করোনায় ‘সত্য বাবু’ মারা গেছেন


বাবার লাশের পাশে একাকী ডুকরে ডুকরে কাঁদছে শিশু মরিয়ম। মা গেছেন ডেথ সার্টিফিকেট তুলতে আর মামা গেছেন অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে। পাখা হাতে হাসপাতালের করিডরে বাবার লাশ পাহারায় মরিয়ম। বাবাকে বাতাস করার জন্য সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল হাতপাখাটি। পণ্য বিক্রি শেষে ঘরে ফেরা ক্লান্ত–শ্রান্ত ফেরিওয়ালা বাবা তাকে আর কোলে তুলে নেবেন না, আদুরে হাতে বাবাকেও পাখা দিয়ে আর বাতাস করা হবে না। নওগাঁ থেকে রাজশাহী পর্যন্ত ছুটতে ছুটতে শেষমেশ ট্রলি থেকে নামাতেই নিথর হয়ে গেলেন মজিবুর রহমান। পেটের টানে বিধিনিষেধেও পণ্য ফেরি করে বেড়িয়েছেন গ্রামে গ্রামে। এরপর সর্দি-জ্বর বাঁধিয়ে পরিবারকে অনিশ্চয়তার সাগরে ফেলে চলে গেলেন খেটে খাওয়া এই মানুষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া শিশু মরিয়মের কান্না আমাদের চোখ ভিজিয়েছে। এর জন্যই কি আমরা প্রস্তুত ছিলাম না!

করোনা বড়লোকদের আক্রান্ত করে, গরিবদের নয়; শহরে মানুষ মারা গেলেও গ্রামে কেউ মারা যাচ্ছে না—এমন ‘বিশ্বাস’ শুধু সাধারণ মানুষেরই ছিল না; সরকার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকাণ্ড ও বক্তব্য দেখে মনে হয়, তাঁরাও এমন কিছু ধারণা করে বসে ছিলেন। বিজ্ঞানী ও গবেষকদের সতর্কতায় পাত্তাই দেননি তাঁরা। এখন গোটা দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাই ভেঙে পড়েনি, ভেঙে পড়েছে করোনাকে গুরুত্বহীন করে দেখার সব ধারণাও।

ভারতের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি দেখে যে আশঙ্কা করা হয়েছিল, সেটিই শেষ পর্যন্ত ঘটল। কয়েক মাস আগপর্যন্ত দৈনিক যে মৃত্যুসংখ্যা গোটা দেশের ছিল, সেটি এখন চলে গেছে জেলা পর্যায়ে। আইইডিসিআর জানাল, জুনে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৭৮ শতাংশের দেহে ভারতে শনাক্ত হওয়া ‘ডেলটা’ ধরন পাওয়া গেছে (৪ জুলাই, প্রথম আলো)।

ঢাকা-চট্টগ্রামের বাইরে খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, যশোর, সাতক্ষীরা, নওগাঁ, নাটোর, কুষ্টিয়া, রংপুর, পাবনা, টাঙ্গাইলসহ অনেক জেলায় পরিস্থিতি ভয়াবহ উঠেছে। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, এরপর জেলা সদর কিংবা বিভাগীয় হাসপাতাল, দৌড়াতে দৌড়াতে আয়ু ফুরিয়ে যাচ্ছে অনেক রোগীর। শিশু মরিয়মের বাবাকে ট্রলি থেকে নামানো গিয়েছিল, অনেকে সেই সুযোগও দিচ্ছেন না। অ্যাম্বুলেন্স, অটোরিকশা, ইজিবাইক এমনকি ভ্যানে করে রোগী আসছে স্রোতের মতো। থেমে থেমে লাশ নিয়ে বেরিয়েও যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স। কোনো কোনো হাসপাতালে দৈনিক দুই হাজারের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। চিকিৎসাসেবা নিয়ে অবহেলার অভিযোগও আসছে অহরহ। লোকবল–সংকটকেই এর কারণ বলছে হাসপাতালগুলো। যেমন বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শয্যা আছে ৩৫০, সেখানে ডাক্তারের মোট পদ ২২৪টি, আছেন মাত্র ১১৮ জন। এর মধ্যে খোলা হয়েছে ৩০০ শয্যার করোনা ইউনিট (৯ জুলাই, প্রথম আলো)। তাহলে কীভাবে সম্ভব প্রতিদিন আসা দুই হাজার রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া!

করোনা বড়লোকদের আক্রান্ত করে, গরিবদের নয়; শহরে মানুষ মারা গেলেও গ্রামে কেউ মারা যাচ্ছে না—এমন ‘বিশ্বাস’ শুধু সাধারণ মানুষেরই ছিল না; সরকার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকাণ্ড ও বক্তব্য দেখে মনে হয়, তাঁরাও এমন কিছু ধারণা করে বসে ছিলেন।

হাসপাতালগুলোর ফটকে, আঙিনায়, করিডরে, বারান্দায় রোগীর স্বজনদের ছোটাছুটি, উৎকণ্ঠা ও আহাজারির শেষ নেই। দৌড়াতে দৌড়াতে ডাক্তার-নার্সদেরও নাভিশ্বাস। কোথাও আইসিইউ নেই, থাকলেও সিট খালি নেই, কোথাও সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান নেই, সিলিন্ডারের অভাব কিংবা নেই হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা। রাজশাহীতে এক মাসের বেশি সময় ধরে সিরিয়াল নিয়েও আইসিইউ না পেয়ে মারা গেলেন রূপা খাতুন (৯ জুলাই, প্রথম আলো)। হাসপাতালে আইসিইউ ছিল ২০টি, আর রূপার সিরিয়াল ছিল ৯৫ নম্বরে। বোঝাই যাচ্ছে, আরও রূপার পরিণতিও একই হবে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মতো বড় একটি হাসপাতালে আইসিইউ মাত্র ১০টি। স্বামীর জন্য হাতজোড় করে আইসিইউ ভিক্ষা চাইছেন নাজমা বেগম (৯ জুলাই, প্রথম আলো)। কে দেবে তাকে আইসিইউ? আরও অনেকে পাহারা দিয়ে রেখেছেন, আইসিইউ থেকে কেউ বের হয় কি না। অন্যের মৃত্যু কামনা করে হলেও একটি আইসিইউ পাওয়ার আশাই কি করছেন না তাঁরা!

বগুড়ায় এক সপ্তাহ আগে অক্সিজেন সরবরাহ যন্ত্র হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা-সংকটে মাত্র ১৩ ঘণ্টায় সাতজন করোনা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। অক্সিজেন সাপ্লাই না পেয়ে ছটফট করা রোগীর জন্য ছোটাছুটি করেও ক্যানুলা খুঁজে পাননি স্বজনেরা। একসঙ্গে দুজনের বেশি রোগীকে ক্যানুলায় অক্সিজেন সরবরাহের সক্ষমতা ছিল না হাসপাতালে (২ জুলাই, প্রথম আলো)। এ ঘটনা ধরে প্রথম আলোর অনুসন্ধানে বের হয়ে এল হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসত্য তথ্য। অধিদপ্তর বলছে, সারা দেশে করোনা রোগীদের জন্য ক্যানুলা রয়েছে ১ হাজার ৬৭০টি। যেমন তাদের হিসাবে, নড়াইলে হাসপাতালে ২০০টি ক্যানুলা রয়েছে। বাস্তবে সেখানে রয়েছে মাত্র দুটি। সেই দুই যন্ত্রও সচল নয়। আরও অনেক জেলায় এমন গরমিল। অনেক জায়গায় তো ক্যানুলাই নেই। বিষয়টি বেরিয়ে আসার পর ক্যানুলার সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কেন এই লুকোচুরি! মিছে মিছে করোনা মোকাবিলায় এ সক্ষমতা দেখানো?

ভারতের পরিস্থিতিতে দেশটি থেকে অক্সিজেন আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, দেশে গ্যাস অক্সিজেনের অভাব নেই। ফলে অক্সিজেন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই (২৭ এপ্রিল, বাংলা ট্রিবিউন)। পরের মাসে তিনি জানালেন, দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন মজুত আছে ১ হাজার ৩৫০ টন। এ মুহূর্তে দেশে দৈনিক অক্সিজেন উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ২২০ থেকে ২৩০ টন (৭ মে, যুগান্তর)। এখন সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তে এসে অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য কাড়াকাড়ি পড়ে গেছে। বরিশালে তো সিলিন্ডার দখল করে রাখার ঘটনাও উঠে এল (৯ জুলাই, প্রথম আলো। এমন পরিস্থিতিতে দৈনিক অক্সিজেনের চাহিদা ২০০-২২০ টন। করোনার মধ্যে সর্বোচ্চ অক্সিজেন খরচ হচ্ছে এখনই (৫ জুলাই, প্রথম আলো)। তাহলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বলা অক্সিজেনের সেই মজুত কোথায়? দেশে অক্সিজেনসংকট নেই বললেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও (৫ জুলাই, ইউএনবি)। অথচ তার প্রায় এক সপ্তাহ আগেই সাতক্ষীরায় অক্সিজেনের জন্য হাঁসফাঁস করে পাঁচ রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল (১ জুলাই, প্রথম আলো)।

৪ জুলাই সংসদ অধিবেশনে দেশের করোনা চিকিৎসা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে এক সাংসদ বললেন, ‘জিজ্ঞাসা করলেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন সব দিচ্ছি, অথচ কোথাও কিছু নেই।’ করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত ১০০টি সরকারি হাসপাতালের মধ্যে ৫২টিতেই আইসিইউ নেই। যা আছে ৭৫ শতাংশই আবার ঢাকা বিভাগে। এর মধ্যে আইসিইউ থাকলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই, আবার কোথাও সব থাকলেও চালানোর মতো প্রশিক্ষিত জনবল নেই। কুষ্টিয়া ভুগছে এমন পরিস্থিতির কারণেই। এমনকি পাঁচ বছর আগে উদ্বোধন হলেও এখনো চালু করা যায়নি জামালপুরের আইসিইউ ইউনিট (৪ জুলাই, প্রথম আলো)। নড়াইলে ছয় মাস ধরে বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে আছে ভেন্টিলেটর। এভাবেই অনেক জায়গায় আধখেচড়াভাবে একটা জিনিস পাঠানো হয়েছে, আরেকটা পাঠানো হয়নি। এ হচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘সব দিচ্ছি’র নমুনা! প্রয়াত সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ বহু আগে লিখেছিলেন ‘সত্য বাবু মারা গেছেন’। এরপরও রয়েসয়ে আর কোনো ‘সত্য বাবু’ বেঁচে থাকলেও তারও মৃত্যু হলো এই মহামারিতে।

গত বছর প্রতিটি জেলায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও মাঝে করোনা সংক্রমণ কমে আসায় কাজের গতিও কমে। এমনটা কেন হলো? বর্তমানে দেশের ১৭টি জেলায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট নেই। এসব এলাকায় প্ল্যান্ট বসানোর কাজ করছে ইউনিসেফ। সংস্থাটির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানালেন, মোট ৩০টি হাসপাতালে প্ল্যান্ট বসানোর কাজ করছেন তাঁরা। মাত্র দুটি চালু হয়েছে। কিছুর কাজ শেষের দিকে। ভারত থেকে ট্যাংক এলেই ১৪টির কাজ শেষ হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের কার্যাদেশ দিতে এক বছর দেরি না করলে অনেক আগেই কাজ শেষ হতো (৫ জুলাই, প্রথম আলো)। এ কার্যাদেশ দিতে এভাবে কালক্ষেপণ কেন করা হলো?

গত বছর সারা দেশের ২৩টি হাসপাতালে একযোগে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহব্যবস্থা স্থাপনের কাজ শুরু করে স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেখানেও কাজের ধীরগতির অভিযোগ। যেমন সামান্য কিছু কাজের অভাবে ঝালকাঠিতে অক্সিজেন সরবরাহ করা যাচ্ছে না। অক্সিজেন সিলিন্ডারই এখন করোনা রোগীদের জন্য ভরসা। সেটি গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে কতটুকু সম্ভব? তাই যদি হতো, খুলনায় হাসপাতালের সামনে এসেও অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে প্রাণ যেত না স্বপন হালদারের (৬০)। তাঁর সঙ্গেই তো ছিল সিলিন্ডার। ১০০ কিলোমিটার দূর থেকে এসে হাসপাতালেই ঢুকতে পারলেন না তিনি (৭ জুলাই, প্রথম আলো)।

গত অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে করোনার মধ্যে চার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছিল। জিডিপির হিসাবে এ বরাদ্দ সামান্য হলেও সেটিই ঠিকঠাক ব্যয় করতে পারেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। করোনা রোগীদের ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে দেওয়া বরাদ্দ অনেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কেন ফেরত গেল?

গত বছর জুনে প্রতিটি জেলা হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিট ও ভেন্টিলেটর স্থাপন, উচ্চ মাত্রার অক্সিজেন সরবরাহব্যবস্থা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৩ মাসেও সেটা করা গেল না। নির্দেশের পর কাজ কতটুকু এগোল, সেই খোঁজও কি রাখা হয়েছিল? কোভিড মহামারি বৈশ্বিক রূপ ধারণ করার পরও আমরা প্রস্তুতি শুরু করতে সময়ক্ষেপণ করেছি। এক বছর পরও ঘুরেফিরে একই অবস্থা দেখতে হলো। এমন বেহাল অবস্থার জন্য কিন্তু অর্থসংকট ছিল বললেও ভুল হবে। কারণ, গত অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে করোনার মধ্যে চার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছিল। জিডিপির হিসাবে এ বরাদ্দ সামান্য হলেও সেটিই ঠিকঠাক ব্যয় করতে পারেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। করোনা রোগীদের ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে দেওয়া বরাদ্দ অনেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কেন ফেরত গেল?

কয় দিন আগে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ নিজেদের সাফাই গেয়ে যে বিজ্ঞাপন দিয়েছে, তাতেও ছিল মিথ্যাচার। সম্প্রতি সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপিত প্রতিবেদন থেকে মাস্ক কেনাকাটা নিয়ে দুর্নীতি বেরিয়ে এল। অথচ বিজ্ঞাপনে বলা হলো, মাস্ক কেনায় নাকি কোনো টাকাই খরচ করা হয়নি। গত বছর মাস্ক-পিপিই কেনাকাটায় দুর্নীতিতে মামলা, আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, এমনকি নকল মাস্ক সরবরাহের কারণে গ্রেপ্তারের ঘটনাও ঘটেছে। নিম্নমানের মাস্ক নিয়ে ঢাকা ও খুলনার দুই হাসপাতাল পরিচালকের অভিযোগ তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। বিজ্ঞাপন দিয়েও এভাবে জনগণকে অসত্য গেলানো হচ্ছে কেন? আর কোনো মিথ্যাচার ধরা পড়ে যাবে বলে হাসপাতালগুলোকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করে দেওয়া হয়েছে।

গত বছর জুনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ‘করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ নামে প্রকাশ করে। সরকারের কার্যক্রমে পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের ঘাটতি, বিভ্রান্তিকর ও পরস্পরবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। সেটি এখন আরও বেশি সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেখানে যেসব সুপারিশ করা হয়েছিল, তার অনেক কিছু আমলে নেওয়া হয়েছে ঠিকই, তবে অসত্যকে আঁকড়ে ধরে। স্বজনের লাশ আঁকড়ে ধরে সুশাসনবঞ্চিত জনগণের কান্নার দাম কি তাদের কাছে আছে?

রাফসান গালিব প্রথম আলোর সহসম্পাদক