চীন-আমেরিকা: সংঘাতের চূড়ায় দুই খ্যাপাটে নেতা

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সি চিন পিং । ছবি: রয়টার্স
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সি চিন পিং । ছবি: রয়টার্স

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর তিন দশক পেরোল। একক পরাশক্তির দাপটের কথা ছাপতে ছাপতে বিশ্ব মিডিয়ায় একঘেয়েমি চলে এসেছিল। সেই ‘দুর্দিন’ কাটছে এবার। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ঠান্ডাযুদ্ধের অবস্থা থেকে বেশ গরম এখন। দুনিয়াজুড়ে আঁচ লাগছে তার। পত্রপত্রিকার জগৎ বহুদিনের জন্য এক ‘গরম আইটেম’ পেল।

সমস্যায় পড়েছে ছোট দেশগুলো। এই উত্তেজনায় পক্ষ নিতে হচ্ছে বা হবে তাদের। কাজটা সহজ নয়। আমদানি-রপ্তানি মিলে ওয়াশিংটন-বেইজিং উভয়কে দরকার। অথচ ব্যবসা-বাণিজ্যের পিঠে ছুরি বসিয়েই ট্রাম্প ও সি চিন পিং ‘যুদ্ধ’ শুরু করলেন।

২০১৯-এর শুরু থেকে এ পর্যন্ত বাণিজ্যযুদ্ধে চীনের ক্ষতি প্রায় এক শ বিলিয়ন ডলার। প্রতিপক্ষের মতো বিপুল না হলেও যুক্তরাষ্ট্রেরও ক্ষতি কম নয়। যুদ্ধের ফল হিসেবে ইতিমধ্যে সেখানে ৩-৪ লাখ মানুষের চাকরি গেছে। এই বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে গত বছর বিশ্ব জিডিপির দশমিক ৫ ভাগ ক্ষয় হয়েছে। ভবিষ্যতে এটা আরও বাড়বে।

পঞ্চাশ বছরের ‘সম্পর্ক’ চার বছরে উল্টে গেল!
চীন-যুক্তরাষ্ট্র এই সেদিনও নিজেদের বলত ‘কৌশলগত বন্ধু’। ১৯৭১ সালে বেইজিং গিয়ে সে সময়ের ধুরন্ধর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার সেই ‘বন্ধুত্বে’র চারা লাগিয়ে এসেছিলেন। এত দিনে ভালোই বড় হয়েছে চারাটি। পাঁচ দশকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার এবং সেখান থেকে নিয়ে আসা শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিজ্ঞান নতুন-চীনের ধাত্রী হিসেবে কাজ করেছে।

ট্রাম্প এই অধ্যায় শেষ করতে চান। তাঁর পাশে রয়েছেন চীন অ্যালার্জিতে ভোগা তিন সহযোগী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও, জাতীয় উপনিরাপত্তা উপদেষ্টা ম্যাথিও পট্টিনজার এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নোভারো। ক্ষমতায় বসেই শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী এই প্রশাসন কিসিঞ্জারের লাগানো বন্ধুবৃক্ষের ডালপালা কাটতে শুরু করে। একের পর এক আঘাতে বন্ধুত্বের বাঁধন ঢিলেঢালা হতে হতে এখন ছিঁড়তে বাকি। ফলে ঠান্ডাযুদ্ধ আর ঠান্ডা নেই।

পরিস্থিতিতে উত্তেজনা ছড়ানোর তাগিদ আছে সব পক্ষ থেকে। আগামী বছর চীনের শাসকদল সিপিসির এক শ বছর পূর্তি। বিশ্ব জয়ের আমেজে উৎসবটি করতে চান চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ট্রাম্পেরও আরও চার বছর ক্ষমতায় থাকার অভিলাষ। তাঁর দেশ ভাইরাসযুদ্ধে কাহিল। তাতে ঘা খেয়েছে তাঁর ইমেজ। সে কারণেই চীনবিরোধী ঠান্ডাযুদ্ধ গরম করে তুলতে চাইছেন দ্রুত। দেশটির নির্বাচনী প্রচারণাতেও চীনই প্রধান প্রসঙ্গ। ট্রাম্পের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিপক্ষ ডেমোক্রেট জো বাইডেনও বেইজিংকে দেখে নেওয়ার ভয় দেখাচ্ছেন। দোষারপের জন্য অপরাধেরও অভাব নেই। কোভিড-১৯ ছড়ানোর অভিযোগ তো আছেই। সঙ্গে হংকংয়ে দমনপীড়ন ও তাইওয়ানকে হুমকি-ধামকির নিয়মিত প্রতিবাদ জানাচ্ছে ওয়াশিংটন। বিশ্বের বহু সামরিক শাসককে বহুকাল শর্তহীন সমর্থন দিয়ে গেলেও হংকংয়ের গণতান্ত্রিক আবহ ধ্বংসে চীনের ভূমিকায় যুক্তরাষ্ট্র খুবই ব্যথিত। দ্বীপটির বিশেষ বাণিজ্যিক মর্যাদাও ট্রাম্প প্রশাসন কেড়ে নিয়েছে, যাতে সেখানকার বিনিয়োগকারীরা বেইজিংয়ের ওপর চটে। জিনজিয়াংয়ের উইঘুর মুসলমানদের জন্য সংহতির কথাও হামেশাই প্রচারিত হচ্ছে হোয়াইট হাউস থেকে।

এসব বিবৃতিযুদ্ধ এবং মাঠের ‘অ্যাকশানে’ ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপানকেও অল্পবিস্তর শামিল করতে পেরেছে ট্রাম্প প্রশাসন। প্রাথমিক ফল হিসেবে দেশে দেশে ব্যবসা হারাচ্ছে চীনের কোম্পানিগুলো। ফাইভ-জি প্রযুক্তির জন্য চীনা মোবাইল ফোন কোম্পানি হুয়াওয়ের বিশ্বজুড়ে দাপট ছিল। রাতারাতি তারা এখন দেশে দেশে অচ্ছুত হয়ে যাচ্ছে। যারাই হুয়াওয়েকে প্রকল্প দেবে তাদেরই দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়ে কেবল যুক্তরাষ্ট্রে কোম্পানিটির ক্ষতি ৩০ বিলিয়ন ডলার। ধরাশায়ী করতে এই কোম্পানির বিরুদ্ধে পশ্চিমে গোয়েন্দাগিরির অভিযোগ তোলা হচ্ছে। ইউরোপ-আমেরিকায় এ রকম ভীতি বেশ ভালো কাজ করে। ট্রাম্প প্রশাসন সেটা জানে। সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে কপিরাইটের আইন ও বিবিধ অজুহাত।

তবে আক্রমণ এক ফ্রন্টে সীমিত রাখতে চাইছেন না ট্রাম্প। প্রতিপক্ষকে সব উপায়ে কোয়ারেন্টিন করতে চান তিনি। চীনের চারদিকে একের পর এক যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হচ্ছে। নিজেদের চারদিকে টহলে নেমেছে চীনের রণতরির ঝাঁকও। উভয়ের মিসাইলের ব্যবধান ক্রমে কমছে। দৃশ্যটি অনেকটা এ রকম, পাহাড়ের একেবারে চূড়ায় হাতসমান দূরত্বে দাঁড়িয়ে আছেন দুই ক্ষিপ্ত জাতীয়তাবাদী। তাঁদের মাঝে যেকোন ‘দুর্ঘটনা’ বড় যুদ্ধের আকার নিতে পারে। বিশ্ব যেন মানসিকভাবে এর জন্য খানিকটা তৈরিও!

দুই ঠান্ডাযুদ্ধের একই পরিণতি?
বেইজিং-ওয়াশিংটনের এই রেষারেষিতে উদীয়মান অর্থনীতিগুলো বেজায় বিপদে আছে। যেহেতু তারাও পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থার শরিক। আজকের দিনে উৎপাদনের ধরন পুরোপুরি বৈশ্বিক। বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের কথাই ধরা যাক। এর বিস্তর কাঁচামাল আসে চীন থেকে। আবার তৈরি হওয়া পোশাকের বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের এই শিল্প খাতের জন্য উভয় পরাশক্তিই গুরুত্বপূর্ণ। এ রকম সংকটে পড়েছে অনেক দেশের বহু শিল্প খাত। বেইজিং আর ওয়াশিংটনের রশি–টানাটানিতে এদের গলায় ফাঁস লাগার দশা। চীনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে চাপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র অনেক দেশের শিল্পপণ্যের শুল্ক সুবিধা ছেঁটে দিচ্ছে বা দিতে পারে। বহু অঞ্চলের শিল্পমালিক ঝামেলা এড়াতে কারাখানা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরাবেন। কিন্তু পুরোনো কারখানার শ্রমিকেরা যাবেন কোথায়?

কেবল রপ্তানিতে নয়, আমদানি খাতেও এই উত্তেজনার কুফল অনেক। কয়েক দশক ধরে গরিব দেশগুলোর ভোক্তাদের জন্য চীনের সস্তা পণ্য শখ-আহ্লাদ পূরণে বড় সহায়। টিভি-ফ্রিজের জগতে চীনা জাদু শুরু না হলে স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে এসব সহজলভ্য হতো না। অনেক দেশের ‘ডিজিটাল বিপ্লব’ সম্ভব হয়েছে মোবাইল সেটের জগতে চৈনিক সুনামির কারণে। কিন্তু গরিবের সেই সামান্য ডিজিটাল জীবন হুমকিতে পড়েছে এখন। সাম্প্রতিক চীন-ভারত উত্তেজনাকে যদি যুক্তরাষ্ট্র-চীন বৈরিতার এশীয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হয়, তাহলে এ–ও মানতে হয়, এর তাৎক্ষণিক শিকার ভারতের মতো দেশের ইলেকট্রনিক সামগ্রীর ক্রেতারা।

ইতিহাসের প্রথম ঠান্ডাযুদ্ধে রুশ সমাজতন্ত্রীদের পরাজয় দেশে দেশে শ্রমিক শ্রেণির রাজনীতিকে দুর্বল করেছিল। আর দ্বিতীয় ঠান্ডাযুদ্ধের শুরুই হয়েছে শ্রমজীবী ও গরিব মানুষকে বিপদে ফেলে।

দ্বিতীয় ঠান্ডাযুদ্ধ প্রথমটির চেয়ে বিধ্বংসী হতে চলেছে
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বর্তমান দ্বন্দ্ব যেকোনো সিনিয়র সিটিজেনকে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতের কথা মনে করিয়ে দেবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মস্কো বিশ্বজুড়ে সাম্যবাদের জ্বালানি জোগাচ্ছিল। ওয়াশিংটন চেয়েছিল সেটা রুখতে। সেই ঠান্ডাযুদ্ধের ধরন ছিল আদর্শিক এবং রাজনৈতিক। বাণিজ্যে তার প্রভাব ছিল কম। পণ্য-বাজারে চীনের মতো আগ্রাসী কোনো শক্তি ছিল না রাশিয়ায়। উভয়ের উৎপাদন, বিপণনের বাজার ও পরিসর ছিল আলাদা। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মাঝে ব্যবসা-বাণিজ্যও ছিল উভয় দেশের পুরো বাণিজ্যের মাত্র ১ শতাংশ। ফলে ইতিহাসের সেই ঠান্ডাযুদ্ধে বিশ্ববাণিজ্য নিরাপদই ছিল বলা যায়।

কিন্তু বেইজিং-ওয়াশিংটন দ্বন্দ্বের শুরুই হয়েছে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির মধ্য দিয়ে। অথচ উভয়ে তারা বিশ্ব-পুঁজিতন্ত্রের দুই প্রধান স্তম্ভ। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মাঝে বাণিজ্যের অঙ্ক ছিল ৭৩৭ বিলিয়ন ডলার। একই বছর চীনে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ ছিল ১১৭ বিলিয়ন ডলার। এসব কিছুই এখন হুমকিতে।

এই সংঘাত একদিকে যেমন বাজার দখলের খেলা, তেমনি বৈশ্বিক পুঁজিতন্ত্রের জন্য আত্মবিনাশীও বটে। আবার সংঘাতটা সামরিকও। ফলে সব উপায়ে এটা আগের ঠান্ডাযুদ্ধের চেয়ে বেশি ক্ষতি বয়ে আনতে চলেছে।

নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্প বা বাইডেন যিনিই জিতুন, ঠান্ডাযুদ্ধ কেবল গরমই হবে। ভোটারদের মন কাড়তে বাইডেন চীনের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের চেয়েও কঠোর কিছু করার আশ্বাস বিলাচ্ছেন। ভোটাররাও এসবে ভালোই সাড়া দিচ্ছেন। সর্বশেষ জরিপ বলছে, ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান উভয় শিবিরের বয়োজ্যেষ্ঠ ভোটাররা চীনবিরোধী অঙ্গীকারকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন।

পালাবদল: প্রতিপক্ষের নতুন মূর্তি গড়ছে যুক্তরাষ্ট্র
সোভিয়েতের পতনের পর ‘প্রতিপক্ষ’ হিসেবে মুসলমানদের কল্পিত মূর্তি গড়া হয়েছিল। সে জায়গায় ওয়াশিংটন দীর্ঘ সময়ের জন্য নতুন ভাস্কর্য গড়ছে এখন। মধ্যপ্রাচ্য থেকে যুদ্ধবিদ্যার নজর সরেছে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে। এই দুই শক্তির হয়ে ছোটদের ‘ছদ্মযুদ্ধ’ শুরু হয়নি এখনো। তবে তাইওয়ানকে ‘চীন সাগরের ইসরায়েল’ হিসেবে গড়া হবে কি না, তা নিয়ে উৎকণ্ঠা আছে। গণচীনও তার অর্থনৈতিক আধিপত্যের রাজনৈতিক স্বীকৃতি পেতে আর অপেক্ষা করতে রাজি নয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Ai) ও কোয়ান্টাম কমপিউটিংয়ে অগ্রগতি তাদের নেতাদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ বাড়িয়েছে। তারা মনে করছে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য এ দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে নেতৃত্ব জাহিরের এখনই ভালো সময়। এই মনস্তত্ত্ব মাও সেতুং এবং দেং জিয়াও পিংয়ের নীতি থেকে অনেক বেশি আগ্রাসী। যার বড় নজির লাদাখে ভারতকে চীনের তরফে শত্রু বানানো। এ বিরোধটা সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করা যেত কি না, সে প্রশ্ন থেকেই গেল। পাশাপাশি রয়েছে ভারতের ১৩০ কোটি ভোক্তার বাজারে চীনা পণ্যের বেকায়দায় পড়ার ক্ষতি। দুই দেশের ৯০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যিক সম্পর্কও ঝুঁকিতে পড়ল এই ঘটনায়।

আন্তর্জাতিক পুঁজিতন্ত্রের ভেতর বাণিজ্যযুদ্ধ যে অবস্থায় গেছে তাতে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি বিধ্বংসী এক বোঝা হয়ে উঠেছে। এই রাজনীতি বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনের জন্য যেসব সমস্যা তৈরি করছে, তার ভোক্তাবান্ধব সমাধান মিলছে না। জাতীয়তাবাদী নেতারা অর্থনীতির রাস্তা আগলে দাঁড়াচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র বা চীনের নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক একটা বিশ্বব্যবস্থা গড়তে দিতেও অনিচ্ছুক। এসব ব্যর্থতা আড়াল করতেই সি চিন পিং ও ট্রাম্পের মতো সব শাসক একের পর এক কল্পিত ও প্রকাশ্য প্রতিপক্ষ খুঁজছেন।

চীন তার অর্থনীতি ‘ঘুরে দাঁড়ানো’র অনেক তথ্য-উপাত্ত দিচ্ছে। কিন্তু মহামারিতে চরম ঝাঁকুনি খাওয়া বিশ্ব অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সর্বগ্রাসী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আরও কাবু হতে চলেছে। জাতিসংঘ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, বিশ্বব্যাংকও সার্কিট ব্রেকার হয়ে এটা রুখতে পারেনি। ক্রোধে অন্ধ এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার সবচেয়ে খারাপ প্রতিক্রিয়া হবে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে উভয় দেশ এখন বিপরীতমুখী অবস্থান নিতে থাকবে।

মোদ্দা কথা, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর যাঁরা সংঘাত আর উত্তেজনাময় ‘ইতিহাসের সমাপ্তি’ দেখেছিলেন, ২০২০ সালের বিশ্ব দেখছে তাঁদের দূরদৃষ্টিরই সমাপ্তি।

আলতাফ পারভেজ: ইতিহাস বিষয়ে গবেষক