প্রতিবেশীর ইচ্ছেপূরণ

মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোয় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের একটি মুহূর্ত l ছবি: ফোকাস বাংলা
মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোয় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের একটি মুহূর্ত l ছবি: ফোকাস বাংলা

‘রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত লোকজনের ফিরে যাওয়ার’ বিষয়ে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি দলিল স্বাক্ষরিত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কথা বলা হলেও দলিলটির শিরোনামে দ্বিপক্ষীয় ব্যবস্থা (অ্যারেঞ্জমেন্ট) শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে, যাকে ব্যবস্থাপত্র বললে বোধ হয় ভুল হবে না। আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক পরিভাষায় এ ধরনের ‘ব্যবস্থা’পত্রের নজির যেহেতু চোখে পড়ে না, সেহেতু নতুন ধারণা উদ্ভাবনের জন্য মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সেই সব কূটনীতিক ধন্যবাদ পেতেই পারেন, যাঁরা এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

ব্যবস্থাপত্রটি স্বাক্ষরের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী যে সৎ ও খোলাখুলি মন্তব্য করেছেন, সে জন্য তাঁর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। কেননা, রাজনীতিতে সততা খুবই বিরল একটি গুণ। তাঁর কথায় ‘১৯৯২ সালের চুক্তিই তাঁরা অনুসরণ করতে চান। মোটামুটি সেভাবেই জিনিসটা করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো।’ বাংলাদেশ যখন সব মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বড় মনের পরিচয় দিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে, তখন একটি প্রতিবেশীর প্রতি উদার না হলে কি চলে?

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো। এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত করার অবকাশ নেই। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ’৯২ সালের চুক্তি অনুযায়ী মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশকেই ফেরত নেয়নি। সুতরাং যে চুক্তিকে এতটা অনুকরণীয় আদর্শ বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেই চুক্তির ধারা অনুসরণ করলে এবারও যে বহুসংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে থেকে যাবে, তা আমরা কীভাবে ভুলে গেলাম? আমাদের কূটনীতিকদের অভিজ্ঞতাসূত্রে আমরা জানি, মিয়ানমার কথার বরখেলাপ করায় অভ্যস্ত এবং সে কারণে তারা সাধারণত দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সম্মত কার্যবিবরণীও সই করে না। এই ব্যবস্থাপত্র স্বাক্ষরের উদ্দেশ্য যদি হয় নিজেদের মহানুভবতা তুলে ধরা, তাহলে আমরা নিশ্চয়ই বাহবা পেতে পারি। কিন্তু রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে নেপিডো কথা রাখবে, এমনটি মনে করার কোনো কারণ নেই।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে কথিত আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সন্ত্রাসীদের দমনের অভিযান শুরু করে গত ২৫ আগস্ট। অভিযানের নিষ্ঠুরতা ও রোহিঙ্গা জাতিবিনাশী উপাদানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন প্রথম সোচ্চার হয়। প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ বাধ্য হয়েই সীমান্ত খুলে দেয়। কিন্তু অত্যন্ত অল্প সময়েই আশ্রয়প্রার্থী রোহিঙ্গাদের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে যায়। তাদের স্রোত অব্যাহত থাকায় সংকট সমাধানে ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রী পাঁচ দফার একটি প্রস্তাব তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব ছিল:

১. অনতিবিলম্বে এবং চিরতরে মিয়ানমারে সহিংসতা ও ‘জাতিগত নিধন’ নিঃশর্তে বন্ধ করা; ২. অনতিবিলম্বে মিয়ানমারে জাতিসংঘের মহাসচিবের নিজস্ব একটি অনুসন্ধানী দল পাঠানো; ৩. জাতি-ধর্মনির্বিশেষে সব সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান এবং এ লক্ষ্যে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সুরক্ষা বলয় গড়ে তোলা; ৪. রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত সব রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে তাদের নিজ ঘরবাড়িতে প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা; এবং ৫. কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালার নিঃশর্ত, পূর্ণ ও দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবগুলো তুলে ধরার সময়েই বলেছিলেন যে জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর হিসাবে তখন পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তিনি জাতিসংঘে যেমন রোহিঙ্গা সমস্যা বিষয়ে তাঁর সরকারের অবস্থান তুলে ধরেছেন, তেমনি পাশ্চাত্যের কয়েকটি দেশ—ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, সুইডেন ও যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে মানবিক দুর্যোগ বিবেচনায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদ অন্তত তিন দফা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে এবং অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। চীন ও রাশিয়ার আপত্তির কারণে কোনো প্রস্তাব পাস করা সম্ভব না হলেও সবার বক্তব্যে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান ছিল। সর্বশেষ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি একটি বিবৃতিতে সহিংসতা বন্ধ করা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্রুত ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এখানে স্মরণ করা প্রয়োজন, নিরাপত্তা পরিষদের বিদ্যমান ব্যবস্থায় চীন ও রাশিয়া রাজি না হলে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি ওই বিবৃতি দিতে পারতেন না। পাশাপাশি জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ ও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের থার্ড কমিটি থেকে একই ধরনের আহ্বান জানানো হয়েছে। মানবাধিকার ও সামাজিক বিষয়ে বিশেষ আলোচনা বা প্রস্তাব গ্রহণের ফোরাম থার্ড কমিটিতে গৃহীত প্রস্তাবে অত্যন্ত জোরালোভাবে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি দিয়ে নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে প্রত্যাবাসনের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এসব প্রস্তাব বা আহ্বানে ভ্রুক্ষেপ ঘটেনি মিয়ানমারের। তাদের নিরাপত্তা অভিযান চালু থেকেছে এবং ইত্যবসরে আরও প্রায় সোয়া দুই লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে।

মিয়ানমার যে পরিকল্পিতভাবে ও নিষ্ঠুর পন্থায় রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধনে লিপ্ত ছিল, এমন আলামত ও প্রমাণ বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী, জাতিসংঘ ও বিভিন্ন দেশের জনপ্রতিনিধিরা পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নেপিডো সফর করে দেশটির সামরিক-বেসামরিক নেতাদের বক্তব্য শোনার পরও ওয়াশিংটন ফিরে গিয়ে জাতিগত নিধনের প্রমাণ পাওয়ার কথা বলেছেন। দেশটির সিনেট ও কংগ্রেসের যে প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করে গেছে, তারাও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও পাশ্চাত্যের অনেকেই দায়ী সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করানোর দাবি জানিয়েছে। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা আলোচনার জন্য শিগগিরই জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ বিশেষ অধিবেশনে মিলিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন একটি জাতিবিদ্বেষী সরকার ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কঠোরতর ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হয়েছে, তখন প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা বলে যে ব্যবস্থাপত্রটি বাংলাদেশ গ্রহণ করেছে, তাতে নিরীহ জনগোষ্ঠীর ওপর অযৌক্তিক ও অসহনীয় নিষ্ঠুর সহিংসতার কোনো উল্লেখমাত্র নেই।

প্রধানমন্ত্রী সাধারণ পরিষদে সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানালেন, জাতিসংঘে আমাদের স্থায়ী প্রতিনিধি একাধিকবার নিরস্ত্র রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতার অভিযোগ করলেন, অথচ ব্যবস্থাপত্রে তার কোনো উল্লেখ নেই। ব্যবস্থাপত্রের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে পটভূমি বর্ণনায় লেখা হয়েছে, ‘২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর এবং ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সন্ত্রাসী হামলার পর রাখাইন রাজ্যের মুসলমান এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সদস্য, যারা মিয়ানমারের বাসিন্দা, তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, এ কথা মনে রেখে...’।

রোহিঙ্গা সংকটের উৎস মিয়ানমার, কিন্তু তার প্রথম ধাক্কাটি সামলাতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। অথচ বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতায় স্পষ্টাক্ষরে লেখা হয়েছে রাখাইনের মুসলমান ও অন্যরা বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে গেছে সন্ত্রাসীদের কারণে—মিয়ানমারের সরকার বা নিরাপত্তা বাহিনীর কারণে নয়। মিয়ানমারের জন্য এর চেয়ে বড় স্বস্তির বিষয় আর কী হতে পারে? বাকি বিশ্বের কে কোথায় জাতিগত নিধন বা মানবতাবিরোধী অপরাধের কথা বলবে, সে কথা শোনার আর কোনো প্রয়োজন আছে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভালোই জানেন। অথচ মাত্র দুই মাস আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরামর্শেই জাতিসংঘের তদন্তের দাবি উত্থাপিত হয়েছে। মিয়ানমারের ভেতরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সুরক্ষা বলয় বা সেফ জোন প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গ না হয় আর না-ই তুললাম। বাড়তি পাওনা হিসেবে মিয়ানমার আরও যেসব কারণে উৎফুল্ল বোধ করতে পারে, তার মধ্যে রয়েছে ব্যবস্থাপত্রের কোথাও রোহিঙ্গা পরিচয় তো নয়ই এমনকি মিয়ানমারের ‘নাগরিক’ কথাটিরও উল্লেখ না থাকা (বলা হয়েছে ‘বাসিন্দা’) এবং প্রত্যাবাসনের কোনো ধারাবাহিক লক্ষ্যমাত্রা এবং তা শেষের কোনো সময়সীমা ঠিক না করা। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার অধিকার নির্ধারণে বাংলাদেশের আদালতকে যে ভূমিকা দেওয়া হয়েছে, তার ফলে তাদের ওই প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হতে পারে।

মিয়ানমার চেয়েছে বলে বাংলাদেশ ১৯৯২-এর চুক্তি অনুসরণে সমঝোতা করেছে। গত বছরের অক্টোবরের আগ পর্যন্ত দেড়-দুই দশক ধরে যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে রয়ে গেছে, তাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ও ভবিষ্যতের আলোচনার জন্য রেখে দেওয়া হয়েছে। গণহত্যার মতো নৃশংসতার জ্বালা যে জাতি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে, তারাই প্রতিবেশীর সীমানায় গণহত্যা বা মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হওয়ার কথা জেনেও সে বিষয়ে নিশ্চুপ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবকিছুই করা হয়েছে প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে। একে কি মহানুভবতা বলা হবে? নাকি অন্যায়ের প্রশ্রয়দান?

কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলোতে এমন অনেক রোহিঙ্গা শরণার্থী আছে, যারা এর আগেও দেশান্তরি হয়ে এ দেশে এসেছিল এবং উভয় দেশের কর্মকর্তাদের আশ্বাস ও জাতিসংঘ উদ্বাস্তু কমিশন ইউএনএইচসিআরের তদারকিতে ফিরে গিয়ে প্রতারিত হয়েছে। তাদের আবারও বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসতে হয়েছে। তবে আগের আশ্বাসে প্রতারিত হওয়ার কারণে হয়তো পরিবারে কোনো একজন সদস্যকে হারিয়েছে, পরিশ্রমে গড়া আবাস কিংবা সঞ্চয় খুইয়েছে। তাদের চোখের পানি সাগরেই মিলিয়ে গেছে।

কোনো জাতীয় বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এখনো প্রাণহানির সংখ্যা অনুমান করতে পারেনি। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে যারা নির্যাতন-নিপীড়নের তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে নানা উপায়ে বিদেশি সাংবাদিক বা সংস্থার কাছে পাঠিয়ে দিত, তাদের সেনাবাহিনীর চররা আগেই চিহ্নিত করে রেখেছিল। ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা ২৭ নভেম্বর খবর দিয়েছে, সেসব তথ্যদাতা বা অঘোষিত সংবাদদাতাকে সেনাবাহিনী উঠিয়ে নিয়ে গেছে এবং তারা আর ফেরেনি। আশঙ্কা করা হচ্ছে তাদের সবাইকে মেরে ফেলা হয়েছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দাবি করেছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নারী ধর্ষণকে জাতিনিধন অভিযানের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। ২৭ নভেম্বর যুক্তরাজ্য সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন দপ্তর যৌন সহিংসতার শিকার আনুমানিক দুই হাজার নারীর জন্য আলাদা তহবিল বরাদ্দ করেছে। মোট ধর্ষিতার সংখ্যা কত, তা জানতে হয়তো আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর নিষ্ঠুরতার তালিকা সহজে শেষ করা যাবে না। কিন্তু যে তথ্যটি সবারই জানা তা হলো নিষ্ঠুরতায় তাদের অভ্যস্ততা। এর আগেও রোহিঙ্গারা যতবার দেশান্তরি হয়েছে, ততবারই তাদের ওপর নির্বিচারে হত্যা-ধর্ষণ-লুট-অগ্নিসংযোগের প্রমাণ মিলেছে। প্রতিবেশী একজন খুনি, এ কথা জানার পর আপনি কী করবেন? আপনার প্রথম কাজ নিশ্চয়ই হবে পুলিশকে খবর দেওয়া এবং এটা নিশ্চিত করা যেন খুনির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। দেশের ক্ষেত্রে কেন তেমনটি হবে না?

কামাল আহমেদ: সাংবাদিক।