যে কারণে টিসিবির ট্রাকের সংখ্যা মাত্র ৪০০

চাহিদার তুলনায় টিসিবির ট্রাকের কিংবা ওএমএসের চাল বিক্রির দোকানের সংখ্যা এত কম কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সরকারের কিছু মুখপাত্র যাচ্ছেতাই বিদ্রূপ-তাচ্ছিল্য করছেন
ছবি : প্রথম আলো

ইরুন্নেসার পরিবারের সদস্যসংখ্যা কতজন, জানি না। যদি ধরে নিই এ সংখ্যা ৫, তাহলে ইরুন্নেসার পরিবারের মাসিক আয় বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়ের সরকারি হিসাব অনুযায়ী ৯০ হাজার টাকার বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু তাঁর পরিবারের আয় এর আশপাশে নয়, তার প্রমাণ ২০০ বা ২৫০ টাকা সাশ্রয় করার জন্য উচ্চ রক্তচাপের রোগী ইরুন্নেসার টিসিবির ট্রাকের পেছনে লাইনে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা। কিন্তু তিনি পারেননি ‘সামান্য’ কয়টা টাকা বাঁচাতে। ‘সকালে লাইনে, বিকেলে খালি হাতে ফেরা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রথম আলোর প্রতিবেদনে ইরুন্নেসার ঘটনাটি এ রকম আরও শত শত ঘটনার একটি, যেটি এ মুহূর্তে ‘উন্নয়নের মহাসড়কে তীব্র বেগে ধাবমান’ বাংলাদেশের নিত্যকার গল্প।

যাঁদের কিছুটা আগ্রহ আছে দেশের অবস্থা বোঝার, যাঁদের কিছুটা চোখ-কান খোলা রাখার অভ্যাস আছে, তাঁরা এ ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় টিসিবির ট্রাকের লাইনের দৈর্ঘ্য দ্রুত বাড়তে দেখেছেন কয়েক মাস ধরেই। দেখেছেন, ট্রাক আসার আগে থেকেই অনেক মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন পণ্য পাবেন বলে। আর আজকের সামাজিক মাধ্যমের যুগে প্রত্যেকেই এখন নাগরিক সাংবাদিক, তাই ট্রাকের পেছনে মানুষের উদ্‌ভ্রান্তের মতো দৌড় দেওয়া, লাইনে মানুষের নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পড়া—এসব আমরা দেখছি প্রতিনিয়ত।

ট্রাকের পেছনে লাইনে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলো দীর্ঘদিন থেকে মধ্যবিত্তদেরও দেখতে পাচ্ছিল। নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিতে কেমন হাঁসফাঁস করছেন, তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। অবশ্য মধ্যবিত্তের টিসিবির লাইনে দাঁড়ানো এখন এতটাই বেড়ে গেছে যে শেষ পর্যন্ত বাণিজ্যমন্ত্রীও স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন, ভালো জামাকাপড় পরা মানুষকেও টিসিবির ট্রাকের লাইনে দেখা যাচ্ছে।
এখন টিসিবির ট্রাকে পণ্য বিক্রি আবার চালু করা হলেও আমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, গত মাসের শেষে টিসিবির পণ্য বিক্রির ট্রাক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তখনো ট্রাকের পেছনে মানুষের লাইনের দৈর্ঘ্য কমেনি, বরং বাড়ছিল। ফলে প্রশ্ন আসে, কেন তখন ট্রাকগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল?

এ সরকারের দেওয়া ডেটার বিশ্বাসযোগ্যতার মান অতি নিম্ন পর্যায়ের, এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। নিজের স্বার্থের পক্ষে সরকারের ডেটার বিকৃতি নিয়ে দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তীব্র সমালোচনা আছে। তবুও তর্কের খাতিরে ধরে নিই, টিসিবির ট্রাকের ক্ষেত্রে সরকারের দেওয়া তথ্যটি সঠিক—সারা দেশে ৪০০ ট্রাক পণ্য বিক্রি করছে। প্রতিটি ট্রাকে ২৫০ জনকে দেওয়ার মতো পণ্য থাকে। অর্থাৎ টিসিবির সব ট্রাক থেকে প্রতিদিন এক লাখ মানুষকে পণ্য দেওয়া সম্ভব।

চাহিদার তুলনায় টিসিবির ট্রাকের কিংবা ওএমএসের চাল বিক্রির দোকানের সংখ্যা এত কম কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সরকারের কিছু মুখপাত্র যাচ্ছেতাই বিদ্রূপ-তাচ্ছিল্য করছেন, তাঁদের কথা বাদ দিই। কিন্তু সরকারেরই নানা দায়িত্বশীলদের মুখ থেকে শোনা যায়, সরকার তার সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে যতটা সম্ভব করছে। মজার ব্যাপার হলো এই ‘সীমিত সামর্থ্য’-এর সরকারটিরই সামর্থ্য অসীম দেখা যায়, যখন তারা কতগুলো ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ করে।

কেউ টিসিবির ট্রাক থেকে পাওয়া পণ্যে যদি পরিবার এক সপ্তাহ চালাতে পারেন, তাহলে সব কটি ট্রাক দিয়ে পুরো মাসের জন্য ওই কয়েকটি পণ্য দেওয়া সম্ভব সাত লাখ পরিবারকে। প্রতি পরিবারের গড় সদস্যসংখ্যা ৫ ধরলে এ পণ্যের সুবিধা পাওয়া মানুষের সংখ্যা হবে ৩৫ লাখ। ব্র্যাক-পিপিআরসি ও সানেমের গবেষণায় করোনার অভিঘাতে এ মুহূর্তে বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের সংখ্যা কমপক্ষে সাড়ে সাত কোটি। এ সংখ্যার সঙ্গে ৩৫ লাখ সংখ্যাটির তুলনা করেছে সরকার?

বর্তমানে বাংলাদেশে ইউনিয়ন আছে সাড়ে চার হাজার। আছে অনেকগুলো পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন। প্রতি ইউনিয়নে ন্যূনতম একটি এবং জনসংখ্যা অনুযায়ী পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে ট্রাক রাখতে চাইলে ট্রাকের প্রয়োজন হতো অন্তত ৬ হাজার। কিন্তু না, সারা দেশের কোটি কোটি মানুষের জন্য ট্রাকের সংখ্যা মাত্র ৪০০টি।

এ পর্যায়ে বলে রাখতে চাই, দ্রব্যমূল্যের অযৌক্তিক ও অন্যায্য মূল্যবৃদ্ধির জন্য যেসব কারণ আছে, সেগুলোর অংশ হওয়া থেকে সরকারের অতি উচ্চপর্যায়ের মানুষেরা সরে না এসে, সেগুলো নিয়ে কাজ না করে টিসিবির ট্রাক দেওয়া আসলে কোনো সমাধান নয়। তবে এ ট্রাকের সংখ্যা সরকারের মানসিকতার এক গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ।

করোনা–পরবর্তী সময় বলে, এ সরকার কখনো প্রান্তিক মানুষদের কথা আন্তরিকভাবে ভাবেনি। করোনার আগেও বাংলাদেশের বাজেটে কল্যাণ খাত (ওয়েলফেয়ার), অর্থাৎ স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে জিডিপির অনুপাতে বাজেট বরাদ্দ দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বনিম্ন এবং বিশ্বে অন্যতম সর্বনিম্ন ছিল। এ দেশের সরকার প্রান্তিক মানুষের জন্য কতটা মনোযোগহীন, তার একটা প্রমাণ দেওয়া যাক।

আরও পড়ুন

বর্তমান অর্থবছরের বাজেটটি হয়েছে করোনাকালে, যখন দেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের সংখ্যা আগের চেয়ে দ্বিগুণ ছিল। প্রস্তাবিত বাজেটে কাগজে-কলমে এক লাখ সাত হাজার কোটি টাকার বেশি বাজেট বরাদ্দ দেখানো হয়েছিল সামাজিক সুরক্ষা খাতে। অথচ এতেই আছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসর ভাতা, গ্র্যাচুইটি, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, সঞ্চয়পত্রের সুদ, উপবৃত্তির টাকা, এমনকি প্রণোদনার জন্য দেওয়া ঋণের সুদে ভর্তুকি সমন্বয়ের অর্থ, যা আসলে প্রান্তিক মানুষের জন্য নয়।

বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা—এ রকম নানা শ্রেণিতে সমাজের প্রান্তিক মানুষকে ভাতা দেওয়া হয়। এই অর্থবছরে উপকারভোগীর সংখ্যা ছিল মোট ১ কোটি ১২ লাখ। তাঁদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মাসিক ভাতার পরিমাণ ৫০০ টাকা, আর অল্প কিছু ক্ষেত্রে ৭৫০ টাকা। অর্থাৎ মোট বরাদ্দ সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা হতে পারে। সরকারি গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিক সুরক্ষা নানা কর্মসূচিতে যেসব নাম তালিকাভুক্ত হয়, তার মধ্যে কমপক্ষে ৪৬ শতাংশ ভাতা পাওয়ার যোগ্য নন। সেই সমালোচনা সরিয়ে রেখেও বলি, এ টাকার পুরোটাই যদি সত্যিই প্রান্তিক দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছাত, তবুও এর পরিমাণ অতি অপর্যাপ্ত, বর্তমান জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ।

চাহিদার তুলনায় টিসিবির ট্রাকের কিংবা ওএমএসের চাল বিক্রির দোকানের সংখ্যা এত কম কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সরকারের কিছু মুখপাত্র যাচ্ছেতাই বিদ্রূপ-তাচ্ছিল্য করছেন, তাঁদের কথা বাদ দিই। কিন্তু সরকারেরই নানা দায়িত্বশীলদের মুখ থেকে শোনা যায়, সরকার তার সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে যতটা সম্ভব করছে। মজার ব্যাপার হলো এই ‘সীমিত সামর্থ্য’-এর সরকারটিরই সামর্থ্য অসীম দেখা যায়, যখন তারা কতগুলো ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ করে।

বড় বড় ভৌত অবকাঠামো তৈরি করা তাবৎ কর্তৃত্ববাদী শাসকদের প্রধান অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকে। এর গৌণ কারণটি হচ্ছে ভৌত অবকাঠামো চোখে দৃশ্যমান হয়, তাই এগুলোকে উন্নয়ন হিসাবে দেখানো খুব সহজ। আর মুখ্য কারণ হচ্ছে, এই ভৌত অবকাঠামো তৈরির মাধ্যমে সরকারের রাজনৈতিক ও আমলাতন্ত্র উভয় অংশের উচ্চপর্যায়ের মানুষ ও তার সঙ্গে যুক্ত কিছু ব্যবসায়ীর (অলিগার্ক) অকল্পনীয় রকম উপার্জনের সুযোগ হয়। বাংলাদেশের অবকাঠামো তৈরির নামে লুটপাটের কথা বিরোধী দলের রাজনীতিবিদদের কথা নয়, ২০১৭ সালের জুনে বিশ্বব্যাংক তথ্য-উপাত্ত দিয়ে প্রমাণ করেছে, বাংলাদেশে যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ ব্যয় ভারত ও চীনের কয়েক গুণ। প্রতিষ্ঠানটি দুর্নীতিকেই প্রধান কারণ হিসাবে দেখিয়েছিল।

আরও পড়ুন

প্রান্তিক জনগণের জন্য কিছু না করতে চাওয়া সরকারটি তার অলিগার্কদের জন্য কী করে, তার একটা অসাধারণ উদাহরণ হচ্ছে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রয়োজন না থাকলেও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়িয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ না কিনেও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে দিচ্ছে কিছু ব্যবসায়ীর (অলিগার্ক) হাতে। গ্রীষ্মকালীন সর্বোচ্চ চাহিদার তুলনায়ও বর্তমানে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা অন্তত ৫০ শতাংশ বেশি। তাই তীব্র সমালোচনার মুখে আমাদের শোনানো হয়েছিল, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ ২০২১ সালের পর আর বাড়ানো হবে না। অথচ মাসখানেক আগেই অতি প্রভাবশালী কয়েকটি গ্রুপের পাঁচটি কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কোনো দেশের সরকার জনকল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করতে চাইবে, এটা আমরা ভাবতেই পারি। সত্যিকার অর্থে রাজনীতিতে আসার কথা এ রকম মানুষদেরই, যাঁরা নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়াবেন। কিন্তু পৃথিবীর ইতিহাস বলে, বিশেষ করে আমাদের মতো দেশগুলোতে রাজনীতি করতে চাওয়া মানুষদের প্রায় সবাই রাজনীতি করেন ক্ষমতা-প্রতিপত্তি অর্জন আর টাকা বানানোর জন্য। কিন্তু এমন কোনো মানসিকতার রাজনীতিকেরা ক্ষমতায় থাকলেও যদি জনগণকে কিছুটা ভয় পান, তাহলে যাচ্ছেতাই করতে পারেন না। ক্ষমতাসীনরা জনগণকে ভয় পায় দুটি কারণে। যদি সরকারটিকে জনগণের ম্যান্ডেট পেয়ে নির্বাচিত হয় অথবা জনগণ যদি তাদের চূড়ান্ত খারাপ পরিস্থিতিতে রাস্তায় অসন্তোষ প্রকাশ করে। সরকারের দিক থেকে জনগণকে ভয় পাওয়ার একটি কারণও বাংলাদেশে এখন নেই।

আরও পড়ুন

বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন দুর্ভিক্ষ নিয়ে তাঁর বিখ্যাত গবেষণায় অনেকগুলো উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন, গণতন্ত্র কীভাবে একটি দেশের দুর্ভিক্ষ ঠেকিয়ে দেয়। তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে মুক্ত সংবাদমাধ্যম থাকে। মুক্ত সংবাদমাধ্যমে যখন কোনো এলাকার দুর্ভিক্ষের খবর আসে, তখন সরকারকে চাপে পড়ে হলেও ব্যবস্থা নিতে হয়। কারণ সরকারটিকে কিছুদিন পরই নির্বাচনে যেতে হবে। দুর্ভিক্ষের প্রয়োজন নেই, মানুষের ভোট পেতে হলে মানুষের জন্য, এমনকি অনিচ্ছা থাকলেও কাজ করতে হবে। এটা কি শুধু দুর্ভিক্ষের ক্ষেত্রেই সত্য?

ভারতে বিজেপির রাজনীতির আলোচনায় হিন্দু পরিচয়বাদী রাজনীতি নিয়েই কথা হয় অনেক বেশি। এটা হওয়ারই কথা। কিন্তু ক্ষমতাসীন বিজেপিও জানে, শুধু হিন্দু পরিচয়বাদী রাজনীতি দলকে উপর্যুপরি ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত করবে না। তাই সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে বিজেপির জয়ের পেছনে অনেক দরিদ্র মানুষকে দীর্ঘদিন অত্যন্ত কম মূল্যে অত্যাবশ্যকীয় ভোগ্যপণ্য দেওয়াকে একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। একইভাবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি দিল্লির জনগণের জন্য নানা সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেই পরাক্রমশালী বিজেপির বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষমতায় ধরে রাখতে পেরেছিল। এমনকি দিল্লির সাধারণ জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করার মডেল এখন পাঞ্জাবের মানুষকেও আশান্বিত করেছে এবং জনগণ তাদের প্রদেশ শাসনের ভার তুলে দিয়েছেন আদমি পার্টির হাতে।

বিশ্বের সব সরকারব্যবস্থার মধ্যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাটিই তার সব ত্রুটিবিচ্যুতি সত্ত্বেও শ্রেষ্ঠতম ব্যবস্থা বলে প্রায় সবার কাছে স্বীকৃত। এতে জনগণ কিছুটা হলেও ক্ষমতায়িত থাকে। আর গণতন্ত্রহীনতায় একটা গোষ্ঠীর হাতেই চলে যায় সবকিছু (অলিগার্কি)। রাষ্ট্রের সবকিছু শুষে নিয়ে রাতারাতি ফুলেফেঁপে ওঠে সেই গোষ্ঠী। সেই গোষ্ঠীটির অকল্পনীয় পরিমাণ আয়ের সঙ্গে টিসিবির ট্রাকের পেছনে দৌড়ে বেড়ানো মানুষগুলোর আয়ের গড় করে তাকে আবার বাড়িয়ে সরকার বিরাট উন্নয়নের গল্প ফাঁদতে পারে। টিসিবির ট্রাক একটিও না থাকলেই-বা কী।

ডা. জাহেদ উর রহমান ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষক