তবে শুধু কাপাসিয়ায় নয়, দেশের আরও অনেক স্থানে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে একই ধরনের নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, সংস্কারের অভাবে ক্লিনিকের ভবনগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এসব ক্লিনিকে ঝুঁকি নিয়ে চলছে চিকিৎসা। বহু ক্লিনিকে নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও লোকবল। অনেক ক্লিনিকে ওষুধের সংকট লেগেই থাকে। কোথাও কোথাও দেখা গেছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক থাকে না। থাকে না নিয়মিত পানির সরবরাহ। কোথাও আবার শৌচাগার নষ্ট হয়ে অচল হয়ে আছে। অনেক ক্লিনিকে রয়েছে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য। অবকাঠামোগত সমস্যার পাশাপাশি দুর্নীতি, অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার কারণে এসব ক্লিনিকের সেবা কার্যক্রম বলতে আর কিছু নেই।
দেশের প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে বর্তমান সরকার সারা দেশে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করে। বর্তমানে দেশে ১৩ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। প্রতিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ছয় হাজার মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার কথা। এসব ক্লিনিকের মাধ্যমে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, প্রজননস্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, টিকাদান কর্মসূচি, পুষ্টি, স্বাস্থ্যশিক্ষা, পরামর্শসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অযত্ন, অবহেলা এবং কিছু মানুষের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে এর যে মূল উদ্দেশ্য, তা আজ ব্যাহত হচ্ছে। মুখ থুবড়ে পড়েছে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
দেশের সব কমিউনিটি ক্লিনিক যেন গ্রামের দরিদ্র মানুষকে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারে, এ জন্য সরকারকে এ বিষয়ে বিশেষভাবে মনোযোগ দিতে হবে। কী কী কারণে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, তার আসল কারণ খুঁজে বের করতে হবে এবং সে অনুযায়ী সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রমের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে।