আবাসিক এলাকায় লেগুনাস্ট্যান্ড

প্রথমআলোর খবরে প্রকাশ, ২০১৫ সালের এপ্রিলে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরে চারটি লেগুনা নিয়ে স্ট্যান্ডটি চালু হয়। এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে মাঝে কিছুদিন বন্ধ ছিল। গত বছর বড় পরিসরে আবার লেগুনাস্ট্যান্ডটি গড়ে তোলা হয়।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিলে স্ট্যান্ডটি গড়ে তুলেছেন। এই স্ট্যান্ডে বর্তমানে মোট ২৫টি লেগুনা আছে। এসব লেগুনা যাত্রী ওঠানোর আগে ১০ নম্বর সেকশনের বি ব্লকের ২ নম্বর সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। অথচ সড়কটির প্রস্থ মাত্র ২০ ফুট। দুই পাশে লেগুনা রাখায় বাসিন্দাদের ওই সড়ক দিয়ে হাঁটতে কষ্ট হয়।

স্ট্যান্ডে লেগুনা রেখে এর চালক এবং তাঁদের সহকারীরা প্রায়ই আবাসিক ভবনের সামনে বসে আড্ডা দেন। স্ট্যান্ডের পাশেই গড়ে উঠেছে চা-সিগারেটের দোকান। সেখানেও নানা রকমের মানুষ ভিড় করে প্রতিদিন। লেগুনাগুলোর চালক ও সহকারীরা সড়কের পাশের নালায় প্রাকৃতিক কাজকর্ম সারেন। এ ছাড়া এলাকার ভেতরে বেপরোয়া গতিতে ছোটে লেগুনাগুলো। ফলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কার মধ্যে থাকেন এলাকার বাসিন্দারা।

রুট পারমিট অনুযায়ী, লেগুনাগুলোর মিরপুর ১০ নম্বরের অ্যাভিনিউ ৫ থেকে যাত্রা শুরু করে শেষ হওয়ার কথা এ ব্লকের অ্যাভিনিউ ১-এর শেষ মাথায়। অর্থাৎ এখানে রুট পারমিট মানা হচ্ছে না। কিন্তু এ রকম তো চলতে পারে না। আবাসিক এলাকার ভেতর অবৈধভাবে গড়ে তোলা এই লেগুনাস্ট্যান্ড অবিলম্বে সরিয়ে দিতে হবে। এ দায়িত্ব উত্তর সিটি করপোরেশন ও পুলিশের। তাদের এ জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। যেসব লেগুনা এই সড়কে চলাচল করে, সেগুলোর রুট পারমিট বাতিল করতে হবে। এই দায়িত্ব বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ)। ক্ষমতাসীন দলের বা অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা লেগুনাস্ট্যান্ডটি গড়ে তুলেছেন—এ কারণে বা তাঁদের ভয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো পিছিয়ে আসবে না—আমরা সেটাই প্রত্যাশা করি।