পেশোয়ারে সন্ত্রাসী হামলার অভিঘাত

গত ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) একটি স্কুলে হামলা করে ১৩২ ছাত্রসহ ১৪১ জনকে হত্যা করে
গত ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) একটি স্কুলে হামলা করে ১৩২ ছাত্রসহ ১৪১ জনকে হত্যা করে

গত ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) একটি স্কুলে হামলা করে ১৩২ ছাত্রসহ ১৪১ জনকে যেভাবে হত্যা করেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ধরনের হত্যাযজ্ঞ কোনো বিবেকবান মানুষের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। এ ঘটনা ঘটেছে এমন একটি শহরে, যা শুধু ঐতিহাসিক নয়, শত বছর ধরে প্রধান সামরিক শহর হিসেবে খ্যাত। বর্তমানে পেশোয়ারে সেনাবাহিনীর কোর হেডকোয়ার্টার, প্যারামিলিটারি হেডকোয়ার্টার ও স্পেশাল ফোর্স বা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন উপস্থিত রয়েছে। এখান থেকেই পরিচালিত হচ্ছে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে জারবে-আজব নামক সামরিক অভিযান পাকিস্তানি তালেবান নামক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। কাজেই এমন এক পরিস্থিতিতে, এমন এক শহরে সেনাবাহিনী পরিচালিত একটি স্কুলে এ ধরনের আত্মঘাতী হামলা স্তম্ভিত করার মতো ঘটনা। এ হামলায় পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থা, রাজনৈতিক সরকারের কর্মদক্ষতা এবং সামরিক গোয়েন্দাদের কার্যক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
এ ঘটনার দায়দায়িত্ব টিটিপি তাৎক্ষণিকভাবে স্বীকার করে এ সংগঠনের মুখপাত্র মোহাম্মদ ওমর খোরামানি বক্তব্য দিয়ে বলেছেন যে পাকিস্তানি সেনা অভিযানে যেভাবে তাঁদের পরিবারদের নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে, তারই প্রতিশোধের জের এই হামলা। এই বক্তব্য গ্রহণযোগ্য না হলেও সত্য যে ওয়াজিরিস্তানে শত শত বছর ধরে যে প্রতিশোধের সংস্কৃতি বিদ্যমান, তা বদলায়নি। ওই অঞ্চলই একসময়
ছিল আফগান যুদ্ধে সোভিয়েতবিরোধী মুজাহিদদের প্রধান কেন্দ্র। এখানে শুধু প্রশিক্ষণই নয়, আইএসআই-সিআইএ পরিচালিত তথাকথিত জিহাদের অস্ত্র সরবরাহ থেকে শুরু করে স্থানীয় ও বিদেশি মুজাহিদদের আস্তানা ছিল। পরবর্তী সময়ে আল-কায়েদা তথা মধ্য এশিয়ার মুজাহিদদের স্থায়ী নিবাস হয়ে ওঠে উপজাতিশাসিত ওয়াজিরিস্তান, বিশেষ করে ওয়াজিরি গোত্রের বাসস্থান উত্তর ওয়াজিরিস্তান।
৯/১১-এর পরে আল-কায়েদা-তালেবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পটভূমিতে ওয়াজিরিস্তানে বায়তুল্লাহ মেসহুদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে ১৩টি ছোট ছোট জিহাদি গ্রুপের একক সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান। একধরনের যোগসূত্র তৈরি হয় ডুরান্ড লাইনের অপর পারে আফগান তালেবানদের মধ্য। এর প্রধান কারণ, একই উপজাতি ও ভাষাভাষীদের উভয় পাশে অবস্থান। উত্তর ওয়াজিরিস্তানভিত্তিক টিটিপির পাকিস্তানবিরোধী অবস্থানের কারণ অনেকটা ধর্মীয় উগ্রবাদের তত্ত্বে হলেও এর কারণ মূলত অন্য। টিটিপি ওয়াজিরিস্তানে পাকিস্তানি আইন ও উপস্থিতির ঘোর বিরোধিতার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে। ক্রমেই আমেরিকার ড্রোন হামলা এবং বিগত চার-পাঁচ বছর ধরে পাকিস্তান সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে টিটিপি সমগ্র পাকিস্তানে তৎপরতা বাড়িয়ে দেয়। এর প্রভাব পড়তে থাকে সমগ্র পাকিস্তানে। বহু সমর্থক তৈরি হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াজিরিস্তানের বাইরে সোয়াত উপত্যকা একপ্রকার দখলে নিয়েছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে প্রায় তিন বছর ওই অঞ্চলে অভিযান চালাতে হয়। ২০১২ সালে মালালা ইউসুফজাইকে হত্যার প্রচেষ্টার পর সর্বাত্মক অভিযানে সোয়াত অঞ্চল পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসে। ওয়াজিরিস্তানে এখনো পাকিস্তান সেনাবাহিনী সুবিধা করতে পারেনি। টিটিপি ওই অঞ্চল ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘাঁটি গেড়েছে, যার মধ্য পেশোয়ার উপকণ্ঠেও টিটিপির শক্ত অবস্থান গড়ে উঠেছে বলে ধারণা করা হয়। বিগত ডিসেম্বর ১৬, ২০১৪ সালে আর্মি স্কুলে পরিচালিত আত্মঘাতী হামলা এ অঞ্চল থেকেই পরিচালিত হয়েছে বলে বিশ্লেষকেরা বিশ্বাস করেন।
টিটিপির বিরুদ্ধে বিগত চার বছরের যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্মিলিত অভিযানে সমগ্র উত্তর ওয়াজিরিস্তানের ছোট ছোট শহর, গ্রাম যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছে, তাতে বিশ্বাস জন্মেছিল যে সামরিক অভিযানে তাদের সংগঠন ভেঙে পড়েছে। পেশোয়ারের হামলায় তেমন মনে হয়নি। যদিও বায়তুল্লা মেসহুদসহ পরবর্তী বহু নেতৃস্থানীয় নেতাদের ড্রোন এবং বিমান হামলায় মৃত্যু হয়েছে। তথাপি নেতৃত্বের অভাব যে হচ্ছে না, তার প্রমাণ এই আত্মঘাতী হামলা। এ হামলা প্রমাণ করে যে টিটিপি নতুনভাবে শক্তি সঞ্চয় করেছে।
পাকিস্তান বিগত তিন দশক থেকেই আফগান নীতি নিয়ে যে বিভ্রান্তির মধ্য রয়েছে, টিটিপি তারই ফসল। এই ঘটনার আগ পর্যন্ত সন্ত্রাসী, জিহাদি ও উগ্রপন্থীদের নিয়ে পাকিস্তানের সামরিক প্রতিষ্ঠান ও বেসামরিক সরকারের মধ্যে যে টানাপোড়েন চলছে, তারই বহিঃপ্রকাশ ১৬ ডিসেম্বরের হামলা। এতে সন্দেহ নেই যে আশির দশক থেকে একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিক পর্যন্ত পাকিস্তানের আফগান নীতি এবং তথাকথিত কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীদের সহযোগিতার বিষয় সামরিক নেতৃত্বের হাতে ছিল এবং অদ্যাবধি রয়েছে। প্রথমে জারদারি সরকার ও বর্তমানের নওয়াজ শরিফ সরকার এককভাবে এই দুই নীতিনির্ধারণের কেন্দ্রীয় চরিত্র গ্রহণ করতে পারেনি। যদিও পাকিস্তান সামরিক বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে টিটিপির বিরুদ্ধে ড্রোন হামলার সঙ্গে সহযোগিতা ও ওয়াজিরিস্তানে টিটিপির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিল কিন্তু আফগান নীতিতে তেমন পরিবর্তন আনেনি। পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর একচ্ছত্র আধিপত্যের কাছে নতিস্বীকার করতে হয়েছে সব বেসামরিক সরকারকে।
নিজের দেশে তালেবানদের বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও আফগান তালেবানদের সঙ্গে সহযোগিতার কোনো পরিবর্তন হয়নি। আইএসআইয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে আফগান নীতি। এর মূলে রয়েছে আফগানিস্তানে প্রভাব বিস্তারে ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা। আশির দশক থেকেই পাকিস্তান আফগানিস্তানকে আঞ্চলিক সামরিক কৌশলগত গভীরতার ক্ষেত্রে (স্ট্র্যাটেজিক ডেপথ) পরিণত করার নীতি থেকে সরে আসেনি। এ বিষয়ে তৎকালীন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই বহুবার অভিযোগ উত্থাপন করলেও পাকিস্তানের তরফ থেকে পরিবর্তন লক্ষিত হয়নি। উপরন্তু পাকিস্তানের আফগান নীতিকে যুক্তরাষ্ট্র একধরনের মৌন সম্মতি দিয়ে যাচ্ছে। ধারণা করা হয়, এরই প্রেক্ষাপটে আফগান তালেবানদের সঙ্গে পর্দার আড়ালে একধরনের আলোচনা চলছে। দুবাইতে আফগান তালেবানদের অফিস খোলার অনুমতিও এরই প্রেক্ষাপটে দেওয়া হয়েছিল। লক্ষণীয় যে পেশোয়ারের স্কুলে এই আক্রমণের অব্যবহিত পরপরই আফগান তালেবানদের পক্ষে মুখপাত্র জাবিহ্উল্লাহ মুজাহিদ এই হামলাকে নিন্দা জানিয়ে বলেছেন যে নিরীহ জনগণ, শিশু আর নারীদের ওপর পরিকল্পিত হামলা ইসলাম ধর্মের নীতিবহির্ভূত। (রয়টার্স, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৪)
আফগান তালেবানদের এ মন্তব্য বিশ্লেষণ করলেই প্রতীয়মান যে আফগান তালেবানরা টিটিপির কার্যকলাপ থেকে নিজেদের দূরে সরানোর প্রচেষ্টায় রয়েছে। এর প্রথম কারণ হতে পারে চলমান আলোচনার ওপর পেশোয়ারের ঘটনা যাতে প্রভাব ফেলতে না পারে এবং দ্বিতীয়ত, পাকিস্তান সামরিক তথা গোয়েন্দা সংস্থাকে আশ্বস্ত করা যে কোনোভাবেই টিটিপির এহেন কার্যকলাপে আফগান তালেবানদের কোনো সংস্রব নেই।
পেশোয়ারের এই দুঃখজনক ঘটনার পর পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক অঙ্গনে উদ্বেগ লক্ষণীয়। ইতিবাচক দিক হলো যে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বে পাকিস্তানের সব রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে বৈঠকে পাকিস্তানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সর্বাত্মক শক্তি নিয়োগের সিদ্ধান্তে সমর্থন দিয়েছে। এমনকি নওয়াজ শরিফবিরোধী বলে পরিচিত তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের প্রধান ইমরান খানও তাঁর নওয়াজবিরোধী আন্দোলন স্থগিত করে সরকারের উদ্যোগের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। এখনই সময় যখন বেসামরিক সরকার পাকিস্তানের সব রাষ্ট্রীয়, বিশেষ করে নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনীগুলোর নিয়ন্ত্রণ শক্ত করতে পারবে। সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যেকোনো ধরনের দূরত্ব দূর করে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের সঙ্গে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার। পাকিস্তান সেনাপ্রধান ও আইএসআইপ্রধান আফগান প্রতিপক্ষের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা প্রসারিত করার প্রচেষ্টায় সফর করেছেন। তবে এ সফর সামরিক বাহিনীর আফগান নীতিতে পরিবর্তন আনবে কি না, তা দেখার বিষয় হবে।
বর্তমান সমস্যা থেকে উত্তরণ করতে হলে পাকিস্তানকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত করতে হবে। পাকিস্তানের সরকার ও সামরিক সংস্থাকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের পরোক্ষ অথবা প্রত্যক্ষ সমর্থন প্রত্যাহার করে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের উদ্যোগ নিতে হবে। অপর দিকে পুরোনো আফগান নীতি পরিবর্তন করে আফগান সরকারের সঙ্গে পাকিস্তান সরকারের স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি করতে প্রচেষ্টা নিতে হবে। বাদ দিতে হবে কৌশলগত গভীরতার বা স্ট্র্যাটেজিক ডেপথ তত্ত্ব।
পাকিস্তানের এই দুঃখজনক ঘটনার মধ্য দিয়ে সে দেশের সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক নেতৃত্বের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সব সংস্থার, বিশেষ করে সামরিক বাহিনী তথা গোয়েন্দা তৎপরতা নিয়ন্ত্রণের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা কাজে লাগাতে হবে। নওয়াজ শরিফের পক্ষে পাকিস্তানের বৃহত্তর অংশের বড় সমর্থনের জায়গা তৈরি হয়েছে। এরই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের সমাজ থেকে সন্ত্রাসীদের পরাজিত করতে হলে সম্মিলিত শক্তি প্রয়োগে সুফল আসতে পারে। অন্যথায় ভবিষ্যতে পাকিস্তান আরও গভীর সংকটে নিমজ্জিত হবে, যা উপমহাদেশের স্থিতিশীলতা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য সুখকর হবে না।
যদিও পাকিস্তানের মতো ভয়াবহ সন্ত্রাসী তৎপরতার আশঙ্কা বাংলাদেশে পরিলক্ষিত হচ্ছে না, তথাপি আমরা যে খুব একটা স্বস্তিতে আছি বা ভবিষ্যতে থাকব, সেই নিশ্চয়তা নেই। ভারতে দক্ষিণপন্থী হিন্দুবাদীদের উত্থান, মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের অবস্থান বাংলাদেশে অতি দক্ষিণপন্থী উগ্রবাদকে উসকে দিতে পারে। তদুপরি বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একধরনের অস্থিরতা আর অনৈক্য দেশে উগ্রবাদী উত্থানের ক্ষেত্র প্রস্তুতের জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।
পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা যদি আরও ভেঙে পড়ে অথবা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা অকার্যকর হয়, সে ক্ষেত্রে সমগ্র উপমহাদেশে এর প্রভাব পড়বে।
এ পরিস্থিতিতে আমাদের উদগ্রীব হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চরমপন্থীদের সম্ভাব্য তৎপরতা সমূলে উৎপাটিত করতে হলে এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজন জাতীয় ও সামাজিক মতৈক্য সৃষ্টির। শুধু বাগাড়ম্বর অথবা শক্তি প্রয়োগে অথবা দোষারোপের রাজনীতির মাধ্যমে উগ্রবাদের উত্থান ঠেকানো সম্ভব নয়।
পাকিস্তানের দুঃখজনক ঘটনা নিন্দনীয়। বাংলাদেশের মানুষও এ ঘটনায় ব্যথিত, যেখানে পরিকল্পিত শিশুহত্যা—যেকোনো কারণেই হোক—গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ তারই বহিঃপ্রকাশ।
এম সাখাওয়াত হোসেন: অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও কলাম লেখক৷
[email protected]