করোনাকালে কৈশোর বিপর্যয় রুধব কখন?

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

২০০৮ সালে ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সুসান হেরিং ‘প্রজন্মের খণ্ডিতাবস্থা’ বা ‘জেনারেশনাল ডিভাইড’ শিরোনামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। তার আগে আমরা ‘জেনারেশন গ্যাপ’ বা ‘প্রজন্মে-প্রজন্মে দূরত্ব’ ধারণাটির সঙ্গে পরিচিত ছিলাম। ১২ বছর আগেই সুসান হেরিং দেখালেন যে কিশোর-কিশোরী এবং অভিভাবকেরা দুটি খণ্ড হয়ে পড়ছে। একটি খণ্ড ইন্টারনেটের চূড়ান্ত সুবিধাভোগী কিশোর-তরুণেরা। প্রতিপক্ষ খণ্ড ‘ইন্টারনেট সব নষ্টের গোড়া’ অভিযোগ তোলা অভিভাবকেরা। বোঝাপড়ার দূরত্ব কমিয়ে আনা সহজ। খণ্ডিত হলে জোড়া লাগানো কঠিন।

অভিভাবকদের ভীতির শুরু কিশোর-কিশোরীদের ‘টেক্সটিজ’, নেটস্পিক’, চ্যাটস্পিক, সিংলিশ [এসএমএস-ইংলিশ] দিয়ে। চ্যাটরুমে বা ফোনে কিশোর-কিশোরীরা বিচিত্র ধরনের স্বউদ্ভাবিত সংক্ষিপ্ত ভাষায় লেখালেখি করত। সেগুলো তারা নিজেরাই শুধু বুঝত। তখন টেক্সট মেসেজ সীমিতসংখ্যক বর্ণে লিখতে হতো। ম্যাসেজিং ব্যয়বহুলও ছিল। সময় ও খরচ বাঁচানো এবং অল্প শব্দে বহু কথা বলার প্রয়োজনে কিশোর বয়সীরা টেক্সটিজনির্ভর হয়ে উঠছিল। এই নতুন অভ্যাস কিশোরদের বর্ণনামূলক লেখালেখির সক্ষমতায় বাধা হয়ে উঠছিল। স্কুল–কলেজে পরীক্ষার খাতায়ও তারা You লিখতে U, friends লিখতে frndz, university লিখতে uni লিখতে শুরু করেছিল। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে নিউজউইকের প্রযুক্তিবিষয়ক কলামিস্ট লিলি হুয়াং লিখলেন—টেক্সটিজ সম্ভবত ইংরেজি ভাষার মৃত্যু ঘটাবে।

কিছু অভিভাবকেরা আরও দেখলেন যে টেক্সটিজ-এ ‘সেক্সটিং’ বা যৌনাত্মক টেক্সটিংও বাড়ছে। ফলে তাঁদের মাঝে কৈশোর-নৈতিকতা বিনষ্টির সুতীব্র ভীতি বা ‘মর‍্যাল প্যানিক’ ছড়িয়ে পড়ছিল। তাঁদের আশঙ্কা শিশু-কিশোরেরা খারাপ সংসর্গ ও সমাজবিরোধীদের সহজ শিকারে পরিণত হবে। সেই ভীতি একেবারে অমূলকও ছিল না। প্রতিবছর অনলাইনের মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের যৌনতার শিকারে পরিণত হওয়ার সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। ইন্টারনেটে শিশু নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থা পিওরসাইট ২০১৫ সালে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রায় আট লাখ রেজিস্টার্ড কিশোর-কিশোরীকামী যৌন বিকৃতিধারীদের পরিসংখ্যান নথিভুক্ত করেছে। গত বছর সুইডেনের লিংকোপিন ইউনিভার্সিটির একদল গবেষকের গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। প্রাপ্ত তথ্য আতঙ্ককর।

সুইডেন উচ্চতম সামাজিক সুরক্ষার দেশ। সেই দেশেই ৫ হাজার ৭৭৫ জন কিশোর-কিশোরীর মধ্যে ৩৩০ জন অর্থাৎ প্রায় ৬ ভাগ অনলাইনের মাধ্যমে যৌন শিকারির কবলে পড়েছিল। প্রায় ১০ ভাগকেই অন্তত একবারের জন্য হলেও যৌনকর্মে অংশ নিতে প্রলুব্ধ করা হয়েছিল। ইন্টারনেট-সেফটি ১০১ নামের সংস্থাটির ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৪৭ শতাংশ কিশোর-কিশোরী ‘সাইবার বুলিং’ বা ইন্টারনেটভিত্তিক হুমকি ও দমন-পীড়নের শিকার। আরও অসংখ্য গবেষণায় প্রতিদিনই ধরা পড়ছে যে ইন্টারনেট-আসক্তি বিশ্বময় কৈশোরকালীন মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের মূল কারণ।

দুই.
করোনাকালে কেমন আছে বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীরা? তাদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে ভাবনার প্রয়োজন আছে কি? এই দুটি প্রশ্নকে মাথায় রেখে একটি দ্রুত-অভীক্ষা (র‍্যাপিড অ্যাসেসমেন্ট) চলছে। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর পিস স্টাডিজের (সিপিএস) অধীনে করা অভীক্ষাটির প্রাথমিক ফলাফলও ৯ জুলাই সিপিএস-আয়োজিত একটি গুরুত্বপূর্ণ কনফারেন্সে উপস্থাপন করেছিলাম। অভীক্ষায় প্রাপ্ত অন্তর্বর্তীকালীন ফলাফল থেকে জানা যাচ্ছে যে শহুরে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পারিবারিক আবহে কৈশোরকালীন মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যয় বিপজ্জনকভাবে বাড়ছে।

অভীক্ষাভুক্তদের পরিবারের সব কিশোর-কিশোরীই ইন্টারনেট ব্যবহার করে। অংশগ্রহণকারী অভিভাবকদের দ্বারা চিহ্নিত সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে কিশোর-কিশোরীদের ক্রোধোম্মত্ততা, মিথ্যাবাদিতা, পলায়নপর মনোবৃত্তি, মেজাজের অসংলগ্নতা, নিদ্রাহীনতা, ক্ষুধামন্দা, কম্পিউটার গেম আসক্তি, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিরতিহীন কম্পিউটারে দৃষ্টি আটকে রাখা, শেষ মিনিটের তাড়াহুড়ায় যেনতেনভাবে দায়িত্ব সারা (যেমন পাঠ্যসূচির বাড়ির কাজ), মনোযোগহীনতা, অসংবেদনশীলতা, অনিয়ন্ত্রিত আবেগ, অন্যের দোষ ধরার প্রবণতা ইত্যাদি। তালিকাটি সুদীর্ঘ।

কৈশোরকাল বিষয়ে এই সব অভিযোগ নতুন কিছু অবশ্যই নয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখে গিয়েছেন—“তেরো-চৌদ্দ বৎসরের ছেলের মতো পৃথিবীতে এমন বালাই আর নাই। শোভাও নাই, কোনো কাজেও লাগে না। স্নেহও উদ্রেক করে না, তাহার সঙ্গসুখও বিশেষ প্রার্থনীয় নয়। তাহার মুখে আধে-আধো কথাও ন্যাকামি, পাকা কথাও জ্যাঠামি এবং কথামাত্রই প্রগল্‌ভতা। হঠাৎ কাপড়চোপড়ের পরিমাণ রক্ষা না করিয়া বেমানানরূপে বাড়িয়া উঠে; লোকে সেটা তাহার একটা কুশ্রী স্পর্ধাস্বরূপ জ্ঞান করে”।… “সেও সর্বদা মনে মনে বুঝিতে পারে, পৃথিবীর কোথাও সে ঠিক খাপ খাইতেছে না; এইজন্য আপনার অস্তিত্ব সম্বন্ধে সর্বদা লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী হইয়া থাকে।”

শৈশব ও যৌবনের সন্ধিক্ষণের শারীরবৃত্তীয় সমস্যাগুলো স্বাভাবিক। অভিভাবকেরা সেই সব জানেনও। কিন্তু তাঁদের আশঙ্কা বর্তমানের সমস্যাগুলো মাত্রায় ও ধরনে একেবারেই ভিন্ন রকম। পরিবারের কিশোর সদস্যদের বর্তমান সময়ের আচরণের সঙ্গে তাঁরা ‘একেবারেই অপরিচিত’ বলে জানিয়েছেন। কয়েকজন উত্তরদাতা অভিভাবক জানালেন যে তাঁদের সন্তানেরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা টয়লেট দখল করে রাখে। বেরোতে চায় না। এ জন্য সময়মতো টয়লেটে যেতে না পারা পরিবারের অন্যদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। কিন্তু সন্তানেরা অনুকম্পাহীন, অনুতাপহীন ও নির্বিকার। কয়েকজন জানিয়েছেন, সন্তান অত্যন্ত আপত্তিকর ও স্পর্শকাতর প্রাপ্তবয়স্ক বিষয়ে যখন-তখন অনধিকার প্রবেশ করে। তা–ও বিনা অনুমতিতে এবং অপ্রাসঙ্গিকভাবে। যেমন সমকাম, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ও যূথবদ্ধতা ও লিভ-ইন ইত্যাদি বিষয়ে বিজ্ঞ ভঙ্গিতে নির্বিকার মতামত দিয়ে বসে। তা–ও ভরা মজলিশে। বিপরীত তথ্যও দিয়েছেন কয়েকজন। সন্তান মাত্রাতিরিক্ত ধর্মভীরু এবং পরধর্ম-পরমতে অসহিষ্ণুতা দেখাচ্ছে। অভিভাবকদের এক বড়সড় অংশ সন্তানদের পর্নোগ্রাফি-আসক্তির বিষয়ে চরম উৎকণ্ঠিত। অনেকেই কিশোরদের স্থূলকায় হয়ে পড়া, পিৎজা-বার্গারসহ স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ খাবারে মাত্রাতিরিক্ত আসক্তির কথা জানিয়েছেন। প্রায় সবাই কিশোর-কিশোরীদের পাঠাভ্যাস, লেখালেখি এবং অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগের সক্ষমতায় চরম অবনতি ও ঘাটতি লক্ষ করেছেন।

তাঁরা কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে উদ্বেগজনক মাত্রার সমস্যা হিসেবে আরও চিহ্নিত করেছেন—স্নায়ুচাপ-নিয়ন্ত্রণহীনতা, নিয়মিত দুঃস্বপ্ন দেখা, ঘুমের ঘোরে হাঁটা, অন্তর্মুখিনতা, অসামাজিক হয়ে পড়া, আত্মীয়স্বজন সহ্য না করা এবং বিরক্তিবোধ ও দুর্ব্যবহার, নিজেদের গুটিয়ে নেওয়া, পড়াশোনা ও স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলা, অবাধ্যতা, একরোখা জেদপনা, বিরোধিতার কারণে বিরোধিতাপনা ইত্যাদি। আরও ভয়ের কথা তাদের অনেকের মধ্যে হতাশা, বিষণ্নতা ও নিজের ক্ষতি করার প্রবণতা বাড়ছে। কেউ কেউ বিনা অসুখে, বিনা ব্যবস্থাপত্রে অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় ওষুধ সেবনের দিকে ঝুঁকছে।

এসবের কারণ হিসেবে অভিভাবকেরা ইন্টারনেট ব্যবহারকে যতটা দায়ী করছেন, তার চেয়ে বেশি দায়ী করছেন কিশোর-কিশোরীদের করোনকালীন বন্দিত্বকে। তার চেয়েও বেশি দায়ী করছেন রাষ্ট্রব্যবস্থাকে। আপৎকালীন ও দুর্যোগকালে কিশোর বয়সীদের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইন্টারনেটের বিকল্প কোনো কর্মসূচি দূরে থাক, ভাবনাচিন্তাটুকুও নেই বললেই চলে।

তিন.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অসাধারণ বর্ণনায় কিশোর বয়সটির স্বরূপ উন্মোচন করেছিলেন। তাঁর ‘ছুটি’ গল্পের ফটিক চক্রবর্তী, পোস্টমাস্টার গল্পের রতন এবং হৈমন্তী গল্পের হৈমন্তী তিনজন কিশোর-কিশোরী। বিভূতিভূষণের ও শরৎ চন্দ্রের সাহিত্যের অপু-দুর্গা, ইন্দ্র, শ্রীকান্ত, আমিনা ইত্যাদি চরিত্রও কিশোর-কিশোরী। তাঁদের গল্পের কিশোর চরিত্রগুলোতে মাটি-মানুষ, নদী-নালা-খাল-বিল, বনবাদাড়, খোলা ময়দান ও ঘর-গেরস্তালির সংযোগ প্রবল। কারণ, সেই সময় গ্রামসমাজই ছিল বৃহত্তর সমাজব্যবস্থার হৃৎপিণ্ড। শহর সবেমাত্র রূপ পেতে শুরু করেছিল তখন।

সেই সব সময় এবং বর্তমান সময়ের আকাশ-জমিন ফারাক। সেই ধ্রুপদি গ্রামগুলো এখন আর নেই। এই সময়ে এসে গ্রামসমাজেও বাজার অর্থনীতিসহ আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। মাঠঘাট ডোবা-নালায় গড়ে উঠছে ইটভাটা, গরু, মুরগি ও মাছের খামার। গ্রামের হাটে গজিয়ে উঠেছে বিলাসী ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান। গ্রামেও কিশোর-কিশোরীদের হাতে হাতে ইন্টারনেট-সংযোগসহ মোবাইল রয়েছে। ফলে গ্রামসমাজেও এখন ভাঙনের চাপ বাড়ছে। পত্রপত্রিকায় বিচ্ছিন্নভাবে অসংখ্য খবর হয়েছে কিশোর-কিশোরীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয়, প্রেম, পরিণয়, সংসারে ভাঙন, হতাশা, মৃত্যু, আত্মহত্যা, নারী পাচার, যৌনতা বাণিজ্যের ফাঁদ, জোরপূর্বক যৌন দাসত্বে নিয়োগ, খুন ও অন্যান্য মানসিক বিপর্যয়ের কথা। করোনাকালে সমস্যাগুলো বাড়ছে না কমছে কোনো তথ্য নেই। করোনাকাল গ্রাম ও শহরের কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি একই রকম বেড়েছে কি না, জানার উপায় নেই। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে রাষ্ট্রেরও কোনো গরজ দেখা যাচ্ছে না।

চার.
বিচ্ছিন্নভাবে ব্র্যাক, ইউনিসেফ, জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ইত্যাদি সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক এবং কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্যবিষয়ক বেশ কিছু প্রতিবেদন আছে। জাতিসংঘের চতুর্থ ও পঞ্চম টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের আলোকে বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময়ের জন্য কৈশোর স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি জাতীয় কর্মকৌশলও নির্ধারণ করেছে। একটি মানসিক স্বাস্থ্য নীতিমালা ছাড়াও ২০১৪ সালে উপস্থাপিত মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি খসড়া আইনও আছে। মোটা দাগে কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য আলোচনাই প্রতিবেদনগুলোতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। অন্যান্য সমস্যাগুলোর উল্লেখ গৎবাঁধা ধরনের। সেখানে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রভাব গবেষণার তেমন গুরুত্ব পায়নি।

বাংলাদেশে করোনাকালের মতো আপৎকালীন সময়ের কৈশোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ভাবনা বা দূরদৃষ্টি একেবারেই অনুপস্থিত বলা যায়। ফলে করোনাকালে কিশোর-কিশোরীরা আরও বেশি আড়ালের মানুষে পরিণত হয়েছে। দেশে পুরোপুরি কৈশোরনির্ভর টেলিভিশন চ্যানেল মাত্র একটি এবং তা–ও অতি সাম্প্রতিক। নিয়মিত চ্যানেলগুলোতে কিশোরবিষয়ক অনুষ্ঠান নেই। কিশোর পত্রিকা ও সাহিত্য আকালকবলিত। জাতীয় পর্যায়ে কৈশোরভিত্তিক অনুষ্ঠানাদির নিদারুণ অভাব।

এই সময়টি ওয়েবিনারের রমরমা কাল। প্রাপ্তবয়স্করা ওয়েবিনারের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি যুক্ত আছেন। সিপিএস-এর গবেষণায় উঠে এসেছে যে কিশোর-কিশোরীদের নিজেদের উপস্থাপনায় সৃজনশীল ও গঠনশীল ওয়েবিনারের ব্যাপক ব্যবহার প্রয়োজন ছিল। সরকার বা এনজিওরা উদ্যোগী হয়নি। ফলে কিশোর বয়সীরা নানা রকম অপ্রচলিত ও অনিরাপদ অ্যাপস ব্যবহারে ডুবে থাকছে। এসব অ্যাপের অনেকগুলোই বিপজ্জনক।

কৈশোর বিপর্যয় রোধ করার ভাবনার ও আয়োজনের এখনই সময়।

ড. হেলাল মহিউদ্দীন: অধ্যাপক, রাজনীতিবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান এবং গবেষক, সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।