প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, অনেক নারী এমন একটি সেবা আছে, তা-ও জানেন না। আবার কেউ ফোন করলে তাঁকে এমন পরামর্শ দেওয়া হয়, সেটি নিয়ে তিনি কী করবেন, কিছুই বোঝেন না। অ্যাসিডদগ্ধ নারীর বিষয়ে কীভাবে সাহায্য পাওয়া যাবে, জানতে প্রথম আলোর প্রতিবেদক কল করে ও খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাননি; যদিও খুদে বার্তা পাঠালে গুনতে হয় অর্থ।
তবে এটি ঠিক, ১০ বছর আগে শুরু হওয়া এই সেবায় কলসংখ্যা অনেক বেড়েছে। কিন্তু এই সেবার মূল উদ্দেশ্যই যদি নিশ্চিত করা না হয়, কলসংখ্যা বাড়ার সাফল্য নিশ্চয়ই কোনো তাৎপর্য বহন করে না।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকল্পটি নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা কিছু বলতে চাননি। তবে সাবেক একজন প্রকল্প পরিচালকের বক্তব্য, যেসব নারী ও শিশু সরাসরি সহায়তা চাওয়ার জন্য আসতে পারে না, তাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে ১০৯ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। প্রতিটি কল ধরার জন্য যত জনবল প্রয়োজন, ততটা নেই। এ ছাড়া প্রকল্পটিকে এ অর্থবছরে ‘বি’ শ্রেণিতে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই বাজেটও ২৫ শতাংশ কমে গেছে।
কল করা ব্যক্তিদের চিকিৎসা, পুলিশ ও আইনি সহায়তা দেওয়ায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মতো অতটা সামর্থ্য নেই ১০৯-এর। কারণ, ৯৯৯ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন। জরুরি সহায়তা চাওয়া ব্যক্তিদের কাছে পুলিশ সরাসরি পৌঁছায় বলে তাৎক্ষণিক সেবা পাওয়া যায়।
এখন ১০৯-এ কল করে সহায়তা চাওয়া নারীরা কীভাবে সেবা পাবেন, সেটি নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নীতিনির্ধারকদের। এর জনবল ও বাজেট বাড়ানোর বিষয়েও গুরুত্ব দিতে হবে। হেল্পলাইনটি ভুক্তভোগী নারীদের ভরসা হয়ে উঠুক, সেটিই আমরা চাই। এর জন্য মন্ত্রণালয় ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সদিচ্ছা জরুরি।