নান্নু-আশরাফুল দ্বন্দ্ব এবং ‘ক্রিকেটীয় দেশপ্রেম’

মিনহাজুল ও আশরাফুলের বাহাস নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

‘তোমার দাড়ি কই মিয়া?’ সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর ‘লালসালু’ উপন্যাসের মূল চরিত্র মজিদের এক মোক্ষম প্রশ্ন। সেই উপন্যাসে গ্রামের মোদাব্বের মিয়ার ছেলে আক্কাস গ্রামে স্কুল দিতে চায়, যেটা মজিদের কাছে খুব খারাপ মনে হয়। গ্রামে মক্তব থাকার পরও স্কুল বানানোর চিন্তা মজিদকে শঙ্কিত করে তোলে। মজিদ তখন সেটা নিয়ে সালিস বসায়। আক্কাস প্রস্তুত ছিল স্কুল নিয়ে যেকোনো ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য। কিন্তু সালিস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মজিদ হঠাৎ আক্কাসকে জিজ্ঞেস করে শুরুতে লেখা প্রশ্নটি।

বিতর্কের সময় আমরা পরস্পরের দিকে যেসব কথা ছুড়ে দিই, তার সবই আসলে যুক্তি নয়। যুক্তিতে না পেরে উঠে আমরা অনেক সময় এমন সব কথা বলি, যা আসলে আমাদের যৌক্তিক অবস্থানকেই নড়বড়ে করে দেয়। এগুলোই হচ্ছে ‘লজিক্যাল ফ্যালাসি’। নানা রকম ফ্যালাসি আছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি চর্চিত ফ্যালাসিটি হচ্ছে ‘অ্যাড হোমিনেম’ বা ব্যক্তিগত আক্রমণ। ‘লালসালু’ উপন্যাসের ঘটনাটি এর একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। সেটা মনে পড়ল সম্প্রতি জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুলের একটি বাহাস দেখে। এতে নান্নুর ব্যবহৃত ব্যক্তি আক্রমণমূলক একটি বাক্য বিশদ আলোচনার দাবি রাখে বলে আমার বিশ্বাস।

নান্নু আর আশরাফুলের সাম্প্রতিক বাহাস
নান্নু আর আশরাফুলের বাহাস নিয়ে প্রথম আলো একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে অতি সম্প্রতি। সংবাদটি মুহূর্তেই প্রথম আলোর সর্বোচ্চ পঠিত সংবাদের এক নম্বরে পৌঁছে যায় এবং এটি সর্বোচ্চ আলোচিত সংবাদের শীর্ষ স্থানেও ছিল। প্রথম আলোর ফেসবুক পাতায়, সংবাদের নিচে এমনকি অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী তাঁদের ব্যক্তিগত আইডিতে এটা নিয়ে আলোচনা-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। প্রায় সবাই দেশের ক্রিকেটের বর্তমান দুরবস্থা এবং তার পেছনে বর্তমান ক্রিকেট কর্মকর্তাদের ভূমিকার নানা রকম সমালোচনা করেছিলেন।

ক্রিকেট নিয়ে আগ্রহ বোধ করি না বহুদিন। তাই প্রধান নির্বাচক হিসেবে মিনহাজুল আবেদীন বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই বাজে পরিস্থিতির জন্য কতটা দায়ী বা আদৌ দায়ী কি না, সে ব্যাপারে বলতে পারব না। কিংবা এটাও বলতে পারব না, আসলেই মোহাম্মদ আশরাফুল দলে জায়গা পাওয়ার মতো পারফর্ম করেছেন কি না, কিংবা সেটা করেও কি দলে আসতে ব্যর্থ হয়েছেন মূলত নান্নুর অসহযোগিতার কারণে! খবরটিতে আমার আগ্রহের একেবারেই ভিন্ন একটা জায়গা আছে। ক্রিকেটীয় আলাপ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে থাকতে আমরা অনেকেই সম্ভবত বিষয়টি এড়িয়ে গেছি।

নান্নু ম্যাচ ফিক্সিংকে (আশরাফুলের ক্ষেত্রে আসলে ‘স্পট ফিক্সিং’) যে দেশদ্রোহ বলছেন, তার পেছনে আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত একটি ধারণা কাজ করছে, যেটাকে আমি বলি ‘ক্রিকেটীয় দেশপ্রেম’। সাম্প্রতিক একটি উদাহরণের দিকে চোখ ফেরানো যাক। সদ্য বিদায়ী বছরের শুরুর দিকে একজন ক্রিকেটারের ‘দেশপ্রেম’ নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সাকিব আল হাসান আইপিএল খেলার জন্য জাতীয় দলে খেলা থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। সাকিব কেন দেশের হয়ে না খেলে টাকার পেছনে ছুটে আইপিএল খেলতে চাইছেন, সেটা নিয়ে তখন তীব্র সমালোচনামুখর হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। প্রায় সবাই বলছিলেন, টাকার জন্য সাকিব দেশকে ভুলে যাচ্ছেন।

একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বিসিবির বর্তমান নির্বাচক কমিটিকে নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কের শুরুটা করেন আশরাফুল। আশরাফুলের বক্তব্যে ছিল মিনহাজুল আবেদীনকে নিয়ে ক্রিকেটীয় সমালোচনা। প্রত্যাশিত ছিল, নান্নু পাল্টা বক্তব্য দিলেও সেটা হবে ক্রিকেটীয় বক্তব্য বা ব্যাখ্যা। নান্নু তাঁর বক্তব্যে কিছু ক্রিকেটীয় বক্তব্য দিয়েছেনও, কিন্তু প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদটিতে আশরাফুলের প্রতি নান্নুর বক্তব্যের যে ব্যক্তি আক্রমণমূলক বাক্য আমার এই লেখার মূল উপজীব্য, সেটি হলো—যেসব ক্রিকেটার দেশদ্রোহী হয়ে, ম্যাচ ফিক্সিং করে নিষিদ্ধ হন, তাঁদের থেকে তো ভালো কোনো পরামর্শ আশা করা যায় না।

ক্রিকেট ম্যাচ ফিক্সিং কি ‘দেশদ্রোহ’?
নান্নু ম্যাচ ফিক্সিংকে (আশরাফুলের ক্ষেত্রে আসলে ‘স্পট ফিক্সিং’) যে দেশদ্রোহ বলছেন, তার পেছনে আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত একটি ধারণা কাজ করছে, যেটাকে আমি বলি ‘ক্রিকেটীয় দেশপ্রেম’। সাম্প্রতিক একটি উদাহরণের দিকে চোখ ফেরানো যাক। সদ্য বিদায়ী বছরের শুরুর দিকে একজন ক্রিকেটারের ‘দেশপ্রেম’ নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সাকিব আল হাসান আইপিএল খেলার জন্য জাতীয় দলে খেলা থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন। সাকিব কেন দেশের হয়ে না খেলে টাকার পেছনে ছুটে আইপিএল খেলতে চাইছেন, সেটা নিয়ে তখন তীব্র সমালোচনামুখর হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। প্রায় সবাই বলছিলেন, টাকার জন্য সাকিব দেশকে ভুলে যাচ্ছেন।

তাহলে তো খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আসে, সাকিব কি দেশের জন্য খেলছেন টাকা ছাড়া? কেবল জাতীয় দলে খেলেও যে বিপুল পরিমাণ উপার্জন করা যায়, সেটা বাদ দিলে কেউ কি খেলতে চাইতেন নিজ নিজ দেশের হয়ে? একজন আপাদমস্তক পেশাদার খেলোয়াড়ের বেশি উপার্জনের দিকে যেতে চাওয়া কি অন্যায়, অনৈতিক? আমি খুব ভালোভাবেই জানি, অনেকেই বলবেন, দেশের প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে তিনি কেন আর্থিক ক্ষতি স্বীকারও করে শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট খেলেননি? দেশকে সত্যিকারভাবে ভালোবাসলে সাকিব এটুকু ছাড় দিতেই পারতেন, আসতে পারে এ কথাও।

আইপিএল না থাকলে সাকিব নিশ্চয়ই মুখিয়ে থাকতেন জাতীয় দলের হয়ে খেলার জন্য। যখন আইপিএল এবং অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ছিল না, তখনো তো বিভিন্ন দেশের (বিশেষত এই উপমহাদেশের) জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলার জন্য তরুণেরা পাগল হয়ে থাকতেন। আচ্ছা, শুধু জাতীয় দলের হয়েও ক্রিকেট খেলে যদি অনেক টাকা উপার্জন করা (পারিশ্রমিক, বিজ্ঞাপনসহ অন্যান্য খাত থেকে) না যেত, তাহলে ক্রিকেটার হওয়ার জন্য কি কিশোর-তরুণেরা মুখিয়ে থাকতেন?

জাতীয় দলে না খেলে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার জন্য জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়ে নিয়েছেন, এমন তথ্য আমরা পত্রিকায় অনেক দেখেছি। এর সঙ্গে দেশপ্রেমের কোনো সম্পর্ক নেই, আছে আর্থিক হিসাব-নিকাশের। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলো খেলোয়াড়দের সামনে ‘অপরচুনিটি কস্ট’ হিসাব করার একটা সুযোগ তৈরি করেছে। পেশাদার খেলোয়াড়েরা সেটা করছেন; সেটা করারই কথা।

খেলা মানুষের কাছে নিছক বিনোদন হয়ে থাকলে সমস্যা ছিল না। কিন্তু সমস্যা হলো, সারা পৃথিবীতে খেলা এখন এক অকল্পনীয় বিশাল বাণিজ্য। তাই খেলাকে ভিত্তি করে এর বিক্রেতারা নানা রকম ব্যাখ্যা তৈরি করে ছাড়ছেন বাজারে। আমাদের এই অঞ্চলে যেহেতু ক্রিকেটই মূল খেলা, তাই এখানে (বিশেষ করে বাংলাদেশে) খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাখ্যা হলো, ক্রিকেটের মাধ্যমে দেশপ্রেমিক হওয়া (পড়ুন, দেশপ্রেমিক সাজা)।
এই ‘ক্রিকেটীয় দেশপ্রেম’ নিয়ে আপত্তি তোলার কারণ আছে। ক্রিকেটের জন্য গভীর রাত থেকে টিকেটের লাইন হবে, রাস্তায় বিজয় মিছিল হবে, কিন্তু দেশের গুরুতর স্বার্থহানি ঘটলেও সেটা নিয়ে রাস্তায় নামা দূরেই থাকুক, চায়ের আড্ডায় কথাও হবে না, হবে না সামাজিক মাধ্যমেও। মাত্রাছাড়া দুর্নীতিতে ডুবে গেছে দেশ, মাদকে দেশ সয়লাব হয়ে একটা প্রজন্ম ধ্বংসের পথে; ধর্ষণ, হত্যাসহ বীভৎস সব অপরাধ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের আনাচে-কানাচে; ধনী-দরিদ্রের মধ্যে ভয়ংকর বৈষম্য তৈরি হয়েছে সমাজে; সর্বোপরি একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ন্যূনতম যে ভিত্তিমূল মানুষের ভোটাধিকার, সেটাও এখন স্রেফ প্রহসনে পরিণত হয়েছে। বেশির ভাগ মানুষের তো খুব একটা বিকার দেখি না এসব নিয়ে।

আসলে এসব ক্ষেত্রে সত্যিকারের দেশপ্রেমের প্রদর্শনী আমরা করি না বলেই বুঁদ হয়ে থাকি ক্রিকেটীয় দেশপ্রেমে। আমাদের ঠিক এই মানসিকতার সুযোগ নিয়েছেন নান্নু। আমাদের অনেকের হিসাবেই জাতীয় দলের ক্রিকেট ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য কাউকে দেশদ্রোহী তো বলাই যায়। ন্যূনতম কাণ্ডজ্ঞান দিয়েই আমরা নিশ্চয়ই বুঝি, ক্রিকেটের ম্যাচের স্পট ফিক্সিং একটি অপরাধ, কিন্তু সেটি দেশদ্রোহ নয় কোনোভাবেই।

আশরাফুলকে কি চিরকাল শুনে যেতে হবে ‘ম্যাচ ফিক্সার’?
বিপিএলে ম্যাচ পাতানো তদন্তের সূত্র ধরে বাংলাদেশের একসময়কার বিখ্যাত ক্রিকেটার আশরাফুল স্বীকার করেন, তিনি আন্তর্জাতিক ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের আরও তিন বিখ্যাত ক্রিকেটারের নাম বলেছিলেন, যাঁরা তাঁকে এই পথ চিনিয়েছিলেন। ওই তিন ক্রিকেটারের কেউ দায়ভার স্বীকার করেননি, তাই শাস্তিও পাননি। আশরাফুল তাঁর অপরাধ নিজে স্বীকার করেছেন এবং তার জন্য প্রাপ্য শাস্তি মাথা পেতে নিয়েছেন। সেই শাস্তি শেষ করে তিনি আবার মাঠে ফিরে তাঁর ক্যারিয়ারটাকে আরেকটু দীর্ঘ করার সংগ্রাম করছেন।

প্রশ্ন হচ্ছে, একটা মানুষকে তাঁর অতীতের কোনো কৃতকর্মের জন্য, এমনকি শাস্তি পাওয়ার পরও চিরকাল সেই অপরাধের অভিযোগ শুনে যেতে হবে? কোনো তর্ক-বিতর্ক কিংবা ঝগড়ার সময় আশরাফুলকে ‘ম্যাচ ফিক্সার’ অপবাদ বাকি সারা জীবন শুনে যেতে হবে?

অপরাধীর প্রতি আমাদের মনস্তত্ত্ব
নান্নু যে আশরাফুলকে আঘাত করতে তাঁর অতীত অপরাধের ইতিহাস তুলে এনেছেন, সেটা আসলে আমাদের সমাজের এক দুর্দান্ত প্রতিচ্ছবি। শুধু নান্নুই নন, আমাদের সমাজে আমরা প্রায় সবাই অপরাধীর প্রতি তীব্র ঘৃণা ও বিদ্বেষ পুষে রাখি।

মানবসভ্যতায় অপরাধের অস্তিত্ব সভ্যতার প্রায় সমান বয়সী। সমাজে অপরাধ ঘটে, অপরাধ থাকে। সমাজে বাস করা ব্যক্তিরাই, আমাদের আশপাশের মানুষেরাই (অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের আত্মীয়, বন্ধু, পরিজন) অপরাধ করেন। আমাদের দেশে আমরা মনে করি, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে একই ব্যক্তি এবং অন্য ব্যক্তিদের অপরাধ থেকে দূরে রাখা যাবে। এটা ঠিক, বিষয়টা এতটা সরল নয়, কিন্তু তবু আজ ওই আলোচনায় ঢুকছি না।

অপরাধ থেকে দূরে রাখার জন্য আমাদের বিচার বিভাগ কিংবা অন্য কোনো সংস্থা যে মানুষটিকে শাস্তি দিয়েছে, তিনি তো তাঁর কৃত অপরাধের মাশুল দিলেন। এরপর তিনি যখন সেই শাস্তি ভোগ করার পর আমাদের কাছে ফিরে আসবেন, তখন মানুষটির সামনে আর কখনো কোনোভাবে সেই অপরাধের কথা উচ্চারিত হওয়া উচিত নয়। সেই মানুষকে আবার ওই অপরাধের কথা বলে আঘাত করা এবং সেটা দেখে আমরা যদি তীব্রভাবে প্রতিবাদ না করি, তাহলে তার অর্থ হচ্ছে সেই সমাজ সভ্য হওয়া তো দূরে থাকুক, সেই পথেও নেই।

একটা সভ্য রাষ্ট্র এবং সমাজের লক্ষ্য হওয়া উচিত, সেই সমাজের এমন পরিবেশ তৈরি করা, যেখানে মানুষের অপরাধী হয়ে ওঠার প্রবণতা অনেক কমে যাবে। তারপরও কিছু অপরাধ ঘটবেই। সেসব ক্ষেত্রে অপরাধীদের শাস্তি নয়, বরং তাদের সমাজ থেকে বিযুক্ত করে, নানা প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে তাদের অপরাধ করার মনোবৃত্তি থেকে সরিয়ে আনতে হবে। তারপর তারা সমাজের মূল স্রোতে মিশে যাবেন একেবারে আগের মতো করে। কেউ অপরাধীদের অতীত ঘাঁটাঘাঁটি করে তাঁদের ক্রমাগত ক্ষত-বিক্ষত করে যাবেন না।

ক্রিকেটের স্পট ফিক্সিংয়ের মতো অপরাধ করা ছোট অপরাধী থেকে শুরু করে অনেক বড় অপরাধ করা মানুষেরা তাঁদের অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত শেষ করে ফিরে আসুক সমাজের মূল স্রোতে। আমরা যেন তখন তাঁদের দ্বিধাহীনভাবে বরণ করে নিতে পারি। সেটা না হলে এই সমাজের অপরাধীদের স্বর্গরাজ্য হওয়া থেকে কেউ ঠেকাতে পারবে না।

ডা. জাহেদ উর রহমান শিক্ষক, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ