তালেবান নিয়ে দোটানায় পশ্চিমা বিশ্ব

কাবুলের রাস্তায় তালেবান যোদ্ধাদের টহল
ছবি: এএফপি

কাবুলে নতুন সরকার গঠনের লক্ষ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে তালেবান। তারা জানিয়েছে, এই সরকার হবে বহুদলীয় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক। যাঁদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে পরিচিত আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই ও বর্তমান প্রধান নির্বাহী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ।

তালেবানের নেতৃত্বে নতুন সরকার যদি গঠিত হয়, তার সঙ্গে কী সম্পর্ক হবে, তা নিয়ে দোটানায় ভুগছে পশ্চিমা বিশ্ব। বলা হচ্ছে, তালেবান ক্ষমতায় এলে আফগানিস্তানে আবার সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠিত হবে। কেউ কেউ বলছেন, আল-কায়েদা ও আইসিস উভয়েই ইতিমধ্যে সেখানে পা ফেলার মতো জায়গা করে নিয়েছে।

এসব সন্ত্রাসী গ্রুপ এই ভেবে উত্তেজিত যে তালেবানের বিজয় থেকে স্পষ্ট ২০ বছর লাগলেও আমেরিকাকে পরাজিত করা সম্ভব। একজন মার্কিন বিশেষজ্ঞের মতে, আফগানিস্তান থেকে সামরিক উপস্থিতি প্রত্যাহারের পর সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ওপর আমেরিকার নজরদারির সুযোগ কমে আসবে। সেই সুযোগে আল-কায়েদা ও আইসিসের প্রত্যাবর্তন কেবল সময়ের ব্যাপার। জাতিসংঘের একটি সূত্র জানিয়েছে, ৪০০ থেকে ৬০০ আল–কায়েদা সদস্য তালেবানের সঙ্গে একযোগে যুদ্ধ করেছে, তারা এখনো আফগানিস্তানেই রয়ে গেছে।

সবাই যে এই মূল্যায়নের সঙ্গে একমত তা নয়। ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের ড্যানিয়েল বাইম্যান মনে করেন, অবস্থা এখন ভিন্ন, তালেবানকে এই ভিন্ন বাস্তবতা মোকাবিলা করতে হবে। আমেরিকার বিধ্বংসী সামরিক শক্তির পরিচয় তারা পেয়েছে। নাইন–ইলেভেনের মতো ভুল তারা সম্ভবত আর করবে না। পুরোনো তালেবান সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেয়েছিল পাকিস্তানের কাছ থেকে। কিন্তু ইসলামাবাদ নিজেই তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি নামক নিষিদ্ধ তালেবান গ্রুপের সঙ্গে যুদ্ধরত।

যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, মানবাধিকার রক্ষায় তালেবান সরকারের ভূমিকা পর্যবেক্ষণের পরই স্বীকৃতির প্রশ্ন উঠবে। একই কথা ইউরোপীয় ইউনিয়নের। একমাত্র কানাডাই জানিয়েছে কোনো অবস্থাতেই তালেবান সরকারকে তারা স্বীকৃতি দেবে না। ভারতও স্বীকৃতির বিপক্ষে।

অর্থনৈতিক দিক দিয়েও তাদের খুব কাহিল অবস্থা। তারা যে এ সময় অন্য কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপকে নিজেদের ভূমি ব্যবহার করতে দেবে, তা মনে হয় না।

১৯৯৪ সালে প্রথমবার তালেবান ক্ষমতায় আসার পর মাত্র তিনটি দেশ, পাকিস্তান, আরব আমিরাত ও সৌদি আরব, তাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এবারও এই তিন দেশ তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে বলে ভাবা হচ্ছে। এদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চীন, রাশিয়া ও তুরস্ক। এর বাইরে উল্লেখযোগ্য আর কেউ স্বীকৃতির কথা ভাবছে না। যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, মানবাধিকার রক্ষায় তালেবান সরকারের ভূমিকা পর্যবেক্ষণের পরই স্বীকৃতির প্রশ্ন উঠবে। একই কথা ইউরোপীয় ইউনিয়নের। একমাত্র কানাডাই জানিয়েছে কোনো অবস্থাতেই তালেবান সরকারকে তারা স্বীকৃতি দেবে না। ভারতও স্বীকৃতির বিপক্ষে।

দোটানায় মার্কিন সরকার
এখনো তালেবানি সরকার গঠিত হয়নি, তাই তাকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদানের কথা উঠছে না। এ মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য অগ্রাধিকার হলো নিরাপদে সব মার্কিন নাগরিক ও তাদের মিত্রদের আফগানিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনা। সে লক্ষ্যে মার্কিন কর্তৃপক্ষ কাবুলে তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছে। এমনকি ওয়াশিংটন থেকে উড়ে এসে গোপন বৈঠক করে গেছেন সিআইএর প্রধান উইলিয়াম বার্নস। কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও মার্কিন সামরিক কমান্ডকে কথা বলতে হচ্ছে তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে। অন্য কথায়, কাজকর্মে তালেবানকে যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দিয়ে রেখেছে।

যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য কাবুলে ক্ষমতা গ্রহণের অনেক আগে থেকেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প প্রশাসন তালেবান নেতৃত্বের সঙ্গেই সৈন্য প্রত্যাহারসংক্রান্ত একটি চুক্তি সম্পাদন করে। এই আপস আলোচনায় কাবুলের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, কারণ তালেবান সে সরকারকে আমলে আনতে অস্বীকার করে। ট্রাম্প প্রশাসন যে সে দাবি মেনে নেয়, তা থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে আমেরিকার চোখে তালেবানই একমাত্র বৈধ আফগান প্রতিনিধি।

চাপের মুখে বাইডেন
আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বের জন্য সমস্যা হলো তালেবানের সঙ্গে সহযোগিতা না করা হলে এ সরকারের কার্যকলাপের ওপর কোনো প্রভাব খাটানোর সুযোগ সীমিত হয়ে পড়বে। আমেরিকা যদি আফগানিস্তানের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছেদ করে, তাহলে সে শূন্যতা পূরণে এগিয়ে আসবে চীন ও রাশিয়া। কৌশলগত অর্থে সেটি আমেরিকার জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় হিসেবে বিবেচিত হবে। তড়িঘড়ি করে আফগানিস্তান ছেড়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইতিমধ্যেই চাপের মুখে রয়েছেন। রাশিয়া ও চীনের কূটনৈতিক ও সামরিক উপস্থিতি তার ওপর সে চাপ আরও বাড়াবে।
বাইডেন জানিয়েছেন, ৩১ আগস্টের মধ্যে সব মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন হবে না। কিন্তু এই সময়সীমার মধ্যে যেসব মার্কিন নাগরিক ও সহযোগী আফগানদের সরিয়ে আসা সম্ভব হবে, এ কথায় সন্দেহ রয়েছে।

সমস্যা হলো, ঠিক কত আমেরিকান ও সহযোগী আফগান রয়েছে তার কোনো চূড়ান্ত তালিকা আমেরিকার হাতে নেই। তালেবান যদি সহযোগিতা না করে, তাহলে এদের অনেকেই সময়মতো বেরিয়ে যেতে পারবে না। তালেবান কর্তৃপক্ষ খুব ভালো করেই জানে, এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রকে হাতের মুঠোয় রাখার একটা পথ হলো এসব নাগরিকের বহির্গমন নিয়ন্ত্রণ করা। সেই হিসাব থেকেই তারা ইতিমধ্যে জানান দিয়েছে, মার্কিন নাগরিকদের ফিরে যাওয়ায় কোনো বাধা নেই, কিন্তু আফগান নাগরিকদের যেতে দেওয়া হবে না। এদের মেধা ও দক্ষতা আমাদের প্রয়োজন, কাজেই তাদের দেশত্যাগ করতে দেওয়া যাবে না।

আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বের জন্য সমস্যা হলো তালেবানের সঙ্গে সহযোগিতা না করা হলে এ সরকারের কার্যকলাপের ওপর কোনো প্রভাব খাটানোর সুযোগ সীমিত হয়ে পড়বে। আমেরিকা যদি আফগানিস্তানের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছেদ করে, তাহলে সে শূন্যতা পূরণে এগিয়ে আসবে চীন ও রাশিয়া।

বাইডেন যদি প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সব মার্কিন নাগরিক ও আফগান সহযোগীকে যথাসময়ে উদ্ধারে ব্যর্থ হন, তাহলে নিজের দেশে তিনি প্রবল রাজনৈতিক সমালোচনার সম্মুখীন হবেন। আফগানিস্তান থেকে থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত তাঁর একার নয়। কিন্তু এখন যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে, তার সব দায়ভার বর্তেছে তাঁর ওপর। তালেবান কার্যত যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করেই কাবুলে ক্ষমতা গ্রহণ করেছে, ফলে বিশ্বে আমেরিকার মর্যাদা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক উভয় পার্টির নেতারাই এ জন্য তাঁকে দুষছেন। একজন রিপাবলিকান নেতা তাঁর অভিশংসনের দাবি তুলেছেন। আরেকজন শাসনতন্ত্রের ২৫তম সংশোধনী ব্যবহার করে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রস্তাব করেছেন।

সাধারণ আমেরিকান, যাঁদের অধিকাংশ সৈন্য প্রত্যাহারের পক্ষে, তাঁরাও বর্তমানে যে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে, এ কারণে বাইডেনকেই দায়ী করছেন। ফলে, তাঁর সমর্থন হ্রাস পেয়েছে। এই মাসের শুরুতে দেশের ৫১ শতাংশ মানুষ বাইডেনের কাজে সন্তুষ্ট বলে জানায়। এখন সে পরিমাণ হ্রাস পেয়ে ৪৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আগামী বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে এই ধস ঠেকানো না গেলে বড় ধরনের নির্বাচনী বিপর্যয়ে পড়বে ডেমোক্র্যাটরা।

স্বীকৃতি, তবে এখনই নয়
বাইডেন বলেছেন, ২০ বছর কাটানোর পর আফগানিস্তানে যুদ্ধের জন্য তিনি আর একজনও অতিরিক্ত মার্কিন জান বিসর্জন দিতে প্রস্তুত নন। কিন্তু মার্কিন অনুপস্থিতিতে সেখানে যদি মানবাধিকারের ব্যাপক লঙ্ঘন হয় এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীরা ফের ভিড় জমায়, তখন অবস্থা সামাল দিতে বাইডেন কি আবার সামরিক অভিযান শুরু করবেন? আফগানিস্তান থেকে যদি অনবরত খবর আসতে থাকে যে তালেবান সরকার মেয়েদের শিক্ষা ও চাকরির অধিকার কেড়ে নিয়েছে, জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার খর্ব করছে, তাহলে বাইডেন ও ডেমোক্র্যাটরা মহাবিপদে পড়বেন।

ঠিক সে কারণেই তালেবানের ওপর নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতে অনেকটা বাধ্য হয়েই এ সরকারকে স্বীকৃতি দিতে হতে পারে আমেরিকা। তবে এ মুহূর্তেই স্বীকৃতি আসছে না। যুক্তরাষ্ট্র দেখতে চায় মানবাধিকার রক্ষায় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনে তালেবান যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা তারা কতটা রক্ষা করে।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পর সেখান থেকে আসা উদ্বাস্তু নিয়ে যে সংকটে পড়েছিল ইউরোপ, এখনো তার জের কাটেনি। আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক, এরা কেউ তা চায় না। সবচেয়ে বড় বিপদে পড়বে আফগানিস্তানের নিকটবর্তী দেশগুলো। শুধু উদ্বাস্তু নয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তাদের এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়বে।

জাতিসংঘে আমেরিকার সাবেক গভর্নর নিকি হেইলি ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় এক নিবন্ধে কড়া ভাষায় তালেবানের কোনো রকম স্বীকৃতি প্রদানের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, তালেবান যে সভ্য সমাজের অংশ, তা প্রমাণিত হওয়ার পরেই প্রশ্ন উঠবে স্বীকৃতির। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, কমিউনিস্ট চীনকে স্বীকৃতি দিতে আমেরিকার ৩০ বছর লেগেছিল। ভিয়েতনামকে স্বীকৃতি দিতে লেগেছিল ২০ বছর। অতএব তড়িঘড়ি করে এখনই স্বীকৃতি নয়।

আমেরিকাসহ অধিকাংশ পশ্চিমা দেশ এ কথা খুব ভালো করেই জানে, নিজেদের স্বার্থেই তালেবান সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাদের কাজ করতে হবে। সরকার পরিচালনায় তালেবান ব্যর্থ হলে দেশের ভেতর রাজনৈতিক অসন্তোষ, এমনকি গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে হাজার হাজার আফগান দেশ ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোয় আশ্রয়ের জন্য ভিড় জমাবে। অনেকে পাড়ি দেবে ইউরোপে।

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের পর সেখান থেকে আসা উদ্বাস্তু নিয়ে যে সংকটে পড়েছিল ইউরোপ, এখনো তার জের কাটেনি। আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক, এরা কেউ তা চায় না। সবচেয়ে বড় বিপদে পড়বে আফগানিস্তানের নিকটবর্তী দেশগুলো। শুধু উদ্বাস্তু নয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তাদের এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়বে। পাকিস্তান, ইরান ও অন্য প্রতিবেশী দেশগুলো তেমন সম্ভাবনার কথা ভেবে তালেবান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতার পথ অনুসরণ করছে। তাদের অবশ্য নিজস্ব ভূরাজনৈতিক কারণ রয়েছে দেশটির সঙ্গে সখ্য বজায় রাখার।

আপাতত, বাইডেন প্রশাসন তালেবানের ওপর প্রভাব ধরে রাখার জন্য অর্থনৈতিক চাপ ব্যবহারের পথ অনুসরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে দরিদ্র আফগানিস্তান বহুলাংশে বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। দেশটির বাজেটের তিন-চতুর্থাংশই আসে বৈদেশিক সাহায্য হিসেবে। ফলে, তালেবানের বিদেশের দিকে হাত বাড়াতেই হবে। বাইডেন প্রশাসন ইতিমধ্যে বিভিন্ন মার্কিন ব্যাংকে রক্ষিত আফগানিস্তান সরকারের প্রায় নয় বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ তহবিল তালেবানের হাতে তুলে দিতে অস্বীকার করেছে। আইএমএফ যাতে আফগানিস্তানকে জরুরি সাহায্য হিসেবে কোনো অর্থ না দেয়, যুক্তরাষ্ট্র তার ব্যবস্থাও নিয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, যারা ২০২১-২৪ অর্থচক্রে মোট প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার উন্নয়ন অনুদান হিসেবে প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারাও তালেবানের হাতে সে অর্থ তুলে দিতে অস্বীকার করেছে।

সবারই এক কথা, অপেক্ষা করা যাক, দেখা যাক নতুন তালেবান কোনো পথে যায়।

হাসান ফেরদৌস প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক। [email protected]