উদার পন্থা এখনো মরে নাই

প্রথমে ব্রেক্সিট, তারপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভাবিত বিজয়, এই দুই বড় ঘটনার পর থেকে পূর্ব-পশ্চিমের তাবৎ পণ্ডিত একবাক্যে বলা শুরু করেছেন, লিবারেলিজম বা উদারপন্থার দিন শেষ। সর্বত্র এখন দক্ষিণপন্থী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির রমরমা অবস্থা। সোভিয়েত ইউনিয়ন গেছে, সমাজতন্ত্র গেছে, এখন উদারনৈতিক রাজনীতিও গেল!

চারদিকে যখন এই গেল গেল রব, তখনই ঘটল একই রকম দুটি বড় ঘটনা ঘটনা। প্রথমে ফ্রান্সে, সাবেক সমাজতন্ত্রী তরুণ নেতা মাখোঁ সব হিসাব উল্টে দিয়ে কট্টর জাতীয়তাবাদী মারি লো পেন ও আধডজন পেশাদার রাজনীতিককে ধরাশায়ী করে সে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। এক সপ্তাহ আগে সে দেশের আইনসভার নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে মাখোঁর ‘রিপাবলিক অন দ্য মুভ’ পার্টি সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনেও তাঁর দল আইনসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে।

অন্য ঘটনাটি যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে থেরেসা মের আকস্মিক পা হড়কে পড়া। ২০ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন, এই হিসাব থেকে তিনি আগাম নির্বাচনের ডাক দিয়েছিলেন। ধরেই নিয়েছিলেন ‘অতি বাম’ হিসেবে পরিচিত লেবার পার্টির জেরেমি করবিনের কফিনে তিনি শেষ পেরেকটি ঠুকবেন। বাস্তবে ঘটেছে উল্টো। মের কনজারভেটিভ পার্টি ১৩টি আসন খুইয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। অন্যদিকে করবিনের লেবার পার্টি ৩২টি অতিরিক্ত আসন পেয়েছে। বিজয় পতাকা ওড়ানোর বদলে থেরেসা মে এখন তাঁর চাকরির জন্য লড়ছেন।

মাখোঁ ও করবিনের এই চমৎকার রাজনৈতিক ফলাফলের একটা বড় কারণ, তাঁরা দুজনেই কোনো রাখঢাক ছাড়া নিজেদের উদারপন্থী হিসেবে উপস্থিত করেছেন। এত দিন পর্যন্ত ইউরোপের বামঘেঁষা দলগুলো নির্বাচনে জেতার জন্য একটা রণকৌশলই অনুসরণ করেছে, তা হলো যেভাবে পারো বাঁ দিক থেকে সরে এসে মধ্যখানে জায়গা নাও। টনি ব্লেয়ারের সময় থেকেই আমরা এই মন্ত্র শুনে আসছি: ডান নয়, বাঁ নয়, রাজনীতির মধ্যভাগে স্থান নাও। আমেরিকায়ও একই নীতি অনুসরণ করেছিলেন বিল ক্লিনটন। সাময়িকভাবে সফলও হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই মধ্যপন্থার রাজনীতি ডিঙিয়ে অতি-দক্ষিণপন্থীদের বিজয় যে তাঁদের আপসমূলক রাজনীতির খেসারত, তাতেও কোনো সন্দেহ নেই।

মাখোঁ ও করবিন যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তা ডান বা রক্ষণশীলদের ঠিক বিপরীত। অর্থনীতি সচল করা ও সরকারের ভূমিকা খাটো করার অজুহাতে এই দুই দেশেই রক্ষণশীলেরা নিম্নবিত্ত ও বিত্তহীনদের জন্য যে সামাজিক নিরাপত্তা জাল রয়েছে, তা তুলে দেওয়ার পক্ষে। তাঁরা ধনীদের জন্য আরও অধিক কর রেয়াত, ব্যাংক ও শিল্পক্ষেত্রে নিয়মকানুন কাটছঁাট, অর্থনীতিতে ব্যক্তি খাতের ভূমিকা আরও সম্প্রসারণের পক্ষে। তাঁদের যুক্তি, সরকারের ভূমিকা কমাও, বাজার ও পুঁজিকে তার নিজের মতো চলতে দাও। তাঁদের সাম্প্রতিক রণকৌশল হচ্ছে পৃথিবী থেকে মুখ ফিরিয়ে কট্টর জাতীয়তাবাদী অবস্থান গ্রহণ। এতে তাঁদের প্রণোদনা জুগিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ মন্ত্র। যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে প্রস্থান ব্রেক্সিট এই মন্ত্রেরই আরেক রূপ।

মাখোঁ ও করবিন উভয়ে বৃহত্তর ইউরোপীয় সমন্বয়ের পক্ষপাতী; তথাকথিত ‘খরচ কমানো’র অর্থনীতির বিরোধী। মাখোঁ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাঁর সরকার শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ নতুন পুঁজি বিনিয়োগ করবে, নিম্নবিত্ত ও কর্মহীনদের ফের চাকরি বাজারে নিয়ে আসার জন্য নতুন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করবে, করনীতি বদলাবে। আর করবিনের প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক কর্মসূচি আরও উদারনৈতিক। যেমন শিক্ষা খাতে বিশ্ববিদ্যালয় স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফ, উচ্চবিত্তের ওপর অতিরিক্ত আয়কর আরোপ, করপোরেট আয়কর বৃদ্ধি, পেনশন ভাতা তিন গুণ বাড়ানো, রেলওয়ে, ডাক ও পানির মতো বিভিন্ন সেবা খাতের জাতীয়করণ এবং নিম্নবিত্তদের জন্য ব্যাপক গৃহায়ণ। যুক্তরাষ্ট্রে স্বঘোষিত সমাজতন্ত্রী বার্নি স্যান্ডার্সের প্রস্তাবিত কর্মসূচির সঙ্গে করবিনের কর্মসূচির মিল অনেক।

তাহলে দেখা যাচ্ছে বুকে-পিঠে সমাজতন্ত্রী বা উদারপন্থী ছাপ্পর নিয়েও নির্বাচনে জেতা যায়। তরুণসমাজ, সংখ্যালঘু, নারী ও অভিবাসী, তারাও এই নীরব বিপ্লবে যোগ দিয়েছে। আপস করে নয়, মধ্যপন্থার নামে রক্ষণশীল রাজনীতির ওকালতি নয়, সোজাসাপ্টা জনকল্যাণমুখী রাজনীতির পক্ষে তারা যে অবস্থান নিয়েছে, মানুষ তার প্রতিই সমর্থন জানিয়েছে। এই জনকল্যাণমুখী রাজনীতির নামই রক্ষণশীলদের চোখে লিবারেলিজম বা উদারপন্থা।

এক শ বছর ধরে আমরা এই জনকল্যাণমুখী রাজনীতির মন্থর কিন্তু নিশ্চিত অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেছি। ১৯১৭ সালের সোভিয়েত বিপ্লব ছিল সেই রাজনীতিরই শক্তিশালী আত্মপ্রকাশ। ইউরোপ-আমেরিকায় নাগরিক অধিকারের অভাবিত সম্প্রসারণ, সংখ্যালঘুদের ভোটাধিকার, নারীর সম-অধিকার ও শ্রমিক অধিকারের স্বীকৃতি—এসবই সেই জনকল্যাণমুখী রাজনীতির বিভিন্ন দিক। সাম্প্রতিক সময়ে এই রাজনৈতিক লড়াইয়ের অংশ হিসেবে সংযোজিত হয়েছে নতুন নতুন বিষয়, যেমন সমকামীদের অধিকার, অভিবাসী নাগরিক ও শ্রমিকের সম-অংশগ্রহণের দাবি, পরিবেশ সুরক্ষা ও আদিবাসীদের অধিকারের স্বীকৃতি। উদারনৈতিক রাজনীতি যত সংহত হবে, নাগরিক অধিকারের এই সব নয়া দিগন্ত ততই আমাদের আওতায় আসবে।

ইউরোপ ও আমেরিকায় নাগরিক অধিকার ও জনকল্যাণমুখী রাজনীতির দৃঢ় অগ্রযাত্রার প্রতিক্রিয়ায় আমরা দেখছি দক্ষিণপন্থীদের নতুন মেরুকরণ। প্রতিষ্ঠিত ব্যবস্থা ও মূল্যবোধ আক্রান্ত—এই যুক্তিতে তারা কল্যাণমুখী রাজনীতির বিরুদ্ধে তীব্র আঘাত হেনেছে। এই আক্রমণে তাদের নতুন হাতিয়ার জাতীয়তাবাদ। আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প সীমান্তে দেয়াল তুলে দেওয়ার ও মুসলিমদের বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী সাফল্য পেয়েছেন। যুক্তরাজ্যে অভিবাসনকে ‘মহাবিপদ সংকেত’ হিসেবে প্রচার করে ব্রেক্সিট ভোটে রক্ষণশীলদের জয় হয়েছে। ইউরোপের অন্যান্য দেশে, যেমন পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরিতেও একই চেষ্টা, যার আদত চরিত্র গভীরভাবে বর্ণবাদী।

মাখোঁর বিজয় ও জেরেমি করবিনের উত্থান সেই চেষ্টার সফল প্রতিবাদ। যুক্তরাষ্ট্রে বার্নি স্যান্ডার্সের ‘রাজনৈতিক বিপ্লব’কেও আমরা এই নয়া লক্ষণের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি। আপসকামী মধ্যপন্থী ও তাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার আধিপত্যের কারণে স্যান্ডার্সের বিপ্লব অসম্পূর্ণ থেকে গেছে, কিন্তু তাঁর গুরুত্ব অস্বীকার করা অসম্ভব। একসময় লিবারেল শব্দটা বলতে ডেমোক্রেটিক রাজনীতিকেরা কুণ্ঠাবোধ করত। সেখানে স্যান্ডার্স নিজেকে নির্দ্বিধায় ‘সমাজতন্ত্রী’ বলে পরিচয় করিয়েছেন। আমেরিকার ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতর এখন আমরা দেখছি এক নতুন বিতর্ক—দলের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা কি আগের মতো মাঝখানে টিকে থাকার জন্য মাটি কামড়ে থাকা হবে, না সে কোনো রাখঢাক ছাড়া জনকল্যাণমুখী হবে?

এই প্রশ্নের একটি উত্তর দিয়েছেন নেওমি ক্লাইন। তাঁর নতুন বই নো ইজ নট ইনাফ-এ ক্লাইন নিজের লিবারেল বা জনকল্যাণমুখী আত্মপরিচয় ঢাকার কোনো চেষ্টা করেননি। বলেছেন, কট্টর জাতীয়তাবাদী রক্ষণশীলদের ঠেকাতে হলে তার প্রতিপক্ষকেও সমান ঔদ্ধত্যের সঙ্গে নিজেদের অ্যাজেন্ডা সামনে তুলে ধরতে হবে। হিলারি ক্লিনটনদের মতো মুখে প্রগতিশীল অথচ কাজে রক্ষণশীল লোকের হাতে রাজনীতির রশি ছেড়ে দিলে ভিন্ন ফল হবে না। তাঁরা মুখে উদারনৈতিকতার কথা বলবেন, অথচ কাজ করবেন করপোরেট স্বার্থরক্ষায়। অতএব চাই নতুন রাজনৈতিক দর্শন, চাই নতুন রাজনৈতিক নেতৃত্ব। প্রতিক্রিয়াশীল রক্ষণশীলতা বা নিউ লিবারালিজমের বিরুদ্ধে হিলারি ক্লিনটনেরা শুধু দুর্বল ‘না’-এর রাজনীতি উপহার দিয়েছেন। কিন্তু এখন যা দরকার তা হলো প্রবল ‘হ্যাঁ’-এর রাজনীতি, যেখানে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হবে পরিবর্তনের পক্ষে তাঁদের কর্মসূচি।

কেমন হবে এই নতুন রাজনৈতিক দর্শন ও তার অ্যাজেন্ডা? ক্লাইনের উত্তর, রাজনীতির একমাত্র লক্ষ্য হবে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের লক্ষণীয় উন্নতি, সে জন্য চাই সম্পদের পুনর্বণ্টন। এই কথাটি বলতে দ্বিধা করলে চলবে না। সাধারণ মানুষের ঘাড়ে চড়ে যারা সম্পদের পাহাড় গড়েছে, চাই তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির নামে যারা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধান্বিত নয়, তাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলতে হবে, ধরিত্রী একটাই, তা রক্ষা করতে হবে শুধু আজকের জন্য নয়, আগামীকালের জন্যও। এ জন্য যদি আমাদের ভোগবাদী জীবনযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হয় হোক, কোনো আপত্তি নেই। নিউ লিবারেল বুদ্ধিজীবীরা এত দিন আমাদের শিখিয়েছেন নাগরিক সমৃদ্ধির মূলে রয়েছে প্রবৃদ্ধি, মধ্যপন্থীরা সে তত্ত্ব বিনা আপত্তিতে মেনে নিয়েছেন। এটা ভুল। সমৃদ্ধির লক্ষ্য বহুতল ভবন অথবা চকচকে গাড়ি নয়, বরং নাগরিক সমাজের বৃহত্তম অংশের সুষম মানবিক উন্নয়ন।

এই নতুন জনকল্যাণমুখী মতাদর্শ সামনে নিয়ে এগোলে মানুষ স্বাগত জানাবে, এ কথা মনে করার কারণ রয়েছে। মাখোঁ ও করবিন তার প্রমাণ। তার প্রমাণ বার্নি স্যান্ডার্স। এই আন্দোলন যে শুধু আগুনের ফুলকি নয়, হঠাৎ দপ করে জ্বলে উঠে তা হঠাৎ করেই নিভে যাবে না, তা নিশ্চিত করতে হলে চাই নতুন রাজনৈতিক দল, নতুন রাজনৈতিক কর্মসূচি। আরও যা প্রয়োজন তা হলো, নাগরিক অধিকার থেকে পরিবেশ আন্দোলন, লিঙ্গসমতা থেকে শ্রমিকের অধিকার-আন্দোলনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়। যত আলাদা বা স্বতন্ত্র মনে হোক, আসলে এই প্রতিটি আন্দোলনই অন্তর্গতভাবে অভিন্ন। সেই জন্য প্রয়োজন তাদের এক সূত্রে গাঁথা। তা করতে হবে একদম তৃণমূল পর্যায় থেকে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের উত্থানের প্রতিক্রিয়া হিসেবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই এক অভাবিত রাজনৈতিক ‘অ্যাক্টিভিজম’ প্রত্যক্ষ করছি। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের এক দিন পর প্রায় ১০ লাখ নারী-পুরুষ দেশজুড়ে প্রতিবাদ পদযাত্রায় অংশ নেন। এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চার মাস ধরেই চলছে। এই অ্যাক্টিভিজম শুধু আলগা—কসমেটিক—ব্যাপার নয়, সে কথার প্রমাণ হিসেবে নির্বাচনী রাজনীতিতেও প্রভাব দেখছি। বড় কোনো জয় এখনো আসেনি, কিন্তু উল্লেখ করার মতো একাধিক স্থানীয় বিজয় অর্জিত হয়েছে। যেমন, জ্যাকসন-মিসিসিপিতে রিপাবলিকান দুর্গ ছিন্নভিন্ন করে মেয়রের নির্বাচনে ৯২ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয় অর্জন করেছেন ৩২ বছর বয়সের এক মানবাধিকারকর্মী। ২০ জুন জর্জিয়ায় মার্কিন কংগ্রেসের একটি শূন্য পদে নির্বাচন হবে, রিপাবলিকানদের জন্য ‘নিরাপদ’ হিসেবে এই আসনে এই মুহূর্তে সাত পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী জন অসফ। অসফের জয় হবে একটি প্রকৃত ভূমিধস বিজয়।

১৯১৭ সালে আমূল পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে ঘটেছিল সোভিয়েত বিপ্লব। সেটি ছিল একটি খাঁটি জনকল্যাণমুখী প্রকল্প। সে ঘটনার ১০০ বছর পর পরিবর্তনের এক নতুন সম্ভাবনার আভাস দেখছে পৃথিবী।

হাসান ফেরদৌস: যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি