আমাদের দেশে হবে সেই ‘ছেলে’ কবে?

পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা মানুষের প্রাণান্ত ছোটাছুটি, কর্মময় ব্যস্ততাপূর্ণ জীবন, সেখানে ন্যূনতম অবসরের ফুরসত মেলা ভার। এ ছোটাছুটি শুধু তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য, তা কিন্তু নয়; কথিত উন্নত দেশগুলোয় নাগরিক জীবনের কর্মব্যস্ততা দরিদ্র দেশগুলোর তুলনায় ঢের বেশি। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নকামী দেশে অনেক মানুষ অন্যের ওপর নির্ভরশীল থেকে জীবিকা নির্বাহ করেন। এসব দেশে ছেলেমেয়েরা সাবালক হলে, কেউ কেউ কর্মক্ষেত্রে ঢুকলে মা–বাবাসহ অনেক অভিভাবক নির্ভরশীল জীবন যাপন করেন।

আমাদের মতো দেশগুলোর সামাজিক বাস্তবতায় নারী সমাজের অনেকেই কর্মক্ষেত্রে বিনিয়োজিত থাকেন না। এসব দেশের সামাজিক প্রথা অনুযায়ী মা-বোনদের কর্মক্ষেত্রে বিনিয়োজিত না থাকাকেই অনেকে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখেন। তবে এ কথা ঠিক যে এসব দেশে মা-বোনেরা অর্থনীতির সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকেন, যেমন একজন কিষানির কৃষিদ্রব্য মজুত ও প্রক্রিয়াকরণে সহায়তা। আমাদের মা বোনেরা গৃহস্থালি কাজে একচেটিয়া ভূমিকা পালন করলেও অর্থনীতির অদ্ভুত নিয়মে তাঁদের সেসব ক্রিয়াকলাপ দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) হিসাবে আনা হয় না।

অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক উন্নত ও ধনী দেশে নারী-পুরুষ কারোরই বেকার থাকার অবকাশ নেই। সেখানে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর নির্ভরশীল থাকার রেওয়াজ নেই। বরং কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর কেউ কর্মহীন থাকলে তাঁকেই হেয় দৃষ্টিতে দেখা হয়।

উন্নয়নকামী এসব দেশে পরিস্থিতির পরিবর্তনের ধারা লক্ষণীয়। নারীশিক্ষার বিস্তার এবং আর্থসামাজিক বাস্তবতায় এসব উন্নয়নশীল দেশের নারীরাও অর্থনৈতিক কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত হচ্ছেন, পুরুষের পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষেত্রবিশেষে নারীদের অবদান পুরুষ সহকর্মীদের থেকেও বেশি দেখা যায়।

সে যা–ই হোক, অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক উন্নত ও ধনী দেশে নারী-পুরুষ কারোরই বেকার থাকার অবকাশ নেই। সেখানে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর নির্ভরশীল থাকার রেওয়াজ নেই। বরং কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর কেউ কর্মহীন থাকলে তাঁকেই হেয় দৃষ্টিতে দেখা হয়। এমনকি, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরাও হয় খণ্ডকালীন চাকরি করে অথবা নিজের নামে শিক্ষাঋণ নিয়ে পড়াশোনার খরচ নির্বাহ করেন। সেসব জনগোষ্ঠীর বয়োজ্যেষ্ঠরাও তাঁদের আত্মসম্মান নিয়ে খুবই সজাগ।

ঘটনাক্রমে একটি বাস্তব উদাহরণ মনে পড়ে গেল। উচ্চশিক্ষার্থে জাপানের যে শহরে বসবাস করতাম, সেখানে বয়স্ক লোকজনের সংখ্যা ছিল অনেক। জাপানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ঋণাত্মক। অনেক বয়স্ক ব্যক্তিই চাকরিজীবন শেষে সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের আওতায় পেনশন–সুবিধা পেয়ে থাকেন। কিন্তু তাঁদের অনেকেই বৃদ্ধ বয়সে হয় কৃষি অথবা হাতে তৈরি নানা কাজের (জাপানিজ ভাষায় বলে ইকেবানা) ব্যবসা করতেন। যেকোনো কাজকেই তারা অনেক সম্মানের চোখে দেখেন।

এ রকম এক বয়স্ক নাপিত দম্পতির সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়। এমনিতেই জাপানের জীবনযাত্রা অনেক ব্যয়বহুল তদুপরি চুল কাটার মতো ক্ষৌরকর্মের ব্যয় সেখানে তুলনামূলকভাবে বেশি। কিন্তু বাসার পাশে সেই নাপিত দম্পতির দোকান হওয়ায় আমরা তাঁদের কাছেই যেতাম। সেবাধর্মী এসব পেশায় তাঁরা গল্প করতে করতে সেবাদান করতেন। লক্ষ করলাম যে আমার ছেলেকে চুল কাটাতে নিয়ে গেলে সেই নাপিত দম্পতি খুব খুশি হতেন। অনেক যত্ন করে, সময় নিয়ে, ছেলের সঙ্গে গল্প করতে করতে সেবা দিতেন। শেষে সেবামূল্য পরিশোধ করে আসার সময় দিতেন মূল্যবান উপহার।

একদিন তাঁদের জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম যে সেই নাপিত দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে। তাঁরা তাঁদের আলাদা সংসার এবং চাকরি নিয়ে টোকিও শহরে বসবাস করেন। তাঁদের ছেলেমেয়েদের ঘরে নাতি–নাতনি পর্যন্ত আছে। নাতি–নাতনিদের কেউ আমার ছেলের বয়সী বিধায় তাঁরা আমার ছেলেকে ‘এক্সট্রা খাতির’ করতেন। বয়স্ক এ দম্পতি টোকিওর মতো বড় রাজধানী শহরে ছেলেমেয়ে, নাতি–নাতনিদের সঙ্গে না থেকে তাঁদের জন্মশহরে আলাদা বাস এবং নাপিতের কাজ করতেন।

উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো, তাঁদের দৃশ্যমান কোনো অভাব ছিল না। তাঁদের নিজস্ব আলিশান ডুপ্লেক্স বাড়ির গ্যারেজে ষাটোর্ধ্ব দম্পতির দুজনের দুটো মার্সিডিজ গাড়ি, তাঁদের ঝকঝকে পোশাক এবং বাড়ির আঙিনায় বিন্যস্ত ফুলবাগান তাঁদের সচ্ছলতার কথাই জানান দিত। সঙ্গে সরকার থেকে মোটা অঙ্কের পেনশন, প্রতিষ্ঠিত ছেলেমেয়ে থাকার পরও তাঁরা বৃদ্ধ বয়সেও কর্মবিমুখ থাকেননি।

আমাদের দেশে পেশাগত শ্রেণিবিন্যাস এবং তার মূল্যবোধের তারতম্য প্রকট। তথাকথিত সরকারি-বেসরকারি চাকরি, চাকরিজীবী-ব্যবসায়ী, শহুরে-গ্রামীণ জীবন ও জীবিকা, নারী-পুরুষ বৈষম্য ইত্যাদি বিষয়ে সমাজের আনাচকানাচে নানা কথা, তর্কবিতর্ক, এমনকি কুতর্কও শোনা যায়।

কোনো এক জাপানিজ উৎসবে (জাপানিজ ভাষায় ‘ওমাতসুরি’) সপরিবারে গিয়েছি। উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠিত সে মেলায় অনেকে ছোট ছোট স্টল বা দোকান দিয়েছে। গরমের সময়ে অনুষ্ঠিত সে মেলায় ‘বরফকুচির শরবত’-এর দোকানে বেশ ভিড়। একজন বয়স্ক মানুষ হাসিমুখে ছোট ছেলেমেয়েদের সে শরবত পরিবেশন করে যাচ্ছেন। আমরা সামনে আসতেই প্রমিত ইংরেজিতে আমাদের কাছে চাহিদা জানতে চাইলেন। আমরা বরফকুচির শরবত নিয়ে একপাশে বসে ‘ইভেন্ট’ দেখছিলাম। এমন সময় সেই ভদ্রলোক এসে হাজির। পরিচয় দিয়ে বললেন, তিনি জাপানের এক স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন। দেশি–বিদেশি অনেক ছাত্রছাত্রীর মাস্টার্স ও পিএইচডি সুপারভাইজ করেছেন। আমরা সপরিবারে অবাক হয়ে গেলাম এই ভেবে যে একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক কত অবলীলায় একটি স্থানীয় মেলায় বরফকুচির শরবতের দোকান দিয়েছেন, সশরীরে সেবাদানের পাশাপাশি আমি ভিনদেশি শিক্ষার্থী বিধায় বিশেষভাবে পরিচিত হয়ে সম্মান দিয়ে গেলেন।

জাপানের মতো ইউরোপ–আমেরিকার অনেক দেশে অবসরে যাওয়া মানুষ সমাজে স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে নিয়োজিত থাকেন। স্বেচ্ছাসেবামূলক এসব সংগঠনের সদস্যরা কর্মজীবনে কে কী করতেন, কে উচ্চ আর কে নিম্ন বেতনে চাকরি করতেন, কে বস আর কে কর্মচারী, কে সরকারি কে বেসরকারি, কার কোন শহরে জন্ম, কে কোন লিঙ্গের, কোন ধর্ম–বর্ণ বা গোত্রের ইত্যাদি বিষয় কখনোই বিবেচ্য থাকে না। তাঁরা নিজেরা বিভিন্ন স্বেচ্ছামূলক সংগঠন করে সরকারি সেবা অফিস, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, শপিং মল, বিমানবন্দর, বাস ও রেলস্টেশন, নদী ও সমুদ্রবন্দরে তাঁরা তাঁদের সংগঠনের ব্যানারে ডেস্ক বা টেবিল–চেয়ার নিয়ে অবস্থান করেন। দেশ–বিদেশ থেকে আগত অনেকেই যাঁরা তথ্য চান, তাঁদের তথ্য দিয়ে, এমনকি অনেককে নিরাপদ গন্তব্যে নিজ উদ্যোগে পৌঁছে দিয়ে থাকেন।

এসব সংগঠন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় জানমাল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। যেকোনো বন্যা, ভূমিধস, অগ্নিকাণ্ড ও ভূমিকম্পের সময় সুগঠিত প্রফেশনাল সংস্থার পাশাপাশি এসব স্বেচ্ছাসেবী জীবন বাজি রেখে সেবাকর্মে নিজেদের বিলিয়ে দেন। তাঁরা বিভিন্ন উৎসবে অংশগ্রহণ করেন, এমনকি নানা উৎসবের আয়োজনও করে থাকেন। বড় বড় শহরে আগত দেশি–বিদেশি ব্যক্তিদের প্রাথমিক প্রয়োজন মেটানোর বন্দোবস্ত করে থাকেন। কারও সন্তান হলে সাধ্যমতো উপহার প্রদান, ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তি, সকালবেলা স্কুল গমনাগমনের পথে ট্রাফিক কন্ট্রোলের মতো কাজও তাঁরা করেন অবলীলায়। এসব কাজে কখনোই তাঁরা হতাশ, হতোদ্যম বা হীনম্মন্যতায় ভোগেন না। নিজেদের জন্যও অনেক সময় তাঁরা ট্যুর, পিকনিক আয়োজন করেন। আনন্দের সঙ্গে এসব কাজ করে একদিকে তাঁরা নিজেদের যেমন ব্যস্ত রাখেন, অন্যদিকে সমাজের নানাজনের নানা উপকার করেন।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নকামী একটি দেশের সমাজ-সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের পুনর্মূল্যায়ন সময়ের দাবি। আমাদের দেশে পেশাগত শ্রেণিবিন্যাস এবং তার মূল্যবোধের তারতম্য প্রকট। পেশাগত মর্যাদার জন্য লড়াই করা মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তথাকথিত সরকারি-বেসরকারি চাকরি, চাকরিজীবী-ব্যবসায়ী, শহুরে-গ্রামীণ জীবন ও জীবিকা, নারী-পুরুষ বৈষম্য ইত্যাদি বিষয়ে সমাজের আনাচকানাচে নানা কথা, তর্কবিতর্ক, এমনকি কুতর্কও শোনা যায়। জীবিকার প্রয়োজনে নিয়োজিত অনেক পেশার মানুষ অন্যান্য পেশাজীবী বা সমাজের অনেকের কাছ থেকে ন্যূনতম সম্মানটুকু পান না।

কোনো উন্নত অর্থনীতি, সমাজ বা সংস্কৃতিতে পেশার কারণে সামাজিক মর্যাদার তারতম্য একবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। উচিত হবে সাবেক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে সহায়তা করা।

এ সমাজেরই কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, মজুর, মুটে, কুলি, মুচি, ডোম, মেথর, রিকশাওয়ালা, ভ্যানগাড়ি–অটোরিকশাচালক, মোটর মেকানিক, সবজি–মাছবিক্রেতা, বাসচালক, ঝাড়ুদার, গৃহপরিচারিকা, নিরাপত্তাকর্মী, দারোয়ান, গার্মেন্টসসহ নিম্ন আয়ের কর্মচারীরা পেশাগত পরিচয়ের সংকটের কারণে হীনম্মন্যতায় ভোগেন। এসব পেশায় নিয়োজিত মানুষের পাশাপাশি তাঁদের ছেলেমেয়ে পরিবার–পরিজনেরাও সামাজিকভাবে অমর্যাদার সম্মুখীন হন। আমাদের দেশের স্কুল–কলেজ, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও কে ধনী, কে দরিদ্র, কে অভিজাত এলাকার বাসিন্দা, কে শহুরে বা গ্রাম থেকে আসা, এসব বিষয়ে অহেতুক বিতর্ক লক্ষণীয়।

আবার এ দেশে অবসরভোগী বয়স্ক মানুষ অনেকেই পরিবার–পরিজন নিয়ে একসঙ্গে শহর বা গ্রামে বসবাস করেন। অনেকে নিঃসঙ্গ অবস্থায় নানা কষ্টে রোগে ভুগে অসহায় অবস্থায় নিপতিত হন। অনেকের নিকটজনও তাঁদের সহায়তা করেন না। এসব ক্ষেত্রে অনেকের সাবেক পেশাগত পরিচয়ও মুখ্য হয়ে ওঠে। এ ধরনের সামাজিক ব্যাধি বংশপরম্পরায় সংক্রামক রূপ ধারণ করে। কোনো উন্নত অর্থনীতি, সমাজ বা সংস্কৃতিতে পেশার কারণে সামাজিক মর্যাদার তারতম্য একবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। উচিত হবে সাবেক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে সহায়তা করা। সমাজের নানা অংশের কার কী প্রয়োজন, তাঁদের অভিজ্ঞতা ও সামর্থ্যের আলোকে নিজেদের নিয়োজিত করা।

আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত নানা দুর্ঘটনা ঘটে। বন্যা, খরা, নদীভাঙন, ঝড়, জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা, লঞ্চডুবি, শিল্পকারখানায় আগুন ইত্যাদি কারণে প্রাণহানি বাড়ছে। আমাদের সমাজের তুলনামূলক বয়স্ক, ছাত্রছাত্রী, অবসরভোগী, নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ শহর–গ্রাম–লিঙ্গ–ধর্ম–বর্ণনির্বিশেষে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তুলতে পারেন। এসব কাজে নিয়োজিত থেকে তাঁরা নিজেদের ব্যস্ত রাখার পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে প্রভূত ভূমিকা পালন করতে পারেন।
স্মর্তব্য, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ঐকতান’ কবিতায় লিখেছেন,
‘চাষি খেতে চালাইছে হাল,
তাঁতি বসে তাঁত বোনে, জেলে বোনে জাল—
বহুদূর প্রসারিত এদের বিচিত্র কর্মভার
তারি পরে ভর দিয়ে চলিতেছে সমস্ত সংসার।’

তাই বলি, আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, যারা কোনো পেশাকেই হীন দৃষ্টিতে না দেখে, কর্মসংস্থানের নতুন নতুন দিক উন্মোচনের পাশাপাশি, নানা পেশার সব মানুষ, দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভূমিকা রাখবে।

ড. শহীদুল জাহীদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের শিক্ষক।