অজানা অধ্যায়: সেদিন ভোরে ওঁরা তিনজন

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সকালে বঙ্গভবন থেকে তাঁরা তিনজন ছুটে এসেছিলেন ৩২ নম্বরের দিকে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মশরুল হুদা, ক্যাপ্টেন শরিফ আজিজ ও লেফটেন্যান্ট রাব্বানী। প্রথমজন বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব, অপর দুজন এডিসি। তাঁদের লক্ষ্যস্থল বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়ি হলেও সেখানে তাঁরা পৌঁছাতে পারেননি। যেমন গণভবন থেকে আসা বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিলও পারেননি। এর আগেই ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানকারীরা কর্নেল জামিলকে হত্যা করে।

বঙ্গবন্ধুর তিন সামরিক কর্মকর্তা (বাঁ থেকে) ক্যাপ্টেন শরিফ আজিজ, লেফটেন্যান্ট রাব্বানী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মশরুল হুদা। ছবি: সংগৃহীত
বঙ্গবন্ধুর তিন সামরিক কর্মকর্তা (বাঁ থেকে) ক্যাপ্টেন শরিফ আজিজ, লেফটেন্যান্ট রাব্বানী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মশরুল হুদা। ছবি: সংগৃহীত


কিন্তু বঙ্গভবন থেকে আসা তিনজনকে অভ্যুত্থানকারীরা প্রাণে মেরে না ফেললেও গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে চোখ বেঁধে ফেলে এবং আটকে রাখে। সেই তিনজন সাহসী সামরিক কর্মকর্তার মধ্যে বেঁচে আছেন কেবল শরিফ আজিজ। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি সেদিনের স্মৃতিচারণা করেন, যাতে বেশ কিছু অজানা তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তাঁর বক্তব্যের সমর্থন পাওয়া যায় অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের বই ‘লিগ্যাসি অব ব্লাড’ এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মহিউদ্দিনের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে। অ্যান্থনি মাসকারেনহাস লিখেছেন, মিরপুর রোড ধরে শেখ মুজিবের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একদল ল্যান্সারের আহ্বানে তিনি (কর্নেল ফারুকুর রহমান) সেখানে নামেন এবং দেখতে পান যে ওরা তিনজন লোককে ধরে অত্যন্ত শক্তভাবে বেঁধে রেখেছে। উত্তেজিতভাবে তারা বলে, মুজিবের বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমরা তাদের পাকড়াও করি। জানতে চায়, ‘ওদের খতম করে দেব নাকি?’ ফারুক কম বয়সী দুজনকে চিনতে না পারলেও দেখামাত্র তৃতীয়জনকে চিনে ফেলল।...ফারুক তাঁর সেনাদের শান্ত করলেন এবং বললেন, আর কোনো খুনের প্রয়োজন নেই।

আর মহিউদ্দিন তাঁর জবানবন্দিতে জানিয়েছেন, হঠাৎ তিনি লেকের দিকে হইচইয়ের শব্দ শুনে সেদিকে তাকিয়ে দেখেন, ব্রিগেডিয়ার মাশরুল হক ও রাষ্ট্রপতির দুই এডিসিকে চোখ বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছে। তাঁদের হাত পিছমোড়া করে বাঁধা। ল্যান্সার ইউনিটের সেনারা তাঁদের গুলি করতে উদ্যত।

১৯৯৩ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়া ব্রিগেডিয়ার শরিফ আজিজ বর্তমানে বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান এলিট ফোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ৫ আগস্ট বারিধারায় তাঁর কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।

শরিফ আজিজ এখন। ছবি: আবদুস সালাম
শরিফ আজিজ এখন। ছবি: আবদুস সালাম

‘কিছুদিন না যেতেই পুরো সেনাবাহিনী তাঁদের বিরুদ্ধে চলে গেল’

প্রথম আলো: বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে প্রথম পরিচয় কবে?

শরিফ আজিজ: ১৯৭৪ সালে ১১ বেঙ্গল ইউনিট যখন গণভবন ও বঙ্গভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়, সেই দলের একজন জুনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে আমি যোগ দিই। সে সময় তাঁকে দূর থেকে দেখেছি। এরপর ১ জানুয়ারি ১৯৭৫ আমি রাষ্ট্রপতির এডিসি হিসেবে যোগ দিই। তখনো বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি হননি। রাষ্ট্রপতি ছিলেন মোহাম্মদ উল্লাহ। তবে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বঙ্গভবনে যেতেন। ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিলে সরাসরি তাঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়। তিনি চৌকস ও দক্ষ কর্মকর্তাদের পছন্দ করতেন।

প্রথম আলো: এডিসি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা?

শরিফ আজিজ: এডিসি হিসেবে আমরা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যের মতো ছিলাম। সকালে বঙ্গভবন থেকে ৩২ নম্বরে আসতাম, রাতে ফিরে যেতাম। তিনবেলা না হলেও অন্তত দুইবেলা তাঁর বাসায় খেতাম—সকালে ও রাতে। খেতে না চাইলেও বঙ্গবন্ধু বলতেন, খেয়ে যাবি। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল পিতা ও পুত্রের। বঙ্গবন্ধু আমার বাবাকে চিনতেন, তাঁর ও পরিবারের খোঁজখবর নিতেন। কেবল আমার নয়, তাঁর সঙ্গে যাঁরাই কাজ করেছেন, তাঁদের সবার পরিবারের খোঁজখবর নিতেন। নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী থেকে বঙ্গবন্ধুর আরও দুজন এডিসি ছিলেন। আমাদের তিনজনকেই তিনি খুব ভালোবাসতেন। প্রতিদিন দেখা হতো। বাসায় গেলে বেগম মুজিব আমাদের খেতে বলতেন। না খেয়ে আসতে পারতাম না।

প্রথম আলো: ১৫ আগস্ট যে এ রকম একটি বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটবে, তা কি আপনারা বুঝতে পেরেছিলেন?

শরিফ আজিজ: একদম না। আমরা ভাবতে পারিনি কেউ বঙ্গবন্ধুকে মারতে পারে। এখন আমাদের লজ্জা লাগছে। আমরা যাঁরা বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলাম, কেউ বুঝতে পারলাম না, কী ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে বলা হয়েছিল, ৩২ নম্বরে থাকবেন না। গণভবনে থাকুন। তিনি বললেন, এখানেই থাকব। এরপর আর কেউ কোনো কথা বলেননি। মনে আছে, তিন-চার দিন আগে হত্যাকারীদের একজন কর্নেল ফারুক কোনো এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে অভিবাদন জানিয়েছেন। এসব লোকই কিনা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করল? আমরা কিছুই বুঝতে পারলাম না। ডিজিএফআই, এনএসআই—কেউ জানল না, এটি কীভাবে সম্ভব হলো?

প্রথম আলো: তখন নাকি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করে দিয়েছিল?

শরিফ আজিজ: ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সতর্ক করে থাকতে পারে। কিন্তু আমি বলছি, দেশের ভেতরে এত গোয়েন্দা সংস্থা, এত বাহিনী—কেউ টের পেল না? এখন মনে হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই ঢিলেঢালা ছিল। জুলাই মাসে প্রেসিডেন্টের গার্ড রেজিমেন্ট নিয়োগ করা হলেও তারা বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দায়িত্বে ছিল না। দায়িত্বে ছিল কুমিল্লা থেকে আসা একটি সেনা ইউনিট। এ জন্য রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সবাইকে দায়ী করা যায়। তবে এটি ছিল অবহেলা, ইচ্ছাকৃত নয়।

প্রথম আলো: তাহলে সেই ব্যর্থতার দায় তো আপনাদেরও?

শরিফ আজিজ: অবশ্যই আমাদের ব্যর্থতা ছিল। বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে পারিনি—এ ব্যর্থতা গোটা জাতির। বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তায় পিজিআরের বাইরে সিভিলিয়ান নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও ছিলেন। আজ এত বছর পর এসে মনে হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তায় বড় ধরনের ঘাটতি ছিল। ফারুক ও রশিদ চক্র যে এই পরিকল্পনা করেছে, তার কিছুই আমরা টের পেলাম না।

প্রথম আলো: জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সম্পর্ক কেমন ছিল?

শরিফ আজিজ: বঙ্গবন্ধু জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের খুবই পছন্দ করতেন। বিশেষ করে জেনারেল সফিউল্লাহ, জেনারেল জিয়া, খালেদ মোশাররফ, মইনুল হোসেন চৌধুরী, শাফায়াত জামিল প্রমুখ ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যেতেন। একান্তে কথা বলতেন। বঙ্গবন্ধু পছন্দ না করলে এটি তাঁরা পারতেন না।

প্রথম আলো: ১৫ আগস্টের ঘটনা আপনি কীভাবে শুনলেন? কীভাবে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যাওয়ার উদ্যোগ নিলেন?

শরিফ আজিজ: আগের দিনই তিন এডিসির দায়িত্ব নির্ধারিত ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে বঙ্গবন্ধুর যাওয়ার কথা। সকালবেলা ফরিদ নামের একজন কর্মকর্তা গণভবন থেকে টেলিফোন করে বললেন, গুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে, ধানমন্ডি ও মিরপুর রোডের দিকে। আপনারা কিছু শোনেননি? আমি বললাম, না, শুনিনি। এরপরই সিদ্ধান্ত নিলাম বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যাব। ব্রিগেডিয়ার মশরুল হককে বললাম। তিনি বললেন, আমিও যাব। তিনি আমার হাতে একটি পিস্তল দিয়ে বললেন, রাখো। আমরা তিনজনই ছিলাম সাদাপোশাকে। এরপর আমরা বঙ্গভবন থেকে একটি গাড়ি নিলাম, পুরোনো ভক্স ওয়াগন। রাজা মিয়া নামের একজন ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, আজিমপুর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হয়ে যাব। যখন নিউমার্কেট পার হয়ে ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়কে এলাম, তখন কালো পোশাক পরিহিত আর্মড ফোর্সের লোকেরা জিজ্ঞেস করল, কোথায় যাচ্ছেন? আমরা বললাম, বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে। ওরা বলল, তাঁকে তো হত্যা করা হয়েছে। আমরা বললাম, কী বলছ? তোমরা কি পাগল? কিন্তু আমরা তাদের বাধা পেরিয়ে সামনে এগোলাম। এরপর কলাবাগান স্টাফ কোয়ার্টারের কাছে ফের আরেক গ্রুপ আমাদের আটকাল। নানা কথা বলে দ্বিতীয় বাধাও পার হলাম।

প্রথম আলো: তখন রাস্তায় কি লোকজন ছিল?

শরিফ আজিজ: না, ছিল না। তখন তো কারফিউ ছিল। তৃতীয় গ্রুপ আমাদের বাধা দিল বঙ্গবন্ধুর বাড়ির কাছে, সাংহাই চীনা রেস্তোরাঁর। ওরা আমাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে টেনেহিঁচড়ে লেকের পাড়ে আটকে ফেলল। তারা ছিল খুবই আক্রমণাত্মক। অকথ্য ভাষায় গালাগাল করল। এরপর আমাদের চোখ বেঁধে ফেলল। পিছমোড়া করে হাত বাঁধল। চোখ বেঁধে ফেলায় ভাবলাম, এটা হয়তো হত্যার আগের প্রস্তুতি। ওদের কথাবার্তায় টের পেলাম, কর্মকর্তা গোছের কেউ কেউ ওখান দিয়ে আসা-যাওয়া করছিল। তাদের প্রশ্নের উত্তরে সেনারা বলল, ‘তিন গাদ্দারকে ধরেছি।’ একবার ফারুকও ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেনারা তাঁকে জিজ্ঞেস করল, কী করব। তিনি আমাদের দুজনকে না চিনলেও মাশরুল হককে চিনলেন। ফারুক বললেন, ‘ধরে রাখো।’ এভাবে আমাদের চোখ বেঁধে সেখানে পাঁচ-ছয় ঘণ্টা রাখা হলো। মেজর শহীদুল্লাহ নামের একজন আমাদের অবস্থা দেখে উদ্ধার করলেন এবং গণভবনে নিয়ে গেলেন। সেখানে আমাদের চোখ খুলে দেওয়া হলো। এরপর সন্ধ্যায় আমাদের বঙ্গভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে দেখি, কর্নেল আমীন আহম্মেদ চৌধুরী হাতে সামরিক সচিবের ব্যাজ পরে আছেন। তিন বাহিনী থেকে তিনজন নতুন এডিসি নিয়োগ পেলেন। শুনলাম আমাদের অন্যত্র পোস্টিং হয়ে গেছে। কিন্তু সন্ধ্যায় শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে ফের আমাদের ডাক পড়ল। কেননা, সেখানে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের ওই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের অভিজ্ঞতা ছিল না।

প্রথম আলো: এরপর কি বঙ্গভবনেই থেকে গেলেন?

শরিফ আজিজ: হ্যাঁ। একধরনের বৈরী পরিবেশে আড়াই মাস কেটে গেল। আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া কোনো দায়িত্ব ছিল না আমাদের। বঙ্গবন্ধুর লোক হিসেবে ওরা আমাদের এড়িয়ে চলত। ফারুক-রশিদ তৃতীয় তলায় ভিআইপি রুমে থাকতেন। তাঁদের মধ্যে একধরনের অহংকার এসে গেল, ‘আমরাই দেশ চালাচ্ছি।’ কিছুদিন না যেতেই পুরো সেনাবাহিনী তাঁদের বিরুদ্ধে চলে গেল। বিশেষ করে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা কোনোভাবেই তাঁদের কর্তৃত্ব মানতে পারছিলেন না।

প্রথম আলো: ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থান হলো। সেই সময়ের স্মৃতি মনে আছে?

শরিফ আজিজ: অনেক স্মৃতি মনে পড়ছে। আমরা চেয়েছি খালেদ মোশাররফ সফল হোন। খুনিরা পালাচ্ছে। তার আগে একটি বৈঠকে তো একজন সেনা কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মেরে ফেলার হুমকি দিলেন। আমি অবশ্য সে সময় উপস্থিত ছিলাম না। চারদিকে থমথমে অবস্থা। বাইরে অরাজকতা চলছিল। ৬-৭ তারিখে ‘সিপাহি সিপাহি’ ‘ভাই ভাই’ বলে পাল্টা অভ্যুত্থান হলো। কিন্তু জেলখানায় জাতীয় চার নেতার হত্যা সম্পর্কে আমরা পুরো অন্ধকারে ছিলাম। পরে জেনেছি খুনিরা দেশ ছাড়ার পর। বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু এত বড় মাপের মানুষ। তাঁর জন্য আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম। কর্তব্যের তাগিদেই সেদিন তিনজন সামরিক কর্মকর্তা বঙ্গভবন থেকে ছুটে গিয়েছিলাম। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে পারলাম না, এই মনোবেদনা সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে।