ করছি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চার অধ্যাপক আনসার, ফ্লাইভজার্গ, বুডজিয়ার ও লুনের ২০১৬ সালের একটি নিবন্ধের উল্লেখ করে। তাঁদের নিবন্ধের নাম ‘ভৌত অবকাঠামোতে বিনিয়োগ কি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ায় না ভঙ্গুরতা আনে? চীন থেকে প্রাপ্ত সাবুদ।’ চীনের ৯৫টি যোগাযোগ খাতের প্রকল্প বিশ্লেষণ করে তাঁরা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে অপ্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামোতে অতিরিক্ত বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি না বাড়িয়ে অর্থনীতিতে ভঙ্গুরতা আনে। তাঁরা দেখিয়েছেন যে ভৌত অবকাঠামো প্রকল্প অনুমোদনের জন্য এর খরচ কম ও রাজস্ব ও সুবিধা বাড়িয়ে দেখানো হয়। প্রকল্পের পরিবেশ ও সামাজিক বিরূপ প্রভাব কমিয়ে ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সুবিধা বাড়িয়ে দেখানো হয়। ফলে সবচেয়ে অনুপযুক্ত প্রকল্প অনুমোদন লাভ করে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য তাঁরা তিনটি পরামর্শ দিয়েছেন; (১) অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিম্ন ব্যয়ের উচ্চ মানের প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে হবে; (২) প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি ও সুবিধা ঘাটতির কথা মাথায় রেখে সীমিত সম্পদ অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে হবে; (৩) প্রকল্পের ব্যয় ও সময় বৃদ্ধি, সুবিধা হ্রাসের মতো ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে কেবল সেসব প্রকল্প, যেগুলোর ধনাত্মক নিট বর্তমান মূল্য রয়েছে সেগুলোতে বিনিয়োগ করতে হবে।

এই লেখকদের উপসংহার ও পরামর্শ মেনে চললে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতাও আমাদের এ শিক্ষা দেয়।

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সাবেক সচিব ও অর্থনীতিবিদ