প্রথম আলোর প্রতিবেদনের সঙ্গে নগরীর চশমা খালের পাশের সড়কের যে ছবি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে উদ্বিগ্ন না হওয়ার কিছু নেই। সরু সড়কে নিরাপত্তাবেষ্টনী না থাকায় যে কেউও খালে পড়ে যেতে পারে। আর ভারী বৃষ্টি হলে খাল আর সড়ক একাকার হয়ে যায়। পথচারী আর যানবাহন কেন প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় পড়ে না, সেটাই একটা অলৌকিক বিষয়। শুধু চশমা খাল নয়, উন্মুক্ত নালা-খালের এ রকম মরণফাঁদ চট্টগ্রাম নগরজুড়েই।

উন্মুক্ত নালা-খালে পড়ে হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) কেউ এসবের দায় নেয় না। উল্টো পরস্পরকে দায়ী করে সংস্থা দুটি। সরকারের এক তদন্ত প্রতিবেদনে এমন মৃত্যুর জন্য দুটি সংস্থার গাফিলতিকে দায়ী করা হয়েছে।

আমরা মনে করি, দায় না নেওয়ার এ বাজে সংস্কৃতির কারণেই চট্টগ্রাম নগরে নাগরিকের জীবন অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। নাগরিকদের অভিযোগ, তদারকি সংস্থাগুলো মানুষের জীবনকে গুরুত্বহীন ভাবে। এ কারণে নজরদারি ও তদারকি দেখা যায় না।

সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীর ভাষ্য, স্ল্যাব মেরামত ও নির্মাণ ধারাবাহিকভাবে করা হচ্ছে।

নাগরিকেরা যখন নালা-খালে পড়ে মারা যাচ্ছেন, তখন এ ধরনের দায়সারা গোছের বক্তব্য কাউকেই আশ্বস্ত করতে পারে না। সিটি করপোরেশন ও নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পারস্পরিক দোষারোপের মূল্য সাধারণ নাগরিক কেন তাদের জীবন দিয়ে চুকাবে?

আমরা আশা করব, আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই মরণফাঁদ বলে পরিচিতি পাওয়া চট্টগ্রাম নগরের সমস্ত উন্মুক্ত নালা ও খালে স্ল্যাব মেরামত ও নিরাপত্তাবেষ্টনী নির্মাণ করা হবে।