সাম্প্রদায়িকতার রিংমাস্টাররা কেন সুযোগ পাচ্ছে

সব কিছু পুড়ে শেষ। হামলা–সহিংসতার কথা মনে করে কান্না থামাতে পারছেন না রংপুরের পীরগঞ্জের বড়করিমপুর এলাকার এই নারী
ছবি : প্রথম আলো

কোনো হামলাযজ্ঞ যদি তিন দিনের বেশি চলে, তাহলে নিশ্চিত ধরে নিতে হবে, এটা কোনোভাবেই স্বতঃস্ফূর্ত নয়। এটা আমার কথা না। এটা দাঙ্গা ও সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে গবেষণা করা সমাজবিজ্ঞানী আশীষ নন্দীর কথা। ভারতের প্রেক্ষাপটে তিনি লিখেছিলেন, ‘প্রশাসন চাইলে ৩ থেকে ৬ ঘণ্টার বেশি কোনো দাঙ্গা চলতে পারে না। যদি পারে, তাহলে বুঝতে হবে, সরকার চেয়েছে বলেই হয়েছে।’

শারদীয় দুর্গাপূজায় কুমিল্লায় যা শুরু হয়েছিল, তাতে আগুনের হলকা যুক্ত হলো রংপুরে। একের পর এক চৌমুহনী, হাজীগঞ্জ, নোয়াখালী, ফেনী, চাঁদপুরসহ চট্টগ্রাম বিভাগীয় বেল্ট থেকে তা লাফিয়ে গিয়ে পড়ল রংপুরের পীরগঞ্জের দরিদ্র জেলেপল্লিতে। ১৭ তারিখ রাতে সেখানকার একটি গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আজ সেখানে সর্বস্ব হারানো, নির্যাতিত ও অপমানিত মানুষের আহাজারি শোনা যাচ্ছে। সবার মনেই প্রশ্ন, প্রশাসন কোথায় গেল?

রংপুরের পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার ঘটনার পরদিন সকালে ঘটনাস্থলে যান। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘হামলাকারীদের কোনো ছাড় নেই। তারা হানাদার বাহিনীর মতো বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। ইতিমধ্যে অভিযান চালিয়ে অন্তত ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে।’

হ্যাঁ, পুলিশ পাহারা ছিল। তবে সেটা পাশের গ্রামে। পোড়াগ্রামে পুলিশ আসে ঘটনার পর। পুলিশের পায়ে কি ভারী পাথর বাঁধা ছিল? তাই আসতে দেরি হয়েছে? জেলা প্রশাসকই বা কী করেছেন। কী করেছেন দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ক্ষমতাসীন দলের নেতারা! তাঁদের তৎপরতা নিষ্ফল, বক্তব্য বিভ্রান্তিকর, ভূমিকা সন্দেহজনক।

কিন্তু যে ঘটনায় সব পক্ষই সরকারকে দোষারোপ করছে, সেই ঘটনা সরকার কেন ঘটাবে? কেন ঘটিয়েই চলবে? কুমিল্লার যে মন্দিরে পবিত্র কোরআন অবমাননা হওয়ার অভিযোগ থেকে এই মানবিক দুর্যোগের সূত্রপাত, সেখানকার হামলা নিয়ে দেশের একজন শীর্ষ হিন্দু নেতা সরকারি দলের একজন এমপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।

গত কয়েক বছরে নাসিরনগর, শাল্লা, রামু, সাঁথিয়ায়; যেখানেই হিন্দু-বৌদ্ধরা আক্রান্ত হয়েছেন, সেখানেই সরকারদলীয় লোকের হাত দেখা গেছে। এমনকি কেউ কেউ পুরস্কৃত হয়েছেন, পদও পেয়েছেন।

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার যে দৃশ্য থেকে হিংসা ছড়াল, সেই ঘটনার মধ্য দিয়ে কিন্তু দুটি ধর্মকেই অবমাননা করা হয়েছে। যে বা যারাই এটা করুক, তারা উভয় সম্প্রদায়কেই অপমান করেছে। এখন দরকার উভয়ে মিলে এই চক্রান্তের জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা। সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে যে অবিশ্বাসের আগুন, যে বিভেদের পরিখা তৈরি করা হয়েছে, তা সব ধর্মের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জন্যই অমঙ্গলজনক।

এখন প্রশ্ন হলো, এতে তাঁদের কী লাভ হতে পারে? কেউ বলতে পারেন, এসব সাম্প্রদায়িক হামলাবিরোধী জনসমর্থন বিরোধীদের দমনে কাজে লাগানো হবে। সে জন্যই কি যোগাযোগমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রী একযোগে বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে বক্তৃতা দিচ্ছেন? মাঠ পর্যায়ের কিছু বিএনপি-জামায়াত বা অন্য কোনো ইসলামি দলের অনুসারীরা সন্ত্রাসী দঙ্গলে মিশে যেতে পারেন। কিন্তু দশটি জেলায় চার দিন ধরে ছক কষে কষে হামলা করার তাকদ কি তাঁদের আছে? যেখানে চায়ের দোকানেও তিন-চারজন বিরোধী দলের কর্মী আলাপ করতে পারেন না, নিয়মিতভাবে তাঁদের নেতাদের ফোনের আলাপ ফাঁস হয়, সেখানে এই বিরাট ধ্বংসযজ্ঞ চাইলেও কি তাঁরা করতে সক্ষম? সমাজবিজ্ঞানে বেনিফিশিয়ারি বা লাভবান বলে একটি তত্ত্ব আছে। বাংলাদেশের হিন্দুসমাজ কাঁদিয়ে, তার জন্য মুসলমানদের অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে কার লাভ?

কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার যে দৃশ্য থেকে হিংসা ছড়াল, সেই ঘটনার মধ্য দিয়ে কিন্তু দুটি ধর্মকেই অবমাননা করা হয়েছে। যে বা যারাই এটা করুক, তারা উভয় সম্প্রদায়কেই অপমান করেছে। এখন দরকার উভয়ে মিলে এই চক্রান্তের জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসা। সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে যে অবিশ্বাসের আগুন, যে বিভেদের পরিখা তৈরি করা হয়েছে, তা সব ধর্মের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জন্যই অমঙ্গলজনক।

বাংলাদেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা বেশিক্ষণ চলতে পারে না। দাঙ্গা তো হয়ই না, যা হয় তাকে একচেটিয়া সন্ত্রাস বলা চলে। অধিকাংশ ঘটনাই হয় ঝোড়ো কালবৈশাখী কায়দায়। এ জন্যই সুযোগসন্ধানীরা বেশি সময় হাতে পায় না। এ জন্যই দেখা যায়, মিছিলে হাজার লোক এলেও হামলায় জড়িত হয় মাত্র কয়েক ডজন। তবে এবার তারা বেশি সময় পেল। এবার চার দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের ওপর লাগাতার হামলা হলো। এটা প্রমাণ করে, এটা সংগঠিত বড় শক্তির কাজ। দীর্ঘ পরিকল্পনা, দেশব্যাপী লোকবল, অর্থবল এবং প্রশাসনকে নিষ্ক্রিয় বা জিম্মি করা ছাড়া এমন ব্যাপক সন্ত্রাস চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। এই ক্ষমতাটা কার আছে?

মিছিল করে ‘তৌহিদি জনতা’, কিন্তু রামু থেকে শাল্লায় ক্ষমতাসীন রাজনীতির আশ্রয়ে থাকা পদাতিক ঠ্যাঙ্গাড়েদেরই দেখা গেছে। এদের কৌশলীভাবে এখানে-সেখানে হামলায় নামিয়ে দেওয়ার যে প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় সমন্বয় ছাড়া তো তা কঠিন। দুই পক্ষ লড়লে বলা যেত পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল। কিন্তু থেমে থেমে একতরফা হামলার মধ্যে পরিকল্পনার ছাপ স্পষ্ট।

এদের ঠেকাতে চাইলে সরকার পারে না, তা বিশ্বাস করা যায় না। আমাদের পুলিশ বাহিনীর সংখ্যা পাঁচ লাখ। তারা অতীতের চেয়ে অনেক বেশি প্রশিক্ষিত। জেলা প্রশাসন এখন অনেক শক্তিশালী। আবার এটাও বিশ্বাস করা কঠিন যে এভাবে সরকার দেশে-বিদেশে সরকার নিজেদের অথর্বতা ও সাম্প্রদায়িকতাকে মেলে ধরবে। হিন্দুরা আতঙ্কিত, কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাখা মুসলিমরাও বিপর্যস্ত। সরকারের কি জনগণকে একেবারেই দরকার নেই?

আমাদের এত বড় রাষ্ট্রযন্ত্র, সরকারের সব কাজ করিয়ে দিতে এত দক্ষ পুলিশ বাহিনী এই গুটিকয়েক লোককে কবজা করতে পারে না, তা বিশ্বাস হওয়ার কথা না। যারা নিপুণভাবে বাঁ-ডান সব বিরোধীকে ছত্রভঙ্গ করে রেখেছে, যারা অবিশ্বাস্য দক্ষতায় অন্তত একটি নির্বাচনকে পুরোপুরি ছিনতাই করতে পেরেছে, প্রকাশ্য হামলাকারীদের ঠেকাতে তারা ব্যর্থ, এটা শুনলে পুরান ঢাকার গোমড়া ঘোড়াগুলো পর্যন্ত হেসে উঠবে।
সরকার শুধু বলুক, জনগণ বিশেষ করে তরুণেরা আপনারা সম্প্রদায়িক হামলা মোকাবিলায় এগিয়ে আসুন, পুলিশ আপনাদের হয়রানি করবে না। মাঠে নামালে বলবে না যে, সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দয়া করে ঘোষণা দিন, আপনারা পুলিশের সঙ্গে মিলে অপশক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলুন, কোনো প্রতিবাদীকে ফাঁসানো হবে না।

এখনই দরকার সর্বদলীয় ঐক্য নিয়ে মাঠে হাজির থাকা। একদলীয় জমায়েত কাউকে উদ্দীপ্ত করবে না, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মনেও ভরসা জাগাবে না। এসব বর্বরতাকে বিরোধী দমনে ব্যবহার করা হলে, হিন্দু-মুসলিম-জনজাতির শত্রুরা সর্বনাশ করে যেতেই থাকবে।

অথচ আমরা দেখলাম, সাম্প্রদায়িকতার রিংমাস্টারদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার বদলে বিএনপিকে সবকিছুর হোতা বলা হচ্ছে। বিএনপিকে দোষারোপ করা মানে এমন পরিস্থিতিতে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় দলকে নিষ্ক্রিয় ও আতঙ্কিত করে রাখা। আর এতে করে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীরা জেনে গেল যে সরকার তাদের শত্রু মনে করছে না, শত্রু মনে করছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে। এটা তাদের অপকর্ম চালিয়ে যেতে উৎসাহ দেওয়ার শামিল।

এখনই দরকার সর্বদলীয় ঐক্য নিয়ে মাঠে হাজির থাকা। একদলীয় জমায়েত কাউকে উদ্দীপ্ত করবে না, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মনেও ভরসা জাগাবে না। এসব বর্বরতাকে বিরোধী দমনে ব্যবহার করা হলে, হিন্দু-মুসলিম-জনজাতির শত্রুরা সর্বনাশ করে যেতেই থাকবে।

এভাবে চেয়ে চেয়ে শান্তির ধ্বংস দেখা যায় না। মানুষের হাহাকার আর নেওয়া যাচ্ছে না। হিন্দু সমাজকে আক্রমণ করে বাংলাদেশকেই আক্রমণ করা হচ্ছে। নতুন বিভেদের ফাঁসে গলা ঢোকাবেন না। মিয়ানমারকে দেখুন, ভেঙে পড়তে কিন্তু সময় নেয়নি। তারও শুরু হয়েছিল কিন্তু রোহিঙ্গা গ্রাম জ্বালানো থেকে। তারপর সেই আগুন কিন্তু সবখানে ছড়িয়ে গেছে। সংখ্যালঘুকে বিপন্ন করে সংখ্যাগুরুরা কখনো নিরাপদ থাকতে পারে না। সংখ্যালঘুর ওপর নির্যাতন হলে তা রুখে দাঁড়ানোর দায় প্রশাসনের পাশাপাশি সংখ্যালঘুর ওপরও বর্তায়। সংখ্যাগুরু সমাজের মানুষও কি প্রশাসনের মতোই ধরি মাছ না ছুঁই পানি অবস্থানে থাকবেন?

চলমান পরিস্থিতি মনে করিয়ে দিচ্ছে, ১৯৫০ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা। খুলনার এক গ্রামে পাকিস্তানি পুলিশ এক কমিউনিস্ট কর্মীকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পরিবারের ওপর অত্যাচার চালায়। তখন গ্রামবাসী প্রতিরোধ করলে এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। ঘটনাক্রমে গ্রামটি ছিল নমঃশূদ্রদের। পরে আরও পুলিশ ও মুসলমান এসে সেখানে লুটতরাজ করে। এর এক মাস পরে পশ্চিম বাংলার আনন্দবাজার ও যুগান্তরসহ বড় বড় পত্রপত্রিকায় ঘটনার অতিরঞ্জিত বিবরণ ছাপা হতে থাকে। প্রথমদিকে উসকানিমূলক বক্তব্য দিতে থাকেন সেখানকার হিন্দুত্ববাদী নেতারা। পরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ডা. বিধান চন্দ্র রায়ও উত্তেজনাকর বক্তব্য দেন। ভারতের কেন্দ্রীয় উপপ্রধানমন্ত্রী সরদার বল্লভভাই প্যাটেল কলকাতায় জনসভা করে হিংসার পারদ চড়িয়ে দেন। একেই অসিলা করে পাল্টা উত্তেজনা ছড়ান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী নুরুল আমিন। ঢাকার দৈনিক আজাদের মতো বড় পত্রিকা সাম্প্রদায়িক বক্তব্য ছড়াতে থাকে। অচিরেই দেখা গেল দুই বাংলাতেই দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে।

আসাম-ত্রিপুরা-বিহার ও পশ্চিম বাংলা থেকে লাখো মোহাজের আসতে থাকল। পূর্ব বাংলার লাখো হিন্দু ভারতে দেশান্তরী হলো। দাঙ্গাকে ব্যবহার করে এখানে মুসলিম লীগ সরকার আর সেখানে কংগ্রেস সরকার বলবান হলো। বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীন আহমদের ডায়েরিতে সে সময়ের বিস্তারিত বিবরণ আছে। প্রতিরোধে নেমে পড়ার বিবরণ আছে।

নুরুল আমিন আর বিধানচন্দ্র রায় ছিলেন ব্যক্তিগত বন্ধু। অসুস্থ হলে নুরুল আমিন কলকাতায় গিয়ে বিধানচন্দ্র রায়ের কাছে চিকিৎসা নিতেন। কিন্তু এই কৌশল ফল দেয়নি। এর দুই বছর পরেই পূর্ব বাংলায় ভাষা আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে, মুসলিম লীগের দীর্ঘ পতনযাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ স্বাধীনও হয়। পশ্চিম বাংলাতেও পরে বামপন্থীরা ক্ষমতাসীন হয়ে সাম্প্রদায়িকতার লাগাম টেনে ধরেন। (সূত্র: বদরুদ্দীন উমর, পূর্ব বাংলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি, দ্বিতীয় খণ্ড)

নুরুল আমিন ও বিধান চন্দ্র রায়ের বন্ধুত্বের মতো বন্ধুত্বের আরেকটি উদাহরণ দিয়েছেন সমাজবিজ্ঞানী ড. আশীষ নন্দী। এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি প্রায়ই একজোড়া হিন্দু-মুসলিমের কথা বলি, যাঁরা হায়দরাবাদের দুই বড় নেতা। এদের দুজনের সুনাম আছে দাঙ্গা লাগাতে এবং সুনিপুণভাবে চালিয়ে যেতে, অথচ এরা দুজন এখনো একসঙ্গে সপ্তাহে একবেলা খান, জিগরি দোস্ত।’

সরকারের উচিত এখন পরিষ্কার পদক্ষেপ নেওয়া, জনগণকে সঙ্গে রাখার রাস্তাটা খুলে দেওয়া। দেশে অসাম্প্রদায়িক নাগরিক মহল, লেখক-শিল্পী-বুদ্ধিজীবী ও উন্নয়ন কর্মীদেরও এখনই সহনাগরিকের পাশে এসে দাঁড়ানো দরকার। যেখানে সম্ভব প্রতিরোধের মানবঢাল তৈরি করতে হবে, রাজধানীসহ সারা দেশে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য আগুয়ান মানুষদের সমবেত হওয়া, এখন খুবই জরুরি।

ফারুক ওয়াসিফ লেখক ও সাংবাদিক।
faruk. wasif@prothomalo. com